![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের সম্পর্কে আর কি লিখবো, অন্যেরা যা ভাবছে তা-ই শেয়ার করবো...
একজন সফল উদ্যোক্তার তথ্যপ্রযুক্তির মুদি দোকান
আপনি একজন সফল উদ্যোক্তা হতে চাইলে আপনাকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।
অনেক ত্যাগ স্বীকার বিষয়টি আপেক্ষিক। সাংসারিক, আর্থিক, নৈতিক অনেক বিষয়ে ত্যাগ স্বীকার করার প্রয়োজন হতে পারে।
আপনি সহজ সরলভাবে চিন্তা করলেও ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গীর অস্পষ্টতা কাজটিকে কঠিন করে তুলে। আপনাকে আগেই ভেবে নিতে হবে বাস্তবায়ন সহজে নাও হতে পারে। তাই দীর্ঘমেয়াদে আপনার ক্ষতির আশংকার জন্য মানসিক প্রস্তুত থাকতে হবে।
নানান বাধার সম্মুখীন হয়ে আপনার উদ্যোগটি ভেস্তে যেতে পারে। আপনার আর্থিক অনেক ক্ষতিও হতে পারে। অনেক সময় হতাশ হয়ে আত্মহত্যারও চিন্তা করতে পারেন। ভেবে দেখুন এটি একটি পরাজয়। এই পরাজয় নিয়ে আপনি পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন। আপনার জন্য ইতিবাচক কোনো ধারণা থাকবেনা পৃথিবীবাসীর। সব দুঃশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন। মনে করুন আপনি আবার শূন্য থেকেই শুরু করছেন।
অনেক বাধার মুখে আপনি পড়েন। অর্থনৈতিক বাধাই সর্বাগ্রে আসে। আপনার মনে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের সব ফর্মূলাই আছে কিন্তু প্রকল্প বাজেট আপনি জোগাড় করতে পারছেন না। কিন্তু জোগাড় করা গেলেও ঘাটে ঘাটে অর্থব্যয় করে আপনি সেই প্রকল্প বাস্তবায়নে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে এ সমস্যাটা বেশি হয়। তাই বাস্তবায়নের জন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগই সবচেয়ে ভালো। তবে যে কোনো উদ্যোগই গ্রহণ করুন না কেনো বাধা আসবেই, প্রস্তুত থাকতে হবে।
আরও অনেক বাধা আসতে পারে। যেমন- নৈতিকতার বাধা। কোন নৈতিকতার ভিত্তিতে আপনি এ প্রকল্পটি করবেন সেরকম নৈতিক বাধা আপনার মানে জাগতে পারে। মনে করুন আপনি চাকুরি জনিত কারণে একধরনের পেশায় আছেন। এই পেশায় থেকে উদ্যোক্তা হওয়ার চিন্তাটা পেশাগত বাধাই বটে। বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করে যথাযথ পদক্ষেপ নিন যাতে পিছুটান না থাকে।
তারপর আসে ব্যক্তিক বাধা। আপনার পরিবার থেকেও এ ধরনের বাধা আসতে পারে। আপনার এই প্রকল্প বাস্তবায়নে অনেক ব্যক্তি পাবেন যারা আপনার বন্ধু রূপী ছায়া শত্রু। আপনার সরলতাকে দুর্বলতা ভেবে আপনার ক্ষতি করার চেষ্টা করবে। এধরনের বাধা পর্যায়ক্রমে আসতেই থাকে। একটি বাধা অপসারণ করতে না করতে আরেকটি বাধা এসে হাজির হয়। অনেকে কৌশলে আপনার কাছ থেকে অর্থ হাতিয়েও সটকে যেতে পারে। তাদের ব্যাপারে সচেতন থাকুন। ইতিমধ্যে ক্ষতি হয়ে গেলে ধরে নিন তা আপনার জীবনের সদগা। কঠিন কোনো রোগে ভুগে বা দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে এরচেয়ে বেশি অর্থ আপনার যেতে পারতো। স্বাস্থ্যহানী ও আপনার মনোবল ভেঙে দিতে পারতো। সামনে যে বাধাই আসুক না কেনো, আপনার অটুট মনোবল নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকুন।
আপনার চারিদিকে অনেক বন্ধু আছে। আপনার আচরণ হবে-তারা না আপনার বন্ধু, না আপনার শত্রু। তবে স্বার্থসংশ্লিষ্ট অনেক ব্যাপারে তারা আপনার শত্রুতে পরিণত হতে পারে। ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণেও তারা আপনার শত্রু হয়ে যেতে পারে। তাই তাদের সতর্কতার সাথে নিয়ন্ত্রণ করুন। নতুবা বড় ধরনের খেসারত দিতে হতে পারে।
একজন অর্থনৈতিক সফল উদ্যোক্তা হতে চাইলে সমাজের সব স্তরে মেশার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, ব্যবসায়িক গতি-প্রকৃতি ইত্যাদি ভালোভাবে বিচার বিশ্লেষণ করতে হবে।
সফল উদ্যোক্তাকে একজন সফল নেতা হতে হবে। রাজপথের নেতা নয় বরং জনমতের নেতা।
আপনার উৎপাদিত পণ্য বা সেবা যতবেশি মানুষ ভোগ করবে তত বেশি শক্তিশালী অর্থনৈতিক নেতা হিসেবে আপনি প্রতিষ্ঠিত হতে পারবেন।
প্রত্যেকে ব্যক্তি নিজেই একজন পণ্য। আবার বিক্রয়কর্মীও বটে। একজন ব্যক্তি নিজেকে যেভাবে উপস্থাপন করবে তার বাজারমূল্য সেভাবে নির্ধারিত হবে।
