নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়

শমীক বন্দ্যোপাধ্যায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্মসম্মান

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৫

চানাওয়ালাটা ঠিক চারটে বাজলেই দত্তদের বাড়ির সামনে দিয়ে হেঁকে যায় , “চানা লিবে গো গরম চানা” । দত্তদের বছর দশেকের মেয়ে রোশনি অপেক্ষা করে থাকে এই মুহূর্তটার জন্যই। সে ছুটে এসে অমনি বলবে, “ দেখি দু’টাকার চানা”।
রোশনি রোজ দ্যাখে ও যখন চানা কেনে তখন ওর বয়সীই সামনের বস্তির একটা ছেলে জুলজুল করে তাকিয়ে থাকে দূর থেকে তবে কোনদিন সামনে এসে চায়নি। রোশনির খুব কষ্ট হয় এদের জন্য। মনে মনে ভাবে --- আহারে! কত কষ্ট এদের। সামান্য দুটাকার চানাও কিনে খেতে পারেনা।অথচ তারা......।
আজ রোশনি চানা কেনার আগে আড়চোখে একবার দেখে নিয়েছে ছেলেটাকে, তারপর দুটো ঠোঙা চানা কিনেছে। কেনার পর এগিয়ে যায় ছেলেটার দিকে। একটা ঠোঙা বাড়িয়ে মিষ্টি হেসে বলে, “নাও”।ছেলেটা মুখে কিছু বলে না। শুধু ঘাড় নেড়ে জানায় সে নেবে না। এবার রোশনি খানিকটা জোর করে বলে, “ আমি বলছি নাও, নাহলে দুঃখ পাব”। এবার ছেলেটা কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত-ভাবে হাত বাড়িয়ে চানার ঠোঙাটা নিয়ে উল্টোদিকে ফিরে দে দৌড়।

মাঝে কেটে গেছে কয়েকমাস। আজও রোশনি রোজ ওই চানাওয়ালার কাছ থেকেই চানা কিনে খায়।কিন্তু, আর কোনদিন দ্যাখা যায়নি ওই ছেলেটাকে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৬

সুমন কর বলেছেন: ছোট গল্প হিসেবে ভালো হয়েছে। ছবিটি পোস্টের শুরুতে উপরে দিলে দেখতে ভালো হবে।

শুভ ব্লগিং...... !:#P

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৩

শমীক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন: আপনার অনুপ্রেরণা পেয়ে উৎসাহিত বোধ করছি। এবার থেকে ছবি ওপরে রাখব। শুভেচ্ছা অফুরান।

২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: অনু গল্প ভালোলেগেছে।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৪

শমীক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন: ভীষণ প্রাণিত হলাম। শুভেচ্ছা অফুরান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.