নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বাংলার গান গাই...

হাজার বছরের ধারাবাহিক আলোয় আলোকিত আমি, হাজার বছরের সেই হাজার আলোদাতার কাছে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ এ আলো ছড়িয়ে দিব।

জুম্মন বেপারি

হিমালয়ের পাদদেশ থেকে আমার পথ চলা শুরু পুরো পৃথিবী চড়াব বলে। আমি তিমির রাত্রির মাঝে হেঁটে চলেছি ঘোর কাল অমানিশাকে আলোকিত করবে বলে। আমার হাতে আছে চন্দ্রদ্বীপের একখণ্ড আলোকবর্তিকা। আমি চির উন্মাদ এই বসুন্ধারার সুন্দর কে ভালবেসে। আর তাই আমি চির সংগ্রামী এই সুন্দরকে সাজিয়ে রাখার নিমিত্তে। আমি তাই হাঁটিতেছি দুর্গম অরন্নের মাঝে। আমি স্বপ্নবাজ। শরতের আকাশে চারদিকে শুনশান শব্দে শুভ্র মেঘের খেলা মানুষের মনকে যেমন উদ্বেলিত করে, তেমন সুন্দর কোন পৃথিবীর খোজে আমি চলিতেছি শতাব্দীর পথে। আমি চাইনি আবু গারিবের কারাগার, আমি চাইনি পার্ল হারবার কিংবা হিরোশিমা নাগাসাকি। আমি চাই এই পৃথিবী নামক মহা অরণ্যকে হিংস্র পশুর হাত থেকে মুক্ত করে, আগাছা আর জঞ্জাল পরিস্কার করে সুশোভিত বিমোহিত উদ্যান বনাতে। আমি এই পৃথিবীকে স্বপ্ন দেখিয়েছি, আমিই এই স্বপ্ন পৃথিবীর বুকে রংধনুর সাত রঙ দিয়ে আকব। আমি ছিলাম, আছি, থাকব। মানব থেকে মানবের মাঝে। আমার শুরু ছিল না, শেষও নেই। আমার শুধু রূপান্তর ঘটে মানবের মাঝে। আমি এসেছি চে’র মাঝে, আমি এসেছি সুকান্তের মাঝে, আমি এসেছি তিতুমিরের মাঝে। আমিই চির যৌবনা।

জুম্মন বেপারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিজয়ের আশায়!

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭

বিজয়! শুভেচ্ছা!!!



আমার বাসার পাশে একটা মাঠ আছে। ইরাকী মাঠ। এর ঐতিহাসিক তাৎপর্য সম্পর্কে আমার কোন সুস্পষ্ট ধারণা নেই। যতটুকু দেখেছি মাঠের পাসে কিছু সমাধি রয়েছে। এই সমাধিগুলো সম্ভবত কিছু ইরাকী ও ইরানী নাগরিকের। তাই হয়ত মাঠের নাম হয়েছে ইরাকী মাঠ। কয়কেদিন যাবত কুরবানির গরুর হাঁটে গরু বাধার জন্য যেরকম বাঁশ গাথা হয় সেরকম বাঁশ গাথা দেখছি। কুরবানিতো কিছুদিন আগে গেল। তাহলে মাঠের চিত্র এরকম পাল্টে গেল কেন? বুঝলাম। মনে পরল এখন ডিসেম্বর মাস এসেছে। ও তাইতো! তার মানে কালের শীত বইতে শুরু করছে। আর এই বাঁশগুলো গাথা হয়েছে শীতের খেলা ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য। বাঁশ গাথা দেখে বুঝলাম শীত এসেছে। পঞ্চিকার বছরের শীত!



কিন্তু আমার শীত আসে নি। কারণ আমি শীতের সকালের কুয়াশায় ঘাসের উপর উলঙ্গ পায়ে দৌড়াইনি। আমি শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠে মুড়ি চিবুতে চিবুতে পুকুর পাড়ে রোদ্দুর পোহাইনি। গোসল করার আগে পুকুর পাড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে বড়দের বকুনি খাইনি। খেজুর রসের ঘন্ধে মাতোয়ারা হইনি। ভোর রাতে টিনের চালের উপর শিশির বৃষ্টির ছন্দ শুনিনি। আমার শীত আসে নি।



আজ ডিসেম্বরের ১ম দিন। তারিখ দেখে বুঝলাম বিজয়ের মাস। স্বাধীনতার মাস। লাল সবুজের মাস। বিজয় এসেছে!



না, আমার বিজয় আসে নি। স্বাধীনতার বিজয় আসেনি। মানুষ স্বাধীনতার শৃঙ্খলে পরাধীন। মুক্তিযুদ্ধের বিজয় আসে নি। মুক্তিযোদ্ধার লাল স্বপ্ন পতাকার লাল বৃত্তের মাঝে প্রস্ফুটিত হয়নি। বাঙ্গালীর বিজয় আসেনি। বাঙ্গালী সংস্কৃতি বাঙ্গালী ধারণ করেনি। এক বৃত্তীয় পরিধি থেকে আজ দ্বিদলীয় বৃত্তের পরিধির মাঝে পৃষ্ঠ হচ্ছে বৃত্তের মাঝের প্রতিটি বিন্দু। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিজয় আসেনি। সম্প্রদায় আজ সাম্প্রদায়িক ঘৃণ্য জালে বন্ধী। বিয়াল্লিশ বছর পরেও আজ ১৬ই ডিসেম্বর, ২১শে ফেব্রুয়ারি! যে ভাষার জন্য রাজপথ রক্তাক্ত করে ইতিহাসের সাদা পাতা লাল হল, সে ভাষার ক্যালেন্ডারে বিজয়দিবস, মাতৃভাষা দিবস খুজে পাইনা। বইয়ের পাতার বিজয়ের শাব্দিক মানের সাথে স্বাধীন দেশের জীবনের কোন সাদৃশ্য খুজে পাইনি। এই বিজয় নিয়ে আমি উদ্বেলিত হতে চাই না, পারিনা।



বিজয় আসুক। স্বাধীনতার বিজয় আসুক। লাল সবুজের বিজয় আসুক। বাঙ্গালীর বিজয় আসুক। মুক্তিযুদ্ধের বিজয় আসুক। সে কামনায় ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে সবাইকে বিজয়ের শুভেচ্ছা!!!





মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.