নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বৈকন্ঠ

বৈকন্ঠ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু মানুষ নাস্তিকতাকে ফ্যাশন মনে করে

৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১২





-মাকসুদুল হক



মাসুদ কামাল হিন্দোল, প্রাইমখবর ডটকম

2013-08-14 সময় : 16:06:24

মাকসুদুল হক ব্যান্ড সংগীতশিল্পী। মাকসুদ ও ঢাকা ব্যান্ডের দলনেতা এবং ভোকাল। এক সময় ফিডব্যাক ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গেয়েছেন অনেক জনপ্রিয় গান। নব্বই দশকের শুরুতে ‘মেলায় যাইরে’ গানটি গাওয়ার পর তার জনপ্রিয়তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এ গানটি হয়ে উঠে বাংলা নববর্ষ এবং বসন্তের অন্যতম গান। বামবা (বাংলাদেশ মিউজিক্যল ব্যান্ড এসোসিয়েশন) এর প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে আনার্স করেছেন। ব্লগ লিখেও আলোচিত হয়েছেন। রবীন্দ্রসংগীত আধুনিকীকরণ ছাড়াও গানে রাজনৈতিক বক্তব্য প্রচার করে আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছেন দেশে-বিদেশে। বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন প্রাইমখবর ডটকমের মাসুদ কামাল হিন্দোলের সঙ্গে।



প্রাইমখবর ডটকম : আপনার ব্যান্ড সম্পর্কে বলুন, নতুন অ্যালবাম কবে বাজারে আসছে ?



মাকসুদুল হক : ব্যান্ডের নতুন ক্যাসেটের কাজ চলছে। দেশের রাজনৈতিক অবস্থা যখন খারাপ থাকে তখন গান-বাজনার প্রতি মানুষের আগ্রহ থাকে না। এক সময় ক্যাসেট কোম্পানি ক্যাসেট বাজারজাত করত। এখন কোম্পানিরা ১৫-২০ লাখ টাকা খরচ করে সিডি বের করতে চায়। কিন্তু আধাঘণ্টার মধ্যে তা ডাউনলোড হয়ে যাবে। এটাকে কে প্রতিরোধ করবে ?







প্রাইমখবর ডটকম : ফিডব্যাক আপনাকে খ্যাতি এনে দিয়েছে। এক সময় আপনি ফিডব্যাক ছেড়ে ‘ঢাকা’ (মাকসুদ ও ঢাকা) ব্যান্ড গঠন করলেন কেন ?



মাকসুদুল হক : কথাটা দু’রকম হতে পারে। ফিডব্যাক আমাকে খ্যাতি দিয়েছে। আমিওতো ফিডব্যাককে কম দেইনি। খ্যাতি নাম ডাক এগুলো আমার কাছে কখনোই বড় ছিল না। ফিডব্যাকের সঙ্গে যতোটুকু করা যায় আমি করেছি। ফিডব্যাকে থাকলে আমি ভালো করতাম ব্যাপারটা এরকম নয়। গত ১৬-১৭ বছরে ফিডব্যাক যে নতুন অনেক কিছু করেছে তাও নয়।



প্রাইমখবর ডটকম : এতো গান থাকতে আপনি রবীন্দ্রসংগীত এর আধুনিকীকরণ করতে গেলেন কেন ? এর কি কোনো প্রয়োজন ছিল ?



মাকসুদুল হক : ফিডব্যাকে থাকার সময় আমি বিদেশশি ভালো ভালো গানের অনুবাদ করে গেয়েছি। ফকির লালন শাহ্, পাগলা জালাল, শাহ্ আব্দুল করিমের কাজ করেছি। রবীন্দ্রনাথের গান কিন্ত পাশ্চাত্য ভাবধারায় প্রভাবিত। কাজী নজরুল ইসলামও পাশ্চাত্য সুর নিয়ে বিচিত্র ধারার গান করেছেন। উনারা কিন্তু পথটা দেখিয়ে গেছেন। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে কাজ করার আরেকটি কারণ হলো, তাকে ধরা যাবে না, ছোঁয়া যাবে না। এরকম একটি ফতোয়া জারি ছিল। আমি দুটো কারণে কাজটি করেছি; রবীন্দ্রসংগীতকে কীভাবে আমার মতো করে গাওয়া যায় এবং আরেকটি হচ্ছে প্রশ্ন তোলা। প্রচলিত আধুনিক বাংলা গান ছাড়াও আরেকটি ধারা হতে পারে। তাতে অসুবিধা কোথায়?



