নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমি হাসান নামেই আমি পরিচিত

মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার, ধর্মান্ধতা ও দলান্ধতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।

বাংলার হাসান

অমি হাসান নামেই আমি পরিচিত এই নামে অন্য ব্লগার থাকায় হয়ে গেলাম বাংলার হাসান। ইতিহাস হলো একটি জাতির দর্পন। ইতিহাস অসচেতন জাতি কোন দিন প্রকৃত দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধে উজ্জীবিত হতে পারে না।

বাংলার হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে হাই কোর্ট এর রুল জারি ও লাভ-ক্ষতি নিয়ে একটি আলোচনা।

১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:০০

হাই কোর্ট রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন না করতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে। তত্বাবধায়ক সরকারের বিধানের বেলায় হাই কোর্ট এর দোহায় দেয়া হয়, অথচ রামপাল বিদুৎ কেন্দ্রের বেলায় তা আমলে নেয়া হয় না। রামপাল বিদুৎ কেন্দ্র চুক্তির প্রভাবে কি ধরনের ক্ষতি হবে, সাধারন মানুষ খুব একটা জানেনা। খোদ সচেতন মহলও এ‌ই বিদুৎ কেন্দ্র চুক্তি নিয়ে আছে অন্ধকারে। এ বিষয়ে এক্সপার্ট ও প্রকৌশলী গনের ভাষ্যমতে এই বিদুৎ কেন্দ্রটি হলে বিপর্য ঘটবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন এবং প্রকল্প এলাকার নদ-নদী,পরিবেশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর। ৮ অক্টোবর ২০১০ তারিখে ভারতের দ্যা হিন্দু পত্রিকায় প্রকাশিত NTPC’s coal-based project in MP turned down বা ‘মধ্যপ্রদেশে এনটিপিসির কয়লা ভিত্তিক প্রকল্প বাতিল’ শীর্ষক খবরে বলা হয়: জনবসতি সম্পন্ন এলাকায় কৃষিজমির উপর তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র গ্রহনযোগ্য হতে পারে না বলে ভারতের কেন্দ্রীয় গ্রীন প্যানেল মধ্যপ্রদেশে ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার করপোরেশন(এনটিপিসি) এর ১৩২০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের অনুমোদন দেয়নি (Click This Link)। NTPC’রএকই ধরণের বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের প্রস্তাব গাজমারা উড়িষ্যা থেকে পরিবেশ বিভাগ থেকে ছাড়পত্র না দিয়ে ফেরত দেয়া হয় (সুত্রঃ ৪ এপ্রিলের The Business Line লিংকঃ- Click This Link)অথচ বাংলাদেশে সেই এনটিপিসিকে ১৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সুযোগ দেয়া হচ্ছে সুন্দরবনের মতো সংরক্ষিত একটি বনাঞ্চল, কৃষি জমি, স্থানীয় মানুষের জীবন-জীবিকার উপর সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাবগুলো তোয়াক্কা না করেই। রামপাল বিদুৎ কেন্দ্রটির প্রতিটি ক্ষেত্রে রয়েছে দুর্নীতি, যদিও ভারতে একই আকারের একটি প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে ৭৯২ একর, যার বেশির ভাগটাই এক ফসলি কিংবা অনুর্বর পতিত জমি। অথচ রামপালে জমি অধিগ্রহণ করার পরিমান ১৮৩৪ একর কৃষি, মৎস চাষ ও আবাসিক এলাকার জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে ।

এবার আসুন একটু চোখ বুলাই অধিগ্রহণ করা ১৮৩৪ একর জমি থেকে বিদুৎ প্রকল্পের কারনে আমরা বছরে কি কি হারাচ্ছি।

• বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ ব্যাসার্ধের মধ্যে বছরে ৬২,৩৫৩ টন এবং প্রকল্প এলাকায় ১২৮৫ টন ধান উৎপাদিত হয়। ১০ বছরে

• ধান ছাড়াও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ ব্যাসার্ধের মধ্যে বছরে ১,৪০,৪৬১ টন অন্যান্য শস্য উৎপাদিত হয়।

• প্রতি বাড়িতে গড়ে ৩/৪টি গরু, ২/৩ টি মহিষ, ৪টি ছাগল, ১টি ভেড়া, ৫টি হাঁস, ৬-৭ টি করে মুরগী পালন করা হয়।ম্যানগ্রোভ বনের সাথে এলাকার নদী ও খালের সংযোগ থাকায় এলাকাটি স্বাদু ও লোনা পানির মাছের সমৃদ্ধ ভান্ডার। জালের মতো ছড়িয়ে থাকা খাল ও নদীর নেটওয়ার্ক জৈব বৈচিত্র ও ভারসাম্য রক্ষা করে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে বছরে৫২১৮৬৬ মেট্রিক টন এবং প্রকল্প এলাকায় ১৮৩৪ একর জমিতে (৫৬৯৪১ মেট্রিক টন) মাছ উৎপাদিত হয়।



EIA রিপোর্টে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রকল্প এলাকায় (১৮৩৪ একর) ধান, মাছ, গৃহপালিত পশুপাখি ইত্যাদির উৎপাদন ধ্বংস হবে স্বীকার করে আশাবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, সঠিক পরিবেশ ব্যবাস্থাপনা অনুসরণ করা হলে এর বাইরের ১০ কিমি এলাকার মধ্যে কোন ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে না (!)। যদিও বিভিন্ন ধরণের নির্মাণ কাজ, ড্রেজিং, বিভিন্ন ধরণের রাসায়নিক ও তৈল নি:সরণ ইত্যাদির ফলে পশুর ও মাইদারা নদী, সংযোগ খাল, জোয়ার-ভাটার প্লাবণ ভূমি ইত্যাদি এলাকার মৎস আবাস, মৎস চলাচল ও বৈচিত্র ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে আশংকাও প্রকাশ করা হয়েছে।

২. বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের মালামাল ও যন্ত্রপাতি সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে নদী পথে পরিবহন করা হবে। এর ফলে বাড়তি নৌযান চলাচল, তেল নিঃসরণ, শব্দদূষণ, আলো, বর্জ্য নি:সরণ ইত্যাদি পরিবেশ আইন অনুসারে নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে সুন্দরবনের ইকো সিস্টেম বিশেষ করে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিণ, ডলফিন, ম্যানগ্রোভ বন ইত্যাদির উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে বলে ইআইএ রিপোর্টে আশংকা করা হয়েছে।

৩. প্রকল্পের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, যানবাহন, জেনারেটর, বার্জ ইত্যাদি থেকে তেল পুড়িয়ে ক্ষতিকর কার্বন ডাই অক্সাইড ও নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড নির্গত হবে। এই কার্বন ও নাইট্রোজের পরিমাণ কি হবে ও ক্ষীতকর প্রভাবই বা ৪৫ বছরের নির্মাণ পর্যায়ে কিরুপ হবে তার কোন পর্যালোচনা EIA রিপোর্টে করা হয় নি ।

৪. নির্মাণ কাজের যন্ত্রপাতি ও যানবাহন ব্যবহারের ফলে শব্দ দূষণ হবে। এক্ষেত্রেও নির্মাণ পর্যায়ে শব্দ দূষণের মাত্রা এবং সুন্দরবন ও প্রকল্পের চারপাশের পরিবেশের উপর কি প্রভাব পড়বে তা যাচাই করা হয় নি ইআইএ রিপোর্টে।

৫. নির্মাণ পর্যায়ে বিভিন্ন ধরণের কঠিন বর্জ্য তৈরী হবে যা সঠিক পরিবেশ ব্যাবস্থাপনার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা না হলে পরিবেশ এর উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে বলে আশংকা করা হয়েছে।

