নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তরল

ঘর! ফেরা হয়নি আমার ঘর!

বাবু৩০৮

......

বাবু৩০৮ › বিস্তারিত পোস্টঃ

'ট্রেন ডায়েরিজ' শুরু!

২৩ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১

ট্রেন নিয়া অবসেশন ছোটবেলা থেকেই। প্রথম স্টেশন দর্শনটাও মনে দাগ কেঁটে রাখসে। ৯০-৯১ সালের কথা। আব্বা নরসিংদীর পলাশে এক জুট মিলে চাকরী পেলেন, সাথে স্থানীয় কোয়ার্টারে একটা বাসাও পেলেন। আমাদের পরিবার (আম্মা, আব্বা, ভাইয়া আর পুচকা আমি) ও বাসাবদলের যাবতীয় সামগ্রী সহ জয়দেবপুর ছেড়ে প্রমত্তা বেলাই বিল পার হয়ে, শীতলক্ষ্যার বুক চিড়ে পৌছে গেলাম সেই মিলে। বিশাল এক বাসা, ভাইয়া আর আমি রেগুলার ক্রিকেট খেলতাম আরাম করেই। তো সেই পলাশ থেকে আমার স্থায়ী ঠিকানা জয়দেবপুরে যাওয়া যেত দুইভাবে- বাসে আর ট্রেনে। আমার অভ্যাস ছিল বাসে উঠা মাত্রই বমি করা, কখনও এমনও হইসে আমাকে কেউ বাসে উঠানোর ভয় দেখাচ্ছে আর আমি বমি করে ভাসায়ে দিচ্ছি। আব্বা-আম্মা আমার এই প্যাড়া থেকে বাঁচার জন্য ট্রেনে করে টঙ্গি পর্যন্ত আসত। কিন্তু শেষ রক্ষা হইতনা, কারন টঙ্গি থেকে আবার বাসে উঠতে হইত। পলাশের থেকে কাছেই ঘোড়াশালের ফ্ল্যাগ স্টেশন থেকে আমাদের ট্রেনে উঠতে হত। খুব গোছানো ছোট একটা স্টেশন, কিন্তু অনেক ইন্টারেস্টিং। ইন্টারেস্টিং হওয়ার প্রধানতম কারন স্টেশনটা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক উঁচুতে। মোটামোটি সাইজের একটা পাহাড়ে উঠতেসি এমন প্রস্তুতি নিয়ে সিঁড়ি চড়তে হত। উপরে উঠলেই পুরো ঘোড়াশাল দেখা যেত, পাশেই শীতলক্ষ্যা বয়ে গেসে। বেশ উঁচু একটা রেলব্রিজের একদম পাশে বলেই স্টেশনটাও এত উঁচুতে। একটা পরিত্যাক্ত বা আধা-পরিত্যাক্ত লাইন ছিল যেটা সার কারখানার দিকে চলে গেছে। যেবার প্রথম গেলাম, বুঝলাম যে আমি ট্রেনের পাশাপাশি ঐ অদ্ভুত স্টেশনেরও প্রেমে পড়ে গেসি। যে ছয় বছর ওখানে ছিলাম, স্টেশনে যাবার কথা প্রতিবারই শিহরিত করত। আমার ট্রেনপ্রীতির শুরু বলতে গেলে সেখানেই। ছোটবেলায় এক বন্ধুর বাবা তাকে খেলনা ট্রেন কিনে দেওয়ায় নিজেকে ভীষন গরীব মনে হইসিল। সেই ক্ষেদ এখনও যায় নাই বোধ করি। ট্রেন ব্যাপারটা এতটাই এক্সাইটিং ছিল যে ক্লাস সেভেন-এইট পর্যন্ত যদি কেউ জিজ্ঞেস করত- বাবু তোমার প্রিয় ফিল্ম কোনটা? উত্তর আসত- দ্যা বার্নিঙ ট্রেন। তো এই ট্রেন ব্যাপারটা এখনও জীবন থেকে শিফ্ট ডিলিট হয়নাই শুধুমাত্র আমার জিওগ্রাফিক অবস্থানের কারনে। দৌড় যেহেতু গাজীপুর থেকে ঢাকা সেহেতু অর্থ ও সময় উভয় বাঁচাইতেই ট্রেনের দ্বারস্থ হতে হয়। জামালপুর-শেরপুর-ময়মনসিংহের খেটে খাওয়া মানুষের শরীরের উগ্র ঘামের ঘ্রাণ, লাইনের পাশের বস্তি থেকে ভেসে আসা প্লাস্টিক পোড়া বাতাস, টঙ্গির ইন্ডাস্ট্রিয়াল ময়লা আবর্জনা আর প্রায় সবখানের মানব উচ্ছিষ্টের গন্ধ মাঝে মাঝে ভেসে আসলেও তাতে বিচলিত হওয়ারত কিছু দেখিনা, নাকি?



ভাবতেসি ট্রেন নিয়ে লেখব। কি লেখব এখনও নিশ্চিত না। দেশের ভবিষ্যত কোনদিকে যাচ্ছে ব্যাপারটা নিয়ে লেখার অনেক লোক আসে, ট্রেন নিয়ে লেখার লোক নাই।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৩৯

বোকামন বলেছেন:




ভালো লিখেছেন। বিশেষ করে-

তো এই ট্রেন ব্যাপারটা এখনও জীবন থেকে শিফ্ট ডিলিট হয়নাই শুধুমাত্র আমার জিওগ্রাফিক অবস্থানের কারনে।

লিখুন ভাই ট্রেন নিয়ে। সময় পেলে পড়ে যাবো :-)

আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ২৩ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৫০

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: মজা লাগল পড়ে। আমার পিচ্চি ভাতিজারও ধ্যান জ্ঞান ট্রেন।প্রিয় খেলনা ট্রেন,প্রিয় ছবি ট্রেন,প্রিয় হবি হাবিজাবি দিয়ে ট্রেন বানানো।পুরো গানে ট্রেন দেখায় তাই প্রিয় গান মেরে সাপনো কে রানী কাব আয়েগা তু . . .

৩| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

উর্ণনাভ বলেছেন: ভাই আমিও ভাবতেসিলাম লিখব । ট্রেনে সর্বদা অবসেসড ! ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ জায়গাটা আসলেই একটা জিনিস । শীতলক্ষ্যাটা ট্রেন থেকে দেখলে পরাণ জুড়াইয়া যায় ।

৪| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৪৭

তুষার মানব বলেছেন: লিখে ফেলেন । ট্রেন আমার খুব পছন্দের ।

৫| ২৪ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:৫২

মামুন রশিদ বলেছেন: আমিও শুনছি, ঘোরাশালের দুতলা প্ল্যাটফর্মটাই নাকি বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু রেল স্টেশন ।

৬| ২৪ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

কালোপরী বলেছেন: :)

৭| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:২১

রুদ্র নীল বলেছেন: ভালোই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.