![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার আমি ঃ সবার সাথে চলতে চাই (জামাত-শিবির ছাড়া) । তর্ক হবে যুক্তি দিয়ে ।বিতর্ক হবে বন্ধুত্ব পূর্ন আলোচনায় ।অশ্লীল রুচীহীন আলোচনা থেকে দুরে থাকতে চাই সবসময় । ঘোষনা ঃ মা, মাটি, দেশ আর ধর্ম নিয়ে অযৈক্তিক সমালচনা এবং বাংলা ব্লগে ইংরেজী মন্তব্য বীনা কৈফিয়তে মুছে ফেলা হবে । শখ ঃ গান শোনা, বিচিএ সব ছবি সংগ্রহ করা । প্রিয় মানুষ ঃ আমার মা । প্রিয় বন্ধু ঃ নোমান , মাহবুব সুমন , পিয়া , জাভেদ , সুচিত্রা , জসিম , খোকন , রিপন .....
প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা পরবর্তি সময়ে সাপ্তাহিক বিচিত্রায় নিজের নামে একটি কলাম লেখেন । হুবহু পড়ুন জিয়াউর রহমানের সেই লেখাটি ।
*লেখাটি বড় বিধায় তিন খন্ডে পোষ্ট দিব আজ প্রথম খন্ড , আগামী কাল দ্বিতীয় , এবং পরশু তৃতীয় খন্ড পোষ্ট দিব ।
**অনিচ্ছা কৃত বানান এবং যুক্ত শব্দ ভুল গুলোর জন্য দুঃখিত ।
***এই লেখাটি অনেক অনাকাঙ্খিত বিতর্কের অবসান করবে আশা করি । বিশেষ করে স্বাধীনতার ঘোষনা নিয়ে বিতর্ক ।
ফেব্রুয়ারীর (১৯৭১ ) শেষ দিকে বাংলাদেশে যখন রাজনৈতিক পরিস্হিতি বিস্ফোরণোন্মুখ হয়ে উঠেছিল তখন আমি এক দিন খবর পেলাম , তৃতীয় কমান্ডো ব্যাটেলিয়নের সৈনিক রা চট্রগ্রাম শহরের বিভিন্ন সহানে ছোট ছোট বিভক্ত হয়ে বিহারী দের বাড়ীতে বাস করতে শুরু করেছে । খবর নিয়ে আমি আর ও জানলাম , কমান্ডোরা বিপুল পরিমান অস্র সস্র আর গোলাবারুদ নিয়ে বিহারী বাড়ীগুলোতে জমা করছে । এবং রাতের অন্ধকারে বিপুল সংখ্যায় তরুন বিহারীদের সামরিক ট্রেনিং দিচ্ছে ।
এসব কিছু থেকে এরা যে ভয়ংকর রকমের অশুভ একটা কিছু করবে, তার সু স্পষ্ট আভাসই আমরা পেলাম । তার পর এলো ১ মার্চ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুর রহমানের উদাও আহবানে সারাদেশে শূরু হলো ব্যাপক অসহযোগ আন্দোলন । এর পর দিন দাংগা হলো। বিহারীরা হামলা করেছিল এক শান্তিপূর্ন মিছিলে । এর থেকে আর ও গোলযোগের সুচনা হলো । এই সময়ে আমার ব্যাটেলিয়নের নিরাপত্তা এনসিওরা আমাকে জানালো বিংশতম বালুচ রেজিমেন্টের জোয়ানরা বেসামরিক পোষাক পরে বেসামরিক ট্রাকে চড়ে কোথায় যেন যায় । তারা ফিরে আসে আবার শেষ রাতের দিকে । আমি উৎসুক হলাম ।লোক লাগালাম খবর নিতে । খবর নিয়ে জানলাম প্রতিরাতেই তারা যায় কতকগুলুনিদৃষ্ট বাঙালী পাড়ায় । নির্বিচারে হত্যা করে সেখানে বাঙালীদের । এসময় প্রতি দিনই চুরিকাহত বাঙালীদের হাসপাতালে ভর্তি হতে শোনা যায় ।
এই সময় আমাদের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্ণেল জানযুয়া আমার গতিবিধির উপর লক্ষ্য রাখার জন্যেও লোক লাগায় । মাঝে মাঝেই তার লোকেরা যেয়ে আমার সম্পকে খোঁজ খবর নিতে শুরু করে ।আমরা তখন আশংকা করছিলাম , আমাদের হয়তো নিরশ্র করা হবে ।আমি আমার মনোভাব দমন করে কাজ করে যাই এবং নিরশ্র করার উদ্যোগ ব্যার্থ করে দেয়ার সম্ভব্য সব ব্যাবস্হা গ্রহন করি । বাঙালী হত্যা এবং বাঙালী দোকান পাটে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ক্রমেই বাড়তে থাকে ।
