নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন ভালো মানুষ হতে চাই

আমার অনেক কিছু হতে ইচ্ছে করে। যেমন - ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ক্রিকেটার, রাইটার। ইদানীং খুব সায়েন্টিস্ট হতে ইচ্ছে করে। :)

বাবুই_পাখি

আমি বাবুই। আমি অনেক কিছু হতে চাই বড় হয়ে। যেমন - ডাক্তার, ক্রিকেটার, ইঞ্জিনিয়ার, রাইটার। ইদানীং সায়েন্টিস্ট হতে ইচ্ছে করে খুব

বাবুই_পাখি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার লেখা

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩



২৭-১০-৩০



আমি একটা মুক্তিযুদ্ধের ছবি এঁকেছি। আম্মু ২০০ টাকা দিয়ে ওইটা কিনে নিছে। আমি ঐ টাকা নিয়ে আজকে মেলায় গেছি সফিউদ্দিন মামার সাথে। আমি একটা মনোপলি কিনেছি। এইটা বাংলায় লেখা। এইখানে টাকা অনেক বেশি। ১০০, ২০০, ৫০০ টাকা আছে। কিন্তু ইংলিশ যে মনোপলি ওইটা তে টাকা কম। ১,২,৫ ডলার। আমার ভালো লাগে না। সন্ধ্যায় মেলায় গিয়েছিলাম। অনীক মামার হোমওয়ার্ক করি নাই একটাও।





আজকে অনীক মামা আমাকে পড়ায় নাই। আমি অনীক মামার কাছে অংক আর ইংরেজি সেকেন্ড পেপার পড়ি। এইবার আমি ক্লাস টেস্টে অনেক ভালো করেছি। ২০ এর মাঝে ১৯ পেয়েছি। এটাই আমার অংকে বেস্ট নাম্বার। আগে আমি মৌসুমি আন্টির কাছে খালি মাইর খেতাম। ভয়ে আমি সব অংক ভুলে যেতাম। কিন্তু আমি অনীক মামাকে ভয় পাই না।



এই যে মুক্তিযুদ্ধের ছবি এটা --





২৮-১০-৩০



আজকে অনীক মামার সাথে মেলায় গিয়েছিলাম। একটা শটগান কিনেছি। সবুজ, গোলাপি আর লাল লাইট জ্বলে। এইটা হলো লেজারের আলো। আবার এখানে প্লাস্টিকের গুলি ভরা যায়। এক প্যাকেট গুলির দাম ১০ টাকা, গোল গোল গুলি। এইম করে মারলে ব্যথা লাগে অনেক। মেলায় সব কিছুর দাম অনেক বেশি। এই শটগানটার দাম দোকানদার বলছে ২৫০ টাকা, আমার অনীক মামা অনেক দামাদামি করে সেটা ২৩০ টাকায় আমাকে কিনে দিয়েছে। আর এক প্যাকেট গুলি।

আমি রাতের বেলা লাইট অফ করে লেজারের আলো ফেলি সামনের বিল্ডিংগুলোতে। বাসার সামনে কতো গুলি কুকুর ঘুরে। একটার গায়ে লেজার মেরে আমি গুলি করেছিলাম। কুকুরটা মনে হয় ব্যথা পেয়েছিল, অনেকক্ষণ কুই কুই করে আওয়াজ করেছে।



আম্মু অফিস থেকে আসলে এই শটগান টা আম্মুকে দেখাবো। আমি এক জোড়া জুতাও কিনেছি। প্লাস্টিকের জুতা। Nike এর জুতা। হলুদ আর কালো রঙের। আম্মুর পছন্দ হবে না জানি। আম্মু হলুদ রঙ পছন্দ করে না। লাল আর ব্লু কালারেরও ছিল কিন্তু হলুদটাই আমার পছন্দ। আর এই জুতা পড়ে আমি আজ খেলায় অনেক ভালো করেছি। আগে প্লাস্টিকের দুই বেল্টের স্যান্ডেল পড়ে খেলতে গিয়ে আমি খেলায় খালি আউট হয়ে যেতাম তাড়াতাড়ি, দৌড়াতে পারতাম না। কিন্তু আজকে আমি অনেক রান নিতে পেরেছি, একটা ৪ মেরেছি। কিন্তু এই সাদাতটার জন্য খেলে শান্তি পাই না। আমাকে ছোট ছোট ইটের টুকরা দিয়ে ঢিল মারে। আমিও চাইছিলাম ওকে একটা কিল মারতে কিন্তু আম্মু বলেছে ও আমাদের সবার ছোট। ওকে যাতে আমরা কেউ না মারি। আর খালি বানিয়ে বানিয়ে মামীর কাছে সাদাত আমার নামে মিথ্যা কথা বলে বিচার দেয়। সাদাত খালি মিথ্যা মিথ্যা কথা বলে। ওকে আমি আবার লাইট অফ করে ভয় দেখাবো। বেশি বাড়ছে ও।



