নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের সন্ধানে

আমি আমার স্বল্প জ্ঞান থেকে আপনাদেরকে কিছু শেয়ার করতে চাই এবং আপনাদের কাছ থেকে মূল্যবান কিছু নিতে চাই।

হেডমাষ্টার সাহেব

অনুসন্ধান

হেডমাষ্টার সাহেব › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিবরীল (আঃ) -এর পরিচয়

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৫৫





"বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।"



মর্যাদার দিক দিয়ে আল্লাহর অতি নিকটবর্তী ফেরেশতা চারজনঃ

(১)জিবরীল (আঃ), (২) মীকায়ীল (আঃ), (৩) ইসরাফীল (আঃ) ও

(৪) ইযরাইল (আঃ)।(কানযুল উম্মাল ৬ষ্ঠ খঃ, পৃঃ৭১)।



এদের মধ্যে জিবরীল (আঃ) কে রসুল (সঃ) দু"বার তাঁর আসল রূপে দেখেছিলেন। তখন তিনি আকাশ থেকে যমীনের দিকে নামছিলেন । তাঁর বিরাট দেহ আসমান ও যমীনের মাঝটা ছেয়ে ফেলেছিল।(বুখারী, মুসলিম,

আল-বিদায়াহ..১মখঃ,৪০পৃঃ)।



ইবন মাসউদ (রাঃ) বলেন, রসুল (সঃ) জিবরীল (আঃ) কে একদা তাঁর

আসল রূপে দেখেছিলেন ।এমতাবস্হায় তাঁর ছয়শো ডানা ছিল। ওর মধ্যকার প্রত্যেকটি ডানা দিকচক্রবালকে ঢেকে রেখেছিল। তাঁর ডানা থেকে বিভিন্ন রংয়ের মতি ও ইয়াকূত ঝরে পড়ছিল।(আহমদ, শেষোক্ত ৩৯পৃঃ)।



ইবনে "আব্বাসরে বর্ণনায় নবী (সঃ) বলেন ঃ জিবরীলের দু"কাঁধের মাঝের দূরত্ব দ্রুত-ওড়া পাখীর পাঁচশো বছর পথ। কা"ব থেকে বর্ণিত, জিবরীল (আঃ) এর সবুজ রংয়ের দু"টি বিশেষ ডানা আছে। যা তিনি লাইলাতুল ক্বদরের ভোরবেলায় সূর্যোদয়ের সময় ছড়িয়ে দেন।(এবনে কাসির ৪র্থ খঃ,৫৩৬ পৃঃ)।



এত অকল্পনীয় আকৃতি বিশিষ্ট হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহর ভয়ে জিবরীলের

অবস্হা কেমন হয় তার বর্ণনা জাবির (রাঃ) এর রিওয়ায়তে রসুল (সঃ)

বলেন,"মি"রাজের রাতে আমি "মালা-য়ি আ"লা-র" পাশ দিয়ে গেলাম ।

তখন জিবরীল ভয়ে একটি পুরানো কম্বলের মত পড়ে ছিল ।"

(সহীহুল জা-মি ৫ম খঃ, ২০৬পৃঃ..........)।



ইবনে আব্বাসের (রাঃ)বর্ণনায় আছে, একবার রসুল (সঃ) জিবরীলকে

জিজ্ঞেস করেন, আপনি কোন দায়িত্বে আছেন? তিনি বলেন, বাতাস ও আল্লাহর সৈন্য (ফেরেশতা) -দের দায়িত্বে আছি।

(আল বিদায়া..১ম,৪১পৃঃ)।



জিবরীল আমিন (আঃ) সমস্ত নাবী এবং আল্লাহর মাঝে দূত ছিলেন। তিনি আল্লাহর ওয়াহী নিয়ে নাবীদের উপরে অবতীর্ণ হতেন।(ঐ,৩৯পৃঃ)।

সহীহুল বুখারীর ভাষ্যকার আল্লামা আহমাদ ইবনে মুহাম্মদ কাসতালানী বলেন,ইবনে আ-দিলের তাফসিরে আছে যে,জিবরীল (আঃ) অবতীর্ণ হয়েছিলেন নাবী (সঃ) এর উপর ২৪০০০ বার,আদমের (আঃ)উপর ১২ বার,ইদরিস (আঃ) এর উপর ৪ বার, নূহের (আঃ) উপর ৫০ বার,