৬. নির্মাণ স্থলের নিকটবর্তী নদী-খালের পানিতে নির্মাণ যন্ত্রপাতি ও যানবাহনের তেল নি:সরিত হয়ে পানি দূষণ ঘটাতে পারে।

৭. ড্রেজিং এর ফলে নদীর পানি ঘোলা হবে। ড্রেজিং সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না হলে তেল গ্রীজ ইত্যাদি নিঃসৃত হয়ে নদীর পানি দূষিত হবে।

৮. পশুর নদীর তীরে যে ম্যানগ্রোভ বনের সারি আছে তা নির্মাণ পর্যায়ে জেটি নির্মান সহ বিভিন্ন কারণে কাটা পড়বে। নদী তীরের ঝোপঝাড় কেটে ফেলার কারণে ঝোপঝাড়ের বিভিন্ন পাখি বিশেষ করে সারস ও বক জাতীয় পাখির বসতি নষ্ট হবে।(সূত্র: রামপাল EIA, Impacts: pre-construction and construction stages)

উৎপাদিত বর্জ্য ছাই সিমন্টে কারখানা, ইট তৈরী ইত্যাদি বিভিন্ন শিল্পে ব্যাবহারের সম্ভাবনার কথা ইআইএ রিপোর্টে বলা হলেও আসলে কোন কারখানায় এর আদৌ কোন ব্যাবাহর হবে এরকম কোন নিশ্চিত পরিকল্পনা করা হয়নি । বড় পুকুরিয়ার মাত্র ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকেই উৎপাদি ছাই এরই উপযুক্ত ব্যাবহার বাংলাদেশে হচ্ছে না। বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত দৈনিক ৩০০ মেট্রিকটন বর্জ্য ছাই কোন সিমেন্ট কারখানায় ব্যাবহারের বদলে ছাই এর পুকুর বা অ্যাশপন্ডে গাদা করে রেখে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটানো হচ্ছে। ২০০৬ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত চার বছরে ২ লক্ষ ৬০ হাজার ৬১৩ টন ছাই পুকুরে জমা করে পুকুরের প্রায় পুরোটাই ভরে ফেলা হয়েছে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্যও ১০০ একরের ছাইয়ের পুকুরের পরিকল্পনা করা হযেছে। অ্যাশপন্ড বা ছাইয়ের পুকুরে গাদা করে ছাই বাতাসে উড়ে, ছাই মিশ্রিত পানি চুইয়ে মাটির নীচে ও আশাপাশের জলাভূমিতে বিষাক্ত ভারী ধাতুর মারাত্মক দূষণ ঘটাবে।



সুন্দর বনের ভেতর দিয়ে কয়লা পরিবহনের ফলাফল;

রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আমদানীকৃত কয়লা সুন্দরবনের ভেতর দিয়েই পরিবহন করা হবে! এ জন্য সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে প্রায় সারা বছর ধরে হাজার হাজার টন কয়লা পরিবহনকারী জাহাজ চলাচল করে গোটা সুন্দরবনের পরিবেশ ধ্বংস করে ফেলবে।

সরকারি পরিবেশ সমীক্ষা (ইআইএ)অনুযায়ী, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য বছরে ৪৭ লক্ষ ২০ হাজার টন কয়লা ইন্দোনেশিয়া, অষ্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সমুদ্র পথে আমদানী করতে হবে। আমাদানীকৃত কয়লা সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে জাহাজের মাধ্যমে মংলা বন্দরে এনে তারপর সেখান থেকে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু সুন্দরবনের ভেতরে পশুর নদীর গভীরতা সর্বত্র বড় জাহাজের জন্য উপযুক্ত না হওয়ার কারণে প্রথমে বড় জাহাজে করে কয়লা সুন্দর বনের আকরাম পয়েন্ট পর্যন্ত আনতে হবে, তারপর আকরাম পয়েন্ট থেকে একাধিক ছোট লাইটারেজ জাহাজে করে কয়লা মংলাবন্দরে নিয়ে যেতে হবে। এর জন্য সুন্দর বনের ভেতরে হিরণ পয়েন্ট থেকে আকরাম পয়েন্ট পর্যন্ত ৩০ কিমি নদী পথে বড় জাহাজ বছরে ৫৯ দিন এবং আকরাম পয়েন্ট থেকে মংলা বন্দর পর্যন্ত প্রায় ৬৭ কিমি পথ ছোট লাইটারেজ জাহাজে করে বছরে ২৩৬ দিন হাজার হাজার টন কয়লা পরিবহন করতে হবে! সরকারের পরিবেশ সমীক্ষাতেই স্বীকার করা হয়েছে, এভাবে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে কয়লা পরিবহনকারী জাহাজ চলাচল করার ফলে-



• কয়লা পরিবহনকারী জাহাজ থেকে কয়লার গুড়া, ভাঙা টুকরো কয়লা, তেল, ময়লা আবর্জনা, জাহাজের দূষিত পানি সহ বিপুল পরিমাণ বর্জ্য নি:সৃত হয়ে নদী-খাল-মাটি সহ গোটা সুন্দরবন দূষিত করে ফেলবে;

• সুন্দরবনের ভেতরে আকরাম পয়েন্টে বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে কয়লা উঠানো নামানোর সময় কয়লার গুড়া, ভাঙা কয়লা পানিতে/মাটিতে পড়ে- বাতাসে মিশে মাটিতে মিশে ব্যাপক পানি-বায়ু দূষণ ঘটাবে

• চলাচলকারী জাহাজের ঢেউয়ে দুইপাশের তীরের ভূমি ক্ষয় হবে;

• কয়লা পরিবহনকারী জাহাজ ও কয়লা লোড-আনলোড করার যন্ত্রপাতি থেকে দিনরাত ব্যাপক শব্দ দূষণ হবে;

• রাতে জাহাজ চলের সময় জাহাজের সার্চ লাইটের আলো নিশাচর প্রাণী সহ সংরক্ষিত বনাঞ্চল সুন্দরবনের পশু-পাখির জীবনচক্রের উপর মারাত্বক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে ইত্যাদি।

এই ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসির মধ্যপ্রদেশে প্রস্তাবিত কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ভারতীয় পরিবেশ মন্ত্রণালয় বাতিল করে দিয়েছে। তারা বলেছে, “বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির জন্য প্রস্তাবিত স্থানটি কৃষিজমি, যা মোটেই প্রকল্পের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। তাছাড়া নর্মদা নদী থেকে প্রকল্পের জন্য ৩২ কিউসেক পানি টেনে নেওয়া প্রকল্পের জন্য বাস্তবসম্মত নয়। কৃষি জমির সল্পতা, নিকটবর্তী জনবসতি, পানির সল্পতা, পরিবেশগত প্রভাব এসব বিবেচনায় এই প্রকল্প বাতিল করা হল।”



যে বিবেচনায় এনটিপিসি নিজের দেশে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করতে পারেনি সেই কোম্পানী কি করে একই প্রকল্প বাংলাদেশে অনুমোদন পায় তা বুঝতে কি খুব বেশি বেগ পেতে হয়?

