নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমি হাসান নামেই আমি পরিচিত

মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার, ধর্মান্ধতা ও দলান্ধতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।

বাংলার হাসান

অমি হাসান নামেই আমি পরিচিত এই নামে অন্য ব্লগার থাকায় হয়ে গেলাম বাংলার হাসান। ইতিহাস হলো একটি জাতির দর্পন। ইতিহাস অসচেতন জাতি কোন দিন প্রকৃত দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধে উজ্জীবিত হতে পারে না।

বাংলার হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসাম্প্রদায়ীক ও ধর্মনিরপেক্ষতার ব্যাখা কি? আর মুক্তমনা কাকে বলে?

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪০



বর্তমানে আমাদের সমাজে বুদ্ধিজীবি মহলে তিনটি শব্দ খুব বেশি উচ্চারিত হতে দেখা যায়। শব্দ তিনটি হলো; অসাম্প্রদায়ীক, ধর্মনিরপেক্ষতা, ও মুক্তমনা। সমাজ ব্যবস্থার আদি ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় এক সময় মানুষ বসবাস করতো গোত্রভুক্ত হয়ে। তারই ধারাবাহিকতায় ধীরে ধীরে ভিন্ন গোত্রের সমষ্টিতে গড়ে উঠে সমাজ বা রাষ্ট্র। পৃথিবীতে সংখ্যার দিক দিয়ে দেখা যায় সিংহ ভাগ মানুষই কোন না কোন ধর্মে বিশ্বাসী। এখন প্রশ্ন হলো কোন ধর্মে বিশ্বাসী একজন মানুষ কি করে ধর্মনিপেক্ষ হয়? তা কি আদৌ সম্ভব, না এটা একটি ভাওতাবাজী?



অসাম্প্রদায়ীক শব্দটা নিজের বেলায় কতটুক গ্রহনযোগ্য? আমি যখন দাবী করি আমি একজন মুসলিম ও বাঙালী। ধর্ম বিশ্বাসের কারনে পৃথিবীর সকল মুসলমান একই সম্প্রদায়ে কিন্তু আমি যখন আমার বাঙালী পরিচয় বহন করি তখন কি আমি আর অসাম্প্রদায়ীক থাকতে পারি?

আমাদের সমাজে আজ মুক্তমনা বুঝাতে গিয়ে এর ধারক বাহকগন যে কর্ম গুলো করেন তা কি মুক্তমনা না বেহায়াপনা? মুক্তমনা-শব্দগত অর্থের দিকে গেলে দাড়ায় মুক্ত চিন্তা । যার মানে দাড়ায় আপনি কোন আইনের মধ্যে আবদ্ধ নন। যখন কেউ একাকী অবস্থান করে তখন সেই মুক্তভাবে থা্কতে পারে বা মুক্তভাবে চিন্তা করতে পারে কিন্তু সমাজে বসবাস করতে হলে সেই সমাজের নিয়ম কানুন, কৃষ্টি-কালচার মেনে চলতে হয় । যে দেশে বসবাস করি সে দেশের আইন-কানুন মেনে চলতে হয় তাহলে সে মুক্তমনা হল কিভাবে ?



ইদানিং বারবার কেন যেন মনে হয় খেই হারিয়ে ফেলছি আমরা এই তিনটি শব্দজটে।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর লেখা
শব্দ তিনটি
যথাবহুল ব্যবহার ও কাজ
অবশ্যই একজন মানুষ কে
মানুষ নামে গড়ে তূলতে সাহায্য করে ।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯

বাংলার হাসান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৮

দেখি তাই বলি বলেছেন: সে হিসেবে প্রকৃত মুক্তমনা তারা যারা সমাজের এবং ধর্মীয় আইনকানুনের তোয়াক্কা করেন না বা মানেন না।

সুতরাং তারা ফ্রি সেক্সে বিশ্বাসী, লিভ টুগেদারে বিশ্বাসী, সমকামকে প্রয়োজনীয় ও বৈধ মনে করেন। অজাচারকে অত্যন্ত স্বাভাবিক ভাবেন।

এদের পক্ষে রাস্তায় সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে চলাফেরা করাও সম্ভব। তেমন চলাফেরা কারা করে জানেন তো। এরা হচ্ছেন সেই প্রজাতির সেয়ানা অংশটি।

যাই হোক এখন মিলিয়ে দেখতে পারেন এরা কারা?

