নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুচি হয়ত আপনি ভুলে গেছেন কিন্তু তাই বলে আমরা ভুলি নাই

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১৫


হয়ত সুচি ভুলে যেতে পারে কিন্তু তাই বলে আমাদের ভুলে যাবার কথা নয় সুচির ক্ষমতায় আসার আগের ইতিহাস ।হয়ত আমরা
অনেকেই ভুলে যাইনি সুচির মিয়ানমারে ক্ষমতায় আসার আগের অনেক কথাই ।তবে এখন আবার আমরা অনেকেই এও বুঝতে
আসলে রাষ্ট্র ক্ষমতার লোভে মানুষ ক্ষমতায় আসার আগে যাই বলুক তা কোনটাই তাদের মনের ভাষা নয়,তার নজর কারা নমুনা
মিয়ানমারের ক্ষমাতাবান নারী নেত্রী মিসেস সুচি।আমাদের নিশ্চয় মনে আছে এই সু চির মুক্তির জন্য আমরা এবং আরো অন্যান্য অনেক মুসলিম দেশের নাগরিকরা ৮০ বা ৯০ দশকের দিকে বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রের রাজপথে মিছিল করেছিল এবং আমরাও আমাদের দেশের রাজথে মিছিল করেছিলাম। সেদিন কিন্তু আমরা ভাবি নাই সুচি একজন বৌদ্ধ বা অন্য ধর্মের লোক তার জন্য আমরা কেন রাজপথে নামবো বা মিছিল করবো ? সেদিন আমাদের মনের এবং মুখের একটি ভাষাই ছিল শুধু আর তা হল সুচির মুক্তি দাবি । তিনি ছিলেন তখন সেখানকার সামরিক জান্তা কর্তৃক গৃহবন্দী।

১৯৮৯ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সুচি ছিলেন সেখানকার কার্যত গৃহবন্দী। আর তার প্রধান কারনই ছিল মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর স্বৈরশাসন থেকে সেদেশটিকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে গণতন্ত্রে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা। মিয়ানমারের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা জেনারেল অং সানের মেয়ে সুচি। স্বাধীনতা লাভের মাত্র ছয় মাস আগে ১৯৪৭ সালের জুলাই মাসে অং সানকে হত্যা করা হয়েছিল। আর তখন সুচির বয়স ছিল মাত্র দুই বছর। সুচির মা ডখিন কাইকে ১৯৬০ সালে ভারতে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত করা হয়। সু চিও তার মায়ের সঙ্গে দিল্লি চলে আসেন। ১৯৬৪ সালে তিনি অক্সফোর্ডে ভর্তি হয়ে দর্শন রাজনীতি এবং অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। সেখানেই তিনি বিয়ে করেন শিক্ষাবিদ মাইকেল অ্যারিসকে।

কিছুকাল জাপান ও ভুটানে বসবাসের পর সুচি তার দুই ছেলের লেখাপড়ার স্বার্থে যুক্তরাজ্যেই বসবাস করতে থাকেন। ১৯৮৮ সালে তিনি গুরুতর অসুস্থ মায়ের দেখাশোনার জন্য রেঙ্গুনে বা ইয়াঙ্গুন সম্ভবত হবে ফিরে আসেন আর তখন বার্মায় রাজনৈতিক অবস্থা অস্থিরতার ভিতর চলছিল। সুচি সেখানে আসার পর হাজার হাজার ছাত্র ও জনতা এবং বৌদ্ধ ভিক্ষু রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে রাজপথে বিক্ষোভ শুরু করেন। তিনি মিয়ানমারের তৎকালীন সেনাশাসক জেনারেল নে উইনের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলেন। মার্কিন নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুথার কিং এবং ভারতের ততকালিন জাতীয় নেতা গান্ধীর আদলে তিনি অহিংস আন্দোলন শুরু করেন। আর সেই কারণেই ১৯৯১ সালেই নোবেল কমিটি তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে। নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান তখন বলেছিলেন তিনি ক্ষমতাহীনদের ক্ষমতার এক অনন্য উদাহরন। আর তার সেই নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তিতে আমরাও অনেক আনন্দিত হয়েছিলাম। তখন আসলে আমরা ভাবিনি এই সুচি সেই সুচি থাকবেন না একদিন তিনিই স্বদেশে মিলিটারির বুটের আশ্রয়ে বসে মানবতার চরম লঙ্ঘন করবেন।বড় অবাক বিশ্ব মানবতা ।১৯৮৮ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে। অভ্যুত্থানের নেতা কঠোর হাতে এবং অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে সে গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমন করেন। আর তখনই সুচিকে গৃহবন্দী করা হয়েছিল।

ছয় বছর সুচি রেঙ্গুনেই গৃহবন্দী থাকেন। ১৯৯৫ সালে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। এর আগে ১৯৯০ সালে মিয়ানমারে একটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাতে সুচির দল এনএলডি ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি বিজয় অর্জন করলেও সামরিক শাসকেরা ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানান। সুচির ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তিনি মান্দালয় শহরে যাওয়ার চেষ্টা করলে ২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে তাকে আবারো গৃহবন্দী করা হয়।অবশ্য ২০০২ সালে সামরিক সরকার তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়। কিন্তু তার সমর্থক এবং সরকার সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে বাড়িতে আসতে দেওয়া হলেও তিনি গৃহবন্দীই থাকেন। সেখানে সুচি ফ্রেঞ্চ এবং জাপানি ভাষা অনুশীলন ও পড়াশোনা করতে থাকেন। ব্যায়াম এবং যোগব্যয়াম করেন আর পিয়ানো বাজিয়ে সময় কাটান। একসময় তাকে তার দলের কিছু নেতা এবং নির্ধারিত কূটনীতিকদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়। তবে তাকে কখনো তার ব্রিটিশ স্বামী এবং দুই সন্তানের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। তার স্বামী ১৯৯৯ সালে ক্যান্সারে মারা যান।

বিশ বছর পর ২০১০ সালের ৭ নভেম্বর মিয়ানমারে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনে সুচিকে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। তবে এক সপ্তাহ পরে তাকে মুক্তি দেওয়া হয় এবং এক দশক পরে তার এক ছেলেকে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর সুচি সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে ফিরে আসেন। তারপর ২০১৫ সালের নভেম্বরে বিগত ২৫ বছরের প্রথমবারের মতো মিয়ানমারে মোটামুটি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সে নির্বাচনে সুচির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি দুই,তৃতীয়াংশেরও বেশি ভোটে জয়লাভ করেন। কিন্তু সুচি আনুষ্ঠানিকভাবে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি কারন তার সন্তানেরা বিদেশী নাগরিক।
তা সত্ত্বেও সুচি এখন মিয়ানমারের সরকারের কার্যত প্রধান। ২০১৫ সালের ভোটে লাখ লাখ মিয়ানমারবাসীকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। তাদের মধ্যে ছিল ১২ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিকও। মিয়ানমার সরকার যাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করেছে সুচি তাদের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ তো নেনইনি বরং সামরিক জান্তার এহেন নীতির প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন। এই হল সুচির পিছনের ইতিহাস।

তথ্য: ইন্টারনেট সংগ্রহ ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৫

সাইফুর রহমান খান বলেছেন: অদ্ভুত লাগছে মহিলালাটাকে

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩০

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: হা হা হা অবাক হওয়ার কিছু নাই ভাই । এভাবেই পৃথিবী চলছে।

২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০০

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: সুচিকে কোন তরতাজা বুড় গরুর সাথে বিয়ে দেয়া প্রয়োজন।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩০

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.