গত ২০ ডিসেম্বর ওরিয়ন গ্রুপের সাথে পিডিবির চুক্তির সংবাদ থেকে দেখা যাচ্ছে কয়লাভত্তিকি কন্দ্রেগুলোর মধ্যে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় ৫২২ মেগাওয়াটের কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্র থেকে প্রতি ইউনিট ৪ টাকা এবং খুলনার লবণচোরায় এবং চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ২৮৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি কেন্দ্র তিন টাকা ৮০ পয়সা দরে বিদ্যুৎ কিনবে পিডিবি।

ফলে বোঝা শক্ত নয়, বিদ্যুৎ সংকট নিরসনের নামে আরেকটি বিদেশী কোম্পানির কাছ থেকে দ্বিগুণ দামে বিদ্যূৎ কেনার আয়োজন হচ্ছে।



এই প্রকল্প এলাকা সুন্দরবনের ঘোষিত সংরক্ষিত ও স্পর্শকাতর অঞ্চল থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে। অন্যান্য দেশে মারাত্মক পরিবেশ দূষণ ঘটায় বলে সংরক্ষিত বনভূমি ও বসতির ১৫-২০ কিলোমিটারের মধ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয় না। এমনকি এই ভারতীয় কোম্পানিকেও তার নিজের দেশেই এই যুক্তিতে মধ্য প্রদেশে একটি অনুরূপ প্রকল্প করতে দেওয়া হয়নি। ইআইএ রিপোর্ট অনুসারে প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ প্রকল্পটি সুন্দরবন থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে! আবার সুন্দরবন থেকে দূরত্ব আসলেই ১৪ কিলোমিটার কি না সেটা নিয়েও বিতর্ক আছে। খোদ ইআইএ রিপোর্টের এক জায়গায় বলা হয়েছে প্রকল্পের স্থানটি একসময় সুন্দরবনেরই অংশ ছিল স্বাস্থ্যগত ঝুকিঃ কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নির্গত সালফার নাইট্রোজেন, কার্বন ইত্যাদির বিভিন্ন যৌগ কিংবা পারদ, সীসা, ক্যাডমিয়াম, ব্যারিয়াম ইত্যাদি ভারী ধাতুর দূষণ ছাড়াও কুলিং টাওয়ারে ব্যাকটেরিয়া সংক্রামণের কারণেও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক আকারে নিউমোনিয়া জাতীয় রোগ ছড়িয়ে পড়ে। ইআইএ রিপোর্টে এসম্পর্কে বলা হয়েছে:



Another major health risk involves cooling tower. With world experience, different studies suggest that bacterial contamination of cooling tower may cause outbreak of pneumonia in the surrounding community. Aerosol dispersed from the cooling tower favour growth of bacteria causing pneumonia

এর পরেও কি আমাদের হুশ হবে না? এখনো কি আমরা বিশ্বাস করবো আমাদের নেতা-নেত্রীরা দেশ ও মাতৃভূমির জন্য কাজ করে? নাকি আমরা এতটাই দলান্ধতা যে নিজেদের বুদ্ধি, বিচার বর্গা দিয়ে শুধু খোলস হয়েই বেঁচে আছি? অবাক বিষয় হলো দেশ বিরোধী এই বিদুৎ কেন্দ্রটি নির্মানের পরে ভারতীয় কোম্পানী ১৫ বছর পর্যন্ত Corporate tax অব্যাহতি পাবে। যা অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির জন্য তৈরী সার-সংক্ষেপে স্পষ্ট উল্লেখ আছে।

¨





তথ্যসুত্রঃইআইএ রিপোর্ট।

প্রকৌশলী মোঃ শাহাদাৎ হোসাইন, জুনিয়র প্রকৌশলী, ইন্সিটিটিউট।

সুন্দরবন নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন এনজিও।

এবং এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞগন ও রামপাল বিদুৎ কেন্দ্র নিয়ে কর্মরত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান



সুন্দরবন রক্ষায় দেশ বিরোধী রামপাল বিদুৎ কেন্দ্র চুক্তি বাতিলে লক্ষে আমরা একটি আন্দোলনের ডাক দিয়েছি, আপনারাও এই আন্দোলনে যোগ দিয়ে সুন্দরবন রক্ষায় সহযাত্রী হবেন। এই কামনা, ইভেন্টের লিংক। Click This Link

মন্তব্য ১০৮ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (১০৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭

মৌনতা০১ বলেছেন: Click This Link


Click This Link


প্রথম পোস্ট টা স্টিকি ছিল। সাভার ট্রাজেডির পর মডারেটর জানা পোস্ট টি সাময়িকভাবে সরিয়ে দেন । এখনো সেই পোস্ট আবার স্টিকি করার কোন লক্ষন দেখছি না। নাকি মেইন স্ট্রিম মিডিয়ার মত এই ব্লগ এবং তার মডারেটররা ক্ষমতার কাছে বিক্রি হয়ে গেলেন?

পুরো দেশ যে চুক্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা রুখতে এত সময় লাগে কেন? মডারেটর জানা জবাব দেবেন কি?

১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮

বাংলার হাসান বলেছেন: প্রথম পোস্ট টা স্টিকি ছিল। এবং আমাদের সকলের কমেন্টও ছিল। সুন্দরবন রক্ষায় দেশ বিরোধী রামপাল বিদুৎ কেন্দ্র চুক্তি বাতিলে লক্ষে আমরা একটি আন্দোলনের ডাক দিয়েছি, আপনারাও এই আন্দোলনে যোগ দিয়ে সুন্দরবন রক্ষায় সহযাত্রী হবেন। এই কামনা, ইভেন্টের লিংক।http://www.facebook.com/events/539687472735900/

২| ১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:১২

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ভাল লিখেছেন। আর কত আমরা প্রতিবাদ করবো। আমরা যাদের ভোট দিয়ে বসাই তারা আসল বাবাদের না দেখে তাদের নকল বাবাদের সার্থ দেখে।

১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪

বাংলার হাসান বলেছেন: সুন্দরবন রক্ষায় দেশ বিরোধী রামপাল বিদুৎ কেন্দ্র চুক্তি বাতিলে লক্ষে আমরা একটি আন্দোলনের ডাক দিয়েছি, আপনারাও এই আন্দোলনে যোগ দিয়ে সুন্দরবন রক্ষায় সহযাত্রী হবেন। এই কামনা, ইভেন্টের লিংক।http://www.facebook.com/events/539687472735900/

৩| ১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭

হাসিব০৭ বলেছেন: এদেশে প্রতিবাদের কোন দাম নেই।

ধর মার কাট করলেই সবাই খুশি, দাবিও আদায় হয়

১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:৪১

বাংলার হাসান বলেছেন: সুন্দরবন ধ্বংসকারী এই চুক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। সুন্দরবন রক্ষায় দেশ বিরোধী রামপাল বিদুৎ কেন্দ্র চুক্তি বাতিলে লক্ষে আমরা একটি আন্দোলনের ডাক দিয়েছি, আপনারাও এই আন্দোলনে যোগ দিয়ে সুন্দরবন রক্ষায় সহযাত্রী হবেন। এই কামনা, ইভেন্টের লিংক।http://www.facebook.com/events/539687472735900/

৪| ১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮

রি হোসাইন বলেছেন: সৌর বিদ্যুতের মত পরিবেশ বান্ধব ও যাদুকরী বিদ্যুৎ প্রকল্প থাকতে এহেন কর্মকাণ্ড মেনে নেয়া যায় না। এর বিরুদ্ধে দুরবার প্রতিরোধ গরে তুলতে হবে।

১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:১৫

বাংলার হাসান বলেছেন: <এর বিরুদ্ধে দুরবার প্রতিরোধ গরে তুলতে হবে।> সহমত। আশাকরি আপনিও সাথে থাকবেন।

৫| ১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮

শিকস্তি বলেছেন: সুন্দর এবং তথ্যবহুল পোস্ট। স্টিকির দাবী জানিয়ে গেলাম।

১৩ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪

বাংলার হাসান বলেছেন: আপনার দাবীর জন্য ধন্যবাদ।

৬| ১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩০

হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: শিকস্তি বলেছেন: সুন্দর এবং তথ্যবহুল পোস্ট। স্টিকির দাবী জানিয়ে গেলাম।

১৩ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

বাংলার হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রো।

৭| ১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮

s r jony বলেছেন: সুন্দর এবং তথ্যবহুল পোস্ট।

১৩ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

বাংলার হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

৮| ১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট।

১৩ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

বাংলার হাসান বলেছেন: কষ্ট করে সময় নিয়ে পোষ্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ। তয় ব্লগারদের দাবীর দিকে একটু নজর দিলে ভাল পাই। ;) ;) ;)

৯| ১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: আমাদের জাতীয় স্বার্থে রুখে দাড়াতে হবে...