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯

বাংলার হাসান বলেছেন: মন্দ বলেন নাই। কিন্তু শব্দ তিনটির ব্যাখা নাই এই যা।

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯

আলমগীর_কবির বলেছেন: আপনি যদি প্রথমে বলেন আমি একজন মানুষ। তাহলে দেখেন উক্ত শব্দ তিনটির সাথে আপনার কোন বিরোধ বাধবে না।

http://prothom-aloblog.com/blog/promity

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

বাংলার হাসান বলেছেন: আপনি যদি প্রথমে বলেন আমি একজন মানুষ। তাহলে দেখেন উক্ত শব্দ তিনটির সাথে আপনার কোন বিরোধ বাধবে না।
কিভাবে বলি বিরোধ হবে না। আমাদের দেশে যারা নিজেদের আল্লার সৈনিক দাবী করে রাজনীতি করে তারাতো আল্লার নাম নিয়েই মানুষের রগ কাটে।

৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯

বাংলার হাসান বলেছেন: এই তিন শব্দ জটের ধাঁধা থেকে মুক্ত করার কেই কি আছে?

৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫

তিক্তভাষী বলেছেন: আমার নিজের ব্যাখ্যা এরকম।

১। অসাম্প্রদায়িক- সাধারণভাবে ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য। অন্য কোন সম্প্রদায়ের (ধর্মীয়, সামাজিক বা জাতিগত) প্রতি বিদ্বেষ পোষণ না করা। শুধুমাত্র কোন সুনির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের স্বার্থে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানও অসাম্প্রদায়িক বিবেচিত হতে পারে যদি সেটি অন্যের প্রতি বিদ্বেষ না দেখায়।

২। ধর্মনিরপেক্ষতা- প্রতিষ্ঠানের (রাষ্ট্রীয়, সামাজিক) জন্য প্রযোজ্য। নিজস্ব কোন ধর্ম পরিচয় না থাকা এবং সকল ধর্মের অনুসারীদের প্রতি সমান আচরণ করা। ব্যক্তি পর্যায়ে কেউ ধর্মনিরপেক্ষ হোক বা না হোক তেমন কিছু এসে যায় না।

৩। মুক্তমন‍া- ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য। যেকোন গোঁড়ামী, কুসংস্কার (ধর্মীয়, সামাজিক, জাতিগত) এর উর্ধে উঠে চিন্তা বা আচরণ করা।

তবে এই তিনটির সাথে মৌলবাদী, উগ্রবাদী এই সব শব্দও জড়িয়ে আছে। যেমন আপনি প্রশ্ন তুলেছেন “মুক্তমনা না বেহায়াপনা?”। উগ্রবাদী মুক্তমন‍া কিন্ত বেহায়াপনার নামান্তর হতে পারে।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১

বাংলার হাসান বলেছেন: তবে এই তিনটির সাথে মৌলবাদী, উগ্রবাদী এই সব শব্দও জড়িয়ে আছে। যেমন আপনি প্রশ্ন তুলেছেন “মুক্তমনা না বেহায়াপনা?”। চলার পথে অনেকের সাথে পরিচয় হয়। আর এটাই পৃথিবীর নিয়ম, সেই নিয়মেই কিছু মানুষের সাথে সাথে পরিচয় যারা নিজেদের মুক্তমনা দাবী করে। তেমনি একজন সেদিন দেখা হলো এমন এক অবস্থায় তা প্রকাশ যোগ্য নয়, প্রশ্ন করলাম ভাই এইসব কি? উনি বলেলন মিয়া এসব সেকেলে চিন্তা-ভাবনা ছেড়ে একটু মুক্তমনা হও।

