![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অমি হাসান নামেই আমি পরিচিত এই নামে অন্য ব্লগার থাকায় হয়ে গেলাম বাংলার হাসান। ইতিহাস হলো একটি জাতির দর্পন। ইতিহাস অসচেতন জাতি কোন দিন প্রকৃত দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধে উজ্জীবিত হতে পারে না।
আওয়ামী লীগ শুধু মূখে মূখে নয়, কাগজে কলমেও মুক্তিযুদ্ধাদের কথা বলে। প্রমান দেখুন, ২০০৮ এর আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আলাদা করে দু’টি সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার ও কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
১৭. মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা
১৭.১ স্বাধীনতার স্বপ্ন ও মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং তাদের অবদানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিস্বরূপ, বিশেষত দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি, বার্ধক্যকালীন ভরণ-পোষণ ও বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোটা ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। সকল মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত নাগরিক হিসেবে রেল, বাস ও লঞ্চে বিনামূল্যে চলাচলের সুযোগ দেয়া হবে।
১৭.২ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়স্তম্ভ মূল নকশা অনুযায়ী নির্মাণ সম্পন্ন করা হবে। দেশের সর্বত্র মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষা এবং প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার জন্য বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। সারাদেশে মুক্তিযুদ্ধকালীন বধ্যভূমি ও গণকবর চিহ্নিতকরণ, শহীদদের নাম-পরিচয় সংগ্রহ এবং স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে।
নিচের লিংকে ২০০৮ এর আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে পুরোটাই পাবেন।
Click This Link
এবার ফিরে আসি মূল বিষয়েঃ
উপরে যে মানুষটির ছবি দেখছেন তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা, যাদের অবদানে আজ আমরা এই স্বাধীন ভূমি পেয়েছি সেখানে তিনিও একজন। এই বাংলা মায়ের বীর সন্তানের পুরো নাম, ঠিকানা দেখুন।
মুক্তিযুদ্ধা আব্দুল হাকিম শেখ(সেক্টর-৯)
পিতা মৃত-আহাদ আলি শেখ
গ্রাম+ডাকঘর=দিঘিরজান
উপজেলাঃনাজিরপুর
জেলাঃপিরজপুর
বর্তমান ঠীকানা =গাজিপুর চৌরাস্তা,মসজিদ এর সামনে (মাঝে মাঝে ঢাকা রামপুরা তে তার নাতির বাসায় অবস্থান করেন চিকিৎসা্র জন্য)
মোবাইল =০১৭৮২৯৯৭৩২৪
একটু ভালো করে লক্ষ করে দেখুন, তার মুক্তিযোদ্ধার সনদ পত্রে লেখা “সাময়িক সনদপত্র”। না আপনারা ঠিকই দেখছেন, ভুল নয় এটা সত্য। যৌবনে দেশের টানে হাতে অস্র তুলে নেয়া এই বীর টাকার অভাবে “ঘুষ” দিতে না পারায় তাকে দেয়া হয়েছে “সাময়িক সনদপত্র”। বৃদ্ধ এই মুক্তিযোদ্ধা দারিদ্রতার অভাবে শেষ বয়সে এসে নিজের চিকিৎসাটুকুও করাতে পারছেন না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধাদের বর্তমান সরকার তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছে, “১৭.১ স্বাধীনতার স্বপ্ন ও মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং তাদের অবদানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিস্বরূপ, বিশেষত দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি, বার্ধক্যকালীন ভরণ-পোষণ ও বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।“ তাদের এই ঘোষনার বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
আপনারা পারলে সরাসরি তার সাথে দেখা করুন,কথা বলুন, এবং দয়া নয় বরং কর্তব্য মনে করে তাকে সাহায্য করুন। ভুলে যাবেন না এই বীর সন্তানদের অবদানেই আজ আমরা স্বাধীন।
২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:১৩
আরজু পনি বলেছেন:
খুবই দুঃখজনক !
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭
বাংলার হাসান বলেছেন: সত্যি খুবই দুঃখজনক !
ধন্যবাদ আপনাকে,
৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩
বাংলার হাসান বলেছেন: মন খারাপ করে কি হবে ভাই?
৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৪
খেয়া ঘাট বলেছেন: যৌবনে দেশের টানে হাতে অস্র তুলে নেয়া এই বীর টাকার অভাবে “ঘুষ” দিতে না পারায় তাকে দেয়া হয়েছে “সাময়িক সনদপত্র”। --নিজেকে মানুষ ভাবতেই বড় ঘ্বণা হচ্ছে।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৩
বাংলার হাসান বলেছেন: সত্যি বলার ভাষা নেই।
৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
নুসরাতসুলতানা বলেছেন: সব জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বিক নিরাপত্তা বিধান করতে রাষ্ট্র আজও পারেনি।আসল ছেড়ে নকল নিয়েই .....।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৪
বাংলার হাসান বলেছেন: আসল ছেড়ে নকল নিয়েই .....। সহমত
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৫
বাংলার হাসান বলেছেন: ছবিটি দেখা না গেলে নিচের লিংকে গিয়ে ছবিটি দেখুন কি লেখা রয়েছে সনদপত্রে Click This Link