১৩ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:০৭

বাংলার হাসান বলেছেন: অবশ্যই, জাতীয় স্বার্থে কোন প্রকার আপোষ নেই।

১০| ১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫

জামান2021 বলেছেন: হুমায়ুন তোরাব ও শিকস্তি বলেছেন: সুন্দর এবং তথ্যবহুল পোস্ট। স্টিকির দাবী জানিয়ে গেলাম।

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:১৭

বাংলার হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রো।

১১| ১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল এবং গুরুত্বপুর্ণ পোষ্ট। ষ্টিকি করার দাবী জানাচ্ছি।

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:১৭

বাংলার হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রো।

১২| ১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:০১

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: পোস্ট স্টিকি করা হোক

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:১৮

বাংলার হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রো।

১৩| ১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:১১

বোকা ডাকু বলেছেন: তথ্য সমৃদ্ধ গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। আশা করি সকলের নজরে আসবে।

দেশ টা কে তো খেয়ে ফেলল। সময় থাকতে সবাই সচেতন হন। রুখে দাঁড়ান। পরে কিন্তু পস্তাতে হবে।

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:১৯

বাংলার হাসান বলেছেন: দেশ টা কে তো খেয়ে ফেলল। সময় থাকতে সবাই সচেতন হন। রুখে দাঁড়ান। পরে কিন্তু পস্তাতে হবে। আপনার সাথে সহমত।

১৪| ১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:১৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট। এই বিষয়ে এত সুলিখিত এবং তথ্যবহুল পোষ্ট আমি আগে পড়িনি।

এই পোষ্টটি স্টিকি করা হোক।

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:২২

বাংলার হাসান বলেছেন: @কাল্পনিক_ভালোবাসা ভাই, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনি তাগাদা না দিলে এত দ্রুত লেখাটা তৈরী হতো। আর দাবী জন্য থাঙ্কু, যদিও সামু আপনাদের দাবী না মানে তাতে কি, কিন্তু রামপাল নিয়ে আমাদের দাবী সরকারকে মানতে হবে।

১৫| ১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:৪২

মুহাম্মদ এরশাদুল করিম বলেছেন: এই অন্যায় চুক্তির তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আশাকরি ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা চিন্তা করে হলেও সরকার এই উদ্যোগ থেকে সরে দাড়াবে। স্টিকি করা হোক ।

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:২৫

বাংলার হাসান বলেছেন: আশাকরি ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা চিন্তা করে হলেও সরকার এই উদ্যোগ থেকে সরে দাড়াবে। শুধু আশা নিয়ে বসে থাকলে হবে? দাবী আদায়ে মাঠে নামতে হবে।

১৬| ১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:৪২

মুহাম্মদ এরশাদুল করিম বলেছেন: জনস্বার্থে স্টিকি করা হোক ।
জনস্বার্থে স্টিকি করা হোক ।
জনস্বার্থে স্টিকি করা হোক ।
জনস্বার্থে স্টিকি করা হোক ।
জনস্বার্থে স্টিকি করা হোক ।
জনস্বার্থে স্টিকি করা হোক ।
জনস্বার্থে স্টিকি করা হোক ।
জনস্বার্থে স্টিকি করা হোক ।
জনস্বার্থে স্টিকি করা হোক ।
জনস্বার্থে স্টিকি করা হোক ।

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:২৫

বাংলার হাসান বলেছেন: জনস্বার্থে স্টিকি করা হোক ।

১৭| ১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:১৬

শিপু ভাই বলেছেন:
আমরা অবশ্যই বিদ্যুৎ চাই তবে সুন্দরবনের ক্ষতি করে নয়।

এমন জায়গায় বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপন করা হোক যেখানে এর ফলে হওয়া ক্ষতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখা যায়।


তথ্যবহুল পোস্টে+++++++++

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:২৭

বাংলার হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৮| ১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:১৭

সোহানী বলেছেন: পোস্টটা স্টিকি করা হোক ............

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৩০

বাংলার হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার দাবীর জন্য। আশা করি সামু এই বিষয়ে দৃষ্টি দিবে।

১৯| ১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:২৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
বাংলাদেশের অনেকগুলো সমস্যার মধ্যে একটি হল বিদ্যুৎ সমস্যা তবে অবশ্যই এই সমস্যা সমাধানের জন্য দেশকে আরেকটি হুমকির সন্মুখে ফেলা কোন কার্যকরী সিধান্ত নয়। আমাদের সরকার এই ব্যাপারে নিষ্ঠাবান তাই যথাযথ বিবেচনা করবেন আশা করি।

১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫

বাংলার হাসান বলেছেন: আপনার আশা পূর্ন হোক।

২০| ১৩ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩

রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: "অবাক বিষয় হলো দেশ বিরোধী এই বিদুৎ কেন্দ্রটি নির্মানের পরে ভারতীয় কোম্পানী ১৫ বছর পর্যন্ত Corporate tax অব্যাহতি পাবে।"..... এ তো দেখি চুরির উপ্রে সিনা জোরি!!!


পোস্টটি স্টিকি করা হোক!!!!

১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

বাংলার হাসান বলেছেন: এ তো দেখি চুরির উপ্রে সিনা জোরি!!!
জ্বি ঠিকই বলেছেন।

দাবীর জন্য ধন্যবাদ।

২১| ১৩ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:২১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: তথ্য বহুল জরুরি গুরুত্ত পূর্ণ পোস্ট ......।।

পোস্ট টা স্টিকি করা হোক .........।

১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩

বাংলার হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার দাবীর জন্য। আশা করি সামু এই বিষয়ে দৃষ্টি দিবে।

২২| ১৩ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০

সোহাগ সকাল বলেছেন: তত্বাবধায়ক সরকারের বিধানের বেলায় হাই কোর্ট এর দোহায় দেয়া হয়, অথচ রামপাল বিদুৎ কেন্দ্রের বেলায় তা আমলে নেয়া হয় না।

১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

বাংলার হাসান বলেছেন: :( :( :( |-) |-) |-)

২৩| ১৩ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬

অমৃত সুধা বলেছেন: গার্ডিয়ানকে ইউনূস:
পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর আহ্বান
http://dhakajournal.com/?p=7388

১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:২৮

বাংলার হাসান বলেছেন: ভাই পোষ্টের বিষয়ে আলোচনা আশা করছি।

২৪| ১৩ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৩

আমি বিবেক বলছি বলেছেন: এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র আমরা হতে দিবনা। জেগে উঠুন সবাই, বাঁচিয়ে দেই বাংলাদেশের রক্ষাকর্তা সুন্দরবনকে।

