![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবশেষে কী দেশে গৃহযুদ্ধ বাধবে? এমন প্রশ্নের সম্মুখিন হতে হচ্ছে স্বজন-পরিজন, পরিচিত জনদের। কিন্তু এরতো কোন সঠিক উত্তর মিলছে না। আবার এ আশঙ্কাটা একেবারে ফেলনাও নয়। গৃহযুদ্ধের আশঙ্কাটা আরও তীব্র করে তুলেছে আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যে। গতকাল দলীয় এক সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, আমরা অনেক ধৈর্য্যরে পরিচয় দিয়েছি। ধৈর্য্যরে বাঁধ সীমায় পৌছে গেছে। বিজয় দিবসের পরদিন থেকে যেখানেই আঘাত সেখানেই পাল্টা আঘাত করা হবে। একদিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট টানা অবরোধ হরতাল দিচ্ছে। হরতাল অবরোধের আগুনে পুড়ে মরছে নিরীহ নিরপরাধ মানুষ। তাছাড়া গত ১২ ডিসেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের পর সারাদেশে জামায়াতি তান্ডব চলছে। জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা হত্যা, নির্যাতনসহ সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে দাঙ্গা-হাঙ্গামায় নিজেরাও মরছে। কাদের মোল্লার ফাঁসির পর গতকাল পর্যন্ত দেশে লাশ পড়েছে ২০টিরও বেশি। আর কত লাশ পড়বে কেউ জানেন না। দেশের রাজনীতি নিয়ে বিদেশীরা দূতিয়ালী করেও কিছু করতে পারছেন না। হাসিনা-খালেদা কেউ কাউকে ছাড়ছে না। বিরোধী দল আন্দোলন করবে। সরকার ও সরকারি দল তা প্রতিহত করবে। অর্থাৎ আরও সংঘর্ষ-হানাহানিও লাশ নিশ্চিত। রাজনীতির নামে মানুষের জীবন-মৃত্যু নিয়ে এ নিষ্ঠুর খেলায় কারও একটুও দ্বিধা নেই। মানবিকতার বদলে নিষ্ঠুরতাই স্থায়ীভাবে গ্রাস করে বসেছে রাজনীতিকে।
৯০’র পর অহিংস ফয়সালা দেশের রাজনীতিতে আর আসেনি। এরশাদ হটাও আন্দোলনে বৃহৎ দুই দল বা দুই জোট দিনের পর দিন হরতাল-অবরোধে দেশকে অস্থির করেছে। তাদের ভাষায় সেটা ছিল বিপ্লব, সংগ্রাম, আন্দোলন। জ্বালাও-পোড়াওকে বলা হয়েছিল গণতান্ত্রিক সংগ্রাম। লাশ পড়লে বলা হয়েছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নমুনা। এরশাদের বিরুদ্ধে দুই নেত্রীর সম্মিলিত সংগ্রাম পরবর্তীতে দুই নেত্রী ও তাদের দল পরস্পরের বিরুদ্ধে কাজে লাগিয়েছেন এবং এখনো লাগাচ্ছেন। এক দল আরেক দলের বিরুদ্ধে জ্বালাও-পোড়াও করে গণতন্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা করছে। যিনি আক্রান্ত হন তিনিই জ্বালাও-পোড়াওয়ের সমালোচনা করেন। দফায় দফায় ৯০ পরবর্তীতে মানুষ এ নিষ্ঠুর তামাশা দেখে আসছে। এখন দেখছে নিষ্ঠুর বর্বরতা। কিন্তু নোংরা রাজনীতির এ বর্বরতা আর কতদিন চলবে সোনার বাংলাদেশে?
©somewhere in net ltd.