![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অমি হাসান নামেই আমি পরিচিত এই নামে অন্য ব্লগার থাকায় হয়ে গেলাম বাংলার হাসান। ইতিহাস হলো একটি জাতির দর্পন। ইতিহাস অসচেতন জাতি কোন দিন প্রকৃত দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধে উজ্জীবিত হতে পারে না।
প্রিয় ছোট ভাই Rayan Rhiddho দীর্ঘদিন যাবত বলে আসছিলো “নিউক্লিয়াস” নিয়ে লিখতে। কিন্তু নিউক্লিয়াস নামক সংগঠন নিয়ে লিখতে হলে যে পরিমান জ্ঞানের প্রয়োজন তার ছিটে-ফোঁটাও আমার নেই। তবুও প্রিয় ছোট ভাইটির অনুরোধ রাখতেই এই লেখার সূচনা।
. প্রশ্নঃ নিউক্লিয়াস কি?
উত্তরঃ নিউক্লিয়াস একটি গোপন সংগঠনের নাম। যার জন্ম ১৯৬২ সালে।
. প্রশ্নঃ কারা এই সংগঠন তৈরী করে?
উত্তরঃ নিউক্লিয়াস গঠন হয় সেই সময়ের তিন স্বাধীনতা পাগল তরুনের হাত ধরে। এই তিন যুবক হলেন, ১. জনাব সিরাজুল আলম খান (দাদা ভাই), ২. মরহুম আব্দুর রাজ্জাক, ৩. মরহুম কাজী আরেফ আহমেদ।
. প্রশ্নঃ কি উদ্দেশ্য নিয়ে নিউক্লিয়াস গঠিত হয়?
উত্তরঃ নিউক্লিয়াস গঠিত হয় পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ আজকের বাংলাদেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্য নিয়ে।
. প্রশ্নঃ নিউক্লিয়াস গঠনের পিছনে মূল কারিগর কে ছিলেন?
উত্তরঃ জনাব সিরাজুল আলম খান (দাদা ভাই),
. প্রশ্নঃ যাদেরকে নিয়ে নিউক্লিয়াস গঠন হয় তাদের সেই সময়কার পরিচয় কি ছিল?
উত্তরঃ যাদেরকে নিয়ে নিউক্লিয়াস গঠন হয় তারা সবাই তৎকালীন ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন।
প্রশ্নঃ ছাত্রলীগ তো আঃলীগের ছাত্র সংগঠন, তাহলে বলা যায় আঃলীগই প্রথম স্বাধীনতার জন্য গোপনে কাজ শুরু করে?
উত্তরঃ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের জন্ম রাজনৈতিক দল আঃলীগের জন্মের পূর্বে। এবং তৎকালীন ছাত্রলীগ আঃলীগের কোন অঙ্গ সংগঠন ছিল না। তবে বাংলাদেশের জন্মের পূর্বে ছাত্রলীগে দুটি ধারা ছিল। ১. প্রতিক্রিয়াশীল। ২. প্রগতিশীল। ছাত্রলীগের প্রতিক্রিয়াশীল অংশ ছিল রাজনৈতিক দল আঃলীগের পক্ষে। আর প্রগতিশীল অংশ ছিল মূলত ছাত্র/জনতার মূখপাত্র হিসেবে পরিচিত।
. প্রশ্নঃ নিউক্লিয়াসের সদস্যরা কোন অংশের ছিল?
উত্তরঃ নিউক্লিয়াসের সদস্যরা ছিলেন প্রগতিশীল অংশের।
. প্রশ্নঃ ৬২ সালে নিউক্লিয়াস গঠনের পর তারা কি কি কাজ করেছে?
.
