![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অমি হাসান নামেই আমি পরিচিত এই নামে অন্য ব্লগার থাকায় হয়ে গেলাম বাংলার হাসান। ইতিহাস হলো একটি জাতির দর্পন। ইতিহাস অসচেতন জাতি কোন দিন প্রকৃত দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধে উজ্জীবিত হতে পারে না।
একটা সময় ছিল বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের “আমি সৈনিক” প্রবন্ধটা পড়ে দেশ প্রেমের আকাংখা নিয়ে তরুনরা সেনা,নৌ,বিমান বাহীনিতে দেশ সেবার উদ্দেশ্য নিয় সৈনিক হত। আর এখন আমরা সৈনিক হই উজ্জল ভবিষ্যতের আকাংখা নিয়ে।
এক সময়ে দশম শ্রেণীর পাঠ্য বইয়ে জ্বল জ্বল করা দেশ প্রেমের প্রবন্ধ “আমি সৈনিক” ঠাই নিয়েছে আস্তাকুঁড়ে। জায়গা হয়নি অযত্বে অবহেলায় পড়ে থাকা কোন যাদু ঘরেও।
সত্যি আমরা অসম্ভব দেশ প্রেমিক, যার কোন তুলনা হয় না।
পাঠ্য বইয়ে পাতা থেকে হারিয়ে যাওয়া সেই প্রবন্ধটির কিছূ অংশ তুলে দিলাম।
এখন দেশে সেই সেবকের দরকার যে-সেবক সৈনিক হ’তে পারবে। সেবার ভার নিবে নারী কিংবা সেই পুরুষ যে-পুরুষের মধ্যে নারীর করুনা প্রবল। নারীর ভালোবাসা আর পুরুষের ভালোবাসা বিভিন্ন রকমের। নারীর ভালোবাসায় মমতা আর চোখের জলের করুনাই বেশি। পুরুষের ভালোবাসায় আঘাত আর বিদ্রোহই বেশি। দেশকে যে নারী করুনা দিয়ে সেবা করে, সে পুরুষ নয়, হয়তো মহাপুরুষ। দেশ চায়, সেই পুরুষ, যার ভালোবাসায় আঘাত আছে, বিদ্রোহ আছে। যে দেশকে ভালোবেসে শূধূ চোখের জলই ফেলবে না, সে দরকার হলে আঘাতও করবে, প্রতিঘাতও বুক পেতে নেবে, বিদ্রোহ করবে। বিদ্রোহ করা আঘাত করার পশুত্ব বা পৈশাচিকতাকে যে অনুভূতি নিষ্ঠুরতা বলে দোষ দেয় বা সহ্য করতে পারে না, সেই অনুভূতিই হচ্ছে নারীর অনুভূতি, মানুষের ঐটুকুই হচ্ছে দেবত্ব। যারা পুরুষ হবে, যারা দেশ-সৈনিক হবে, তাদের বাইরে ঐ পশুত্বের বা অসুরত্বের বদনামটুকু সহ্য করে নিতে হবে। যে-ছেলের মনে সেবা করবার, বুকে জড়িয়ে ধরে ভালোবাসার ইচ্ছাটা জন্মগত প্রবল, তার সৈনিক না হওয়াই উচিত। দেশের দুঃখ-আর্ত পীড়িতদের সেবার ভার এই সব ছেলেরা খুব ভাল করেই করতে পারবে। যেমন উত্তর-বঙ্গের বন্যা-পীড়িতদের সেবা সাহায্য। বাঙলার ত্যাগী ঋষি প্রফুল্লচন্দ্র আজ মায়ের মততা নিয়ে দ’হাতে অন্নবস্ত্র বিলাচ্ছেন, এরুপ জগদ্বাত্রীর, এরুপ অন্নপূর্ণার, এরুপ এ মুর্তি তো রুদ্রের নয়, প্রলয়ের দেবতার চোখে এমন মায়ের করুনা ক্ষরে না। এই যে হাজার হাজার ছেলেরা এই আর্তদের সেবার জন্য দু’বাহু বাড়িয়ে ছুটেছে, এ-ছোটা যে মায়ের ছোটা, এ-করুনা, এ-সেবা-প্রবনতা নারীর, দেবতা। আমরা এঁদের পূজা করি, কিন্তু এতে তো দেশের বাইরের মুক্তি স্বাধীনতা আনবে না। রবিন্দ্রনাথ,অরবিন্দ,প্রফুল্ল বাঙলার দেবতা, তাদের পূজার জন্য বাঙলার চোখের জল চির-নিবেদিত থাকবে। কিন্তু সেনাপতি কই? সৈনিক কোথায়? কোথায় আঘাতের দেবতা, প্রলয়ের মহারুদ্র? সে-পুরুষ এসেছিল বিবেকানন্দ, সে-সেনাপতির পৌরুষ হুঙ্কার গর্জে উঠেছিল বিবেকানন্দের কন্ঠে।
৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৫৯
বাংলার হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভ কামনা নিবেন যুবায়ের ভাই।
প্রবন্ধটা একটু বড়, তাই ভাবছি তিন কিস্তিতে দিব।
২| ৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ৩:০৮
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: চমৎকার বিষয় উপস্হাপন করেছেন....
