![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমানে বাংলাদেশ সহ প্রতিবেশি ভারতেও ধর্ষণের হার আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে, যা সত্যিই উদ্বেগজনক। এর থেকে বের হয়ে আসতে হলে ব্যপক জনসচেতনতা সহ কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে।
তার কয়েকটি নিম্নরুপ হতে পারে-
১. ধর্ষণকারীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে ।
ধর্ষণ বেড়ে যাবার একটি প্রধান কারন বলা যেতে পারে অপরাধীদের বিচার না হওয়া। এতে করে অন্য অপরাধীরা উৎসাহিত হয় এধরনের অপরাধ করার জন্য।
এক্ষেত্রে উদাহারন নেয়া যেতে পারে সবচেয়ে কম ধর্ষণ হওয়া সৌদী আরব থেকে। ধর্ষণের সাস্তি এখানে প্রকাশ্যে শিরচ্ছেদ। যা একটি উদাহারণ হয়ে থাকে অন্য অপরাধীদের জন্য।
২. বিচার হয়ে থাকলে তা মিডিয়াতে প্রচার করতে হবে।
আমরা প্রতিদিন সংবাদপত্রে অপরাধ সংঘটিত হবার সংবাদ পাই কিন্তু বিচার হবার সংবাদ তেমন পাই না।
৩. নারী-পুরুষের বিবাহযোগ্য হবার বয়স কমিয়ে আনতে হবে (এই বিষয়টা ব্যপক, আলোচনা প্রয়োজন)।
মানুষকে সহ প্রত্যেকটি প্রাণীকেই সৃষ্টি করা হয়েছে কিছু প্রয়োজন দিয়ে এবং সেই প্রয়োজন মিটানোর ব্যবস্থাও রেখেছেন আল্লাহ তাআলা। পুরুষ মানুষের যৌবন আসতে শুরু করে ১৪-১৫ বছর বয়স থেকেই। আর মোটামুটি ১৮ বছর বয়সে পূর্নতা পেয়ে যায়। যৌবনের প্রয়োজন একটি চিরন্তন বিষয়, অবজ্ঞা করার সুযোগ নেই। এখন প্রশ্ন হল, যে লোকটি ১৮ বছর বয়সে পরিপূর্ণ যুবব হল, তাকে কেন ২৫ বা ২৮ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে? মধ্যবর্তী সময়ে তার শরীরের/ যৌবনের চাহিদা কিভাবে পূরন করবে? বৈধ ব্যবস্থা না থাকলেই মানুষ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিপথগামী হয়।
৪০ বছর আগে আমাদের পিতারা যদি ১৬ বছর বয়সে বিয়ে করতে পারেন, তাহলে আমরা কেন ১৮ বছর বয়সে বিয়ে করতে পারব না?
৪০ বছর আগে আমাদের মায়েদের যদি ১৪ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে থাকতে পারে, তাহলে এখন কেন মেয়েদের বয়স ১৮-২০ হতেই হবে?
৪. নৈতিকতা বিনষ্টকারী মিডিয়ার আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে।
বর্তমানে যে সকল নাটক, সিনেমা বা ডেইলি সোপ রুপে যে সকল সিরিয়াল প্রচারিত হচ্ছে, তার অধিকাংশেরই বিষয় হল সাংসারিক জটিলতা, সন্দেহ, পরকীয়া বা অবৈধ প্রেম। যেখানে নারীদেরকে খোলামেলা পোষাকে উপস্থাপন করা হয়। যার সরাসরি প্রভাব আমাদের সামাজিক জীবনে পড়ছে। আজকে আমাদের নারীদের পোষাক পরিবর্তন হয়ে গেছে মিডিয়ার আগ্রাসনে।
নারী পুরুষের কাছে তেমনি লোভনীয় বস্তু যেমনটি নারীদের কাছে তেতুল।
কাজেই, মিডিয়ার এই অপপ্রসার বন্ধ করতে হবে, না হলে সমাজ জীবনের এই পচা ঘা সারবে না।
৫. নারীদেহ প্রদর্শন বন্ধ করতে হবে (পুরুষের পোষাক লম্বা আর নারীদের পোষাক খাটো হবার কারনটা কী?)
৬. পারিবারিক বন্ধন ও পারস্পরিক সুসম্পর্ক মজবুত করতে হবে।
পারিবারিক বন্ধন ও সুসম্পর্ক জোড়ালো করার ক্ষেত্রে প্রধান ভুমিকা রাখবে পারস্পরিক যোগাযোগ ও সহমর্মিতা। আজকাল এমন হয়েছে, পিতা-মাতা খবর রাখেনা সন্তানেরা কোথায় থাকে, সন্তানেরা খবর রাথেনা পিতা-মাতার।
৭. অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে সন্তানদের ক্ষেত্রে যে তারা কী করে, কার সাথে মেশে ইত্যাদি।
আসুন আমরা একীভূত হই, সমাজ থেকে নোংরামী দূর করি।
©somewhere in net ltd.