![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অমি হাসান নামেই আমি পরিচিত এই নামে অন্য ব্লগার থাকায় হয়ে গেলাম বাংলার হাসান। ইতিহাস হলো একটি জাতির দর্পন। ইতিহাস অসচেতন জাতি কোন দিন প্রকৃত দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধে উজ্জীবিত হতে পারে না।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে অনেক লুকায়িত ইতিহাস আছে। যা আজও আমরা জানতে পারিনি। সেই লুকায়িত ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করলে উঠে আসে “স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াসের” কথা। মাত্র তিনজন স্বাধীন পাগল যুবকের হাত ধরে ১৯৬২ সালে যার পথ চলা শুরু হয়। যেই নিউক্লিয়াসের হাত ধরে সৃষ্টি হয় লাল সবুজের পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত আমার সোনার বাংলা। স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল কারিগর ““স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াসের” একজন ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মরহুম আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের আজ দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকিতে জানাই গভীর শ্রদ্ধা।
রাজনীতিবিদ আব্দুর রাজ্জাক শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার দক্ষিণ ডামুড্যা গ্রামে ১৯৪২ সালের ১ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন, ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ মৃত্যু বরন করেন । আব্দুর রাজ্জাকের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ছাত্ররাজনীতির মধ্য দিয়ে। তিনি ১৯৬০-৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৬২-৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল ছাত্র-ছাত্রী সংসদের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭০ সালের নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৩-৬৫ সাল পর্যন্ত তিনি ছাত্রলীগের সহ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়ই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি পর পর দুই বার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খানের শাসনামলে ১৯৬৪ সালে প্রথম তিনি গ্রেপ্তার হন এবং ’৬৫ সাল পর্যন্ত জেল খাটেন।
““স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াসের” তিন জনের একজন আব্দুর রাজ্জাক ভাইয়ের মৃত্যু বার্ষিকিতে চেতনার ফেরিওয়ালাদের জন্য রইল থু থু। আব্দুর রাজ্জাক ভাইয়ের মৃত্যু বার্ষিকিতে চেতনার ফেরিওয়ালাদের ফেসবুক নিউজফিডে দেখলাম না তার জন্য দু' টি লাইন। অনেকে দেখি ব্লগে ও ফেসবুকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের ক্লাস নিতে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করার মূল কারিগরদের একজন আব্দুর রাজ্জাক ভাইয়ের মৃত্যু বার্ষিকিতে মুখে কুলপ দিয়ে বসে থাকতে।
বিঃদ্রঃ যারা এই লেখায় তেনা প্যাচানোর জন্য প্রশ্ন করে বলবেন যে, ২৩ তারিখ শেষ হবার পর কেন লেখাটি দিলাম। তাদের জন্য উত্তর লেখাটি তৈরী করে অপেক্ষায় ছিলাম চেতনার ব্যবসায়ীরা ““স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াসের” তিন জনের একজন রাজ্জাক ভাইয়ের দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকিতে কোন পোষ্ট দেয় কি না। বা সামুর পক্ষ থেকে তার জন্য কোন শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে কি না তা দেখার জন্যই ২৩ তারিখ তার মৃত্যু বার্ষিকির দিনটি পার হবার পর পোষ্টি দিলাম।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৯
বাংলার হাসান বলেছেন: ইতিহাসের পাতায় তিনি থাকবেন অনন্তকাল আপন মহিমায়।
২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩০
রুপম শাহরিয়ার বলেছেন: পাঠক১৯৭১বলেছেন: উনি ছিলেন জাতির জন্য নিবেদিত: শ্রদ্ধার সাথে স্মারণ করছি এই মুক্তিযোদ্ধাকে।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০২
বাংলার হাসান বলেছেন: ইতিহাসের পাতায় তিনি থাকবেন অনন্তকাল আপন মহিমায়।
৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৯
আমি আর নীরব থাকবনা বলেছেন: সহমত
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩
বাংলার হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৩
হরিপদ কেরাণী বলেছেন: মুক্তযুদ্ধে এবং আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে তাঁর অবদান অনেক। কিন্তু তার কিছু ভয়ঙ্কর উদ্যোগ বাংলাদেশের ইতিহাসকে ওলট-পালট করতে পারতো এবং কিছু ক্ষেত্র করেছে। স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশের ভয়াবহ কিছু ক্ষতি করে গেছেন। আপনি তার সম্পর্কে লিখলে সেগুলোও উল্লেখ করা উচিৎ ছিলো।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫
বাংলার হাসান বলেছেন: আপনি সেই ভয়াবহ কিছু ক্ষতি গুলো উল্লেখ করুন। চেষ্টা করবো আলোচনা করতে।
আলোচনার মাধ্যমেই বেরিয়ে আসবে ইতিহাসের লুকানো অধ্যায়।
ধন্যবাদ।
৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৭
তিক্তভাষী বলেছেন: তিনি বঙ্গবন্ধুর বাকশাল তত্বের একনিষ্ঠ অনুসারী ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর বাকশালে তিনি ছিলেন সেক্রেটারী। ১৯৮৩ সালে আওয়ামী লীগ ত্যাগ করে বাকশাল পুনঃগঠন করেন তিনি। ১৯৯২ আওয়ামী লীগে বিলীনের পূর্ব পর্য়ন্ত বাকশালের পতাকা একাই বহন করে চলছিলেন তিনি।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬
বাংলার হাসান বলেছেন: কথা সত্য
৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৩
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: @ হরিপদ কেরাণী ,
আপনি কি মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন? রাজ্জাক কি ক্ষতি করেছিলেন?