আমাদের নিরশ্র করার চেষ্টা করা হলে আমি কি ব্যাবস্হা গ্রহন করবো কর্নেল (তখন মেজর )শওকত আমার কাছে জানতে চান । ক্যাপ্টেন শমসের মবিন এবং মেজর খালেকুজজমান আমাকে জানান যে , স্বাধীনতার জন্যে আমি যদি অস্র তুলে নেই , তাহলে তারাও দেশের মুক্তির জন্যে প্রান দিতে কুন্ঠা বোধ করবেননা । ক্যাপ্টেন ওলি আহমদ আমাদের মাঝে খবর আদান প্রদান করতেন । জেসিও এবং এনসিওরাও দলে দলে বিভক্ত হয়ে আমার কাছে আসতে থাকে । তারাও আমাকে জানায় যে , কিছু একটা না করলে বাঙালী জাতি চির দিনের জন্যে দাসে পরিনত হবে । আমি নিরবে তাদের কথা শুনলাম । কিন্তু আমি ঠিক করেছিলাম , উপযুক্ত সময় এলেই আমি মুখ ঘুরাবো । সম্ভবত ৪ মার্চ আমি ক্যাপ্টেন ওলি আহমদ কে ডেকে নেই ।আমাদের ছিল সেটা প্রথম বৈঠক । আমি তাকে সোজাসুজি বললাম সশস্র সংগ্রাম শুরু করার সময় দ্রুত একমত হন । আমরা পরিকল্পনা তৈরী করি এবং প্রতিদিনই আলোচনা বৈঠকে মিলিত হতে থাকি ।
'' ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ঘোষনা আমাদের কাছে এক গ্রীন সিগন্যাল বলে মনে হলো'' । আমরা আমাদের পরিকল্পনাকে চুড়ান্ত রুপ দিলাম । কিন্তু তৃতীয় কোন ব্যাক্তিকে তা জানালাম না ।বাঙালী এবং পাকিস্তানি সৈনিক দের মাঝেও উত্তেজনা ক্রমেই চরমে উঠছিল । ( অসমাপ্ত ঃ বাকি অংশ দেখুন আগামী কাল )
২| ০৫ ই মার্চ, ২০০৭ দুপুর ১:৩৯
অতিথি বলেছেন: লেখা টার কথা অনেক বার শুনেছি,
কিন্তু পড়লাম আজকে ।
আমার মতো অনেকে খুব আগ্রহ নিয়ে পোস্ট টা পড়বে ।
আপনাকে অনেক ধনবাদ !
৩| ০৫ ই মার্চ, ২০০৭ দুপুর ২:৫৪
আরশাদ রহমান বলেছেন: আবুল বাহার ভাই ধন্যবাদ।
এহহামিদা কি বোঝতে চাইলেন? আরেকটু লিখলে ভালো হতো।
৪| ০৫ ই মার্চ, ২০০৭ দুপুর ২:৫৯
অতিথি বলেছেন: ভালো প্রসঙ্গ ..
তবে খুব একটা আগ্রহ বোধ করছি না কেন যেন...
এখন পড়ছি না .. পরে দেখবো - আশা রাখি ।
৫| ০৫ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৩:২৫
আবুল বাহার বলেছেন: লেখাটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে ।ইতিহাস বিকৃতির এই সময়ে লেখাটির প্রয়োজনিয়তা অনুভব করছিলাম তাই লিখা ।
বিষয় ভিত্তিক মন্তব্য করুন অন্যথায় মন্তব্য মুছে ফেলব ।
মন্তব্য করতেই হবে এমন কোন কথা নেই ।
এহহামিদা আপনার মন্তব্যটি মুছে দিলাম বিষয় ভিত্তিক না হওয়ায় ।
৬| ০৫ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:১০
অতিথি বলেছেন: জিয়াউর রহমান ছিলেন স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের একমাত্র ও সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক যাকে নিয়ে এদেশ গর্ব করতে পারে।
তবে তার গুণধর পুত্র ও আজকের নীতিহীন বিএনপির দশা দেখে কষ্ট পাই।
৭| ০৫ ই মার্চ, ২০০৭ বিকাল ৪:৫৭
পথিক!!!!!!! বলেছেন: হুঁ ভাল জিনিস ....