উত্তরঃ ৬২ সালে নিউক্লিয়াস গঠনের পর থেকে এই সংগঠন কর্মী তৈরীতে মনোনিবেশ করে। প্রাথমিক ভাবে এই সংগঠনের কর্মী হিসেবে ছাত্রলীগের প্রগতিশীল অংশের তাদেরকেই নেয়া হয় যাদের মাঝে স্বাধীনতার আকাংখা ছিল প্রবল। এবং বিশ্বাসের দিক দিয়ে যারা ছিল শতভাগ যোগ্য।
এই সংগঠন তাদের কর্মী তেরীরে এতটাই গোপনীয়তা রক্ষা করে চলে যে অন্য কোন রাজনৈতিক দল বা ছাত্র সংগঠন তার কিছুই আঁচ করে সক্ষম হয়নি। উদাহরন হিসেবে বলা যায় বর্তমানে যুদ্ধাপরাধী দল জামাতের ছাত্র সংগঠন যেমন ভাবে বছরের পর বছর ধরে তাদের কর্মীদের ব্রেইন ওয়াস করে তৈরী করে নিউক্লিয়াস ও ঠিক তেমনি ভাবে মেধাবী দেখে কর্মী তৈরী করতো। মূলত “শিবিরের কর্মী তৈরীর পদ্ধতিটি নিউক্লিয়াসের কর্মী তৈরীর পদ্ধতি থেকেই নেয়া বলা চলে।
. প্রশ্নঃ নিউক্লিয়াসের উল্লেখ যোগ্য কাজ গুলো কি কি?
উত্তরঃ নিউক্লিয়াসের উল্লেখ যোগ্য কাজ হলো আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ। স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নিউক্লিয়াস তৈরী করে, আমাদের জাতীয় সঙ্গীত নিউক্লিয়াস নির্ধারন করে, স্বাধীনতার মন্ত্র মানুষকে উজ্জীবিতকারী যুগান্তকারী স্লোগান “জয় বাংলা” নিউক্লিয়াসের একটি হাতে লেখা পত্রিকার নাম। (“জয় বাংলা স্লোগানের ইতি কথা” নামে ব্লগার banglar_hasan সামু ব্লগে তিন পর্বের একটি ব্লগ লিখেন যেখানে “জয় বাংলা” স্লোগানের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে।) “তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা,মেঘনা,যমুনা” সহ বেশ কিছু যুগান্তকারী স্লোগান নিউক্লিয়াস সৃষ্টি করে যা পূর্ব বাংলার মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে। এমনকি বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষনের যে অংশটিকে আঃলীগ স্বাধীনতার ঘোষনা বলে দাবী করে, “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম” এ অংশটি বঙ্গবন্ধুর ভাষনে নিউক্লিয়াস সংযোজন করে।
. প্রশ্নঃ স্বাধীনতার পিছনে নিউক্লিয়াসের এত অবদান, তারপরেও ইতিহাসে তাদের নাম নেই কেন? এবং বঙ্গবন্ধুর ভাষনে নিউক্লিয়াস কি করে তাদের বক্তব্য যোগ করল?
উত্তরঃ নিউক্লিয়াসের কথা আমাদের ইতিহাস থেকে ইচ্ছে করেই সযত্নে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে, কেননা ইতিহাসে যদি তাদের কথা উল্লেখ করা হয় তবে জাতীয় নেতাদের অনেকেই জাতীয় হিরো থেকে জাতীয় বেঈমানে পরিনত হবেন। বঙ্গবন্ধুর ভাষনে নিউক্লিয়াস তাদের বক্তব্য যোগ করতে পারার পিছনে অনেক লম্বা ইতিহাস আছে। মূলত নিউক্লিয়াসের সদস্যরা সকলেই ছিলেন তৎকালীন ছাত্র নেতা। কেউ জাতীয় বা আঞ্চলিক রাজনৈতিক নেতা ছিলেন না। আর সে কারনেই নিউক্লিয়াস সেই সময়কার বেশ কয়েকজন জাতীয় নেতাকে চয়েস করেন যার ঘাড়ে ভর করে দেশকে স্বাধীনতার নোঙ্গরে নেয়া যাবে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তারা ১৯৬২ সাল থেকেই তাদের চয়েজ করা নেতাদের পরিক্ষা/নিরিক্ষা করতে থাকেন, এবং খুঁজতে থাকেন কার ঘাড়ে চড়ে তাদের আসল উদ্দেশ্য সফল করবেন। সেই সূত্রেই বঙ্গবন্ধুর সাথে নিউক্লিয়াসের নেতাদের তৈরী হয় নিবিড় বন্ধন, সেই বন্ধন তারা এতটাই মজবুত করতে সক্ষন হন যে ৭ মার্চের ভাষনের তিন দিন আগেই তারা বঙ্গবন্ধুকে সকল আঃলীগ নেতাদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। এবং বঙ্গবন্ধুর মাধ্যমে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষনে “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম” কথা গুলো বলাতে সক্ষম হন।
. প্রশ্নঃ স্বাধীনতার জন্য নিউক্লিয়াস কি ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করে?