১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:২৯

বাংলার হাসান বলেছেন: জেগে আমাদের উঠতেই হবে।

২৫| ১৩ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৩

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: কিন্তু আমাদের বিদ্যুৎ প্রয়োজন এবং তা সুলভে। দেশের সার্বিক স্থবিরাতার পেছনে বিশেষ করে অর্থনৈতিক স্থবিরতার পেছনে বড় যেসব কারণ রয়েছে তারমধ্যে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা অন্যতম। জরুরী ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রয়োজন হলে কতটা ক্ষতির সন্মুখীন হতে হয় কুইক রেন্টালে তার ফলাফল আমরা দেখেছি। এখন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মাধ্যমে একটা সমাধানে আসলে পারলে আমাদের বিদ্যুৎ সমস্যার কিছুটা হলেও সমাধান হয়। জরুরী প্রয়োজনে কিছু ক্ষতি দিয়ে হলেও আমাদের সে সমস্যার সমাধান জরুরী। তাছাড়া বাংলাদেশ ঘনবসতিপুর্ণ দেশ তাই যেখানেই কেন্দ্র স্থাপন করা হোকনা কেন তার ক্ষতিকর প্রভাব থাকবেই। রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের কোন বিকল্প প্রস্তাব আছে কি? রামপালের বিকল্প হিসেবে কিভাবে আমরা বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে আসতে পারি তার কোন দিক নির্দেশনা রয়েছে কি? আন্দোলনের মাধ্যমে একটি প্রকল্প থামিয়ে দেয়ার সাথে সাথে আমাদের এটাও কর্তব্য তার একটি বিকল্প প্রস্তাব রাখা, কারণ বিদ্যুতের চাহিদাও আমাদের প্রকট।

১৩ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

বাংলার হাসান বলেছেন: আপনার প্রতিটি কথাই যুক্তিযুক্ত, বিকল্প প্রস্তাব আছে সেটা নিয়ে আশা করি খুব দ্রুতই একটি পোষ্ট দিতে পারবো। আর যদি একট কষ্ট করে খোঁজ খবর নেন, তাহলে হয়তো পেয়ে যেতে পারেন জ্বালানী মন্ত্রনালয়ে রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের কোন বিকল্প প্রস্তাবের বন্ধী ফাইলের হদিস।

২৬| ১৩ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

অলিভার বলেছেন: ++++++

১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৩০

বাংলার হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৭| ১৩ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

শাহীন_আহমেদ বলেছেন: আমাদের দুর্ভাগ হল আমাদের কোন সরকার জনগনের চিন্তা করে কিছু করে না। সব সময় তাদের নিজেদের লাভ প্রভুদের লাভ দেখে আসছে। তারা নিজের লাভের জন্যে দেশ বিক্রি করে দিতে পারে। সুন্দরবনে রামপাল বিদ্যুত কেন্দ করে সুন্দরবন ধংস করা কোন ব্যাপার হল।
এত কিছু জানার পরে ও কেন যে আমরা চিল্লা চিল্লি করি আমরাই জানি না !!! তার পরে ও আশা করি হয়ত এই প্রকল্প করা থেকে সরকার বিরত থাকবে

১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪১

বাংলার হাসান বলেছেন: আপনার আশা পূর্ন হোক। সরকার সরে আসুক এই দেশ বিরোধী প্রকল্প থেকে এই কামনা।

২৮| ১৩ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৩৭

এক্সপেরিয়া বলেছেন: রামপালের বিরুদ্ধে সর্বদাই থাকব ।

১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪২

বাংলার হাসান বলেছেন: এই কামনাই করি। ধন্যবাদ

২৯| ১৩ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:২৭

স্বপনবাজ বলেছেন: আমাদের জাতীয় স্বার্থে রুখে দাড়াতে হবে...

১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

বাংলার হাসান বলেছেন: জাতীয় স্বার্থে কোন প্রকার ছাড় নাই।

৩০| ১৩ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৫

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: হাইকোর্টের এমন রুল জারির জন্য হাইকোর্টকে ধন্যবাদ , রামপাল বিষয়টা সরকারকে জনসমক্ষে আরো খোলাসা করা উচিত ।

এইবার একটু ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখি ।

ভারতের মধ্য প্রদেশের নরশিংপুর জেলার ঝাইকোলি এবং তুমরা গ্রামের যে ১০০০ একর নিয়ে এই পাওয়ার প্ল্যান্টটা হবার কথা ছিলো সেই ১০০০ একর জায়গাটা ছিলো ঐ দুইটা গ্রামের প্রধান কাল্টিভেটিং ল্যান্ড । সাধারণ কৃষি জমি না ,ঐগুলা ছিলো ডাবল কাল্টিভেটিং ল্যান্ড , অর্থাৎ যে জমি গুলোতে বছরে দুইবার ফসল ফলানো যায় । এই এলাকার মানুষ কৃষি নির্ভর ছিলো বলেই এই দুই গ্রামের মানুষের রুটি রোজগারের কথা ভেবে ভারতের পরিবেশ মন্ত্রনালয় ঐ নির্দিষ্ট জায়গায় পাওয়ার প্ল্যান্ট করতে দেয় নি । আরেকটি কারণ ছিলো পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য যে হিউজ পরিমান পানি প্রয়োজন ( প্রায় ৩২ কিউসেক) সেটা নরমদার মত একমুখী নদীর পক্ষে দেয়া সম্ভব না,এতে নদী তার স্বাভাবিক প্রভাহ + তার নাব্যতা হ্রাস পাবে ।

বাংলাদেশের যে জায়গায় পাওয়ার প্ল্যান্টটা হচ্ছে সেটা ঐভাবে কোন কৃষিজমি নয় , ঐখানকার বেশীরভাগ মানুষই জীবিকার জন্য সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল । কাজেই ফসলি জমির অজুহাত দেখানোটা যুক্তিযুক্ত নয় । আর পশুর নদী যেটাতে নিয়মিত জোয়ারভাটা হয় সেটার সাথে নর্মদার মত একমুখী নদীর তুলনা করাও যুক্তিযুক্ত নয় ।

১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:২০

বাংলার হাসান বলেছেন: ভাই স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য এবং ভিন্ন ভিন্ন সংস্থার রিপোর্ট গুলো কি তবে ভুল?

৩১| ১৩ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৯

তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: পৃথিবীতেবাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে সিমান্তে মানুষ হত্যা নিয়ে রাষ্ট্র চিন্তিত নয় ।এখানে আরেকটি দেশের স্বার্থে তিতাস নদীকে দুই ভাগ করে ফেলা হয়। টিপাইমুখ বাঁধ দিয়ে দেশকে চরম পরিনতির দিকে ঠেলে দিতে চাওয়া হয় । মৃত্যুর ঝুকি থাকা সত্তেও লাখ লাখ শিশুর জন্য ভারত থেকেই ভিটামিন এ ক্যাপ্সুল কিনা হয়। এখন ১৮ কোটি মানুষের গর্ব করার অন্যতম প্রাকৃতিক দান প্রিয় সুন্দরবন কে ধ্বংষের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়।

এটা পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে প্রধান বিরুধী দলের একমাত্র লক্ষ্য ক্ষমতায় যাওয়া । দুনিয়ার আজাইরা ইস্যু নিয়ে প্রতিদিন হরতাল ডাকে অথচ প্রিয় সুন্দরবনের জন্য একদিন আন্দোলন করার মানসিকতা নায় ।

আসলে সব ভন্ডের দল। সব নষ্টদের অধিকারে চলে গেছে।

১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:২৬

বাংলার হাসান বলেছেন: আসলে সব ভন্ডের দল। সব নষ্টদের অধিকারে চলে গেছে। সহমত

৩২| ১৩ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:০১

প্রশান্ত মন বলেছেন: গুরুত্ত পূর্ণ পোস্ট ......।।

পোস্ট টা স্টিকি করা হোক .........।

১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

বাংলার হাসান বলেছেন: আশা করি সামু আপনার ডাকে সাড়া দিবে।

৩৩| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৪৭

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: এইভাবে ধুইয়া দিলেন ?