মুক্তমনা বলতে আমি তাদেরকেই বুঝি যারা দলকানা নয়, হতে পারে সেই দলটা কোন রাজনৈতিক দল, বা কোন সম্প্রদায়।

৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
এর প্র্যাকটিক্যাল মিনিং-টা আমি বলেই দিচ্ছিঃ

ধর্মনিরপেক্ষতা -

এর অর্থ সমাজে, মানুষের মগজে মননে এবং চূড়ান্তভাবে পৃথিবী থেকে আল্লাহ, তার বিধান, তার মনোনীত প্রেরিত নবী রসুলদের শিক্ষা ধুয়ে মুছে সাফ করে ফেলা। ক্রমান্বয়ে। আস্তে আস্তে। মিডিয়া, টিভি, চলচ্চিত্র, সংগীত, শিল্প সাহিত্য ইত্যাদি মাধ্যমগুলো সুক্ষ্মভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

এ এক মহা পরিকল্পনা। এর কেন্দ্রে আছে বর্তমানে নেপথ্যে যারা বিশ্ব চালায়। সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। যাদের দেখা যায় না। ছোঁয়া যায় না। স্পর্শ করা যায় না। যারা অপ্রতিরোধ্য।

হ্যাঁ, এরা তারাই, - যারা নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা (New World Order) কায়েম করতে চায়। (সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট সিনিয়র বুশের ভাষণ দেখুন)।

নতুন ঐ বিশ্ব ব্যবস্থার পরিকল্পনা করা হয় কয়েকশ বছর আগে। এখন এটি চূড়ান্ত পর্যায়ে। বর্তমান জাতিসংঘ ও ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন হচ্ছে ঐ পরিকল্পনার বড় ধরণের সাফল্য।

এখন যেমন সার্বভৌম, নামকাওয়াস্তে হলেও, সত্ত্বা নিয়ে দু'শোরও অধিক দেশ ও টেরিটোরি বর্তমান, কিন্ত শীঘ্রই, আমার হিসেবে ১০ থেকে ২৫ বছর, সময়সীমার মধ্যে ঐ দেশ ও টেরিটোরি সমূহের সার্বভৌমত্ব বিলুপ্ত হবে। এক কেন্দ্রিক New World Order প্রতিষ্ঠিত হবে।

সমগ্র পৃথিবী হবে --

এক দেশ।

এক শাসন।

এক ধর্ম।

এক মুদ্রা (Currency)।

এক আর্মি।

এক আইন।

বলাই বাহুল্য - এটি বাস্তবায়িত হবে। তবে তার আগে, আর একটি মহাযুদ্ধ হবে। তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ। যা' ইতোমধ্যেই নেপথ্যে শুরু হয়ে গেছে। সমাজের বিচক্ষণ লোকেরা খবরাখবর রাখেন।

তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপ থেকে বর্তমান জায়নবাদী ইহুদী রাষ্ট্র বিশ্বের নিয়ন্তা রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হবে। এটি নিশ্চিত ধরে নিতে পারেন।

ঐ এক কেন্দ্রিক রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হবে দাজ্জাল (Anti-Christ), যেটি স্রষ্টা নির্ধারিত। সে নিজেকে প্রথমে ইসা আ. (Jesus Christ) এবং পরে সৃষ্টিকর্তা বলে ঘোষণা করবে। বাস্তবে ঐ দাজ্জাল হচ্ছে ভন্ড ঈসা আ. বা False Messiah. ঐ দাজ্জাল Supernatural Power এর অধিকারী হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্থির সমস্ত সুবিধে তার মধ্যে কেন্দ্রীভূত হবে। যারা তাকে মেনে নেবে, তারা ভালো থাকবে। যারা মানবে না, বাহ্যতঃ ভালো থাকবে না। এই দাজ্জাল সৃষ্টি হয়েছে প্রথম মানব হযরত আদম আ. এর সময়ে। দাজ্জাল প্রথম এবং এক মাত্র মানুষের নজরে আসে ১৪০০ বছর পূর্বে। ঐ মানুষটির যা'র নাম তামিম আল ধারী (রা.)।