ইবরাহিম (আঃ) এর উপর ৪২ বার, মূসা (আঃ) এর উপর ৪০০ বার,

আর ঈসা (আঃ) এর উপর ১০ বার।(ইরশাদুস সা-রী ১ম খঃ,৫৮ পৃঃ)।



জিবরীল (আঃ) এর শক্তির অনুমান নিম্নের বর্ণনাটি দ্বারা হতে পারে। একবার তিনি কওমে লূতের শহরগুলো নিজ ডানায় তুলে ধরেন। ঐ শহর ছিল সাতটি এবং ঐ শহরের বাসিন্দা ছিল চার লাখ। আর তাদের সাথে ছিল পশুপাখী ও ঘরবাড়ী এবং জায়গা- জমি প্রভৃতি। ঐ সমস্তকে তিনি

একটি ডানায় তুলে আকাশের কাছে পৌছে যান। এমনকি ফেরেশতাগণ তাদের কুকুরের আওয়াজ ও মোরগের ডাক শুনতে পান। তারপর তিনি

ওদেরকে উল্টে দেন। ফলে তিনি ওদের উপরের অংশটা নীচু করে দেন।

এটাই হল তাঁর মহাশক্তির নমুনা। (আল- বিদায়া..১ম, ৩৯পৃঃ)।



শেষ নাবী মুহাম্মদ (সঃ) এর ওফাতের পর এ জগতে জিবরীলের আসা

বন্ধ হয়ে যায়, কেবল বৎসরের একটি রাত ছাড়া। তা হল প্রত্যেক রমযানের শেষ দশদিনের পাঁচ বেজোড় রাতের কোন একটি রাত।

যে রাতে লাইলাতুল ক্বদর সংঘটিত হয়।(সূরা ক্বদর ৯৭/৪,ইবনে কাসির ৪র্থ,৫৩৬পৃঃ)।



মহান আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-৪

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০৬

ঝড়১২৩ বলেছেন: এসব ভুয়া, মিথ্যা হাদিস। এইসব কেনযে দেয় বুঝিনা। গ্গনীরা সত্যি হাসে এইসব কল্পকাহিনী পড়ে, আর ধীক্কার দেয়

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:১৬

হেডমাষ্টার সাহেব বলেছেন:

আপনার "গ্গান" নিয়ে আমার কোন সন্দেহ নে্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্ই।
প্রকৃত জ্ঞানীরা তো আর আপনার মত না!
জ+জি+ঞ=জ্ঞ+আকার+ন=জ্ঞান।
আপনার কাছ থেকে কিছু সত্য হাদিস শোনার অপেক্ষায় রইলাম।

২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২৬

মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম।~ যা কিছুই পোষ্ট করুন না কেন, আসলে তা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত কিনা তা যাচাই করে নেয়া উচিত।~ অনুগ্রহ করে আমাকে ভুল বুঝবেন না।~ আমি আপনার উদ্দেশ্যকে খাট করছি না।~ ধন্যবাদ পোষ্টের জন্যে।

৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৩২

গ্রাউন্ড ফ্লোর বলেছেন: রুপকথার গল্প ছুন্দর লাগে

৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:২১

ঝড়১২৩ বলেছেন: ভাই ধন্যবাদ জ্ঞান বানান দেখায় দেয়ার জন্য। আপনেত দেখছি আসলেই অনেক জানেন দেখছি। যাইহোক ফোনেটিক লিখতে একটু সমস্যা হয় তাই জ্ঞান অন্য রকম লেখা হয়েছিল। বুঝতে পেরেছিলেন কিনা সেইটাই মুল।

যাইহোক, হাদিস কোনটা সত্য, কোনটা মিথ্যা হবে, তা নির্নয় করবে কোরান। কোরানে জীবরীলের এমন রুপ কোথাও দেখিনি।

আচ্ছা একটা হাদিস শুনেনঃ বান্দা যখন আমার অধিক নফল কাজ আদায় করে অধিক এবাদত করে তখন আমি তার চোখ হয়ে যাই যা দিয়ে সে দেখে, আমি তার কান হয়ে যাই যা দিয়ে সে শুনে, আমি তার মুখ হয়ে যাই যা দিয়ে সে কথা বলে, তার হাত হয়ে যাই, তার পা হয়ে যাই...। (হাদিসে কুদসী)

৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:০৫

সত্য কথায় যত দোষ ! বলেছেন: ভাই লেখক, অনেক ভাল কথা জানলাম আপনার কাছ থেকে।

ভাই ঝড়১২৩, আপনার কাছে বোখারী, মুসলিম, আবুদাউদ, তীরমিযি, নাসাঈ, মুঃ মালেক এসবই ভুয়া হাদীস? এবং হাদীসে কুদসী হচ্ছে সব থেকে সহীহ হাদীস?