উত্তরঃ স্বাধীনতার জন্য নিউক্লিয়াস ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৭০ সালের ভিতরে সাড়ে সাত হাজার কর্মী তৈরী করে যাদেরকে বিদেশের মাটি থেকে সামরিক ট্রেনিং দিয়ে লড়াইয়ের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করার কাজ হাতে নেয়। এই সাড়ে সাত হাজার কর্মীর মাঝে বেশ কয়েকজনকে ৭০ এর নির্বাচনের পূর্বেই বিদেশের মাটি থেকে সামরিক টেনিং দিয়ে আনা হয়। বাকীদের টেনিং ৭০ এর মাঝামাঝি বিদেশের মাটিতে হবার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু নির্বাচন এর কারনে তা পিছিয়ে যায়। যাদেরকে নির্বাচনের পূর্বেই টেনিং করিয়ে আনা হয় তাদের মাঝে “ওরা এগারজন ছবির নায়ক খসরু ভাই এবং মোস্তফা মহসিন মন্টু (বর্তমানে ডাঃ কামাল হোসেনের রাজনৈতিক দলে যুক্ত) উল্লেখ যোগ্য। দেশ স্বাধীন করার লক্ষে নিউক্লিয়াস একটি সামরিক বাহীনিও গঠন করে। যার নাম “বাংলাদেশ লিভারেশন ফোর্স সংক্ষেপে বিএলএফ। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হবার অনেক অনেক পূর্বেই বিএলএফ সদস্যদের কে গোপনে দেশের ভিতরেই সামরিক ট্রেনিং দেয়া হতো খুবই অল্প সংখক করে তা তৃতীয় মাত্রার বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে মরহুম রাজ্জাক ভাই, আ,স,ম আব্দুর রব, শাহজাহান সিরাজ উল্লেখ করেছেন। যা ইউটিউবে খোঁজ করলে পাওয়া যায়।
. প্রশ্নঃ নিউক্লিয়াসে কারা কারা ছিলে তার কি কোন লিষ্ট আছে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, প্রায়ত আরজু আহমেদ রচিত এবং নিউক্লিয়াসের জনক সিরাজুল আলম খান (দাদা ভাই) কতৃক স্বীকৃত “নিউক্লিয়াস” নামক একটি বইয়ে অনেক সদস্যের নাম উল্লেখ আছে।
সূত্রঃ বর্তমানে জীবিত নিউক্লিয়াসের সদস্যদের জবানি থেকে নেয়া।
বিঃদ্রঃ এই লেখাটির সূত্র ধরে ইতিহাস ঘাটলে স্বাধীনতার ইতিহাসের অনেক সত্যই জানা যাবে, যা আজও অপ্রকাশিত।
১। ডা. মাহফুজুর রহমান - 'বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগ-নিউক্লিয়াস বাংলাদেশ সৃষ্টির মূলধারা';
২। মনিরুল ইসলাম- 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সমাজতন্ত্র;
৩। কাজী আরেফ আহমেদ - 'বাঙালির জাতীয় রাষ্ট্র' (শীঘ্রি প্রকাশিতব্য)
বইগুলোতে বিস্তারিত প্রামাণ্য তথ্য পাওয়া যাবে।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:২৮
বাংলার হাসান বলেছেন: এই লেখায় কারই মন্তব্য নাই?! আসলে আমরা কেউ ইতিহাস বা অস্তিত্ব সচেতন না। জাতীয়তাবাদের তীব্র অভাব আমাদের মাঝে! যাই হোক, যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে! সহমত।
বই গুলোর নাম পোষ্টে সংযুক্ত করেছি। তোমাকে ধন্যবাদ।
দীর্ঘদিন পিসি নষ্ট থাকায় উত্তর দিতে দেরি হওয়ায় আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১০