দাজ্জাল বর্তমান আপার ডাইম্যানশানে অবস্থান করছে। আগামী ১০ থেকে ৩০ বছরের যে কোন সময়ে সে ২৪- ঘন্টার ডাইম্যানশান, অর্থাৎ আমাদের মধ্যে আবির্ভূত হবে। এটি নিশ্চিতভাবে ঘটবে। দাজ্জাল হবে ইহুদী। কোকড়া চুলের অধিকারী। সুঠাম শারীরিক গঠন।

বর্তমান জাতি সংঘ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ওদের ব্রেইন চাইল্ড। এবং নতুন বিশ্ব ব্যবস্থাও তাদের ব্রেইন চাইল্ড।

বর্তমানে যারা ধর্মনিরপেক্ষতা, মুক্ত মনা, মুক্ত বুদ্ধি চর্চাকারী - এরা হচ্ছে ঐ নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার পৃষ্টপোষকতা প্রাপ্ত। অনুগ্রহ প্রাপ্ত। সার্বিক সাপোর্ট প্রাপ্ত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর/গবেষক, আইনজীবি, বিচারক, সাংবাদিক, গণমাধ্যম কর্মী, সমাজে বিদ্যমান নানান প্রেসার গ্রুপ - ওদের (New World Order) হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। অবস্থা এমন যে নিচের স্তরের লোকেরা জানেই না যে ওরা কার হয়ে কাজ করছে।

দাজ্জাল ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে আসল হযরত ঈসা আ. এর হাতে। সর্বশেষ নবী হযরত মোহাম্মদ সা. এর বংশধর হযরত ইমাম মাহাদী আ. ও হযরত ঈসা আ. যৌথভাবে দাজ্জালের বিরুদ্ধে কাজ করবে।

আগামী দিনের নিশ্চিত ডকুমেন্টারী এই পোষ্টের ভিজিটরদের দিয়ে দেয়া হলো।

সবাইকে ধন্যবাদ।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

বাংলার হাসান বলেছেন: আপনি যাদের কথা বলেলন তারাও তো কোন না কোন ধর্মে বিশ্বাসী, তাহলে যদি তাদের ইচ্ছারও প্রতিফলন ঘটে তবে ধর্মনিরপেক্ষ হয় কি করে?

৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫৩

স্বপনবাজ বলেছেন: শুধুমাত্র বাঙ্গালী হলেই অসাম্প্রদায়িক হতে হবে এমন কোন কথা নেই ! অসাম্প্রদায়িকতা সব জাতীর , সব ধর্মের মূল কথা !
ধর্ম তো শান্তির জন্য ! সব ধর্ম !

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১৯

বাংলার হাসান বলেছেন: অসাম্প্রদায়িকতা শব্দটা হলো এক ধরনের ভাওতাবাজী আমি মনে করি।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
+++

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০৪

বাংলার হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪৩

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
আপনার সুন্দর ও প্রাসঙ্গিক প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার প্রশ্নঃ

আপনি যাদের কথা বলেলন তারাও তো কোন না কোন ধর্মে বিশ্বাসী, তাহলে যদি তাদের ইচ্ছারও প্রতিফলন ঘটে তবে ধর্মনিরপেক্ষ হয় কি করে?

হ্যাঁ,

ধর্মনিরপেক্ষতা হচ্ছে একটা ইনটেরিম পিরিয়ড।

এ অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে এ জন্য এটির মাধ্যমে অন্যান্য সমস্ত ধর্ম, বিশেষ করে ইসলাম, নিষ্ক্রিয় করে ফেলা। ব্যক্তি জীবন, পারিবারিক জীবন, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবন থেকে।

হঠাৎ করে বিদ্যমান ধর্মসমূহ নিষিদ্ধ করতে গেলে ব্যাপক হাঙ্গামা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে, যা' সামলানো অসম্ভব ব্যাপার।

