![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা খুব জটিল। রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিস্ফোরণোন্মুখ। সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত ‘ট্রিকি’। ফের হুমকির মুখে পড়েছে দেশটির গণতন্ত্র। আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপু্টি মুখপাত্র মেরি হর্ফের কাছে এমন সব তথ্যই তুলে ধরেছেন কিছু সাংবাদিক।
২০ আগস্ট আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্বে ওই সাংবাদিকরা এসব কথা জানান। প্রশ্নোত্তর পর্বটি ওই দিনই আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়।
সাংবাদিকরা তাদের প্রশ্ন করার সময় বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক ইস্যু নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের অবস্থান তুলে ধরেন। তারা আশঙ্কা করেন, নির্বাচন সামনে রেখে এবং নির্বাচনে যদি কোনো ঘটনা ঘটে, তার প্রভাব হয়তো সংখ্যালঘুদের ওপর পড়বে। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে মেরি হর্ফ জানান, তারা শুধু বাংলাদেশ নয়, সব দেশের সংখ্যালঘুদের বিষয় নিয়েই উদ্বিগ্ন। সাংবাদিকের এ-সংক্রান্ত প্রশ্ন ও মার্কিন উপমুখপাত্রের উত্তরটি নিচে তুলে ধরা হলো-
প্রশ্ন : বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখন ফের হুমকির মুখে। আপনি জানেন যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে কোনো আলোচনা করছেন না। এতে আগামী দিনগুলো হতে পারে অত্যন্ত বিস্ফোরণোন্মুখ। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিরোধীদলীয় নেতা তার অবস্থান পরিষ্কার করে বলেছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। ফলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে যাচ্ছে। আমরা আশা করছি, সেখানে সহিংসতা ও রক্তপাত হবে না। কিন্তু সংখ্যালঘুদের নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা এখন মৃত্যু-আতঙ্কে। কারণ, যদি নির্বাচন সামনে রেখে এবং নির্বাচনে কোনো ঘটনা ঘটে, তার প্রভাব হয়তো সংখ্যালঘুদের ওপর পড়বে।
বিশেষ করে আমাদের বড় প্রতিবেশি ভারত। তারা বাংলাদেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে খুবই উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশে যা ঘটছে, তা অত্যন্ত বিস্ফোরণোন্মুখ। তারা ঠিকই এ বিষয়টি চিহ্নিত করেছে।
এ ক্ষেত্রে আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবস্থান কী? কারণ, বাংলাদেশে নিযুক্ত আমেরিকান রাষ্ট্রদূত মজীনা বিরোধীদলীয় নেতা বেগম জিয়ার সঙ্গে সর্বশেষ একটি আলোচনা করেছেন। তাতে কী আলোচনা হয়েছে, আমরা তা জানতে পারিনি। সেখানে কি সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন করার জন্য বিশেষ কোনো পরামর্শ অথবা নির্বাচনের পরে রক্তপাত বন্ধের বিষয়ে কথা হয়েছে কি না তা জানি না।
এ ছাড়া আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দৃশ্যত চুপ করে আছে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশে এখন যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তা অত্যন্ত ‘ট্রিকি’।
উত্তরে মারিয়া হার্ফ বলেন, আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ। এই বিষয়ে আমার কাছে আপনার জন্য বিস্তারিত ও সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। এমনকি পড়ার মতো কোনো কূটনৈতিক আলোচনাও নেই। তবে আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। অন্যান্য দেশের সংখ্যালঘুদের বিষয়েও আমরা উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের বেলায়ও আমাদের অবস্থান একইরকম। আপনি যা জানতে চেয়েছেন, সে বিষয়ে আরও বিস্তারিত কিছু তথ্য আপনাকে আমি দিতে পারতাম। কিন্তু এখনই তা পারছি না। ঠিক এই মুহূর্তে আমার কাছে বাড়তি কোনো তথ্য নেই।
©somewhere in net ltd.