নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাই বাবু

সভ্যসমাজের অনেক মিথ্যা, অসভ্যতা, নোংরামি, ভণ্ডামি প্রভৃতি গতানুগতিকতার বাইরে প্রতিটি পাগল তাদের মনের মধ্যে স্বতন্ত্রতা বজায় রেখে এক-একটি জগত তৈরি করেছে যা সাধারণ মানুষের বোধগম্য নয়।

রাশেদুল ইসলাম বাবু

সভ্যসমাজের অনেক মিথ্যা, অসভ্যতা, নোংরামি, ভণ্ডামি প্রভৃতি গতানুগতিকতার বাইরে প্রতিটি পাগল তাদের মনের মধ্যে স্বতন্ত্রতা বজায় রেখে এক-একটি জগত তৈরি করেছে যা সাধারণ মানুষের বোধগম্য নয়।

রাশেদুল ইসলাম বাবু › বিস্তারিত পোস্টঃ

এটা কোন সংস্কৃতি…?

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০১

১.

‘‘এরপর আর কেউ বাঁচাইতে পাইরবো না- ডাইরেক্ট ভাইঙ্গা দিব!” – এই ডায়লগ আর কারো নয়। আমাদের জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রেসার রুবেল হোসেনের। স্ট্যাম্প দিয়ে মোবাইলের দিকে তাক করে রবি’র একটি বিজ্ঞাপনে তিনি এই ডায়লগের মধ্যদিয়ে যে অঙ্গ-ভঙ্গি প্রদর্শন করেন তখন ভাবতে অবাক লাগে আমাদের কাণ্ডজ্ঞানহীন বিজ্ঞাপন নির্মাতা আর ক্রিকেট নায়ক রুবেল কী-ভাবে জাতীকে লজ্জা দেয়। এটা কোন সংস্কৃতি? বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট স্টার এমনকি আমাদের দেশের অনেক ক্রিকেট স্টারও বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে মডেল হয়েছেন। কিন্তু তারা এমন কোনো অঙ্গ-ভঙ্গি করেন নি- যাতে আমরা লজ্জা পাই। আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করা যেতেই পারে- তবে তা সব ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত। অঙ্গ-ভঙ্গিসহ‘‘ডাইরেক্ট ভাইঙ্গা দিব!’’ – এই ডায়লগটা (রুবেলের অঙ্গ-ভঙ্গিসহ একটু ভাবুন) কি বাংলাদেশের সকল ক্ষেত্রে গহণযোগ্য? যদি কারও কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয় তাহলে আমাকে ক্ষমা করবেন! কিন্তু আমি মানতে নারাজ। তাছাড়া হ্যাপি নামের একটি মেয়ের সাথে রুবেলের প্রেম সংক্রান্ত কেলেঙ্কারির কথাও আমরা জানি… সত্যি লজ্জা হয়!!!

২.

ক্রিকেটের সাথে রাজনীতি মেলাতে চাই না। তারপরও পাকিস্তান যেকোনো দেশের সাথে হারার খবর শুনলে ভালো লাগে। আর সেই হারটা যখন বাংলাদেশের সাথে হয় তখন আরও ভালো লাগে। আবার যখন “বাংলা-ওয়াশ” হয় তখনতো ভালো লাগার মাত্রা আরও বেড়ে যায়। হ্যাঁ “বাংলা-ওয়াশ” এই শব্দটা গোটা বাংলাদেশের সাপোর্টারদের শব্দ, মিডিয়াদের শব্দ। এই শব্দের মধ্যদিয়ে আমাদের আনন্দের মাত্রটা আরো উৎসবমুখর করে তোলে। তাই সকল সাপোর্টার-সকল মিডিয়াকে ধন্যবাদ জানাই। আমি নিজেও এই শব্দের মধ্যদিয়ে উৎসবের মাত্রায় আরো আনন্দ খুঁজে পাই। কিন্তু প্রেজেন্টেশন সেরিমনি ধারাভাষ্যকার শামীম আশরাফ চৌধুরী যখন “বাংলা-ওয়াশ” শব্দটা নিজেই বারবার করে উচ্চারণ করেন, তখন গোটা বিশ্বের দর্শক কী মনে করেন আমি তা জানি না- তবে এটা কোনো ভদ্রোচিত উপস্থাপন নয়। এটা কোন সংস্কৃতি? শামীম আশরাফ চৌধুরী, তিনি বাংলাদেশী বলেই দুঃখের সাথে কথা টা বলতে হচ্ছে। প্রতিপক্ষ পাকিস্তান, জিম্বাবুয়ে, নিউজিল্যান্ড যাই হোক-না কেন- প্রেজেন্টেশন সেরিমনি উপহাসমূলক এই শব্দটা ব্যবহার না করাই উচিৎ। তাহলে জাতি হিসেবে আমরা অনেকটা এগিয়ে যাবো।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: একমত

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:১০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: একমত । তবে রুবেলকে ওভাবে উথ্থাপন করা উচিৎ হয়নি । সে একজন জাতীয় হিরু । এড নির্মাতাদের সেটা মাথায় রাখা উচিৎ ।

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:০৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: আমরা জাতি হিসেবে বড়ই নীচু! অভদ্র অশিক্ষিত দুর্বিনীত, ....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.