অনেক তথ্যবহুল পোষ্ট , এখন বুঝতে হবে রামপাল দিয়া মানুষের চিন্তা চেতনাকে অন্য দিকে ডাইভার্ট করার কোন প্লান আছে কিনা !

যদি না থাকে তবে হাইকোর্ট রুল জারী করার পরেও কোন কর্মসচীর অগ্রগতী হচ্ছে কিনা খোজ নিতে হবে ।

১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:২৭

বাংলার হাসান বলেছেন: ভাই এখনো ধোপার কাজ নেই নাই। ;) ;) ;)

তয় প্রয়োজনে নিতে রাজি আছি।

৩৪| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১:০৫

ছািব্বর বলেছেন: ++++++
খুব খারাপ লাগে যখন দেখি কি সহজে এই দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দল -মত নির্বিশেষে সকলের এই বিষয়ে প্রতিবাদ না করলে সুন্দরবন ইতিহাসের পাতায় স্থান নিবে।

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:২০

বাংলার হাসান বলেছেন: দল -মত নির্বিশেষে সকলের এই বিষয়ে প্রতিবাদ না করলে সুন্দরবন ইতিহাসের পাতায় স্থান নিবে। সহমত।

৩৫| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ২:৪৩

নাইট রিডার বলেছেন: বিদ্যুৎ আমাদের প্রয়োজন, কিন্তু কিসের বিনিময়ে? কয়লাভিত্তিক এই প্রকল্প করার জন্য আর কোন অল্টারনেট ছিল না?

এই ধরনের একটা চুক্তিতে রাঘব বোয়ালদের পকেটে যে পরিমান নগদ নারায়ণ যায়, তাতে তাদের মাথায় এই প্রশ্নগুলো কখনও আসবে না এটাই স্বাভাবিক।

পোষ্ট স্টিকি করা হোক।

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৩৫

বাংলার হাসান বলেছেন: এই ধরনের একটা চুক্তিতে রাঘব বোয়ালদের পকেটে যে পরিমান নগদ নারায়ণ যায়, তাতে তাদের মাথায় এই প্রশ্নগুলো কখনও আসবে না এটাই স্বাভাবিক। সহমত।

আশা করি সামু আপনার দাবীর প্রতি সন্মান দেখাবে।

৩৬| ১৪ ই মে, ২০১৩ সকাল ৭:১৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শুধু কৃষি জমি হারানো নয় ।পুরো বাস্তুসংস্থান চেঞ্জ হয়ে যাবে। আবহাওয়াতে ইফেক্ট পরবে। আর এই যে মহাসেন এ ই রকম সমস্ত ঝড় কিন্তু সুন্দরবন ভালোভাবে প্রতিরোধ করে ধ্বংস যজ্ঞ লাঘব করে। সে ই সুন্দর বন ধ্বংস করা একটা অযাচিত সিদ্ধান্ত।এবং এটাকে দেশ বিক্রি বলা টা অযৌক্তিক নয় ।

৩৭| ১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫

আিম এক যাযাবর বলেছেন: নাইট রিডার বলেছেন: বিদ্যুৎ আমাদের প্রয়োজন, কিন্তু কিসের বিনিময়ে? কয়লাভিত্তিক এই প্রকল্প করার জন্য আর কোন অল্টারনেট ছিল না?

এই ধরনের একটা চুক্তিতে রাঘব বোয়ালদের পকেটে যে পরিমান নগদ নারায়ণ যায়, তাতে তাদের মাথায় এই প্রশ্নগুলো কখনও আসবে না এটাই স্বাভাবিক।

পোষ্ট স্টিকি করা হোক।

১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

বাংলার হাসান বলেছেন: এই ধরনের একটা চুক্তিতে রাঘব বোয়ালদের পকেটে যে পরিমান নগদ নারায়ণ যায়, তাতে তাদের মাথায় এই প্রশ্নগুলো কখনও আসবে না এটাই স্বাভাবিক। সহমত।

আশা করি সামু আপনার দাবীর প্রতি সন্মান দেখাবে।

৩৮| ১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪

প্রিয়তমেষূ বলেছেন: তথ্য বহুল পোস্ট ।

এই পোষ্টটি স্টিকি করা হোক।

১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫

বাংলার হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ।

আশা করি সামু আপনার দাবীর প্রতি সন্মান দেখাবে।

৩৯| ১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

জুবায়ের বিন লিয়াকত বলেছেন: হাই কোর্ট রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন না করতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে। তত্বাবধায়ক সরকারের বিধানের বেলায় হাই কোর্ট এর দোহায় দেয়া হয়, অথচ রামপাল বিদুৎ কেন্দ্রের বেলায় তা আমলে নেয়া হয় না।
আমিও আমার ব্লগে এই কথা ব্যবহার করেছি। আপনার সাথে সহমত।

১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫

বাংলার হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪০| ১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭

অমৃত সুধা বলেছেন: রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র: লাভ-ক্ষতির হিসেবে গড়মিল
Click This Link

সুন্দরবনের জন্য হুমকি রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র
Click This Link

১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭

বাংলার হাসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

লিংক দুটি পোষ্টটিকে আরো সমৃদ্ধ করবে।

৪১| ১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:২১

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: সাধারণ মানুষ কি বলেছে সেটাকি নিজ কানে শুনেছেন ?? একটা কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প কি জিনিস ,এই ধরনের বিদ্যুৎ প্রকল্প হাতে নিলে কি ধরনের সেইফটি ব্যবস্থাপনা নিতে হয়, ইকোসিস্টেম কি জিনিস এতো কিছু কি সাধারণ মানুষ বুঝে । আপনি যেভাবে বুঝাবেন তারা সেভাবেই বুঝবে ।

আর আমি আমার কমেন্টে এটাই বলতে চেয়েছি যে ভারতে ঠিক কি কারণে এই প্রকল্পটা বাস্তবায়িত হয় নি , সেটা ।

কাপ্তাই বাধ যখন নির্মাণ করা হয় তখন অনেক পরিবেশ বাদীই বলেছিলেন এতে করে ইকোসিস্টেম মারাত্মকভাবে ব্যহত হবে , কাপ্তাই মরে যাবে ব্লা ব্লা ব্লা । কই কি হয়েছে ?? পরিবেশবাদীরা এখন কোথায় ?? কাপ্তাইএর জলবিদ্যুৎ ব্যবহার করে উনারা এখন নেট ইউজ করছেন ।

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৫০

বাংলার হাসান বলেছেন: আপনি খুব সুন্দর কথা বলেছেন। সাধারণ মানুষ কি বলেছে সেটাকি নিজ কানে শুনেছেন ?? জ্বি ভাই কিছু মানুষের সাথে কথা হয়েছে। যদিও তাদের সংখ্যা খুবই নগন্য,