প্রাইমখবর ডটকম : বাংলাদেশ ৭১’ সালে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। আপনার গানে বলেছেন আবারও যুদ্ধে যেতে হবে। এ যুদ্ধ কিসের যুদ্ধ ?



মাকসুদুল হক : মুক্তিযুদ্ধের পর আমরা যে দেশ পেয়েছি এটা একটা মানচিত্র। স্বাধীনতার ৪২ বছর পরও আমরা প্রকৃত স্বাধীনতা পাইনি। এখন দেশ বিভক্ত কে নাস্তিক আর কে নাস্তিক না। মুক্তমনের কথা বললে নাস্তিক হয়ে যাবে। আবার নাস্তিক না হলে প্রগতিশীল হওয়া যাবে না। আমার মানুষ পরিচয়টা কেন বড় হবে না। ইন্টারনেটের এই যুগে গ্রাম্য মোড়ল মানসিকতাকে রুখতে হবে। যারা প্রগতির কথা বলছে তারাও মোড়ল মানসিকতা বয়ে বেড়াচ্ছে। কয়েকজন রাজাকারকে ফাঁসি দিয়ে কিছু গাড়ি পুড়িয়ে ইসলামের নামে ফতোয়া দিয়ে দিলাম। তাতেই দেশ মুক্ত হবে না। আমি আজ থেকে ১৭ বছর আগে ভবিষ্যৎটা দেখতে পাচ্ছিলাম। যা আমার গানে বলেছি। মনের মুক্তি ছাড়া প্রকৃত মুক্তি সম্ভব নয়। মানুষ সে ছোট বড় ধনী গরিব যাই হোক না কেন তার একটা সম্মান পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আমরা যদি প্রতিনিয়ত তাকে বঞ্চিত করতে চাই, তাহলে মুক্ত হবে না।



প্রাইমখবর ডটকম : বর্তমান বাংলাদেশের ব্যান্ডসংগীতের অবস্থাকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?



মাকসুদুল হক : ব্যান্ডসংগীত অনেক এগিয়েছে। বর্তমান বহুজাতিকের আগ্রাসী করপোরেট স্পন্সরশিপের বিরুদ্ধে কিন্তু আমি না। কোন বহুজাতিক কোম্পানি যদি একটি ব্যান্ডের অ্যালবামে বা একটি কনসার্টে এগিয়ে আসতে চায় সেখানে আমার কোনই আপত্তি নেই। আপত্তি সেখানে তথাকথিত স্পন্সরশিপের নামে এক ধরনের রাজনীতিতে লিপ্ত তারা। তারা কিন্তু ব্যান্ডের কদ্দুর উন্নতি হলো তা নিয়ে ভাবে না। তারা তাদের সেলফোনের কত সিম বিক্রি হলো বা কতো বোতল পানীয় বিক্রি হলো বা কত এসএমএস বিক্রি হলো এগুলো নিয়েই ব্যস্ত থাকে।



প্রাইমখবর ডটকম : ব্যান্ড কি স্বকীয়তা হারাচ্ছে ? ব্যান্ড হলো একটা টোটাল পারফরমেন্স। ব্যান্ডগুলো ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। যেমন মাকসুদ ও ঢাকা, নগরবাউল জেমস, বগি অ্যান্ড হিজ ফ্রেন্ডস ইত্যাদি।



