নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

চেঙ্গিস খানের চতুর্থ ছেলে তোলুই খান

১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২

চেঙ্গিস খানের চতুর্থ ছেলে ছিলেন তোলুই খান । ১২২৭ সালে চেঙ্গিস খানের মৃত্যুর পর মঙ্গোলিয়ায় তিনি তার বাবার উত্তরাধিকারী হন। ওগেদাই খান সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় খাগান হওয়ার পূর্বে তিনি প্রশাসন পরিচালনা করেন। তার পূর্বে তিনি মঙ্গোলদের অভিযানে অংশ নিয়েছেন। চেঙ্গিস খানের উত্থানের সময় তোলুই যুদ্ধে অংশ নেয়ার মত বয়স তখনো তার হয়নি, পাঁচ বছর বয়সে এক তাতার তাকে হত্যা করতে চায় কিন্তু সেসময় তার বোন আলতানি এবং চেঙ্গিস খানের দুই সঙ্গী তাকে বাঁচান।তোলুই ও তার স্ত্রী সোরগাগতানি বেকির প্রথম পুত্র মংকে খান ১২০৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তোলুই ১২১৩ সালে জিন রাজবংশের বিরুদ্ধে প্রথম লড়াই করেছেন।১২২১ সালে চেঙ্গিস খান তাকে খোরাসান প্রেরণ করেন। নিশাপুরের প্রতিরক্ষাকারীরা তোলুইয়ের শ্যালক তোকুচারকে ১২২০ সালের নভেম্বরে হত্যা করেছিল। তোলুইয়ের নির্দেশে নিশাপুর এবং মার্ভে‌র সকল বাসিন্দাকে হত্যা করা হয়েছিল। মার্ভ‌ মধ্য এশিয়ার তখনকার সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ মরুদ্যান শহর ছিল। এর অবস্থান ছিল বর্তমান তুর্কমেনিস্তানের মেরির কাছে ঐতিহাসিক সিল্ক রোডের পাশে ।এই স্থানে বেশ কিছু শহর অবস্থিত ছিল। সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক আদানপ্রদানের কারণে সেগুলোর কৌশলগত মূল্য ছিল। দাবি করা হয় যে ১২শ শতকে সংক্ষিপ্তকালের জন্য মার্ভ‌ বিশ্বের বৃহত্তম শহর ছিল।তোলুইয়ের উচ্চ সামরিক দক্ষতা ছিল এবং তিনি একজন সফল সেনাপতি ছিলেন। তবে তার বাবা চেঙ্গিস খান রাজনৈতিকভাবে অধিক সক্ষম ওগেদাই খানকে নিজের উত্তরসূরি মনোনীত করেছিলেন।চেঙ্গিস খানের মৃত্যুর পর তোলুই দুই বছর পর্যন্ত মঙ্গোল সাম্রাজ্যের তত্ত্বাবধান করেছেন। সেসময় তার অধীনে কেন্দ্রীয় মঙ্গোলিয়ার সবচেয়ে বৃহৎ এবং শক্তিশালী বাহিনী ছিল। তোলুই নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী খাগানের ব্যাপারে সিদ্ধান্তের পক্ষপাতী ছিলেন। তাতে চেঙ্গিস খানের ইচ্ছা অনুযায়ী ওগেদাই খাগান নির্বাচিত হন।১২৩১ সাল থেক ১২৩২ সাল পযন্ত তোলুই উত্তর চীনে ওগেদাইয়ের সাথে অভিযানে অংশ নেন। জিন রাজধানী কাইফেঙে দুইটি বাহিনী প্রেরণ করা হয়েছিল। জিনদের অধিকাংশ প্রতিরক্ষা ভেদ করার পর তারা উত্তরে ফিরে আসেন ।

তোলুইয়ের অনেক স্ত্রী এবং উপপত্নী ছিল। তাদের মধ্যে সোরগাগতানি ছিলেন প্রধান। তিনি তোলুইয়ের চার শাসক পুত্রের মা। তোলুইয়ের ছেলেদের মধ্যে রয়েছেন মংকে খান, জুরিখা, কুতুগতু, কুবলাই খান, হালাকু খান, আরিক বোকে, বুজেক, মুখা, সাতুখতাই, সাবুখতাই।তোলুই ও তার নেস্টরিয়ান খ্রিষ্টান স্ত্রী সোরগাগতানি বেকির ছেলেরা হলেন মংকে খান, কুবলাই খান, আরিক বোকে এবং হালাকু খান। প্রথম তিনজনের প্রত্যেকে খাগান খেতাব ধারণ করেছিলেন। অন্যদিকে হালাকু খান ইলখানাত প্রতিষ্ঠা করেন। কুবলাই খান চীনের ইউয়ান রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। তোলুইয়ের ছেলে কুবলাই এবং আরিক বোকের মধ্যে দ্বন্দ্বের ফলে সাম্রাজ্যের ক্ষমতায় ভাঙ্গন ধরেছিল। পরবর্তী গৃহযুদ্ধে খানাতগুলি পরস্পরের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায়।মংকে খান ১২৫২ সালে তার বাবাকে মরণোত্তর খাগান খেতাব দিয়েছিলেন। ১২৭১ সালে কুবলাই খান ইউয়ান রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করার পর তিনি দাপ্তরিক বিবরণে তার বাবা তোলুইকে রুইজং হিসেবে লিপিবদ্ধ করেছেন। তোলুইয়ের বংশধররা ১৬৯১ সাল পর্যন্ত মঙ্গোলিয়া শাসন করেছেন।দ্য সিক্রেট হিস্ট্রি অব দ্য মঙ্গোলস অনুযায়ী চীন অভিযানের সময় ওগেদাইয়ের রোগমুক্তির জন্য তোলুই নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। শামানরা জানিয়েছিলেন যে চীনের মাটি এবং পানির প্রেতাত্মার কারণে ওগেদাই অসুস্থ হন। তারা পরিবারের এক সদস্যকে উৎসর্গ করতে বলার পর তোলুইকে বিষাক্ত পানীয় পান করে নিজেকে উৎসর্গ করেন এবং ওগেদাই সুস্থ হন। তবে আতামালিক জুওয়াইনির মতে তোলুই অত্যধিক মদপানের কারনেই মারা যান।

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালোলাগলো !!

১৯ শে মে, ২০১৮ রাত ১:৩৯

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা আপু।

২| ১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।

১৯ শে মে, ২০১৮ রাত ১:৪০

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: জানার জন্য ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।

৩| ১৭ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: খুবই ভালো লাগল।

১৯ শে মে, ২০১৮ রাত ১:৪১

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.