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮
বাংলার হাসান বলেছেন: আশা করি তিনি আপনার প্রশ্নের উত্তর দিবেন।
৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৪
হরিপদ কেরাণী বলেছেন: তাঁর এবং তোফায়েল আহমেদের দ্বন্দের কারণে বাংলাদেশে পারিবারিক রাজনীতির সূচনা হয়েছে। ১৯৮০-১৯৮১ সালের কাউন্সিলে তোফায়েল গ্রুপ এবং রাজ্জাক গ্রুপ একমত না হওয়ায় তিনি এবং তোফায়েল মিলে সিদ্ধান্ত নেন শেখ হাসিনাকে পার্টির চেয়ারম্যান করার। তারা করেছিলেনও তাই। এরা দাবি করে এরা বঙ্গবন্ধুর শিষ্য! বঙ্গবন্ধু তাদেরকে রাজতন্ত্র কায়েম করতে শিখিয়েছেন?
১৯৭১ সালে তিনি, তোফায়েল, শেখ মনি, সেরনিয়াবাত, রব, শাহজাহান সিরাজ, মাখন এরা তাজুদ্দিন এবং মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্ব মানেন নি। তারা মুজিব বাহিনী নামে আলাদা বাহিনী গঠন করেছিলেন।
তিনি এবং তোফায়েল বাংলাদেশে পারিবারিক রাজনীতির সূচনাকারী। তাদের কারণে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আজকের নোংরামি দেখতে হচ্ছে।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২১
বাংলার হাসান বলেছেন: আপনি আপনার বক্তব্য পরিস্কার করে বলুন।
১৯৭১ সালে তিনি, তোফায়েল, শেখ মনি, সেরনিয়াবাত, রব, শাহজাহান সিরাজ, মাখন এরা তাজুদ্দিন এবং মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্ব মানেন নি। এই কথাটি আংশিক সত্য,
৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৭
হরিপদ কেরাণী বলেছেন: আরও শুনবেন?
সেরনিয়াবাতের নেতৃত্বে এই গ্রুপের লোকজন ১৯৭১ সালে যুদ্ধ চলাকালে ইন্দিরা গান্ধীর সাথে দেখা করেছিলেন এবং তাকে অনুরোধ করেছিলেন ভারত সরকার যেন তাজুদ্দিন এবং মুজিবনগর সরকারকে স্বীকৃতি এবং কোনও ধরনের সহযোগীতা না দেন। তারা এও দাবী করেন সেরনিয়াবাতের নেতৃত্বে তারাই বাংলাদেশের প্রকৃত নেতৃবৃন্দ এবং বঙ্গবন্ধু তাদেরকেই এই দায়িত্ব দিয়ে গেছেন। ইন্দিরা গান্ধী তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেন। দেশ স্বাধীনের পর এই গ্রুপ বঙ্গবন্ধুকে প্রতিনিয়ত মিসগাইড করেছে। তারাই তাজুদ্দিনের সাথে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্ক অবনতিতে কাজ করেছে। রাজ্জাক ছিলেন বাকশালেন সেক্রেটারি এবং তোফায়েল ছিলেন রক্ষিবাহিনীর প্রধান। বাকশাল এবং রক্ষিবাহিনীর কর্মকান্ড সম্পর্কে মুরুব্বিদের একটু জিজ্ঞেস করলেই উত্তর পাবেন। আমার কিছু বলা লাগবে না। এই তোফায়েল এবং আমুরা এখনও শেখ হাসিনাকে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছেন। যার পরিণতি আমাদের সবার জন্যই খারাপ হতে পারে।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭
বাংলার হাসান বলেছেন: ২৫ মার্চ ১৯৭১ এ হানাদার বাহিনী আক্রমন করার ৩৪দিন আগে অর্থাৎ ১৮ ফেব্রুয়ারী ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর সাথে একটি চুক্তিপত্র হয় নিউক্লিয়াসের। এবং তাজুদ্দিন সাহেব সেই চুক্তিপত্রে সই করেন সাক্ষী হিসেবে। এই বিষয়ে কি আপনি অবগত?
যদি আপনি এই বিষয়ে অবগত থাকেন তাহলে আলোচনা চালিয়ে গেলে উভয়ে উপকৃত হবো।
৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি ।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩২
বাংলার হাসান বলেছেন: ইতিহাসের পাতায় তিনি থাকবেন অনন্তকাল আপন মহিমায়।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২০
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: উনি ছিলেন জাতির জন্য নিবেদিত: শ্রদ্ধার সাথে স্মারণ করছি এই মুক্তিযোদ্ধাকে।