নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনি যতই অন্যদের কাঁধে দোষ চাপান বা পরিস্থিতিকে দায়ী করুন না কেন, যথাসময়ে কাজ শেষ না হওয়ার জন্য কোনো না কোনোভাবে আপনি অবশ্যই দায়ী, পরিমাণ যত কমই হোক না কেন।
তিনটি বৈপ্লবিক ধাপ : যথাসময়ে কাজ শেষ না হওয়ার জন্য যেহেতু আপনি দায়ী, তাহলে আসুন। প্রথমত, নিজেকে শুধরাই। নিজেকে শৃঙ্খলার বন্ধনে আটকাই, কিছুটা হলে নিজের কর্মকাণ্ডকে মনিটরিং বা পর্যবেক্ষণের আওতায় নিয়ে আসি। দ্বিতীয়ত, অন্যদের দ্বারা যে কারণগুলো ঘটে তাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করি। তৃতীয়ত, অন্য দায়ী পরিস্থিতিগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করি।
এই তিনটি ধাপ একের পর এক অনবরত করতে থাকলে যথাসময়ে কাজ শেষ না হলেও খুব দেরি হবে না বৈকি। ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি আপনি লক্ষ করতে পারবেন।
যথাসময়ে কাজ শেষ না হওয়ার ১০ কারণ ও করণীয়
এক.
আপনি কাজের জন্য সময় নির্ধারণ করেন না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কাজ করতে থাকেন। ফলে কোনো কাজ হয়তো অনেক বেশি সময় নিয়ে করছেন, আর কোনো কাজ করার জন্য সময়ই পাচ্ছেন না। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য দিনের শুরুতেই কাজের পরিকল্পনা করুন এবং সময়সীমা বেঁধে নিন। খুব ভালো হয় যদি অন্ততপক্ষে কাজের একটা সাপ্তাহিক পরিকল্পনা করে নিতে পারেন। যাঁরা পটু তাঁরা শুধু সাপ্তাহিক নয়, সারা বছরের পরিকল্পনা করে তাকে ভেঙে ভেঙে দৈনিক পরিকল্পনায় নামিয়ে এনে কাজে মনোনিবেশ করেন। এ এক দারুণ প্রক্রিয়া! যথাসময়ে কাজ শেষ না হয়ে কোনো উপায় নেই।
দুই.
সময় নির্ধারণ করে থাকলে সে অনুযায়ী কাজ করেন না। বাস্তবায়ন না হলে পরিকল্পনা করে কোনো লাভ নেই। আপনি ফলাফল পাল্টাতে পারবেন না। ফলে পরিকল্পনা শেষ করে নিশ্চিত করতে হবে তা বাস্তবায়নের। ঠিকভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য সংকল্পচিত্তে চেষ্টা করে যান।
তিন.
আপনি কাজ গুরুত্বসহকারে সাজিয়ে করেন না। আপনি হয়তো গুরুত্বহীন কোনো কাজ দিয়ে দিন শুরু করছেন। ফলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর জন্য যথেষ্ট সময় পাচ্ছেন না। মূলত সাধারণ নিয়ম অনুসারেই প্রথমে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি কাজগুলোকেই আপনার আগে শেষ করতে হবে। কম গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো স্বাভাবিকভাবেই পরে করতে হবে।
চার.
কাজের সময় বারবার বিরতি নেন। ফলে কাজের মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে।
পাঁচ.
আপনার কাজের সময় কেউ আপনার সঙ্গে গল্প করতে এলে আপনি তাকে প্রশ্রয় দেন। ফলে কাজের সময় নষ্ট হয়ে যায়। আপনি কাজ শেষ করার জন্য যথেষ্ট সময় পান না।
ছয়.
সময়ের চেয়ে বাড়তি কাজ আপনার ওপর চাপানো হয়। কাজের জন্য সময় নির্ধারণ যুক্তিসংগত হওয়া চাই। এখানে আপনার তেমন কিছু করার নেই। নিজের গতি বাড়াতে সচেষ্ট হওয়ার পাশাপাশি কাজ নেওয়ার সময় আপনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বাড়তি কাজের বিষয়টি ও কাজটি শেষ করার জন্য নির্ধারিত সময়ের ব্যাপারে আলাপ করতে পারেন।
সাত.
আপনি নিখুঁতভাবে কাজ সমাধা করতে যতটা মনোযোগী, যথাসময়ে কাজ শেষ করার ব্যাপারে ততটা নন। কাজটি যাতে খুব ভালোভাবে শেষ হয় সে জন্য ১০ মিনিটের কাজটি আপনি এক ঘণ্টা লাগিয়ে করছেন; কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, একটি কাজ খুব ভালো করতে গিয়ে আরো ৯টি কাজ মন্দ করার বা একেবারেই করতে না পারার পেছনে কোনো যৌক্তিকতা নেই।
আট.
সবাই আপনার কাজের খুব প্রশংসা করে। আপনি প্রশংসা পেতে পছন্দ করেন। আর তাই আপনি নিজের কাজ শেষ করার পর অথবা নিজের কাজ শেষ না করেই অন্যের কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। ফলে আপনার কাজ যথাসময়ে শেষ হয় না।
নয়.
যথাসময়ে কাজ শেষ না হলে আপনার কী কী ক্ষতি হয়, সে ব্যাপারে সচেতন নন। দিনশেষে যখন আপনার কাজ শেষ করতে দেরি হয়ে যায় তখন আপনি অনুতপ্ত হন। পরদিন সকালে কাজ শুরু করার সময় গত দিনের অনুতাপের ব্যাপারটা আপনি বেমালুম ভুলে যান এবং আবারও কাজ শেষ করার আগেই দিন শেষ হয়ে যায়। ফলে কাজের ও তার সময়সীমার ব্যাপারে আপনার অগ্রগতির দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
দশ.
যথাসময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় আপনার দণ্ড বা শাস্তি হয় না অথবা আপনার মানসিক যন্ত্রণা খুব সামান্যই হয়। অন্যথায় আপনি দিনের পর দিন সময়ের ব্যাপারে অবহেলা করতে পারতেন না। সুতরাং নিজেই নির্ধারণ করুন যথাসময়ে কাজ শেষ করতে না পারলে আপনি নিজেকে কী শাস্তি দেবেন।
ক্যারিয়ার, লাইফ স্টাইল, স্বাস্থ্য, তথ্য প্রযুক্তি সহ এ ধরনের আরও অসংখ্য বিষয়ে জানতে একবার এখানে ঢু মেরে দেখতে পারেন ।
©somewhere in net ltd.