৮| ০৫ ই মার্চ, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:২৩
আলী বলেছেন: একজন সফল মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান
তোমায় সালাম
৯| ১১ ই মার্চ, ২০০৭ সকাল ৯:২১
আবুল বাহার বলেছেন: ধন্যবাদ সবাইকে ।
আর ও দুটি মন্তব্য মুছে দিলাম ।
১০| ২৯ শে মার্চ, ২০০৭ দুপুর ১:১০
নজমুল আলবাব বলেছেন: বাহার ভাই সফট কপি দরকার জরুরি ভিত্তিতে। কেমনে পাব?
১১| ২৯ শে মার্চ, ২০০৭ দুপুর ১:২৮
আবুল বাহার বলেছেন: নাজমুল ভাই ,
সাপ্তাহিক 2000 এর 16 ফেব্রুয়ারী সংখ্যায় পাবেন । কবি নির্মলেন্দু গুন এর আত্নকথা 1971 এ 7 মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষনটাও পাবেন ।
পেয়ছেন কিনা জানাবেন । কিছুকিছু জিনিষ আছে সংগ্রহে থাকতে হয় এমন জিনিষ এগুলো ।
১২| ২৯ শে মার্চ, ২০০৭ দুপুর ১:৩৯
নজমুল আলবাব বলেছেন: সেটা পেয়েছি। আমার দরকার সফট কপি। খুব দ্রুত একটা কাজ করতে চাইছিলাম। ওকে ধন্যবাদ। এট দিয়ে কাজ করব এখন। একটু দেরি হবে হয়ত।
১৩| ২৯ শে মার্চ, ২০০৭ দুপুর ২:০৪
অতিথি বলেছেন: আবুল বাহার,আপনার সাথে একমত।কিছু জিনিষ আসলেই সংগ্রহে রাখতে হয়।
১৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৩:৫৪
আবুল বাহার বলেছেন: ধন্যবাদ ,
অতিথি অপনাকে ।
১৫| ৩০ শে মে, ২০০৮ ভোর ৬:৫৫
আবুল বাহার বলেছেন: আজকে মনে হয় লেখাটা আবার পড়ার দরকার আছে তাই তুলে আনলাম ।
১৬| ৩০ শে মে, ২০০৮ ভোর ৬:৫৭
হ্যারি সেলডন বলেছেন: আমি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছি। সেখানে এই পোস্টটা লিংক আকারে দিতে চাই। অনুমতি দিবেন?
৩০ শে মে, ২০০৮ সকাল ৭:০১
আবুল বাহার বলেছেন: তিন পর্বে লেখাটা আছে গতবছর লেখা । সংশোধন করে তুলে আনছি । লিংক দিন অসুবিধা নাই ।
১৭| ৩০ শে মে, ২০০৮ সকাল ৭:০০
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: গুডপোষ্ট। যারা জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক বলে চিৎকার চেচামেচি করে তার সাথে বঙ্গবন্ধুর একটি কল্পিত ইগো আনতে চান তাদের এইটা পড়া উচিত।
জিয়া নিজে কি বলেছেন তা না শুনে এই যে দেশজুড়ে ঘোষক নিয়ে হাউকাউ এটা ভাল্লাগে না।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই মার্চ, ২০০৭ দুপুর ১:৩৪
রাকিব হাসনাত সুমন বলেছেন: ভালো উদ্যেগ। জিয়াউর রহমানের এ লেখাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরীতে পড়েছি। এটি পড়লেই বোঝা যাবে জিয়া এবং তার স্ত্রীর মধ্যে দুরত্ব ও পার্থক্যের কারনগুলো। আরো স্পষ্ট হবে জিয়ার মৃত্যুর সবচেয়ে বড় বেনিফিশিয়ারী খালেদা জিয়া নিজেই।