![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফতোয়ার নাম শুনলেই কিছু হুজুরদের কথা চোখের সামনে ভেসে উঠে।
যারা নিজেদের মন মত ফতোয়া দিয়ে যাচ্ছেন।
তাই আমাদের আগে দেখতে হবে কারা ফতোয়া দেয়ার যোগ্য।
আগে আমরা ইসলামের প্রথম যুগটা দেখি।হযরত উমর (রা) কে যখন কেউ কোন বিষয়ে ফতোয়ার জন্য জিঙ্গাসা করতো তিনি তখন সকল বদর যুদ্বের সাহাবীদের একত্র করে উত্তর দিতেন।
আর যখন কেউ সাহাবীদের কোন ফতোয়ার জন্য জিঙ্গাসা করত কেউ,তখন ভয়ে তাদের চেহারা হলুদ হয়ে যেত।তারা মনে করত সে এখন জান্নাত এবং জাহান্নামের মাঝখানে আছে।
আর এখন আমাদের হুজুরদের(আলেমদের) কোন বিষয়ে কিছু জিঙ্গাসা করলে,সে হয়ত তখন চা পান রত।এক চুমুক দেওয়ার পরি সে উত্তর দিয়ে দিবে।একটু চিন্তাও করবেনা।অথচ সে মুফতিও না।আর মুফতি হলেও বা কি।সামান্য কিছু কিতাব পড়েই মুফতির সার্টিফিকেট পাওয়া যায়।
বায়তুল মোকাররমের সাবেক খতীব উবাইদুল হক সাহেব ও রাগ করতেন যদি কেউ তার সামনে এদেরকে মুফতি বলে।
এবার ইমামদের দেখি।
ইমাম আবূ হানীফা:একবার আবু হানিফা ঘরে ছিলেননা।একজন লোক ফতোয়ার ব্যাপারে জানতে চাইল।তখন তার ঘরে হানিফার চাকর ছিলেন।ঐ চাকরটি তখন থালা বাসন পরিস্কার করছিল।লোকটি চাকরটিকে বলল আমি ইমাম আবু হানিফার কাছে জানতে আসলাম গোসলখানায় পানি বেশী খরচ করব নাকি কম করব।চাকরটি তখন থালা বাসন পরিস্কারে রত।সে দেখল কম পানি দিয়ে ছাফ করলে পুরোপুরি থালা ছাফ হয়না ,আবার বেশী পানি ইউজ করলে অপচয় হয়।তাই চাকরটি পানিকে মধ্যমভাবে ইউজ করার জন্য বলল। ইমাম হানিফা ঘরে আসলেন,চাকরটি তাকে সব বলল।হানিফা বললেন ফতোয়া ঠীক হয়েছে তবে তুমি ফতোয়া দিলে কেন তোমার ফতোয়া দেওয়ার অধিকার নাই।
আর তোমার এই অপরাধে কাল হাশরের মাঠে আল্লাহ তোমার জিহবাকে কেটে ফেলবেন।তুমি যদি দুনিয়াতেই এই জিহবা কাট,তাহলে আখিরাতে আর কাটা হবেনা।তখন চাকরটি বলল আপনি আমার জিহবা দুনিয়াতেই কেটে দিন যেন আল্লাহর সামনে হাশরের মাঠে আমার জিহবা না কাটা হয়।
আবু হানিফা তার জিহবা কেটে দিলেন। কারন শাস্তি তার এটাই ছিল।
ইমাম মালিক:
ইমাম মালিককে ফতোয়া জিঙ্গাসা করার জন্য মানুষেরা সুদুর মরক্কো ও আলজেরিয়া থেকে আসত।কয়েকটি প্রশ্ন থাকত। কয়েকদিনের মধ্যে যদি ইমাম মালিক তার কিছুর জবাব দিতেন,আর কিছু না পারলে তাকে বিদায় করে দিতেন।বলতেন তার দ্বারা অসম্ভব।অথচ দেখুন সে সময় মরক্কো থেকে মধ্যপ্রাচ্যে আসতে কয়েক মাস লাগত।
আর আজ আমরা কি করি।কোন ধরনের চিন্তা ভাবনা না করে ফতোয়া দিয়ে দেই।
টাকার বিনিময়ে ফতোয়া পাল্টে দেই।
কাউকে কাফির ঘোষনা করি।
হযরত আলী (রা) বলেছেন দুই ধরনের লোক আমার মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছে এক.মুর্খ আবেদ (ইবাদতকারী) দুই.পাপাচারী আলেম।
