নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিসের লাগিয়া জনম লইয়া কি করিতে কি করিতেছি আপনারে ভুলিয়া

কালের হরকরা

সাড়ে তিনহাত পথে সাত্যকি বেদুঈন কিংকর্তব্যবিমূঢ়

কালের হরকরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্রষ্টা ও মানুষ-০২

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১১

স্রষ্টা ও মানুষ-০১ (পূর্ববতী লিখন)


স্রষ্টা আজাজিলকে বলিলেন মানুষ তৈয়ারি কর, আজাজিল তৈয়ারি করিল। কিস্তু কোন রুপের ভিত্তিতে? ইহার পূর্বে কি আজাজিল মনুষ্যরুপ সম্পর্কে অবগত রহিয়াছিল? ইহার কোন বর্ণনা কোথায় রহিয়াছে?

আচ্ছা ইহাও বাদ দিলাম। পরবর্তীতে তাঁহার ফেরেশতাকূল বা সভাসদ বা দেবতাকূল সকলদিগকে আদমকে সেজদা বা আদমের সম্মুখে মাথা নত করিতে বলিলেন। সকলেই করিল কিন্তু আজাজিল করিলনা। অতএব তাহাকে ফেরেশতাকূল হইতে বিতারিত করা হইল। অথচ আজাজিল ছিল সব থাকিয়া বেশী ইবাদতের মালিক। অতএব, ইহা প্রমাণিত যে, শুধুই ইবাদতের লাগিয়া স্রষ্টার সৃষ্টি নহে।

স্রষ্টা জানিতেন আদম বেহেশতে বা স্বর্গে বেশিদিন রহিতে পারিবে না, তাহাকে পৃথিবীতে নিক্ষেপন করা হইবে। তাহা হইলে কেন তাহাতে সরাসরি প্রেরণ করিলেন না? অতএব ইহা হইতেও আমাদের অনেক কিছুই শিখিবার রহিয়াছে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৮

মাসূদ রানা বলেছেন: আপনার হয়তো জানা নাই, স্রষ্টার নির্দেশ পালন করাও একটা ইবাদত .... অলসতার কারনে ইবাদত পালন না করা আর অহংকারবশত ইবাদত পালনে অপারগতা প্রকাশ করা এক নয় :)

আর স্রষ্টা আজাজিলকে মানুষ তৈরী করতে বলার পূর্বেই আজাজিলের ভেতর মনুষ্যরুপের জ্ঞান দান করেছিলেন । সেই জ্ঞান থেকেই আজাজিল মানুষ তৈয়ার করিয়াছিলেন ।

আশা করি বোঝাতে পেরেছি । বাল থাকুন ।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩৭

কালের হরকরা বলেছেন: ধন্যবাদ এজন্য যে, একটি অথর্ব লিখনিখানি ধৈর্য ধরিয়া পড়িয়াছেন।
ক্ষমা প্রার্থনীয় যে, আমার লিখনির বক্তব্য হয়তো আমি সঠিকভাবে উপস্থাপন করিতে পারিনাই।

"আর স্রষ্টা আজাজিলকে মানুষ তৈরী করতে বলার পূর্বেই আজাজিলের ভেতর মনুষ্যরুপের জ্ঞান দান করেছিলেন । সেই জ্ঞান থেকেই আজাজিল মানুষ তৈয়ার করিয়াছিলেন ।" - এই কথাটি মহামান্য আপনি কোথা হইতে পাইয়াছেন আমার বোধগম্য হইলনা।

আপনার ইবাদতের ব্যাখ্যায় আমার কৌতুহলী মনে আবারও নতুন একখানি ভাবনার উদয় হইল। তাহা হইলে কি স্রষ্টা "মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেট" কর্তাদের ন্যায়? সারাবছর ভালোকাজ করা সত্ত্বেও মাত্র একখানি ভুলের জন্য কর্মচারীর সকল ভালোকর্মগুলির ফলাফল শূণ্য হইবে? আমার জানামতে স্রষ্টা পরম দয়ালু। ক্ষমাই তাঁর অলঙকার।

ভালো থাকবেন।

২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৪

অন্যসময় ঢাবি বলেছেন: স্রষ্টাকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে অনেক কিছুই গোলমেলে মনে হবে; তিনি অন্য সত্ত্বা- আমাদের মত উদ্দেশ্য বিধেয় নিয়ে তার কাজ করার প্রয়োজন আছে বলে বোধ হয় না।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫৪

কালের হরকরা বলেছেন: ধন্যবাদ।
"আমি পৃথিবীতে আমার খলিফা বা প্রতিনিধি সৃষ্টি করিব" - আল কোরআন
"অতঃপর আমার রুহ হইতে তাহার অভ্যন্তরে ফুৎকার দিলাম" - আল কোরআন
"আর আমার দাসত্বের জন্যই মানুষ এবং জ্বিনকে সৃষ্টি করিয়াছি" - আল কোরআন

মহামান্য, আমি যাঁহার প্রতিনিধি এবং যাঁহার পবিত্র রুহের নূরানী আমার অভ্যন্তরে, তাঁহার উদ্দেশ্য-বিধেয় না জানিলে তো আমি শূণ্য। কি করিয়া তাঁহার দাসত্ব করিব?

শুভকামনা রহিল। ভালো থাকিবেন।

৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৮

মাসূদ রানা বলেছেন: এই কথাটি মহামান্য আপনি কোথা হইতে পাইয়াছেন আমার বোধগম্য হইলনা।

সকল জ্ঞানের উৎসই এক আল্লাহ তায়ালা.... এব্যপারে আপনের কোন কনফিউশন নাই আমার বিশ্বাস ।

আপনার ইবাদতের ব্যাখ্যায় আমার কৌতুহলী মনে আবারও নতুন একখানি ভাবনার উদয় হইল। তাহা হইলে কি স্রষ্টা "মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেট" কর্তাদের ন্যায়?

আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টিই আসল, মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ পাক বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট হলে পরে বান্দার সকল গুনাহই ক্ষমা করতে পারেন :)

সারাবছর ভালোকাজ করা সত্ত্বেও মাত্র একখানি ভুলের জন্য কর্মচারীর সকল ভালোকর্মগুলির ফলাফল শূণ্য হইবে? আমার জানামতে স্রষ্টা পরম দয়ালু। ক্ষমাই তাঁর অলঙকার।

নিশ্চই তিনি ক্ষমাশীল, তবে ওনার ক্ষমা পেতে হলে প্রথম ওনার কাছে আত্মসমর্পন করে ক্ষমা চাইতে হবে। কেও ক্ষমা চাইলে আল্লাহ পাক তাকে নিরাশ করেন না ::

Allah is All-Pardoning, Ever-Forgiving. (Surat Al-Hajj, 60)

আশা করি বোঝাতে পেরেছি । ভালো থাকুন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.