একটা কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প কি জিনিস ,এই ধরনের বিদ্যুৎ প্রকল্প হাতে নিলে কি ধরনের সেইফটি ব্যবস্থাপনা নিতে হয়, ইকোসিস্টেম কি জিনিস এতো কিছু কি সাধারণ মানুষ বুঝে । আপনি যেভাবে বুঝাবেন তারা সেভাবেই বুঝবে । আপনার এই বক্তব্যের সাথেও সহমত পোষন করে বলছি, সেই বুঝানোর প্রক্রিয়াটাও কিন্তু একেক জনের একেক রকম। দেখুন রামপাল চুক্তির হিসেবে আমরা কতটুক লাভবান হচ্ছি আমি আপনি যতটুক বুঝবো সাধারন মানিুষ কিন্তু সেই হিসেবটা বুঝবে না। মনে করুন আমার বাড়ি যদি রামপাল প্রজেক্ট এলাকায় হয়, তবে আমি প্রথমে দেখবো আমার ব্যক্তিগত ক্ষতি কতটুক, আমি যদি দেখি এই প্রজেক্ট এর কারনে আমার ফসলী জমি বা ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমি এর বিরোদ্ধ যাব। আর যদি আমি সেখঅনের বাসিন্দা না হই তবে দেখবো আমার রাষ্ট্র এতে কতটুক লাভবান হচ্ছে, আমি যদি সেই দৃষ্টিকোন থেকেও দেখি তবে এই কোম্পানী মাত্র ১৫% বিনোয়গ করে মালিকানা নিচ্ছে ৮৫% অথচ আমার রাষ্ট্র একই পরিমান বিনোয়গ ও ভূমি দিয়েও পাচ্ছে মাত্র ১৫% মালিকানা। তারপরে বিদুৎ ক্রয়ের ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে যেখানে আমরা দেশীয় কোম্পানীর কয়লা ভিত্তিক বিদুৎ কেন্দ্র থেকে বিদুৎ ক্রয় করছি ৩.৫০ থেকে ৪.৫০ মাধ্যে সেখানে এই কোম্পানীর কাছ থেকে নিব সর্ব নিম্ন ৮.৫০ করে এটা নিশ্চয় আমার রাষ্ট্র ও জনগনের জন্য কল্যানকর নয়।

কাপ্তাই বাধ যখন নির্মাণ করা হয় তখন অনেক পরিবেশ বাদীই বলেছিলেন এতে করে ইকোসিস্টেম মারাত্মকভাবে ব্যহত হবে , কাপ্তাই মরে যাবে ব্লা ব্লা ব্লা । এখানে হয়তো আমাদের একটু পিছনে ইতিহাসের কাছে যেতে হবে, সেই সময়কার কাপ্তাই বাধ নির্মাণকে কেন্দ্র করে পার্বত্য চট্রগ্রামে যে সেনা অভিযান হয় তারই ধারাবাহিকতায় সৃষ্ট বিভিন্ন পাহাড়ী গেরিলাদের জের আমরা এখনো টানছি।

৪২| ১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: পোস্টটা আগেই পড়েছিলাম। নেটের প্রবলেমের কারণে কমেন্ট করতে পারছিলাম না।
পোস্ট ভালো হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণপোস্ট। ধন্যবাদ।

১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮

বাংলার হাসান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৪৩| ১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬

মেহেদী হাসান '' বলেছেন: প্রিয়তমেষূ বলেছেন: তথ্য বহুল পোস্ট ।

এই পোষ্টটি স্টিকি করা হোক।

১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮

বাংলার হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ।

আশা করি সামু আপনার দাবীর প্রতি সন্মান দেখাবে।

৪৪| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:২৯

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: ব্রাদার আন্দোলনটা কি নিয়ে করছেন ?? ফোকাসটা কি ?? পরিবেশের ক্ষতি নাকি অর্থনৈতিক ক্ষতি ??

পরিবেশ ক্ষতি হইলে আমার কিঞ্চিৎ আপত্তি আছে । রামপালে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প হলে পরিবেশের ক্ষতি হওয়াটা খুব স্বাভাবিক , যেকোন কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পেই পরিবেশের ক্ষতি হয় । সঠিক সেইফটি মেজারমেন্ট নিলে সেই ক্ষতি কমানো সম্ভব । মালয়েশিয়া সহ পৃথিবীর যেসকল জায়গায় কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে তার সব জায়গাতেই এই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয় ।

কাজেই , রামপাল চুক্তি বাতিলের আন্দোলন না করে যাতে বর্জ্য নিঃসরণের সঠিক ব্যবস্থা যাতে নেওয়া হয় , এবং আন্তর্জাতিক সেইফটি মেজারমেন্ট যেন নেওয়া হয় আমাদের সেই আন্দোলনটাই করা উচিত ।

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৫১

বাংলার হাসান বলেছেন: ভাই আপনার কথায় যথেষ্ট লজিক আছে, যে কোন প্রকল্পে লাভ ক্ষতি উভয় দিকই আছে। আমাদের বিবেচনা করতে হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা আসলে কতটুক লাভবান হচ্ছি। যদি সেই হিসেবে আসেন তবে অর্থনৈতিক ও পরিবেশ দুই দিকে দিয়েআ আমাদের ক্ষতির পরিমান লাভের চাইতে বেশি।

আর বর্জ্য নিঃসরণের সঠিক ব্যবস্থা যাতে নেওয়া হয় বলেছেন সে বিষয়ে ছোট্র একটা উদাহরন দেই।

আমার বাসা জিগাতলা, হাজারীবাগ ট্যানারী এলাকার সাথেই। আন্তর্জাতিক সেইফটি মেজারমেন্ট ও বর্জ্য নিঃসরণের নিয়ম থাকা সত্বেওে কোন ট্যানারী শিল্পেই তা মানা হয় না। সেই এরশাদের আমল থেকেই এই বিষয়ে আমাদের সরকার গুলোর উদাসীনতার কারনে বুড়িগঙ্গার পানি আজ ব্যবহার অনুপোযুগী। এক সময় হাজারীবাগ বেড়ী বাঁধের সাথে থাকা খাল গুলোতে প্রচুর মাছ পাওয়া যেত কিন্তু ট্যানারী বর্জ্য নিঃসরণের কারনে আজ সেখানে কোন মাছই নাই বলেলই চলে,

আর রামপাল প্রকল্পের কারনে রামপাল থেকে চাকুরী পাবে ৬০০ মানুষ অথচ সেখান থেকে উচ্ছেদ হবে ৮০০০ পরিবার। সর্ব দিক বিবেচনা করলে সত্যিকার অর্থেই এই প্রকল্প থেকে আমাদের লাভের হিসেব খুবই নগন্য।

৪৫| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:০৪

zaki642 বলেছেন: এই অন্যায় চুক্তির তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আশাকরি ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা চিন্তা করে হলেও সরকার এই উদ্যোগ থেকে সরে দাড়াবে।

এই পোষ্টটি স্টিকি করা হোক।
এই পোষ্টটি স্টিকি করা হোক।
এই পোষ্টটি স্টিকি করা হোক।
এই পোষ্টটি স্টিকি করা হোক।
এই পোষ্টটি স্টিকি করা হোক।

১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬

বাংলার হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ।

আশা করি সামু আপনার দাবীর প্রতি সন্মান দেখাবে।

৪৬| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: @ মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ঃ অনুরোধ থাকবে এর স্বপক্ষে তুমি প্রপার যুক্তি এবং তথ্যমূলক কোন পোষ্ট দিবে। তাহলে ভালো হবে। তর্কের খাতিরে বলছি ভাইয়া, এই পোষ্টে যে ধরনের বিশ্লেষন মূলক ব্যাপক তথ্য দেয়া আছে, একটি বা দুটি কথা দিয়ে তা খন্ডন করা যায় না। আমি ধরে নিচ্ছি তুমিও এই ব্যাপারে মোটামুটি ভালো জানো, তাই অনুরোধ থাকবে, হাসান ভাই এর যুক্তিগুলোর এন্টি যুক্তি দিয়ে একটা পোষ্ট দিবে। তারপর, মানুষ যেটা বিশ্বাসযোগ্য মনে করবে, সেটাই গ্রহন করবে।