তাই ধীরে ধীরে করতে হবে। এটিই তাদের কৌশল। আবার হঠাৎ করে নাস্তিকতাও ঘোষণা করা যায় না। এটিও সমাজ-রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে।

এক কথায় "ধর্ম নিরপেক্ষতা" হচ্ছে পৃথিবীতে বিদ্যমান ধর্মসমূহ নিষ্ক্রিয়, অকেজো, অচর্চিত করে ফেলা একটি প্রাথমিক অস্ত্র। এটি সফল হওয়ার পর তারা নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তাদের ধর্ম প্রকাশ্যে চলে আসবে। নির্ভয়ে ঘোষণা আসবে।

প্রমাণ? তারা তাদের পরিকল্পনা কার্টুন, মুভি, চলচ্চিত্রের মাধ্যমে জানান দিচ্ছে। ইতোপূর্বে সিনিয়র বুশ, প্রকাশ্যে ঘোষণা ইউটিউবে এ ভিডিও আছে। এমন কি শেখ হাছিনা পর্যন্ত বলেছে, "নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা"র আগমনে ইত্যাদি ইত্যাদি। খালেদা জিয়া আসলে, সে-ও করবে। না-হলে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। একেবারে নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হবে।

আরও প্রমাণ?

বর্তমান মিডল ইষ্ট। ঐ সমস্ত দেশে তাদের আজ্ঞাবহ সরকার ক্ষমতায় বসাচ্ছে। সৌদি আরবকে অনেক অনেক আগেই গ্রাস করে ফেলা হয়েছে। লিবিয়া ও ইরাকও তাই ।

বাকী আছে, ইরান ও সিরিয়া। যারা রাশিয়া ও চীনের প্রটেকশানে রয়েছে। অলরেডি মেরুকরণ শুরু হয়ে গেছে। পাকিস্থানকে কব্জা করা হয়েছে অনেক আগেই। পাকিস্তান বলতে জনগণ নয়, রেজিম অর্থাৎ সরকার। জনগণ তাদের বিরোধী। ওদের জন্য কয়েকটি বোমাই যথেষ্ট।

সিরিয়ার বর্তমান গৃহযুদ্ধ ঐ বাগে আনার জন্যই। ঐখানে রাশিয়ার বিমান ঘাটি রয়েছে। সেজন্যই চট জলদি পারছে না। স্বার্থের ব্যাপার রয়েছে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবেই ইরান ও সিরিয়াকে কেন্দ্র করেই।

কথা অনেক লম্বা হয়ে যাবে। তাই বিস্তারিত গেলাম না।

এর ভিতর অর্থনীতি, রাজনীতি, ধর্ম, ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বিশাল পোষ্ট এর দরকার আরো পরিষ্কার করে বলতে গেলে।

যতটুকু বলেছি, আশা করি পরিষ্কার করতে পেরেছি।

ধন্যবাদ।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩০

বাংলার হাসান বলেছেন: আপনার কথায় যথেষ্ট যুক্তি আছে, কিন্তু বর্তমান পৃথিবীতে মুলত যা কিছু ঘটছে তা হলে নজি নজি সম্পদ বৃদ্ধির জন্য।

১০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪৭

স্বপনবাজ বলেছেন: হয়তো তাই !

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:০১

বাংলার হাসান বলেছেন: রাগ করলা নাকি?

তোমার খবর কি? অনেক দিন কোন খবর নাই তোমার।

১১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:২৬

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন ভাই । আপনার ফেবুকে স্টাটাস পড়েই তো লিখেছি ।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫০

বাংলার হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রো।

ফেবুকে তখন ইচ্ছে করেই পুরা লেখাটা দেই নাই।

১২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন:

ব্লগে ইদানিং সময় দিতে পারছিনা। বেসম্ভব ব্যস্ত। তাই অনেকদিন পর কমেন্ট করলাম।

ভাল্লাগসে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২০

বাংলার হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রো।

আপনি কেমন আছেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.