নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমি হাসান নামেই আমি পরিচিত

মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার, ধর্মান্ধতা ও দলান্ধতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।

বাংলার হাসান

অমি হাসান নামেই আমি পরিচিত এই নামে অন্য ব্লগার থাকায় হয়ে গেলাম বাংলার হাসান। ইতিহাস হলো একটি জাতির দর্পন। ইতিহাস অসচেতন জাতি কোন দিন প্রকৃত দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধে উজ্জীবিত হতে পারে না।

বাংলার হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি

২৭ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১৩





আজকের আলোচনার বিষয় হলো কেন তারা সফল হচ্ছেন না?



দেশের মানুষ প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের কর্মকান্ডে বিরক্তই নয় বরং ক্ষুদ্ধও বটে। জনগন দুই জোটের হাত থেকে মুক্তি চায়, দেখতে চায় তৃতীয় একটি রাজনৈতিক শক্তি। বেশ অনেক দিন আগে থেকে বিভিন্ন টক-শো এবং কোন কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তৃতীয় একটি রাজনৈতিক শক্তি দাঁড় করাতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু তা সফল হচ্ছে না।



মূলত ১/১১ র পর আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনের যারা দন্ড-মুন্ডু তাদের চরিত্রের অন্ধকার দিক গুলো জাতির কাছে দিনের আলোর মত করে পরিস্কার হয়ে যায়। আর তখন থেকেই মূলত সাধারন মানুষ এদের শোষন থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে তৃতীয় কোন রাজনৈতিক শক্তির আশ্রয় কামনা করতে শুরু করে যা দিনে দিনে বাড়তে থাকে। মানুষের এই আকাংখাকে রসদ জোগায় টিভি টক-শো গুলো।



এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তির কথা বলে মাঠে-ময়দানে, টিভি টক-শো গুলোতে ঝড় তুলতে থাকেন। এদিকে সাধারন মানুষও চাইছেন দুই জোটের বাহিরে একটি তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি। তারপরেও কেন তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি তৈরীতে যারা দৌড়-ঝাপ করছেন তা আলোর মুখ দেখছেনা? এই কেন এর উত্তর যে সকল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব দৌড়-ঝাপ করছেন তাদের নিকট প্রশ্ন করা হলে তারা কি উত্তর দিবেন আমার জানা নেই।



তবে একজন সাধারন মানুষ হিসেবে আমার উত্তর হলো, যে সকল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কোমরে রশি বেঁধে নেমেছেন তারা সকলেই কোন না কোন সময় এই দুই জোটের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন, যদি সরাসরি জড়িত না থেকে থাকেন তবে দেখা যাবে এদের কাছে থেকে তারা বিভিন্ন সময় বিভন্ন সুযোগ-সুবিধা গ্রহন করেছেন। আজ তারা উভয় জোটের নিকট অবহেলিত বা ঘাড় ধাক্কা খেয়েছেন। আজ তাদের যাবার কোন স্থান নেই। এমন সময় এসে তারা জনগনকে তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তির স্বপ্ন দেখাচ্ছেন যা জনগন গ্রহন করছে না। কেননা জনগনের নিকট দুই জোটের মতই তাদের অবস্থান। কেননা জনগনের নিকট যদি তারা দুই জোটের চাইতে আলাদা কিছু হতেন তবে তাদের দৌড়-ঝাপ অনেক আগেই সফল হতো।



প্রকৃত অর্থে সাধারন মানুষ তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি বলতে এমন একটি শক্তির অপেক্ষায় আছে যারা হবেন পথ থেকে সাধারন মানুষের মাঝ থেকে উঠে আসা জনগনের সত্যিকারের প্রতিনিধি, যাদের থাকবে না কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আতাত বা এক সাথে বসবাসের অতীত ইতিহাস। যারা উঠে আসবে সাধারন মানুষের মাঝ থেকে সাধারন মানুষের আকাংখার ফল হয়।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:২৩

একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: ফেসবুকে আপনার লেখা দেইখা আগ্রহ নিয়ে পড়তে আসলাম কিন্তু হতাশ। আপনার বিশ্লেষন পুরাই ভুল....................... এই লেখাটা ঠিক মতো লিখতে গেলে যে লেখা দিছেন তার মিনিমাম দশগুন বড় হবে। আমি এটা অনেক বার লিখতে যেয়েও লিখি নাই সাহসের অভাবে

২৭ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১

বাংলার হাসান বলেছেন: এটা নিয়ে যে লেখাটা তৈরী করেছি তা ২২ পৃষ্টার একটি লেখা, এখানে খুব সংক্ষেপে কিছু দেয়া হয়েছে যেটা থেকে অনেক কিছূ চাইলে আপনি নিজে নিজে তৈরী করে নিতে পারবেন।

২| ২৭ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


দাদা ... ওহ দাদা শরীরটা ভালা নি আপনার ?

