![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দৌলতদিয়া বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় যৌনপল্লী। সেখানে বসবাসকারী যৌনকর্মীদের বেশ কিছু কন্যা সন্তান রয়েছে। এরা স্কুলে যায়। এক সন্ধ্যায় সেখানে যেন উৎসব শুরু হয়ে গেল। কি ব্যাপার? সেফ হোমের একটি মেয়ে এসএসসি পাস করেছে। এই খবরে সেখানকার শিশুরা হৈ হৈ আনন্দ শুরু করল। ভীষণ সংক্রামক সে আবেগ। এর পেছনে দীর্ঘ ও কষ্টকর এক ইতিহাস আছে। কয়েক বছর আগেও যৌনকর্মীদের সন্তানদের স্থানীয় কোনো বিদ্যালয়ে ভর্তি করা হতো না। এক সংস্থা এমন একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করে যেখানে যৌনকর্মীদের সন্তানসহ এলাকার যে কোনো শিশু ভর্তি হতে পারবে। এক পর্যায়ে কিছু মানুষ তাতে আগুন লাগাতে গিয়েছিল। অভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষকদের মিটিংয়ের সময় যৌনকর্মী মায়েদের আলাদাভাবে বসতে হতো। শ্রেণীকক্ষেও তাদের সন্তানদের পাশে অন্যরা বসত না। এখন সে অবস্থা অনেকটা পাল্টেছে। যৌনকর্মীর ছেলেমেয়েরা অন্য শিশুদের সঙ্গে একসঙ্গে পড়ছে, খেলছে, বন্ধুত্ব করছে। কেউ কেউ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। বেশ কয়েকজন স্কুলের গন্ডী পেরিয়েছে। কিন্তু সমাজে তাদের অবস্থান কেমন? সেফ হোমে বসবাসকারী একটি মেয়ে প্যারামেডিকেল কোর্স করে এক ডাক্তারের চেম্বারে কাজ করছিল। ডাক্তারের দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার ঝুঁকি ছিল তার। যারা কাছ থেকে ঘটনাটি দেখেছে তাদের ব্যাখ্যা, ‘যৌনকর্মীর সন্তান জানার পরই ডাক্তার ভেবেছিল মেয়েটি সহজলভ্য হবে।’ মায়ের পেশা যেন সারাজীবনের জন্য যৌনকর্মীদের ছেলেমেয়েদের পরিচিতির অংশ হয়ে যায়। বিস্তারিত...‘বুঝলাম যে, আমরাও মানুষ’
©somewhere in net ltd.