নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমি হাসান নামেই আমি পরিচিত

মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার, ধর্মান্ধতা ও দলান্ধতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।

বাংলার হাসান

অমি হাসান নামেই আমি পরিচিত এই নামে অন্য ব্লগার থাকায় হয়ে গেলাম বাংলার হাসান। ইতিহাস হলো একটি জাতির দর্পন। ইতিহাস অসচেতন জাতি কোন দিন প্রকৃত দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধে উজ্জীবিত হতে পারে না।

বাংলার হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বর্তমান পরিস্থিতিতে মৌলবাদ বিরোধী যে রাজনৈতিক শক্তির প্রয়োজন তা কোন দলের ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠা সম্ভব ন

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০০

বর্তমান পরিস্থিতিতে মৌলবাদ বিরোধী যে রাজনৈতিক শক্তির প্রয়োজন তা কোন দলের ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠা সম্ভব নয়

১৯৭২ সালে বাংলাদেশে যে সংবিধান রচনা ও কার্যকর করা হয়, তা ব্রিটিশ-ভারত ও পাকিস্তানি রাষ্ট্র কাঠামোর অনুকরণেই প্রণীত। তখন থেকেই বাংলাদেশে ঔপনিবেশিক আদলে রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও শাসনব্যবস্থার শুরু। সেই কারণে ঔপনিবেশিক আমলের শাসক-শাসিতের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ সম্পর্কের পরিবর্তন করতে কেবল ব্যর্থই হয়নি, এই সংবিধান সামগ্রিকভাবে সেই সম্পর্ককে আরো জটিল ও পাকাপোক্ত করছে। এই সংবিধানের কারণই দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার রাজনীতি শুরু হয়, জনগণের মধ্য দল ভিত্তিক রাজনীতি করার সুবাদে প্রতিযোগিতামূলক আচরণ দেখা দেয়। জনগণের মধ্য অনৈক্যের ফাটল সৃষ্টি হয় এবং বারবার সহিংসতা জন্ম দেয়। এই দলীয় গণতন্ত্রের সুবাদেই মৌলবাদীরা দল গঠনের সুযোগ পায়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল মৌলবাদীদেরকে পক্ষে রেখে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করেছে। এর ফলে জামায়াতের মত মৌলবাদী শক্তির প্রসার ঘটেছে অস্বাভাবিকভাবে। যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার স্বাধীনতার পর পরই হওয়ার উচিত ছিলো, তখন তা না করার কারণে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দীর্ঘসূত্রিতার বেড়াজালে আবদ্ধ।

বর্তমান পরিস্থিতিতে মৌলবাদ বিরোধী যে রাজনৈতিক শক্তির প্রয়োজন তা কোন দলের ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠা সম্ভব নয়। যেহেতু আমরা দেখছি বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনৈতিক আশ্রয়ে অনেক রাজাকারের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থান সুদৃঢ়, সেহেতু এসব দল তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনকে কৌশলগতভাবে সমর্থন দিলেও, মনে প্রাণে স্বচ্ছ রাজনৈতিক অবস্থান নেয়ার কোন পদক্ষেপ এদের মধ্যে নেই। তরুণ প্রজন্মের তারুণ্যকে দলীয়ভাবে কাজে লাগাবার সকল কলা-কৌশল প্রয়োগ করছে এই রাজনৈতিক দলগুলো। তরুণ প্রজন্মকে আজ আরো দৃঢ়তার সঙ্গে অগ্রসর হতে হবে। সমাজের তরুণদের সাথে কর্মজীবী-পেশাজীবী মানুষরাও যেন এই মৌলবাদের বিরুদ্ধের আন্দোলনে যুক্ত হতে পারে, সেই দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।

এই জন্য

(১) শাহবাগ থেকে ঘোষিত দেশের সর্বত্র শাহবাগ অনুরূপ প্রজন্ম চত্বর গড়ার সঙ্গে প্রত্যেক এলাকাভিত্তিক কর্ম-পেশার লোকেরা যেন অর্ন্তভুক্ত হতে পারে সেই ধরনের একটি নির্দেশনা থাকতে হবে।