মুদ্দাকির বলেছেন: "মোস্তফা মহসিন মন্টু " তার নিজের এলাকায় ডাকাত বলে পরিচিত ছিল। স্বাধিনতার পূর্বে এবং পরে উনি অনেক ডাকাতি করেছেন!!! উনি তার নিজের এলাকায় ঘৃনিত এক ব্যাক্তি!! শেখমুজিবের আসেপাশের বেশির ভাগ লোক বোধ করি এমনই ছিল। আসলেই আমাদের স্বাধিনতার সত্য ইতিহাস এবং এর সাথে জড়িত মানুষ গুলোর ইতিহাস জানা খুবই জরুরি !!!
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৩১
বাংলার হাসান বলেছেন: দীর্ঘদিন পিসি নষ্ট থাকায় উত্তর দিতে দেরি হওয়ায় আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
পোষ্টের লোখার মূল বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি দিয়ে মূল বিষয়ে আলোচনা করলে আমরা উপকৃত হবো।
৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৪:২৯
মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: অমি ভাই, আপনার এ্ নিউক্লিয়াস নিয়ে মানুষকে সত্য ইতিহাস জানাতে যেমন জানাতে সাহায্য করবে তেমনি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মানুষের চোখও খুলে দিবে ! অনেক অনেক এত সত্য ও সুন্দর তথ্য আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৩৩
বাংলার হাসান বলেছেন: দীর্ঘদিন পিসি নষ্ট থাকায় উত্তর দিতে দেরি হওয়ায় আন্তরিকভাবে দুঃখিত
আপনার মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২১
ইসতিয়াক আহ্মেদ বলেছেন: রায়ান ভাই
বইগুলোর pdf লিংক দেওয়া যাবে?
প্লিজ।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৩৪
বাংলার হাসান বলেছেন: দীর্ঘদিন পিসি নষ্ট থাকায় উত্তর দিতে দেরি হওয়ায় আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
এই বই গুলোর কোন pdf লিংক নাই। শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেটে বই গুলো পাবেন।
৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৪৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ঘুরায়া প্যাচায়া তো আরো প্যাচ লাগায়া দিলেন।
আসেন আলাপ করি। আপনার লেখা থেকে কোট-
প্রশ্নঃ ছাত্রলীগ তো আঃলীগের ছাত্র সংগঠন, তাহলে বলা যায় আঃলীগই প্রথম স্বাধীনতার জন্য গোপনে কাজ শুরু করে?
> এই প্রশ্নটাই ধারনার উপর করা, বা আওয়ামীলিগকে সম্পৃক্ত করতেই করা। আবার যার বাস্তবতা তার উত্তরেই মিথ্যা প্রমানীত হয়।
উততরে কি বলছেন?
উত্তরঃ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের জন্ম রাজনৈতিক দল আঃলীগের জন্মের পূর্বে। এবং তৎকালীন ছাত্রলীগ আঃলীগের কোন অঙ্গ সংগঠন ছিল না।
>প্রশ্ন শুরু করলেন- ছাত্রলীগ যেহেতু করেছে-তাই আওয়ামীলীগের গোপন আন্দোলন-ধারনা নিয়ে। আবার উত্তরে বলছেন- ছাত্রলিগ আ:লীগের কোন সংগঠন ছিল না।
ঘটনা কি ভাই??????