২৭ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৯

বাংলার হাসান বলেছেন: এই তো ভাই আছি আপনাদের দোয়ায়। মাঝে অনেক দিন অসুস্থ ছিলাম।

আপনি কেমন আছেন? বাসার সবাই কেমন আছে?

৩| ২৭ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সাধারন মানুষ তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি বলতে এমন একটি শক্তির অপেক্ষায় আছে যারা হবেন পথ থেকে সাধারন মানুষের মাঝ থেকে উঠে আসা জনগনের সত্যিকারের প্রতিনিধি, যাদের থাকবে না কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আতাত বা এক সাথে বসবাসের অতীত ইতিহাস। যারা উঠে আসবে সাধারন মানুষের মাঝ থেকে সাধারন মানুষের আকাংখার ফল হয়। .........

ভাবতেতো ভালোই লাগে। কিন্তু বাস্তবতা?

কেজরিওয়ালরে দেখছেন? উত্থান যেমন চমকের পতনেও তেমনি দ্রুত!

আর উদ্যোক্তাদের মধ্যে আবার দেখূন- আম-বাম রামের দূষন আছে। সুশীলতায় যারা তাদের আবার ধর্মের এলার্জি- আমজনতা আবার ৮৫ ভাই ধর্মভীরু- তাই শুধু বিসমিল্লাহ নিয়ে জাতীয়তাবাদীরা যত সিট পায়-পুরা লেবাস নিয়াও অন্য ধর্মভিত্তিক দল জামানতও রাখতে পারে না।

ইকুয়েশনে এই দিকটা অনেকে ইচ।ছায় বা অনিচ্ছায় ইগনোর করে বলেই কেউ দাড়াতে পারছে না।
মোদীর উত্থানে এই বাস্তবতা আরও পোক্ত ভিত পেল। ভারতেরও ধর্ম ভীরু জনতাই কিন্তু সব বদলে দিল! যদিও সামনে বাহ্যত উন্নয়নের মূলা কিন্তু অন্তরে তার ধর্মই প্রধান।

আমাদের আমজনতার এই বিশ্বাসকে যারা ইগনোর করবে, বা অর্তহীন মনে করবে- তারাই আম-বামদের মতো বছরের পর বছর শুদু গলাবাজিই করে যেতে পারবে- আমজনতার মন পাবে না।

২৭ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৬

বাংলার হাসান বলেছেন: আপনার বিশ্লেষন যুক্তিপূর্ণ এবং এর সাথে আরো অনেক অনেক বিষয় জড়িত আছে।

কেজরিওয়ালরে দেখছেন? উত্থান যেমন চমকের পতনেও তেমনি দ্রুত!

কেজরিওয়ালার বিষয়টা আপনাকে একটু ভিন্ন ভাবে দেখতে হবে। সে তার ক্ষমতার আওতায় থাকা সমস্যা গুলো সমাদান করার কাজে হাত না দিয়ে যেটা তার ক্ষমতার বাহিরে সে কাজকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছে যা ছিল তার ভুল সিদ্ধান্ত।


শুধু ভারতই নয় আমাদের এ অঞ্চলের দেশ গুলোতে আমরা যারা বসবাস করি তারা ধর্ম পালন করি বা না করি কিন্তু বরাবরই ধর্মভীরু-। এই বিষয় গুলো উপেক্ষা করে কোন রাজনৈতিক ভীত কেউ কোন দিন তৈরী করতে পারেনি।

এই বাস্তবতাকে সাথে নিয়েই সাধারন মানুষের আশা-আকাংখার প্রতিফলন ঘটাতে পারলে তবেই কেবল সম্ভব তৃতীয় রাজনৈতক শক্তি হিসেবে গড়ে উঠা। যা দেশের প্রতিটি সাধারন মানুষ চায়।

৪| ২৭ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭

রাশেদ আহম্মেদ বলেছেন: আপনি অনেক ভালো লিখেছেন, লিখাটা পরতে যতটা সহজ ছিল বাস্তবতাটা অতো সহজ নয়।
যে দেশের মানুষের ১ কেজি চাউলের টাকা টাকা হিসাব করতে দিন যায় তারা আবার ৩য় পক্ষকে ভাববে কখন??

২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:০১

বাংলার হাসান বলেছেন: যে দেশের মানুষের ১ কেজি চাউলের টাকা টাকা হিসাব করতে দিন যায় তারা আবার ৩য় পক্ষকে ভাববে কখন??

