![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সরল সাধারন মানুষ। প্রয়োজনে সোচ্চার।
সময় আমার কখনোই ভালো ছিলনা। স্তব্ধ ছিল সব আবেগ। আর ছিল বেঁচে থাকার চরম টান। কিন্তু এখন আর ততটা নেই। নেই সেই সৎসাহস। অগোছালো ঘরের কোনে নষ্ট কিছু দীর্ঘশ্বাস সাথে করে বেঁচে আছি। সঙ্গে কিছুটা শুন্যতার হাতছানি।
সেদিন বর্ষা ছিল। আমি তরুণ ছিলাম। বুকের মধ্যে আবেগ ছিল। হাতে ছিল কিছু সস্তা গোলাপ। হৃদয়ে ছিল ভালবাসা আর তার সাথে মেশানো কিছু না বলতে পারার ভাষা। তুমি বন্ধু ছিলে আমার।
চোখের সামনে ছিলে তুমি।
ভুলটা আমার ছিল। তোমার ছুড়ে ফেলা ফুল গুলো ও। বুঝিনি সেদিন তোমার মন অন্য ঘাটে বাঁধা ছিল। যে ঘাটে পারাপার এর যাত্রী আগেই পথ খুঁজে পেয়েছিল তোমার প্রানের নৌকায়।
তার পর সেই নদীতে বয়ে গেছে অনেক জল। মাঝে মাঝে আমার চোখের পানি বন্যা এনেছে। আমার দীর্ঘশ্বাস ঝড় উঠিয়েছে। কিন্ত সেই নৌকা চলেছে নৌকার মত। তাতে এক বিন্দু পানি উঠেনি।
হঠাৎ অচেনা সেই চেনা সুর আমার কানে এসেছে গতকাল। তুমি ডেকেছ আমাকে। আসছি আমি। অপেক্ষা ছিল আমার জন্য জমা। তোমাকে অপেক্ষায় রাখবনা। মনে পড়ে, সেদিন ও রাখিনি। বাড়ি থেকে পালানোর পর তোমাদের বিয়ে আমি নিজে সাক্ষী থেকে দিলাম। সেদিন তোমাদের আগে আমি গিয়েছিলাম কাজী অফিস এ। তোমার হাসিমুখ দেখে প্রথম ও শেষবারের মত খুশি হয়েছিলাম।
আর খবর রাখনি আমার। আমি কিছু মনে রাখিনি। যেটুকু যা অভিমান ছিল তুমি স্বরন করের পর সেটাও মুছে গেছে।
এইতো পৌঁছে গেছি তোমার কাছে।
এক আকাশ নীল জ্যোছনার আলোয় ভেসে সামনে আসবে তুমি, এ আশা ছিল। ক্ষীণ প্রত্যাশা ছিল তুমি ফিরে আসবে আমার ভুবনে। কিন্তু যা দেখলাম তা দেখতে চাইনি কখনো।
আমার শরীরের সব শক্তি নিমেষেই শেষ হয়ে গেছে তোমায় দেখার পর। সাদা পোশাকে তোমাকে অপ্সরী লাগতো। কিন্তু কখনো ভাবিনি আমি , তোমার মুখটাও আমাকে সাদা কাফন সরিয়ে দেখতে হবে।
অনেক কষ্টে বুক টা দুম্ড়ে মুচ্ড়ে যাচ্ছে। চারিদিকের সবকিছু যেন অদৃশ্য হয়ে গেছে। শক্ত একটা অবিশ্বাস আসছে , ও বেঁচে আছে। ও ঘুমিয়ে আছে। ঘুমাক, হয়ত অনেক দিন শান্তি তে ঘুমাই নি।
একটা মেয়ে আমার হাতে চিরকুট দিয়ে বলল, '' আপা আপনার জন্য রেখে গেছে।''
-'' জানি তুমি আমায় ক্ষমা করবেনা। কিন্তু আমি সুখে ছিলাম বিশ্বাস কর। ও road accident এ আমাকে ছেড়ে চলে না গেলে এরকম হতনা। আর এই অবস্থায় তুমি ছাড়া কারো কথা মনে আসেনি , তাই তোমাকে ডেকেছি। আমার বাচ্চা টা কে দেখে রেখো। ওকে জন্ম দেওয়ার জন্যই আমি বেঁচে ছিলাম।''
আমি ধীরে ধীরে দোলনার কাছে গেলাম। অসম্ভব একটা সুন্দর মুখ আমাকে দেখছে। আমার ভালোবাসার ভালবাসা। আমার নতুন প্রান।
২| ০৭ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:৫১
বি এম তারেক রহমান বাঁধন বলেছেন: আপনার গঠনমুলক মন্তব্য পেয়ে অনেক ভাল লাগল। পরবর্তী সময়ে যেন আরো পরিপাটি লেখা দিতে পারি সেজন্য দোয়াপ্রার্থী। ধন্যবাদ
৩| ০৭ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । প্রতি উত্তরের বাটনে ক্লিক করে উত্তর দিলে তা মন্তব্যকারীর কাছে নোটিফিকেশন হয়। নাহলে এটা মন্তব্যকারীর অগোচরে থেকে যেতে পারে । দোয়া থাকল অনেক ভাল থাকুন লিখে যান সুন্দর সুন্দর লিখা । দেখা হবে অচিরেই আপনার অন্য কোন লিখায় ।
০৭ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১
বি এম তারেক রহমান বাঁধন বলেছেন: অবশ্যই
৪| ০৭ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ এবার ঠিক আছে ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই মে, ২০১৬ ভোর ৫:৩৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম । খুব ভাল লাগল গল্পটি পাঠে । চমৎকার গল্পটির ভাবনা ও তার প্রকাশ । দু একটি বিষয় একটু করে এডিট করে দিলে মনে হয় আরো সুন্দর হয় যেমন প্যারা স্পেসিং এ মাঝে মাঝে একটু বেশী ফাক হয়ে গেছে। এটা ঠিক করা যেতে পারে । এইতো পৌঁছে গেছি তোমার কাছে এ লাইটির উপরের ছবিটাতে দেখা যায় দুজন দুদিকে হাটছে, কথার সাথে ছবিটির মিল রাখতে হলে দুজন দুজনের কাছে পৌছে গেছে এমন একটি ছবি দিয়ে একে প্রতিস্থাপন করা হলে আমার মনে হয় এটা আরো বাস্তব হবে । যাহোক লিখক হিসাবে এটা নির্ভর করে আপনার ভাল লাগার উপর ।
সুন্দর একটি গল্প উপহার দেয়ার জন্য অনেক ভাললাগা থাকল । ভাল থাকুন এ শুভ কামনা থাকল ।