মাকসুদুল হক : এ ধারণাটা কিন্তু ব্যান্ডসংগীতের জন্য অন্তরায় না। আমি অন্যদের বিষয়ে জানি না। নিজের নামে ব্যান্ড করা হয়তো বাংলাদেশে আমিই প্রথম। আমি যখন ফিডব্যাক ছাড়ি তখন সবাই মাকসুদকে চেনে, ফিডব্যাককে চেনে। আমি তখন ঢাকা নামে ব্যান্ড করলে মানুষের কাছে পৌঁছানো কষ্ট হতো। জেমস কিন্তু নগরবাউলকে ছাড়িয়ে গেছে। আমি মনে করি না এতে ব্যান্ড তার স্বকীয়তা হারাচ্ছে ।



প্রাইমখবর ডটকম : নব্বই দশকের কিছু জনপ্রিয় ব্যান্ড আবার পুনর্গঠিত হয়েছে। যেমন-ডিফারেন্ট টাচ, অবসকিউর, ডিজিটাল, সিম্ফনি ইত্যাদি। তাদের এই পুনর্জাগরণকে আপনি কীভাবে দেখছেন ?



মাকসুদুল হক : আমি মনে করি তাদের ফিরে আসা বা পুনর্জাগরণ খুবই পজেটিভ। ইউরোপ এবং আমেরিকান মিউজিকে স্বর্ণযুগ ছিল ৬০ এবং ৭০ এর দশক। আমাদের দেশে ৮৫ থেকে ৯৫ ছিল ব্যান্ডসংগীতের জন্য একটি জাগরণের সময়। সেই সময় খুব ভালো ভালো গান হয়েছে এবং সেই গানগুলো জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কেবল তাই নয় সেই গানগুলো এখনও বেঁচে আছে। এতেই প্রমাণিত হয় সংগীতকে কোন রূপরেখার মধ্যে বাঁধা যায় না।



প্রাইমখবর ডটকম : উপমহাদেশের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে বাংলাদেশের ব্যান্ডসংগীতের অবস্থান কোথায় ?



মাকসুদুল হক : আমি মনে করি উপমহাদেশের ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের ব্যান্ডসংগীতের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ব্যান্ডসংগীত নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমাদের ব্যান্ডসংগীতের অবস্থান অনেক উঁচুতে। সমস্যা হচ্ছে আমাদের প্রচার এবং প্রসার নেই। ভারত যদি বাংলাদেশের চ্যানেল উন্মুক্ত করে দিতো তাহলে দেখতে পেত। আজ থেকে দশ বছর আগেই আমাদের মিউজিশিয়ানরা এ আর রহমানের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। আমাদের বাজার ছোট। আমরা অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেই কাজ করছি।



প্রাইমখবর ডটকম : বাউলদের নিয়ে আপনি কাজ করছেন। সে সম্পর্কে কিছু বলুন।



মাকসুদুল হক : আজ থেকে ২৫ বছর আগে বাউলদের নিয়ে আমি কাজ শুরু করেছি। আমার উদ্দেশ্য ছিল সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাউলদের ঢাকায় এনে মানুষের সামনে তুলে ধরা। ২০০৫ সালে ইউনেস্কো বলেছে মানবজাতির অপার্থিব সম্পদ বাউল সংগীত। অথচ ২০০৫ এর পর থেকে আমরা তেমন কোনো কাজ করতে পারিনি। লালন সাঁইজির ১২শ গান আছে। অথচ আমরা শুনি হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি গান। গানগুলোর মূল তাৎপর্য বা অর্থ আমরা বুঝি না। প্রচীন বাংলার আঞ্চলিক বাংলা শব্দের ব্যবহার ছাড়াও সন্ধ্যা ভাষার প্রয়োগ রয়েছে। বাউল গানে যা সাধারণের বোঝার বাইরে। আমরা এ গান সম্পর্কে মানুষকে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করছি। শুধু তাই নয় বাউলরা যে কত কষ্ট করে তাদের সংগীত সাধনা চালিয়ে যাচ্ছে সে ব্যাপারটিও সামনে তুলে আনার চেষ্টা করছি।



প্রাইমখবর ডটকম : ১৯৮৭ সালে বামবা (বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ড এসোসিয়েশন) প্রতিষ্ঠিত হয়। আপনি ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তখন বামবা সক্রিয় ছিল। এখন বামবা নিষ্কিয় কেন ?