আজকে সিয়ামের সাথে সন্ধ্যায় আমি আমার শটগান আর ও ওরটা দিয়ে খেলছি অনেকক্ষণ। ওরটার দামও ২৩০ টাকা কিন্তু আমারটার চেয়ে ছোট। সিয়াম বারবার বলে ওরটা তেজি শটগান। কিন্তু ওরটায় লেজার নাই। তাই ওকে বলছিলাম সিয়াম তুমি ঠকছ। এটা শুনে ও রেগে গেছে। আমাকে বলছে – তুমি বেশি জানো? সবসময় এই সিয়ামটা আমাকে ধমকিয়ে কথা বলে। আম্মু আসুক, ওর নামে আমি বিচার দিবো।

এটা আমি আর সাদাত --







২৯-১০-১৩



আজকে আমার অনেক কষ্টের দিন। আমার শট গান টা নষ্ট হয়ে গেছে। মানে লেজার নষ্ট হয়ে গেছে। একবার জ্বলে আবার জ্বলে না। অনীক মামা একবার ঠিক করে দিয়েছিলো। এখন আবার নষ্ট হয়েছে। কিন্তু গুলি ভরে সেটা দিয়ে গুলি করে যায়। আমি জানি আম্মু এটা শুনে অনেক খুশী হবে কারণ আম্মু বলেছিল – বাচ্চাদের এইসব পিস্তল দিয়ে খেলা করা ঠিক না। কিন্তু আমরা তো পুলিশ পুলিশ, সিআইডি খেলি। চোর-ডাকাত তো হই না।



আমি আমার শট গান টা আজকে বিকেলে মাঠে নিয়ে গিয়ে কবর দিয়ে আসবো। এইটা দিয়ে তো আর কিছু করার নাই। এইটা মরছে। সিয়ামের টা ও জানি নষ্ট হয়। তাহলে আমি অনেক খুশী হবো। আল্লাহ ওর শটগান টা নষ্ট করে দিও। সাদাতেরটাও নষ্ট করে দিও।



আম্মু তো আর টাকা দিবে না, নানীও দিবে না। কই টাকা পাবো। মাত্র ২৩০ টাকা হলেই আমি আরেক টা শট গান কিনতে পারতাম! এইগুলি মেলায় নতুন আসছিলো ! আম্মু বলছে ডায়েরি লিখলে আর ছবি আঁকলে আমাকে টাকা দিবে। আমার লিখতে আঙুল অনেক ব্যথা করে। কিন্তু না লিখলে টাকা নাই।



আজকে আম্মুর সাথে খেলা দেখতে বসে শান্তি পাই নাই। আমাকে আম্মু অনেক জ্বালাইছে। এমনেই তো বুঝা যায় এইটা জিতা খেলা, বাংলাদেশ জিতবে। তবুও যতবার বাংলাদেশ বোলিং করে আম্মু খালি বলে ‘ আউট আউট’। আম্মু চায় ১ ওভার ৪ বলে নিউজিল্যান্ডের সব প্লেয়ার আউট হয়ে যাক। আমি রাগ করে তাই অনীক মামাদের ঘরে চলে গেছি খেলা দেখতে। রুবেল আর মাশরাফিকে আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্পিন বল ভালো লাগে না। পেসারই ভালো। তামিম আর মুশফি কের ব্যাটিং ভালো লাগে। এই ম্যাচে সাকিব আল হাসান কে কেন নিলো না?



এই যে আমার শটগান, সাথে লেজার --









মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২৫

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
সাকিবের জ্বর ছিলো, তাই তাকে খেলানো যায়নি।
মুশফিক কিন্তু আমারও প্রিয় খেলোয়াড়।
সে পড়ালেখায় ফার্স্ট, খেলায় ও ফার্স্ট; ক্যাপ্টেন আমাদের।

সাদাতের সাথে তোমার ছবিটা বেশ সুন্দর।
অন্য ছবিগুলো ও খুব সুন্দর।

২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
মামা, কেমন আছো? তোমাদের সিআইডী খেলা কেমন হচ্ছে? আমিও ছোটবেলায় খুব খেলতাম। একবার কি হইসে জানো খেলায় পুলিশ আর চোরদের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধ শুরু হইছিলো। তো হইসে কি জানো অই যুদ্ধের সময় আমাদের একবন্ধুর পিস্তলের বুলেট আরেক বন্ধুর চোখে লাগে, সে তো কান্নাকাটি শুরু করে দিলো। বুঝতে পারছো চোখ অনেক সেনসিটীভ, যদিও চোখের তেমন কোন সমস্যা হয় নাই কিন্তু তাকে অনেকদিন রেস্টে থাকতে হইছিলো। সেই থেকে আমরা পিস্তল দিয়ে খেলা বন্ধ করে দিই।

এই যে তোমারা কুকুরটার গায়ে মারলে সেও তো ব্যাথা পেল। এখন বলো ত এমন খেলা কী ভালো যেটা অন্যকে ব্যাথা দেয়??