আপনি বিনিয়োগের প্রকৃত ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করতে গেলে দেখবেন, হায়! সেখানে আপনার মনমতো কাজ করবেন এমন পরিবেশই নেই।
আপনার কাজ বাধাগ্রস্ত হলে ভাবুন, আপনাকে সহযোগিতা করার মতো এই দুনিয়ায় কেউ নেই। আপনি একাই পথ চলুন। চলতি পথে আপনার প্রয়োজন মতো অনেকের সাথে পরিচয় ঘটতে পারে। আপনার সুক্ষ্ম চিন্তা-ভাবনা প্রয়োগ করে তাদের সাথে সহজভাবে আন্তরিকতার সাথে মিশুন। তাদের কালচারেও আপনি অংশ নিতে পারেন। যেমন আপনি ঋষি জনগোষ্ঠীর কালচারে অংশ নিয়ে তাদের জীবনযাত্রা উপভোগ করলেন।
বেসরকারি উদ্যোগ নিয়ে আপনি একটি প্রকল্প দাঁড় করালেন কিন্তু এই প্রকল্পে আপনি মেধাবী লোক নিয়োগ দিয়েও কাজ হবে না যদি আপনার পর্যাপ্ত অর্থ না থাকে। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি সামাজিক প্রকল্প দাঁড় করানোর অনেক বাধা থাকে। এই বাধাগুলো দূর করার জন্য আপনাকে অপ্রিয় এবং অনৈতিক কিছু কাজ করতে হতে পারে। এই ধারণা পুরোপুরি বাদ দিয়ে আপনি সফলভাবে প্রকল্প শুরু করতে পারবেন না।
একজন সফল উদ্যোক্তা হতে চাইলে প্রথমে মুদি দোকানদার হওয়ার প্রচেষ্টা নিতে হবে। ব্যবসায়ের খুঁটিনাটি এখান থেকেই শিখা সম্ভব। তাই একজন সফল উদ্যোক্তাকে শুরু করতে হবে তার পণ্য বা সেবা নিয়ে ছোট্ট হলেও একটি মুদি দোকান দিয়ে শুরু করা। তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে একটি মোবাইল নাম্বার, ই-মেইল অ্যাড্রেস বা ওয়েবসাইট হয়ে উঠতে পারে আপনার প্রাথমিক মুদি দোকান। আপনি উদ্যোক্তা নেতা হতে চাইলে একাধিক মুদি দোকান বা চেইন শপ করতে পারেন। অথবা একটি মুদি দোকানকেই সম্প্রসারণ করে সুপারস্টোর করে ফেলতে পারেন।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৫২
আজমান আন্দালিব বলেছেন: নারে ভাই, এইডা মুদি দোকানের ছবি না। তবে আক্ষরিক অর্থে যদি ধরি একমালিকানাধীন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের প্রতীক হওয়া উচিত মুদি দোকান। অনেক মুদি দোকান দেখবেন পণ্য স্তরে স্তরে সাজানো থাকে। দেখতে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মতো। কিন্তু ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে একমালিকানাধীন মুদি দোকান নামটিই যথার্থ। তাই তথ্যপ্রযুক্তির পণ্য নিয়ে এ ছবিটি ব্যবহার করেছি।
২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:০৫
চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: আপনার লেখা নতুন যারা ব্যবসা করবেন বলে ভাবছেন, তাদের অনেক কাজে লাগবে বলে মনে হয়।পোস্টে ২ য় প্লাস।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:১৪
আজমান আন্দালিব বলেছেন: ধন্যবাদ চেয়ারম্যান। আপনি ঠিক ধরেছেন। একেবারে শূন্য থেকে নতুন উদ্যোক্তারা বিষয়গুলো নিয়ে ভেবে শুরু করবেন। প্লাসের জন্য শুভকামনা।
৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:১৫
নাঈম আহমেদ আকাশ বলেছেন: এইটা কিন্তু ঠিক বলেছেন,তবে আরো একটা জিনিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ । তা হচ্ছে - এক মালিকানাধীন ব্যবসা বড় করতে গেলে অনেক ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয় । ব্যবসার ক্ষেত্রে পোষ্টটিকে প্লাস ।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:৩৫
আজমান আন্দালিব বলেছেন: প্রাথমিক অবস্থায় একটু গুছিয়ে নিতে পারলে পরে আস্তে ধীরে চিন্তা-ভাবনা করে ব্যবসায়কে সম্প্রসারণ করার পদক্ষেপ নিতে হবে। এই ঝামেলাটুকু একজন উদ্যোক্তাকে বহন করতেই হবে। ব্যবসায় করতে গেলে ঝুঁকি থাকবেই। ঐ ঝামেলাগুলোই একেকটা প্রতিবন্ধকতা এবং ঝুঁকি।
প্লাসের জন্য কৃতজ্ঞতা।
৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ২:৫৫
অর্ণব আর্ক বলেছেন: অনেক ভাল লিখেছেন ভাই। সামহোয়্যারে এখন আর আগের মতো নিয়মিত নই তাই আপনার পোস্ট চোখে পড়ে না। অনেক ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৫৬
আজমান আন্দালিব বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা নিরন্তর। নিয়মিত হোন এই শুভকামনা জানাই।
৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:১৫
রেজোওয়ানা বলেছেন: নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য উপকারী একটা লেখা।
আপনার স্কুলটি আশাকরি অনেক ভাল চলছে, শুভকামনা রইলো......