মাকসুদুল হক : বামবা (বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ড এসোসিয়েশন) একেবারে নিষ্কিয় তা বলবো না। প্রতি বছরই একটা কনসার্ট করার চেষ্টা করে। আমরা ভেবেছিলাম বামবা জাতীয় ভিত্তিক একটি আন্দোলন সৃষ্টি করতে পারবে। সেটা কিন্তু হয়নি। আমরা অর্থের কিংবা লোভের কারণে হোক ধরাসায়ি হয়েছি বহুজাতিক কোম্পানির কাছে। বাংলাদেশের সবকিছু শুরু করে নিজস্ব মানুষ। কিন্তু তা নষ্ট করে বাইরের লোক এসে। বামবার সদস্য ৩৫/৩৬ টা ব্যান্ড। অথচ ঘুরে ফিরে ঐ ১৬টি ব্যান্ড। বাকি তরুণ যারা ঢুকছে তারা সুযোগ পাচ্ছে না বা পাওয়ার চেষ্টা করছে না।



প্রাইমখবর ডটকম : উপস্থাপক হিসেবে এখন কাজ করছেন। কেমন লাগছে উপস্থাপনা করতে ?



মাকসুদুল হক : উপস্থাপনা আমার খুবই ভালো লাগে। এর জন্য আলাদা করে চিন্তা ভাবনা করতে হয় না। মিউজিকের প্রতি আমার আগ্রহ আছে। ভালোলাগা আছে। উপস্থাপনা করতে ভালোই লাগছে।







প্রাইমখবর ডটকম : ‘মেলায় যাইরে’ গানটির সৃষ্টির কথা যদি কিছু বলেন।



মাকসুদুল হক : আমি যখন ব্যান্ড মিউজিকের সঙ্গে জড়িত হলাম তখন খ্রিষ্টীয় নববর্ষের অনেকগুলো অনুষ্ঠান করেছি। তখন মনে হলো ‘নিউ ইয়ারে’ যে স্বতঃস্ফূর্ত ভাব সেটা কেন আমাদের নববর্ষে আসবে না। এটার সঙ্গে মেলাটাকে যুক্ত করা। আমি ১২টি গানের একটি অ্যালবামের জন্য গান তৈরি করলাম। তখন মনে হলো গ্রামেই আমাদের শেকড়। ওখানে বৈশাখী মেলার উৎসবটা গুরুত্বপূর্ণ। মেলা বেঁচে থাকলে বৈশাখ বেঁচে থাকবে, আদি মানুষগুলো বেঁচে থাকবে। ৯৫/৯৬ তেও বৈশাখে যে কনসার্ট হবে একথাটা চিন্তা করাও ছিলো অপসংস্কৃতি। যে কোনোও বিষয়ে রক্ষণশীলতা অতিক্রম করতে গেলে একটা চরম মূল্য দিতে হয়। সংস্কৃতি সবসময় পরিবর্তনশীল। একটা গান লিখবো সেটা হিট হবে এরকম চিন্তা ছিলো না। ‘মেলায় যাইরে’ গানটি মনের তাগিদ থেকে লিখেছি। কেন আমাদের নববর্ষ পহেলা বৈশাখের চিন্তাটা এতো রক্ষণশীল হবে।



প্রাইমখবর ডটকম : পাইরেসি এখন সংগীত জগতের আলোচিত বিষয়। পাইরেসি সংগীত জগতকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। পাইরেসি প্রতিরোধে আপনারা কি করছেন ?