আর এরা যুগে যুগেই ইসলামের মেরুদন্ড ভেঙে দিয়ে যাচ্ছে।
এরা এই ইসলামকে বিক্রি করে খায়।
এদের নিয়ে থাকবে আগামী পর্ব।
সুত্র:তাফসিরে সূরা তওবা।
ডা:আযযাম
২৫ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৮:৩৯
ভ্রুক্ষেপিত জ্ঞান বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৮:৩৪
আরিফুর রহমান বলেছেন: গত যুগে কি হয়েছে সেটা জানার চেয়ে এই যুগে কারো ফতোয়া দেবার অধিকার থাকতে পারে না, সেটা প্রতিষ্ঠাই মনে হয় বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
২৫ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৮:৪০
ভ্রুক্ষেপিত জ্ঞান বলেছেন: মতলবটা কি আপনার ?
৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৮:৪২
আরিফুর রহমান বলেছেন: ফতোয়া বর্তমানে প্রচলিত আইন ব্যাবস্থার সাথে সাংঘর্ষিক, তাই এর ব্যাবহার রদ করা উচিত।
২৫ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৮:৪৪
ভ্রুক্ষেপিত জ্ঞান বলেছেন: প্রচলিত আইন কি পরিবর্তন করা যায়না?
৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৮:৪৮
নির্জন রহমান বলেছেন: আগামি পর্ব পরে তার পর মন্তব্য করবো....
৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৮:৫৯
আরিফুর রহমান বলেছেন: আইন সতত বহমান স্রোতস্বীনীর মতো সদা পরিবর্তনশীল। যুগের সাথে মানব সমাজের আর্থসামাজিক ও অন্যান্য পরিবর্তনের সাথে সঙ্গতি রেখে আইন প্রনয়ন ও তার প্রয়োগ করে রাষ্ট্রীয় ব্যাবস্থা।
এখানে হুজুর বা মোল্লা প্রনীত বা মস্তিষ্ক প্রসুত 'ফতোয়া' প্রাগৈতিহাসিকতার নমুনা বিধায় অবশ্য বর্জনীয়।
২৫ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৯:১৪
ভ্রুক্ষেপিত জ্ঞান বলেছেন: আপনার সেই আইন কারা রচনা করবে?
৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৯:৫৫
আরিফুর রহমান বলেছেন: করবে না, বলেন করে।
মানুষ জাতির জন্য মানুষই রচনা করে। আলোচনার মাধ্যমে এবং যারা এ বিষয়ে দক্ষ, অভিজ্ঞ, বিবেচক এবং প্রশিক্ষিত।
প্রতিটি রাস্ট্রে বিচার ব্যাবস্থা আছে এবং এর ওপর আস্থা বজায় রাখা জরুরী।
গায়েবী এবং বর্তমান যুগে অপ্রাসঙ্গিক যেকোন 'ফতোয়া' শুধুমাত্র মোল্লারা চায়, কারন এর মাধ্যমে তারা ক্ষমতা করায়ত্ত করার খোয়াব দেখে।
৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১০:৩৫
বাংলা৭১ বলেছেন: আল্লাহপাক আপনার উপর রহমত নাজিল করুক। +
৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ৯:২৬
রামন বলেছেন: সহমত আিরফুর রহমান এর সাথে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৮:৩১
শান্তির দেবদূত বলেছেন: ভালো, চালিয়ে যান। ++++++

আমাদের অবস্হা এখন, "অতি সন্নাসীতে গাজন নষ্ট" - এর মত