মামা, তোমার ছবিটা খুব সুন্দর হইসে। তোমার আম্মু তোমাকে ঠকাইসে তোমাকে কম টাকা দিসে। তুমি আরো চেয়ে নাও।

তোমার আম্মু আসলেই খেলা বুঝে না। খালি খালি চিল্লায় মনে হলো। হা হা হা!

ভালো থেকো মামা। তোমার লেখা অনেক সুন্দর হইসে।

৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০২

আমি ইহতিব বলেছেন: বাবুই পাখি, লেখা অনেক ভালো হয়েছে, আম্মুর গুনগুলো পেয়েছো মনে হচ্ছে।

আর তোমার আলাউদ্দিন মামার সাথে আমিও একমত - এমন খেলা কী ভালো যেটা অন্যকে ব্যাথা দেয়?? এটা নিয়ে একটু ভেবো।

ভালো থাকো ভালো মানুষ হও এই দোয়া করি।

৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৪০

মামুন রশিদ বলেছেন: বাবুইবাবা,

আমিও ছোটবেলায় মনোপলি খেলতাম । মনোপলি খেলে চট্টগ্রামে একটা প্লটে হোটেল আর খুলনায় একটা বাড়ি বানিয়েছিলাম । সবাই যখন আমার হোটেল আর বাড়িতে আসত, আমাকে অনেক টাকা দিত । কি মজা! মজা!

৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: এসে গেছি মামুজান তোমার লেখা পড়তে এসে গেছি।

এতোক্ষণ পড়ছিলাম তোমার লেখা। ভালো লাগলো। তোমাদের এই বয়সটা যে কত মজার !! খুব মিস করি :(

যাই হোক। চলো মামা ভাগ্নে মিলে দোয়া করি এই ওয়ানডেটাও যেন বাংলাদেশ জিতে যায়।

৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২৬

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: সাদাত সম্পর্কে অভিযোগ গ্রহণযোগ্য না। কারণ সাদাতের সাইজ বাবুইর অর্ধেক। তার হাত আরো ছোট। আঙুল তো আরো সরু। সে যেই ইটের টুকরা দিয়ে ঢিল মারে তা আরো ছোট ছোট হওয়ার কথা। সেগুলোর সাইজ বেশি হলে খেলনা বন্দুকের গুলির সমান হতে পারে। তাতে তো ব্যথা পাওয়ার কথা না। :P

৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বাবুই, তোমার ডায়েরি পড়ে খুব আনন্দ পেয়েছি। লেখা থামিও না কিন্তু!

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ সিয়াম-সাদাতের বন্দুক নষ্ট হলে জানিও কিন্তু :)

৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: প্রিয় বাবুই পাখি, তোমার লেখা খুব চমৎকার হয়েছে! আমি তো বরারবরের মত মুগ্ধ!

লেজার শটগান নষ্ট হয়ে যাওয়াটা দুঃখজনক! :( সাদাত আর সিয়ামেরটাও নষ্ট হওয়া জরুরী! ছোটবেলায় আমার প্রিয় খেলনা ছিল গাড়ি আর উড়োজাহাজ!

ছবি আঁকা আর লেখা থামিও না, এগুলো বিক্রি করে অবশ্যই হাতির বাচ্চা কেনা সম্ভব, একটু সময় লাগবে আর কি!

তুমি যে অঙ্কে এখন অনেক ভালো করছো সেইটা খুব খুশীর খবর! কারন অঙ্ক পৃথিবীর সবথেকে মজার বিষয়য় গুলোর একটা, তুমি যদি বুঝে বুঝে টুক টুক করে অঙ্ক করতে থাক, খুব তাড়াতাড়ি তুমি ছোটখাট একটা অঙ্কের জাহাজ হয়ে যাবা! :)

৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বাবুই, আজকে তোমার এই লেখা পড়ে আমি অনেক হাসলাম। যদিও আমিই তোমার লেখাটা কম্পোজ করে দিয়েছিলাম তোমার ডায়েরি দেখে। ২০১৩ সালের লেখা এইটা। সিয়াম আর সাদাতের শট গান তো পরে নষ্ট হইছিলই। ছোট বয়সীদের এইসব ডায়েরি পড়া যে কত আনন্দের, যখন তুমি বড় হয়ে নিজের লেখা গুলো পড়বে তখন বুঝবে।

১০| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৩৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয় নারী পুরুষ শিশু কিশোর, পাহাড়ী আর আদিবাসী!


লক্ষ টাকার বিনিময়েও এই কথাটা কেউ বলতে পারবে না। যতবার পড়ি আর ছবিটা দেখি, স্ক্রিনটা ঝাপসা হয়ে যায়।

ধ্যুৎ! নতুন ল্যাপটপ কিনতে হবে আমার মনে হয়!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.