১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৪০

বাংলার হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ। ব্রো

৪৭| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ২:২৭

সাকিব-আল-নাহিয়ান বলেছেন: আজ এক সাভারে যখন সমগ্র দেশ টালমাতাল,তখন লক্ষ সাভারে এই দেশের কি হবে একবার ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে দেখেছেন কি?আপনি কী এখনও চুপ করে বসে থাকবেন?এখনও কি রামপালের ধ্বংসযজ্ঞ দেখে আত্মতুষ্টিতে ভুগবেন,আর দুইহাত পায়ে তালি দিয়ে,শিস বাজিয়ে বলবেন বাহ দেশ তো আমার বেশ এগিয়ে যাচ্ছে!তাইলে তালি দেয়ার ওই দুইহাত পা,আর শিস দেয়ার ওই কালো ঠোঁটদুটি ভবিষ্যতের জন্য বাঁচিয়ে রাখুন।কোন এক রোদজ্বলা দুপুরে,নিজবাড়ি অথবা নিজ কর্মক্ষেত্রের নিরাপদ দালানের অন্ধকার কোন প্রকোষ্ঠে,ইট-বালি-সিমেন্টের নিচে যখন দুমড়ে মুচড়ে পরে থাকবেন,তখন প্রতিবন্ধী ওই হাত পা এবং জমাট বাঁধা রক্তাক্ত ওই ঠোঁটদুটোই যা একটু প্রতিরোধের ভরসা দিবে

-বেশকিছুদিন আগে লিখেছিলাম,আপনার লেখা পরে কমেন্ট করতে ইচ্ছা হল।

১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ১:৩৪

বাংলার হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রো। খুব চমৎকার লিখেছেন।

৪৮| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ২:৩০

সাকিব-আল-নাহিয়ান বলেছেন: এই পোস্টটি অবশ্যই স্টীকি করা উচিৎ

১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ১:৩৪

বাংলার হাসান বলেছেন: আশা করি সামু আপনার দাবীর প্রতি সন্মান দেখাবে।

৪৯| ১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:২৯

ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: সবশেষে একটা তথ্য দিতে চাচ্ছি। পরিবেশ ক্ষতি ১০০ ভাগ কেন ৮০ ভাগ কমানৈ কস্ট হয় তা যতই উন্নত প্রযুক্তি নেয়া হোকনা কেন। একটা কমালে আর একটা ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে। যেমন আপনি এয়ার পলিউশন কমালেন কিন্তু সাথে সাথে আপনাকে ওয়াটার পলিউশন বাড়াতে হবে। লেটেস্ট টেকনোলজিতে নদী থেকে বা লেক থেকে যে পানি টেনে নিয়ে পড়ে ছেড়ে দেয়া হয় তাতে পানির কোন কেমিক্যাল দূষণ হয়না তবে পানির লেভেল কমে যাবে অথবা প্রকল্প এলাকা সাগর পাড়ে হলে আপনার বিশুদ্ধ পানির হারানো জায়গা নিয়ে সমুদ্রের লবণাক্ত পানি। এখন আপনিই বিবেচনা করুন। আবার আপনি যদি এয়ার পলিউশন কমাতে চান তাহলে বাতসে ছড়িয়ে পড়া ক্যামিক্যাল গুলোকে আপনার আটকে ফেলতে হবে। এই আটকে ফেলা ক্যামিকেল গুলোকেই কোম্পানিগুলো আবার নদীতে বা লেকে ছেড়ে দেয় মানে পানি দূষণ ঘটায়। এয়ার পলিউশন বা ওয়াটার পলিউশন ছাড়া কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প সম্ভবনা।

আমাদের দেশ এত বড় নয় যে বড় বড় বর্জ্যের ভাগাড় বানাবো। তাই আমার মতে কয়লা পোড়ানো বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য বঙ্গোপসাগরে জেগে উঠা কোন দ্বীপকে ব্যাবোহার করা হোক।

১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ১:৪৪

বাংলার হাসান বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। চমৎকার কিছু তথ্য শেোর করার জন্য।

৫০| ১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮

ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: সুন্দরবনকে এইসব বিদ্যুত প্রকল্পের বাইরে রাখা উচিৎ। সুন্দরবন কারো ফাইযলামির জায়গা হতে পারেনা। চিংড়ির ঘের আর ফারাক্কা এমনিতেই এর যথেস্ট ক্ষতি করে ফেলছে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফির এক অনুষ্ঠানে একটা থিউরি দিয়েছিল যে সুন্দরবনের বাঘের মেজাজ সবসময় খারাপ থাকে শুধু খাদ্যের অভাবে নয় লবণাক্ত পানি পান করার কারণে পেটের পীড়ায় ভোগার কারণে। ক্রনিক পেটের পীড়ায় ভোগা মানুষেরই মেজাজ খিটখিটে হতে দেখা যায়। সুন্দরবনের বাঘের মানুষখেকো হওয়ার এটাও একটা কারণ।

আর একটা প্রমাণিত সত্য যে দিন দিন আকৃতি হ্রাস পাচ্ছে সুন্দরবনের বাঘের। আর কয়দিন পর সুন্দরবনে যদি কোন বাঘ থাকে সেগুলই হবে বিশ্বের সবচেয়ে কর্বাকৃতির বাঘ।

১৬ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:৩২

বাংলার হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ, তথ্য গুলোর জন্য।

৫১| ১৬ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:২০

বাংলার হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ সবাইকে নিজ নিজ মতামত শেয়ার করার জন্য।

৫২| ১৬ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

আশিক মাসুম বলেছেন: ভাই সরি, ব্যাস্ততার জন্য আপনার এই পোস্ট দেখেও কমেন্ট করতে পারিনি।

ইভেন্ট এ যোগ দিয়েছি ।

১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৩০

বাংলার হাসান বলেছেন: @ধন্যবাদ মাসুম ভাই, আশা করি আপনি শুধু ইভেন্ট এ যোগ দিয়েই থেমে থাকবেন না। সক্রিয়ও হবেন এই ইসুতে।

৫৩| ১৮ ই মে, ২০১৩ ভোর ৫:৩৭

বাংলার হাসান বলেছেন: সুন্দরবন রক্ষা আন্দোলনকে বেগবান করতে আপনিও এগিয়ে আসুন। সকল সহযাত্রী বন্ধুদের দৃষ্টি আর্কষন করে বলছি। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন বন্ধের দাবীতে সারা দেশ ব্যাপী একজোটে আন্দেলন পরিচালনার জন্য জেলা ভিত্তিক আন্দেলন গড়ে তোলার লক্ষে সবাই নিজ নিজ জেলায় জনমত তৈরীতে এগিয়ে আসুন। বিভিন্ন জেলায় অবস্থানকারী সহযাত্রী বন্ধুরা সুন্দরবন রক্ষা আন্দোলনে আপনার অবস্থান জানিয়ে আমাদের করতে পারেন। এই নাম্বারে। 01912471433 অথবা 01676788153
আপনার ছোট্ট একটি আওয়াজ বন্ধ করে দিতে পারে দেশ বিরোধী এই চুক্তি, যোগ করবে নতুন মাত্র আমাদের দেশ রক্ষা এই আন্দোলনে।
Click This Link

৫৪| ২০ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:২৬

অণুষ বলেছেন: একটু এইখানে নজর দিয়েন।

২২ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:২২

বাংলার হাসান বলেছেন: জ্বি, একটু না পুরাই নজর দিয়া কমেন্ট করে আসছি।

৫৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪২

বাংলার হাসান বলেছেন: আসুন আরেকবার জ্বলে উঠি, রুখে দেই আধিপত্যবাদ।

৫৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৫৩

শিপন মোল্লা বলেছেন: হাসান ভাই অনেক দিন যাবত আপনার কোন হদিস নেই।

২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:২৪

বাংলার হাসান বলেছেন: শিপন ভাই, এখনো বেঁচে আছি রামপালের মত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.