মাকসুদুল হক : আমি ব্যক্তিগতভাবে এবং বাংলাদেশ ব্যান্ড মিউজিক এসোসিয়েশনের মাধ্যমে পাইরেসি বন্ধ করার চেষ্টা করেছি নানাভাবে। কপিরাইট আইনি ফোরাম নামে একটি ফোরামের সঙ্গে তিন বছর যাবত কাজ করছি। বেশ কিছু সেমিনার সিম্পোজিয়ামও হয়েছে। সরকারের সঙ্গেও কয়েকদফা বসেছি। আমাদের দেশে পাইরেসি বিরোধী আইন আছে কিন্তু তার শক্ত প্রয়োগ নেই। শুধুমাত্র গানের ক্ষেত্রে নয় সৃজনশীল প্রতিটি কাজে পাইরেসি চলছে। চৌর্যবৃত্তি বা দুর্বৃত্তায়ন এমন একটি জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে, সরাসরি রাষ্ট্রের সাহায্য নিয়ে গণসচেতনতা তৈরি করতে হবে। এখনই যদি সরকার সচেতন না হয় তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই এতে ধস নামবে।



প্রাইমখবর ডটকম : বাংলাদেশে যারা প্রথম ব্লগ লেখা শুরু করেন আপনি তাদের মধ্যে অন্যতম। ধর্মকে ব্লগে অবমাননা করায় ব্লগার শব্দটা এখন অনেক ক্ষেত্রে গালিতে পরিণত হয়েছে।



মাকসুদুল হক : যারা ব্লগ সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন অনেকেরই ব্লগ সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই। ব্লগ আমাদের কাছে নতুন হলেও উন্নত বিশ্বে পুরনো। আমিইতো ১৫-১৬ বছর হলো ব্লগ লিখছি। ব্যক্তি স্বাধীনতা বলে একটা কনসেপ্ট আছে। একজন ব্যক্তি কিন্তু একটি দ্বীপ না। এই বিশ্বেরই একটি অংশ। ব্লগ তৈরি হয়েছে মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার অভাবে। ব্লগে যেহেতু কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। যার যা খুশি তা লিখতে পারে, অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করতে পারে। এটা ব্যক্তির রুচির উপর নির্ভর করে। এটা ব্লগের দোষ না। এটা ব্যক্তির দোষ। একেবারে ব্লগে কোনো ধর্মের অবমাননা হয়নি এটা কিন্তু মিথ্যা কথা। বেশ কিছু ব্লগে ধর্মকে হেয় করা হয়েছে। আমি খেয়াল করেছি ব্লগে যে লেখাগুলো এসেছে এগুলো নতুন কিছু নয়। ইসলাম বিরোধী ধর্ম বিরোধী ব্লগ আছে। কিছু জেহাদী ব্লগ আছে। সেগুলোকে তরজমা করে মানুষের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। এতে কেউ কেউ লাভবান হচ্ছে। যারা এগুলোকে পত্রিকায় ছাপিয়েছে তারা প্রচণ্ড দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। গণজাগরণ মঞ্চের উত্থাপনের পর ব্লগার নামে একটি বিপ্লবী শ্রেণী তৈরী হয়েছে। কিছু মানুষ নাস্তিকতাকে ফ্যাশন মনে করে। নাস্তিক না হলে আমি সমাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবো না। আমি ইসলাম ধর্মকে রসুলকে হেয় করে কথা বলতে পারি। কোরআনের বিপক্ষে কথা বলতে পারি। আমি কোনো কিছুকে কেয়ার করি না। এটা এক ধরনের স্ট্যান্ডবাজি। দুই গোত্রের উদ্দেশ্য একই। মানুষকে উসকাতে হবে। বাংলাদেশে আমরা ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলি এটার অর্থ এই নয় যে, আমরা ধর্ম বিরোধী। আমরা ধর্মভীরু একথাও আমি মানবো না। সকল ধর্মের প্রতি আমাদের সম্মানবোধ আছে। দুপক্ষেরই কয়েকটি লোকের জন্য আমাদের ৪২ বছরের যে অর্জন তা হারাতে বসেছি। এটা খুবই দুঃখজনক।



প্রাইমখবর ডটকম : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।



মাকসুদুল হক : আপনাকেও ধন্যবাদ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.