![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি চন্দ্র দেখেও এত আপ্লুত হই না আমি সুর্য দেখেও এত আপ্লুত হই না পৃথিবীকে দেখে যত না আপ্লুত হই
বাসযাত্রী হাসেম মিয়া ঝিমোচ্ছিলেন নিশ্চিন্তে,
সারা’গা চাদরে মোড়া, বসেছিলেন সবশেষে জানালার পাশে।
হঠাৎ কানফাটা শব্দ, হৈচৈ, চাদরে আগুন, জানালা দিয়ে লাফ,
প্রাণ বাঁচালেন কোনোমতে।
শহরে ভরসা নেই ফিরতে হবে
তবে, যাত্রীসহ বাসে কেন আগুন বুঝতে হবে।
মিছিল থেকে শোর তুলেছে,
চোখ রাঙ্গিয়ে মুখ বাঁকিয়ে কান ফাটিয়ে,
কেউবা আবার হেসে,
আনতে হবে আনতে হবে,
গণতুন্ত্র আনতে হবে।
হাসেম মিয়া দোয়াপড়ে সারাগায়ে ফুঁ’দিয়ে বলে,
আমি ঘুণাকরি ঐ তন্ত্রে,
যার জন্যে মরতে বসেছিলাম আর একটু হলে।
পত্রিকায় ছবি আসে জ্বলছে গাড়ি পুড়ছে মানুষ,
তা’দেখে বোদ্ধারা সব হিসেব কষে মুচকি হেসে বলে,
গণতন্ত্রে সবই চলে, আন্দোলন? তারতো নেই কোনো শেষ।
আগে ছিলো হরতালের নামে একটু নরম,
এখন নাহয় অবরোধে আরো একটু বেশি গরম।
ভাষার জন্য সালাম রফিক জব্বার বরকতরাতো মরেছিলো গুলি খেয়ে,
আরো মরেছিলো অনেক গোলাম হোসেন।
গনতন্ত্রের জন্য বশিরুল্লাহ করিমউদ্দিন আসাদুজ্জামান শাহিনা আক্তাররা এখন
পুড়ে মরছে, আরো মরেছিলো নুর হোসেন।
মেম্বার চেয়ারম্যান মুরুব্বিদের এখন একই কথা,
মন তাদের নিরেট পাথর জড় পদার্থ,
যুগযুগ ধরে হয়েছে কালো, নেই কোনো অনুভুতি, ব্যাথা।
বলেন, বুঝলে হাসেম মিয়া? এমন কতই হয়েছে,
বেঁচে এসেছো, এইটাই বড়ো কথা।
আখেরে আমাদেরই লাভ হবে,
চা’র দাম দিয়ে দাও, হাতে সময় নেই, ঘরে যেতে হবে,
তারানকো সাহেব এসেছেন,
কি বলেন? দেখতে হবে টিভি’তে।
©somewhere in net ltd.