নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাবুবাংলা

জননী জন্মভূমি স্বর্গাদপি গরিয়সী

বাবুবাংলা

সৈয়দ মাইনুদ্দীন কামাল (বাবু) জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

বাবুবাংলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন প্রানের জোয়ারে পতাকা ওড়াই!

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৬:১৮





উপরের যে ছবিটি দেখছেন- তা ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের সময় তোলা ব্রাজিল- আর্জেন্টিনার পতাকায় ছেয়ে যাওয়া রাজধানী ঢাকার একটি ছবি। চাইলে এমন ছবি বিশ্বকাপের সময় সারা বাংলাদেশের যে কোন প্রান্তেই বসে তোলা যাবে। আমাদের দেশ ফুটবল বিশ্বকাপ খেলে না। তাই বিশ্বকাপের সময় আমরা পরের পতাকা উড়াই। আর মনে মনে স্বপ্ন দেখি...একদিন আমরাও!



আমাদের সেই দিন আজ এসেছে। কিন্তু আমাদের সেই পতাকায় ছেয়ে যাওয়া দেশ কই? ফুটবলে হয়নি, ক্রিকেট আজ স্বপ্নের বিশ্বকাপকে নিয়ে এসেছে একদম আমাদের নিজের দুয়ারে। তবে কোথায় আমাদের লাল-সবুজে ঢেকে দেয়া লক্ষ-কোটি ঘর বাড়ী?



আমাদের জাতীয় পতাকা উড়ানোর জন্যে বিশেষ আইন আছে, আছে নানা বিধি-নিষেধ। ২০০৮-এ সর্বশেষ সংশোধিত জাতীয় পতাকা বিধির ৪ নম্বর ধারা বলছে-সারা দেশে সকল বাড়ীঘরে পতাকা ওড়ানো যাবে স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে। অর্ধনিমিত ভাবে ওড়ানো যাবে একুশে ফেব্রুয়ারী আর ১৫ই আগস্টে। আরো একদিন পতাকা ওড়ানো যাবে- নবীর জন্মদিন ঈদে-মিলাদুন্ন্বীতে। আর সরকারী কিছু অফিসে পতাকা ওড়ানো যাবে সব কার্যদিবসে। সংসদ, কোর্ট, মন্ত্রীর দপ্তর, স্কুল-কলেজ। এমনকি অপরাধীদের বেঁধে রাখা জেল খানাতেও পতাকা উড়বে প্রতিদিন। প্রানের টানে সারা দেশের চেতনা এক করে দেয়া বিশ্বকাপের মতো আনন্দ-উপলক্ষ পতাকার যোগ্য নয়।



হয়তো এমন বিধি-নিষেধের যৌক্তিকতাও আছে। কিন্তু মানুষের উচ্ছাস তো বিধি নিষেধের বাঁধন মানে না। জাতীয় পতাকা বিধি (৯ নম্বর ধারা) তো এও বলছে যে বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশী মিশনগুলো ছাড়া দেশের আর কোথাও কোন অফিসে বা বাড়ির ছাদে উড়ানো যাবে না বিদেশী পতাকা। এযাবত কোন বিশ্বকাপে মানুষের আবেগ আইন মানেনি। সরকারও খড়গহস্তে হা রে রে করে বাধা দিতে আসেনি। সর্বত্র উড়েছে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার নিশানা।



তাহলে আমার বিশ্বকাপে কেন লাল-সবুজে দেশ ঢেকে যাবে না?

আসুন প্রানের জোয়ারে পতাকা ওড়াই!



মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৬:২২

হৃদছায়া বলেছেন: ঠিক বলেছেন

২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:০৩

বন্ধুআমার বলেছেন: হ ঠিক ই কইছেন। উরাও পতাকা,আমি লগে আছি।

৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:১৫

মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেছেন: আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালোবাসি

পোস্টা স্টিকি করা হউক।
ধন্যবাদ, সময়ের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বিষয় তুলে ধরার জন্য।

৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:২৬

দেশপ্রেমিক পোলা বলেছেন: গোলাকার চশমার ফাঁক দিয়ে গোল গোল চোখে ড্যাবড্যাব নয়নে গোলগোল জিনিষ দেখে যখন গোল মাথায় গন্ডগোল হয়ে পাগল হওয়ার উপক্রম ঠিক তখনি চারপাশের গোল হয়ে ভীড় করা গোলাকার মাথার জনগনের গোলাকার মুষ্ঠির গনপিটুনি সাথে গোল মাথা ন্যাড়া করে ঘোল ঢালা খেয়ে ভুগোল আসলেই ফুটবলের মত গোল ভাবতে ভাবতে বাসায় ফিরে আম্মুর অবাক বিস্ময়ের গোলাকার চোখের সাথে গোল করে হা করা ঠোঁটের প্রশ্নের হাত থেকে বাঁচতে বলিলো গোল টাক মাথাই পাগল হওয়া থেকে রক্ষা করে।

৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:২২

পাভেলহক বলেছেন: জোয়ারে ভেসে যেন আমরা আমাদের জাতীয় পতাকার অবমাননা না করি সেদিকে সবাই লক্ষ্য রাখবেন। নিয়ম হল সূর্যোদয়ের সময় পতাকা উত্তোলন এবং সূর্যাস্তের সময় পতাকা নামাতে হবে। এটা আমরা ক'জন জানি এবং মানি??????
এখনি ভেবে দেখার সময়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.