নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমি হাসান নামেই আমি পরিচিত

মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার, ধর্মান্ধতা ও দলান্ধতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।

বাংলার হাসান

অমি হাসান নামেই আমি পরিচিত এই নামে অন্য ব্লগার থাকায় হয়ে গেলাম বাংলার হাসান। ইতিহাস হলো একটি জাতির দর্পন। ইতিহাস অসচেতন জাতি কোন দিন প্রকৃত দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধে উজ্জীবিত হতে পারে না।

বাংলার হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সব নতুনের পথ খুলে যাবে আইনের সংশোধন।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪৮



আজকে প্রজন্ম চত্বরের দাবি ও সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রীদের বক্তব্য শুনে একটি ঘটনার মনে পড়লো। ডা: মিলনের স্মরণ সভায় কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছিলেন, পাকিস্তানী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন-যুদ্ধ হয়েছিলো। পাকিস্তানী জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হয়নি। বাংলাদেশের শাসকরা পাকিস্তানী ব্যবস্থা বজায় রাখছে, এই শাসকদের দ্বারা পাকিস্তান রক্ষার চেষ্টা করেছিলো যারা তাদের বিচার করা সম্ভব নয়’।



৭২ সনে প্রণীত সংবিধান বিদেশী (ঔপনিবেশিক) প্রশাসনিক কাঠামো ও শাসনব্যবস্থা বহাল রাখলো, মুখে-বক্তৃতায় স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এ ধরণের বহু কথা উচ্চারিত হলো। যে কোন দেশের সংবিধানের আলোকেই জনগণের জীবন-জীবিকা, নৈতিকতা এবং সামাজিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু সমাজ চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন আমাদের সংবিধান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি। এই অনুকরণীয় সংবিধান দক্ষ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক মানুষের শাসন গড়ে তুলতে ব্যর্থ হলো। দেশের রাজনীতি ও শাসনব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়লো। এসবের কারণে রাজনীতিতে দুর্নীতিবাজ-ব্যবসায়ী, মাস্তান, যুদ্ধাপরাধীদের আর্বিভাব ঘটলো। গণতন্ত্রের পোষাক পড়ে এসব মানুষগুলো রাজনীতিকে ব্যক্তিগত ও দলীয় স্বার্থ উদ্ধারের কাজে ব্যবহার করলো। এই দলীয় রাজনীতির কারণে মৌলবাদী রাজনীতি সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে খুটি গেড়ে বসলো। আমাদের দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো এই সব মৌলবাদীদেরকে নিজেদের ক্ষমতা আরোহনের সহযোগী হিসেবে ব্যবহার করলো। সেই কারণেই আজকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দীর্ঘ সূত্রিতার বেড়াজালে আবদ্ধ। এই মৌলবাদী সংগঠনসমূহ ধর্মে আবরনে হিংসাত্ম কর্মকা- পরিচালনা করছে।



মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের বক্তব্যের আরেকটি অংশ তুলে ধরছি। ‘ব্যক্তি স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়নি, স্বৈরাচারী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছিলো। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য ব্যক্তি স্বৈরাচারের পতন হলেও স্বৈরাচারী ব্যবস্থার পতন ঘটেনি’।



এ কথাগুলোর সুর ধরে যা দেখতে পেলাম আমাদের প্রজন্ম চত্বর থেকে যে ৬ দফা দাবি তোলা হয়েছে, তার একটির আংশিক বাস্তবায়নের পথ ধরেছে সংসদে আইন পাশের মাধ্যমে। আমরা যেহেতু এখনও বিদেশি শাসন-আইন-কানুন দ্বারা পরিচালিত সেহেতু সংশোধিত আইনেও বহু ফাঁক-ফোকর থেকে যাবে। এসব ফাঁক-ফোকর দিয়েই ফাঁসির আসামিকে যাবজীবন কারাদ- দেয়া হয়; দুর্নীতিবাজরা জামিন পায়: সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রীয় ছত্রছায়ায় অপকর্ম চালাবার সুযোগ পায়। তরুণ প্রজন্ম এসব বিষয় বিবেচনা করেই আজকের আন্দোলনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। এটাই

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:০৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাই আইন অনেক আছে যাই যথাযথ প্রয়োগ । ভাল লিখেছেন।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:১১

বাংলার হাসান বলেছেন: বিদেশী (ঔপনিবেশিক) প্রশাসনিক কাঠামো ও শাসনব্যবস্থা বহাল রাখলে আইন যতোই থাকুক পরিবর্তন আসবে না।

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১২

বাংলার হাসান বলেছেন: ৭২ সনে প্রণীত সংবিধান বিদেশী (ঔপনিবেশিক) প্রশাসনিক কাঠামো ও শাসনব্যবস্থা বহাল রাখলো, মুখে-বক্তৃতায় স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এ ধরণের বহু কথা উচ্চারিত হলো। যে কোন দেশের সংবিধানের আলোকেই জনগণের জীবন-জীবিকা, নৈতিকতা এবং সামাজিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু সমাজ চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন আমাদের সংবিধান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি।

৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪

বাংলার হাসান বলেছেন: আত্মতুষ্টি নয় বরঞ্চ প্রয়োজন আত্ম-সমালোচনা।

যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন নিয়ে সমগ্র দেশের মানুষের মাঝে বিরাজ করছে হতাশা। খোদ যারা এই আন্দোলনের শুরু লগ্ন থেকে আছেন তাদের মাঝেও একই অনুভূতি, কিন্তু কেন?

আপনি কি মনে করেন এই আন্দোলনের মাধ্যমে ৪২ বছরের না পাওয়া গুলোকে আদায় করে নেয়া সম্ভব?
তাহলে আসুন আলোচনা করি নিজেদের ভুল গুলো থেকে বের হয়ে কি ভাবে আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করা যায়। সৃষ্টি করি এক নতুন ইতিহাস, যা শুধু স্বরনীয় নয় হয়ে থাকবে পৃথীবির বুকে অনুকরনীয় ।

৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১৩

বাংলার হাসান বলেছেন: গণতন্ত্রের পোষাক পরে এসব মানুষগুলো রাজনীতিকে ব্যক্তিগত ও দলীয় স্বার্থ উদ্ধারের কাজে ব্যবহার করলো। এই দলীয় রাজনীতির কারণে মৌলবাদী রাজনীতি সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে খুটি গেড়ে বসলো। আমাদের দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো এই সব মৌলবাদীদেরকে নিজেদের ক্ষমতা আরোহনের সহযোগী হিসেবে ব্যবহার করলো। সেই কারণেই আজকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দীর্ঘ সূত্রিতার বেড়াজালে আবদ্ধ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.