![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দীর্ঘ ২ বছর পর বাংলাদেশে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নতুন সরকার মানেই নতুন কিছু পরিবর্তন । সেই সূত্রে বাংলাদেশের বিচার অঙ্গনেও পরিবর্তন হবে বিশেষ করে এটর্নি জেনারেলসহ উচ্চ আদালতের সকল এটর্নি কর্মকর্তাবৃন্দ, জেলা পর্যায়ে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও সরকারি উকিল (জিপি) সহ অন্যান্য সকল আইন কর্মকর্তাবৃন্দ। ইতিমধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গেছে নতুন নিয়োগের প্রত্যাশায়। যদিও এখনো নতুন নিয়োগের ঘোষণাই আসেনি এমনকি কর্মরত পিপি জিপিগণও এখনো কোন ধরনের নোটিশ পাননি যে তাদের নিয়োগ কবে বাতিল করা হবে কিংবা কবে তাদের মেয়াদ কবে শেষ হবে। আইন অনুযায়ী অর্থাৎ লিগ্যাল রিমেমব্রান্সারস ম্যানুয়াল ১৯৬০ মতে বর্তমানে নিযুক্ত পিপি জিপিদের মেয়াদ ৩ বছর। তাদের মেয়াদটি শেষ করতে দেওয়া উচিত।
উল্লেখ্য, বর্তমান আইনমন্ত্রি টেকনোক্রেট কোঠায় মন্ত্রি হয়েছেন। যতটুকু জানা গেছে, বর্তমান আইনমন্ত্রি মহাজোটের শরিকভূক্ত কোন রাজনৈতিক দলের সাথেই যুক্ত নন। বরং আন্তর্জাতিক গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সভাপতি। একই সাথে আইনমন্ত্রি সাহেব সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি এবং পূর্বেও সভাপতি ছিলেন এমনকি আইনজীবীদের কেন্দ্রীয় সংগঠন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের বর্তমান ও পূর্বে একাধিকবার নির্বাচিত প্রতিনিধি। আইনের জগৎ সম্পর্কে তাকে বুঝানোর কিছুই নাই। আইনের শাসন, ১৯৭২ সালের সংবিধানের চেতনা পূর্ণপ্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন, সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী ভূমিকা পালন ও অইন প্রণয়ন, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ এবং যুদ্ধাপধের বিচার নিষ্পত্তি করণে পিপি জিপিদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ যদি তার জীবন আদর্শ মন্ত্রি হিসাবে বাস্তবায়ন করতে চান তাতে মহাজোটের প্রধান শরিক আওয়ামীলীগের বাধার মুখে পড়তে পারেন। কারণ, পিপি জিপি নিয়োগের সুপারিশ সংশ্লিষ্ট জেলার আওয়ামীলিগের মন্ত্রি, সংসদ সদস্য, নেতারাই করবেন। তাতে দলবাজির মাধ্যমে নিয়োগ হওয়া পিপি জিপিরা কোন মতেই সৎ আদর্শ যোগ্যতাসম্পন্ন হবে অতীতের ইতিহাস ভঙ্গ করে সেই আশায় নিশ্চিত গুড়েবালি।
সরকার কেবল ক্ষমতায় আরোহন করেছে এখনো তাদের মেজাজ বিরোধী দলীয় ভুমিকার মতোই। তাই সরকারের নমুনা পর্যবেক্ষণ করে অন্তত ৬ মাস পরে আইন কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়টি চিন্তা করা উচিত। অন্যদিকে পিপি জিপি নিয়োগের জন্য স্থায়ী এটর্নি সার্ভিসের বিষয় আলোচনা হলেও এখনো বিষয়টি পরিস্কার না হওয়ায় আপাতত সাধারণ পরীক্ষার মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা যেতে পারে। অন্তত নৈর্বত্তিক প্রশ্ন পদ্ধতির মাধ্যমে। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নে বিভোর মানুষ কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশ কিভাবে গঠন করা হবে এমন নির্দেশনা এখনো পর্যন্ত নাই। যেভাবেই হোক, আইন আদালতকেও ডিজিটাল করতে হবে। ইতিপূর্বে বাংলাদেশের সকল আইন একত্রে ওয়েব সাইটে প্রকাশিত হয়েছে। আইন কমিশন, আইন মন্ত্রণালয়েরও নিজস্ব ওয়েব সাইট চালু আছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে দেশের ১২টি জেলার আদালত সমূহে পাইলট প্রজেক্টের কাজ চলছে দীর্ঘদিন ধরে, সেখানে ইতিমধ্যে ডিজিটাল পদ্ধতির কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে তাই হবে। আর ডিজিটাল মানেই হচ্ছে ইন্টারনেট, কম্পিউটার ইত্যাদি। কোনরকম যাচাই বাচাই ছাড়া দলীয় আইনজীবীদের দিয়ে কি ডিজিটাল আদালত, ডিজিটাল বিচার ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হবে? আমি বলছি না যে, মহাজোট দলীয়রা ইন্টারনেট বা কম্পিউটার চালাতে জানেন না। বরং ঢের বেশি জানেন, কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়াটি অতীতের মতো হলে আমি হলফ করে বলতে পারি কম্পিউটার, ইন্টারনেট জানা কেউ নিয়োগ পাবেন না যদি না সঠিক, পরিচ্ছন্ন মন্ত্রিসভা যেভাবে গঠিত হয়েছে তেমন নিয়ম মানা হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৬
আসাদুল্লাহ বাদল বলেছেন: পড়ার একেবারেই লোক নাই