নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাঙালী তীরন্দাজ

বাংলাদেশ আমার অহঙ্কার

বাঙালী তীরন্দাজ

লেখা আমার নেশা, লেখা আমার পেশা

বাঙালী তীরন্দাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিক্স মার্ডার: তিন কারণ তদন্তে গোয়েন্দারা

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮



রাজধানীর গোপীবাগে সিক্স মার্ডারের রহস্য উšে§াচনে তিন কারণ সামনে রেখে তদন্ত এগোচ্ছেন গোয়েন্দারা। এরমধ্যে পূর্ব শত্র“তা ও ধর্মীয় মতবাদ ও জঙ্গিবাদের যোগসূত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

গত শনিবার সন্ধ্যায় গোপীবাগের আর কে মিশন রোডের জজ গলির ৬৪/৬নং বাড়ির দোতলার ফ্ল্যাটে মুখে প্লাস্টিক টেপ এঁটে বাবা-ছেলেসহ একে একে ছয় জনকে গলা কেটে হত্যা করে অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্তরা। এ পৈশাচিকতার ছাপ এখনো লেগে আছে বাড়ির ওই কক্ষ দুটিতে। যেখানে একজনের সামনে নির্মমভাবে আরেকজনকে কসাইয়ের কায়দায় জবাই করে হত্যা করেছে ঘাতকরা। হত্যাকাণ্ডের সময়ের নানান বর্ণনায় পরিবারের সদস্যদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে ওই এলাকার পরিবেশ। লুৎফর রহমানের স্ত্রী সালমা বেগমও স্বামী-সন্তান হারানোর শোকে পাগল প্রায়। বিলাপ করছেন আর বার বার বলছেন, আমি তাদের বলেছি, তোমরা আমার সবকিছু নিয়ে যাও, তবুও ওদের মেরো না। ওদের জীবন ভিক্ষা দাও। ঘাতকরা কোনো কথাই শোনলনা। পাল্টা যাওয়ার সময় মোবাইলে ফোনে দম্ভ করে বলে গেলো, সবগুলোকে জবাই করে গেলাম।

লুৎফর রহমান জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলতেন। এজন্য আগেও বিভিন্ন সময় জঙ্গিগোষ্ঠী তার ও পরিবারের ওপর হামলা চালিয়েছিল। লুৎফর রহমান নিজেকে ইমাম মাহাদীর সেনাপতি পরিচয় দিয়ে জঙ্গিবাদবিরোধী মতাদর্শ প্রচার করতেন। তাদের ধারণা এ ঘটনার সঙ্গে জঙ্গিদের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে।

লুৎফর রহমানের ছোট ছেলে আবদুল্লাহ আল ফারুক কাছে দাবি করেন, সাত-আট বছর আগে যাত্রাবাড়ীর বিবিরবাগিচায় তার বাবা ও বড় ভাইয়ের ওপর হামলা চালিয়েছিল মুফতি হান্নানের অনুসারীরা। এর পরও বিভিন্ন সময়ে তাদের ওপর হামলার চেষ্টা হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় কোনো জঙ্গিগোষ্ঠী এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে সন্দেহ করছেন তিনি।

তার দাবি, লুৎফর রহমান ১৯৯৭ সাল থেকে নিজেকে ইমাম মাহাদীর সেনাপতি দাবি করে আসছেন। তিনি প্রচলিত পীরদের মতাদর্শ ও উগ্র মৌলবাদ জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কথা বলতেন এবং লেখালেখিও করতেন।

লুৎফর রহমানের ভিজিটিং কার্ডে দেখা গেছে, সেখানে লেখা আছে কমান্ডার ইন চিফ অব ইমাম মাহাদী অ্যান্ড স্যাভিউর অব দ্য ওয়ার্ল্ড। হিজবুল মাহাদী নামের একটি ওয়েবসাইটের ঠিকানাও ওই ভিজিটিং কার্ডে লেখা আছে। তার বাসায় নিজের লেখা একটি বই পাওয়া গেছে, যাতে ইমাম মাহাদী, দজ্জাল সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত লিখেছেন তিনি। ওই বইতে দেখা গেছে, তিনি মুফতি ফজলুল হক আমিনী ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীদের বিরুদ্ধেও লেখালেখি করেছেন। এ ছাড়া বইটিতে কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের সমালোচনাও করেছেন তিনি।

অন্যদিকে গতকাল সকালেও বাড়িটি ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে। উৎসুক জনতা বাড়ির সামনে জড়ো হলেও তাদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এরই মধ্যে ঘাতকদের শনাক্তের কাজ শুরু করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

গতকাল মামলাটির তদন্তভার ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে তিন কারণ সামনে রেখে হত্যারহস্য উšে§াচন ও ঘাতক সনাক্ত করতে মাঠে নেমেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। মামলার কাগজপত্র ওয়ারী থানা থেকে ডিবির কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.