ইতিহাস দেখলে দেখা যায় মানুষের কল্যানে যত পরিবর্তন হয়েছে তা কিন্তু এই লেভেলের মানুষ হাত ধরেই এসেছে।

আসলে এই লেখায় মূলত তৃতীয় শক্তির জন্য যারা দৌড়-ঝাপ করছেন তারা কেন সফল হচ্ছেন না।

৫| ২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৪৯

জাতির বোঝা বলেছেন:
===========================+++++++++++++++++্===========

২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৫১

বাংলার হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:০০

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: জয় বাংলা বলে বলে আগে বাড়ো !

২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৫২

বাংলার হাসান বলেছেন: কি উদ্দেশ্য নিয়ে আগে বাড়বে সেটা না বলেল কি করে বাড়বো?

৭| ২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:১৪

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন বলেছেন: তৃতীয় হবে বলে আশাবাদী তবে সেটা কবে নাগাদ হবে সেটাই দেখার বিষয়। তাছাড়া দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দল যদি পরিবারতন্ত্র থেকে বেড়িয়ে এসে দলের ভিতরে অথবা বাহিরে সুষ্ঠ গনতন্ত্রের চর্চা করে তাহলে সাধুবাদ।

২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৫৩

বাংলার হাসান বলেছেন: তৃতীয় হবে বলে আশাবাদী তবে সেটা কবে নাগাদ হবে সেটাই দেখার বিষয়।

আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে?

৮| ২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:২৮

নাহিদ শামস্‌ ইমু বলেছেন: সহমত!
তবে কাজটি এতটা সহজ নয়। এজন্য পাড়ি দিতে হবে কণ্টকাকীর্ণ পথ। অনেক কিছু বিসর্জন দিতে হবে, মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, নতুন করে স্বপ্ন দেখাতে পারতে হবে, মানুষের মনের ভেতরে স্থান করে নিতে হবে, নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করতে হবে, বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোর এবং তাদের ছাত্রসংগঠনগুলোর চোখ রাঙ্গানিকে উপেক্ষা করতে পারতে হবে, লড়াই করতে পারতে হবে!
যে বা যারা এই কাজগুলো করতে পারবে, শুধু তারাই হতে পারবে তৃতীয় শক্তি!
ধন্যবাদ পোস্টটির জন্য।

২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৫৫

বাংলার হাসান বলেছেন: এজন্য পাড়ি দিতে হবে কণ্টকাকীর্ণ পথ। অনেক কিছু বিসর্জন দিতে হবে, মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, নতুন করে স্বপ্ন দেখাতে পারতে হবে, মানুষের মনের ভেতরে স্থান করে নিতে হবে, নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করতে হবে, বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোর এবং তাদের ছাত্রসংগঠনগুলোর চোখ রাঙ্গানিকে উপেক্ষা করতে পারতে হবে, লড়াই করতে পারতে হবে! সহমত।

এ কাজ গুলো আমাদেরকেই করতে হবে যদি না করতে পারি তবে নোংরা রাজনীতির সমালোচনা করার কোন অধিকার আমাদের নেই।

৯| ২৮ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:২০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: খাঁটি কথা। কিন্তু সত্যি হবে কবে?

২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৫৭

বাংলার হাসান বলেছেন: সত্যি করার জন্য আমরা কি আদৌ কিছু করছি?

১০| ২৮ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৩২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মোট কথা একক সংখ্যাগরিষ্ঠের দিন শেষ হবার কথা। কারন এটা স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের জন্ম দেয়।।

২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১:০০

বাংলার হাসান বলেছেন: এটা স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের জন্ম দেয়।

কিন্তু শাষন ব্যবস্থা যদি হয় ক্ষমতার বিকেন্দ্রিকরন তাহলে তা স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের জন্ম দিতে পারে না।

১১| ২৮ শে মে, ২০১৪ রাত ১:০৫

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: থার্ড পার্টি আসবেনা। কারণ ভারতবর্ষের রাজনৈতিক ঐতিহ্যই পরিবার কেন্দ্রিক। সে ভুট্টো পরিবার হোক, নেহেরু পরিবার হোক শেখ পরিবার হোক বা জিয়া পরিবার।

তবে অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে এদেশে রাজনীতিটা হয়ে গেছে আসলে মুজিব এবং জিয়া পরিবারের লড়াইয়র মাঝে সীমাবদ্ধ। বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এর বাইরে কিছু নাই। কে কোন পরিবারকে আগে ধ্বংস করতে পারে সেটাই এখনকার রাজনীতির মূল বিষবস্তু।

২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১:০২

বাংলার হাসান বলেছেন: কে কোন পরিবারকে আগে ধ্বংস করতে পারে সেটাই এখনকার রাজনীতির মূল বিষবস্তু।

আর এটার বলি হয় হাজার হাজার নিরিহ মানুষ। এ থেকে বের হয়ে আসার পথ কি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.