পোষ্টে প্লাস++
৩১ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১২
বাংলার হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভ কামনা অভি।
৩| ৩১ শে মে, ২০১৩ সকাল ৮:১১
আরজু পনি বলেছেন:
নজরুল থাকুক হৃদয় জুরে....
নজরুলের চর্চা হোক বছর ধরে।
অনেক ধন্যবাদ হাসান।
শেয়ার নিলাম।।
৩১ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১২
বাংলার হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভ কামনা আপু।
৪| ৩১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬
রেজোওয়ানা বলেছেন: পাঠ্য পুস্তকে কি ধরনের রচনা স্থান পাবে, কোন অবস্থায় প্রেক্ষিতে কোন রচনা 'বাদ' দেয়া হবে এই বিষয়ে কি কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই।
এমন একটা রচনা বাদ দিল কিভাবে!!!
লেখাটা চলুক.....
৩১ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫
বাংলার হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভ কামনা আপু।
এমন একটা রচনা বাদ দিল কিভাবে!!! সেটাই তো মাথায় আসে না। আমাদের পাঠ্য পুস্তুক যারা ঠিক করেন তাদের মানসিকতা ও চিন্তা চেতনা কতটুকু দেশ ও জাতির জন্য নিবেদিত তা এথেকেই অনুমান করা যায়।
৫| ৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:২৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার শেয়ার ।
৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:১০
বাংলার হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভ কামনা ।
৬| ০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
পোস্টে প্লাস রইল।
০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ১:২৩
বাংলার হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভ কামনা কান্ডারী ভাই।
৭| ০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ২:৩৯
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: পুরুষরা মহা পুরুষ হয় মেয়েরা কি হয় ?
০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ৩:৫১
বাংলার হাসান বলেছেন: এ-ছোটা যে মায়ের ছোটা, এ-করুনা, এ-সেবা-প্রবনতা নারীর, দেবতা। এটা আমার কথা না বিদ্রোহী কবির কথা।
৮| ০১ লা জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭
বাংলার হাসান বলেছেন: দেশ চায়, সেই পুরুষ, যার ভালোবাসায় আঘাত আছে, বিদ্রোহ আছে। যে দেশকে ভালোবেসে শূধূ চোখের জলই ফেলবে না, সে দরকার হলে আঘাতও করবে, প্রতিঘাতও বুক পেতে নেবে, বিদ্রোহ করবে। বিদ্রোহ করা আঘাত করার পশুত্ব বা পৈশাচিকতাকে যে অনুভূতি নিষ্ঠুরতা বলে দোষ দেয় বা সহ্য করতে পারে না, সেই অনুভূতিই হচ্ছে নারীর অনুভূতি, মানুষের ঐটুকুই হচ্ছে দেবত্ব। যারা পুরুষ হবে, যারা দেশ-সৈনিক হবে, তাদের বাইরে ঐ পশুত্বের বা অসুরত্বের বদনামটুকু সহ্য করে নিতে হবে।
৯| ০১ লা জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮
আশিক মাসুম বলেছেন: +++++ দিয়ে গেলাম কেবল।
০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ৯:২০
বাংলার হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভ কামনা
১০| ০২ রা জুন, ২০১৩ রাত ২:৫৫
সাকিব-আল-নাহিয়ান বলেছেন: ভালো...
০২ রা জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯
বাংলার হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভ কামনা
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৫৩
যুবায়ের বলেছেন: চমৎকার বিষয় উপস্হাপন করেছেন....
পোষ্টে প্লাস++