আপনাকে হাদীসের স্তর গুলো জানানোর প্রয়োজন মনে করছি।

মুসলিম শরীফ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, ১ম খন্ড, সতেরো পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছেঃ হাদীসের কিতাব সমূহকে মোটামুটি ভাবে পাঁচটি স্তর বা তাবাকায় ভাগ করা হয়েছে। শাহ্ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দীস দেহলবী (রঃ) ও তাঁর ’হজ্জাতুল্লাহিল বালিগা’ নামক কিতাব এরূপ পাঁচ স্তরে ভাগ করেছেন।

প্রথম স্তরঃ এ স্তরের কিতাব সমূহকে কেবল সহীহ হাদীসই রয়েছে। এ স্তরের কিতাব মাত্র তিনটিঃ বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ ও মুআত্তা ইমাম মালিক।

দ্বিতীয় স্তরঃ এ স্তরের কিতাবসমূহ প্রথম স্তরের খুব কাছাকাছি। এ স্তরের কিতাবে সাধারণতঃ সহীহ ও হাসান হাদীসই রয়েছে। যইফ হাদীস এতে খুব কমই আছে। নাসাই শরীফ, আবু দাউদ শরীফ ও তিরমিযী শরীফ এ স্তরেরই কিতাব। সুনানে দারিমী, সুনানে ইবনে মাজা এবং শাহ ওয়ালী উল্লাহ এর মতে মুসনাদ ইবনে আহমদকেও এ স্তরের শামিল করা যেতে পারে।

তৃতীয় স্তরঃ এ স্তরের কিতাবে সহীহ, হাসান, যঈফ ও মুনকার সকল রকমের হাদীসই রয়েছে। মুসনাদ আবী ইয়ালা, মুসনাদ আবদুর রাজ্জাক, বায়হাকী, তাহাবী ও তাবরানী (রঃ)-এর কিতাব সমূহ এ স্তরেরই অন্তর্ভুক্ত। বিশেষজ্ঞগণের বাছাই ব্যতীত এ সকল কিতাবের হাদীস গ্রহণ করা যেতে পারে না।

চতুর্থ স্তরঃ এ স্তরের কিতাব সমূহে সাধারণতঃ যঈফ ও গ্রহনের অযোগ্য হাদীসই রয়েছে। ইবনে হিব্বানের কিতাবুল-জুআফা, ইবন-আছীরের কামিল ও খাতীব বাগদাদী, আবু নুআয়েমের কিতাব সমূহ এ স্তরের কিতাব।

পঞ্চম স্তরঃ উপরি উক্ত স্তরে যে সকল কিতাবের স্থান নেই সে সকল কিতাবই এ স্তরের কিতাব। হানাফী মাযহাবের মকছদুল মু'মেনিন, সহ প্রায় আশি খানা কেতাব এ স্তরের অন্তর্ভুক্ত।

কোন হাদীস হাদীসে কুদসী হলেও তার রেফারেন্স দিতে হবে।

৬| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:০০

ঝড়১২৩ বলেছেন: সত্য কথায় যত দোষ ! -নামটা যা দিয়েছেন আমার তাই হল; নামটা আমার রাখা দরকার ছিল। যাইহোক- আমি যেই হাদিস লিখেছি সেই হাদিস আপনার কাছে গলদ মনে হলে মানবেন না, আর না হলে মানবেন। আপনার উপরে। কোনটা স্তরে উপরে কোনটা নীচে সেটা আপনে ঐ বই দেখেই মুখস্ত করেছেন। হাদিস কোনটা স্তর উপরে কোনটা নীচে সেটা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নাই। যেটা কোরানে পাব সেটা গ্রহন করব; যেটা কোরান দিয়ে দেখব ঠিক আছে সেটাই গ্রহনীয়।
বই মুখস্ত করেত আর কোরান বুঝা যায়না। যাইহোক এই নিয়ে আর কথা না। লেখক সাহেবের ঐসকল হাদিসে পাওয়া বর্ননা, কোরানে এমন কোন সমর্থ পাইনা; আর দেখা যায় রুপ কথার গল্পে যেমন - সিন্দবাদ, আলি বাবা চল্লিশ চোর...

লেখক সাহেবকে কিছু বলা উদ্দেশ্য নয়, তিনি যে হাদিস দিয়েছেন তা আমার কাছে মিথ্যা মনে হয়েছে; হাদিসে ভুল আছে, এটাই বলেছি। অনেক হাদিস বুখারীতে আছে যা সত্য, আবার অনেক আছে যা মিথ্যা।
এসব হল যার যার গ্রহনের ব্যপার।

সবাই ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.