আবার বিশ্লেষনে বলছেন-
"তবে বাংলাদেশের জন্মের পূর্বে ছাত্রলীগে দুটি ধারা ছিল। ১. প্রতিক্রিয়াশীল। ২. প্রগতিশীল। ছাত্রলীগের প্রতিক্রিয়াশীল অংশ ছিল রাজনৈতিক দল আঃলীগের পক্ষে। আর প্রগতিশীল অংশ ছিল মূলত ছাত্র/জনতার মূখপাত্র হিসেবে পরিচিত।
প্রগতিশিল ছাত্র জনতার মূখপাত্র ছিল সত্য। কিন্তু তাদের কথা কি তিনি রেখেছিলেন? বঙ্গবন্ধুকে প্রগতিশীল অংশ থেকে কত চাপ দেয়া হয়েছিল স্বাধীনতার ঘোষনা দিতে- কিন্তু তিনি দেন নি।
এবং শেষ পর্যণ্ত গ্রেফতারের আগেও যখন তাজুদ্দিন আহমেদ একটা লিখিত বা অডিও রেকর্ড দেবার অনুরোধ করেন- তাও কিন্তু রাখেন নি!!
বরং উত্তর কি দিয়েছিলেন- তা আশা করি জানা আছে। !!!!!!
তাহলে সারা রাত সাপ সাপ করে দিনের আলোয় দেখা দড়ি/রশির মতো নিউক্লিয়াসের কেন্দ্রে কি পাওয়া গেল????
- আরোপিত বিশ্বাসের চেয়ে বাস্তবতা খুব কঠিন এবং স্বীকার করতে কষ্ট হবার মতো নির্মম সত্য।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:২৫
বাংলার হাসান বলেছেন: এখানে আওয়ামী লীগকে টেনে আনা হয়েছে এই বিষয়টি পরিস্কার করার জন্য যে সেই সময়কার ছাত্রলীগ ও আজকের ছাত্রলীগ এক নয়।
প্রগতিশিল ছাত্রদের কারনেই মূলত ২৪ মার্চ ১৯৭১ এ পাকিস্তানী শাসকদের সাথে আলোচনা ভেঙ্গে যায়।
বঙ্গবন্ধুকে প্রগতিশীল অংশ থেকে কত চাপ দেয়া হয়েছিল স্বাধীনতার ঘোষনা দিতে- কিন্তু তিনি দেন নি।
এবং শেষ পর্যণ্ত গ্রেফতারের আগেও যখন তাজুদ্দিন আহমেদ একটা লিখিত বা অডিও রেকর্ড দেবার অনুরোধ করেন- তাও কিন্তু রাখেন নি!! আবার এমন কিছুও করতে পারেন নি যা সরাসরি স্বাধীনতার বিপক্ষে যায়। এখানেই কিন্তু লুকিয়ে আছে নিউক্লিয়াসের সফলতা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১৮
রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: এই লেখায় কারই মন্তব্য নাই?! আসলে আমরা কেউ ইতিহাস বা অস্তিত্ব সচেতন না। জাতীয়তাবাদের তীব্র অভাব আমাদের মাঝে! যাই হোক, যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে!
আহসানউল্লাহ আঙ্কেলের বলা বই গুলো এই পোস্টে সংযুক্ত করা দরকারঃ
১। ডা. মাহফুজুর রহমান - 'বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগ-নিউক্লিয়াস বাংলাদেশ সৃষ্টির মূলধারা';
২। মনিরুল ইসলাম- 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সমাজতন্ত্র;
৩। কাজী আরেফ আহমেদ - 'বাঙালির জাতীয় রাষ্ট্র' (শীঘ্রি প্রকাশিতব্য)
বইগুলোতে বিস্তারিত প্রামাণ্য তথ্য পাওয়া যাবে।