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:০৩
আজমান আন্দালিব বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ আশাব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য। আামদের দেশের অনেক তরুণ এখন ২/৪ লাখ টাকা দিয়ে শেয়ার বাজারে ব্যবসা করে। এই টাকাটাই একদম শুরু থেকে যথাযথ আত্মকর্মসংস্থানে বিনিয়োগ করলে অনেক ভালো হয়। কিন্তু আমাদের সমাজ এবং শিক্ষা ব্যবস্থা তা সমর্থন করে না। পাশ করে একটি চাকুরি যোগাড় করে ফেলাকেই তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার মাপকাঠি ধরা হয়, উদ্যোক্তা হওয়া নয়।
গভীর আগ্রহ নিয়ে মাঝিপাড়ার শিশুরা স্কুলটিকে ধরে রেখেছে। মাঝে মাঝে আপডেট দেই।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৩৭
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ভাললাগলো ভাই।
++++
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৫৩
আজমান আন্দালিব বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা জানবেন।
৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৫৮
বিতর্কিত বিতার্কিক বলেছেন: জন্মগত ভাবে আমাদের বেশিরভাগই রিস্ক টেকার না।
১০ লাখ টাকা খরচ করে আমরা চাকরি কিনি কিন্তু কোন ইনভেটিভ কাজে বিনিয়োগ করি না।
তবে জমি বিক্রি করে শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করতে আপত্তি নেই।
আর যারা সত্যি কিছু করতে চায় তাদের এত বাধা কি আর বলব।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
এখন আইটি ছাড়া ব্যবসা করা কঠিন। ভবিষ্যতে আরও কঠিন হবে। তবে তার মানে এই না যে সবাইকে আইটি বিজনেস করতে হবে বা আইটি স্পেশালিষ্ট হতে হবে। তবে আইটি ইউজার যে হতেই হবে তাতে কোন সন্দেহ নাই।
সময়োপযোগী পোস্ট। আবারও ধন্যবাদ।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৩২
আজমান আন্দালিব বলেছেন: ঠিক বলেছেন। আমরা ঝুঁকি নিতে আগ্রহী নই। যেখানে নিশ্চিত মুনাফার লোভ আছে সেখানে আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ি।
আইটি বিজনেস এসময়ের এক চমৎকার বিজনেস সন্দেহ নেই। তাই আইটিকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। ঘরে ঘরে কম্পিউটার এবং মডেম থাকলেই হবে না। ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন সুবিধা পৌঁছে দিতে হবে।
আজকাল অনলাইনে পণ্য কেনা-বেচা করা যায়। অনলাইন ভিত্তিক পণ্য কেনা-বেচাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে পণ্য সংগ্রহ করে সরাসরি ভোক্তার কাছে পণ্য সরবরাহ সম্ভব। মোবাইলের মাধ্যমেই এই বিজনেস করা যায়।
স্কুলের শিক্ষার্থীদের পাঠ মেইলে পাঠাতে হবে। রেফারেন্স বই সংযোজন করে দিতে হবে যাতে শিক্ষার্থীরা পাঠ ভালোভাবে শিখে পরদিন স্কুলে আসে। এতে শিক্ষকরাও যেমন পরিশ্রম করবে শিক্ষার্থীরাও নেটের সুবিধার আওতায় চলে আসবে।
ই-লানিং স্কুল গড়ে তোলা যায়। ঢাকা শহরের যে কোনো সুবিধাজনক স্থানে ফ্লোর বা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে ই-লানিং স্কুল গড়ে তোলা সম্ভব। অনেক প্রতিষ্ঠান ইউটিউবে শিক্ষাদান টিউটোরিয়াল প্রস্তুত করে রেখেছে। একটি প্রজেক্টর হলেই অনেক শিক্ষার্থীকে এসাথে পাঠদান সম্ভব।
এরকম অনেক কিছুই সম্ভব। দরকার উদ্যোগ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৪৫
নাঈম আহমেদ আকাশ বলেছেন:
. এইডা মুদি দোকানের ছবি আছিল ?