আমরা মনে করি,

(২) গ্রামে-গঞ্জে পাড়া-মহল্লায়, বাজারে, প্রতি কারখানায়, প্রতি অফিসে, প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘প্রতিরোধ বিগ্রেড’ গড়ে তোলা অতি অবশ্যই করণীয় হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে।

(৩) মৌলবাদের জঙ্গী মনোভাবকে রুাখার জন্য এইসব বিগ্রেড নিজ নিজ এলাকার, নিজ নিজ কর্মের এবং নিজ নিজ পেশার সহকর্মীদের নিয়ে প্রতিনিয়ত মিছিল শোভাযাত্রা করতে হবে।

(৪) প্রতি এলাকায় যাচাই-বাছাই করে রাজাকারদের নামের তালিকা তৈরী করতে হবে। স্ব স্ব এলাকার প্রজন্ম মঞ্চে ঐ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। কেন্দ্রেও ঐ নামের তালিকা পাঠাতে হবে।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৩

স্বপনবাজ বলেছেন: সবার আগে দরকার জাতীয় ঐক্য !

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৯

বাংলার হাসান বলেছেন: সে কারনে এই কাজ করা গুলো করা দরকার।

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১০

দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: ভালো প্রস্তাব !

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৪

বাংলার হাসান বলেছেন: শুধু ভালো প্রস্তাব বলেলই কি চলবে? নাকি প্রস্তাব গুলোকে বাস্তবে রুপদানের চেষ্টা করতে হবে?

৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪

zahir বলেছেন: (১)আমি মনে করি প্রজন্ম চত্তরের আন্দোলের সাথে সংহতি প্রকাশ করে আন্দোলন কে নিরিন্তর সংগ্রামে পরিনত করা ।
(২) ৭১ এর শহীদ ও নির্যাতিতদের তালিকা প্রণয়ন করুন, তাদের পরিবার কে সংগঠিত করুন এবং রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ গঠনের পক্রিয়ায় তাদের যুক্ত করুন / অসমাপ্ত বিল্পব কে সম্পন্ন করার জন্য মুক্তি যোদ্ধা ,শহীদ, নির্যাতিতদের বংশধরদের সহ স্বাধীনতার স্ব-পক্ষের জনগনের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলুন / রাজাকার , আল-বদর , আল- শামস ও জামাতিদের চিহহ্নিত করুন এবং তাদের নিজে বর্জন করুন , অন্যকে বর্জন করতে আবেদন করুন
(৩) যাদের ফেসবুক একাউন্ট আছে তারা ফেসুকে এই বক্তব্য ছড়িয়ে দিন
(৪) সম্ভাব্য সব পরিচিত জন ও মাধ্যমে শেয়ার করুন এবং নির্মহ ভাবে আলোচনা করে এর গ্রহন যোগ্যতা যাচাই করুন ।
(৫) এস ব্রিগেড গড়ি Let Us Build Brigade ফোরামে যোগ দিন ।

http://www.facebook.com/buildbrigade

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩

বাংলার হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব।

৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১৫

বাংলার হাসান বলেছেন: ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে যে সংবিধান রচনা ও কার্যকর করা হয়, তা ব্রিটিশ-ভারত ও পাকিস্তানি রাষ্ট্র কাঠামোর অনুকরণেই প্রণীত। তখন থেকেই বাংলাদেশে ঔপনিবেশিক আদলে রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও শাসনব্যবস্থার শুরু। সেই কারণে ঔপনিবেশিক আমলের শাসক-শাসিতের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ সম্পর্কের পরিবর্তন করতে কেবল ব্যর্থই হয়নি, এই সংবিধান সামগ্রিকভাবে সেই সম্পর্ককে আরো জটিল ও পাকাপোক্ত করছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.