![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেকে এরকমটিই মনে করেন। তাদেরকে অবশ্য দোষও দেয়া যায়না। কিছু কারনতো রয়েছেই। কিন্তু এর বিপরীত দিকটি কেউ খেয়াল করে না।
একজন প্রবাসীর জীবন কিরুপ তা সে নিজে উপলব্ধি করে যখন বাড়ীতে বা দেশে কোন উতসব হয়।... যেমন ঈদ, বিয়ে, সন্তান জন্ম নেয়া ইত্যাদি। আর যখন বাড়ী থেকে কোন দুঃখের খবর আসে, তখন এর ভার হয় অতুলনীয়। যেমন নিকটাত্মীয়ের মৃত্যু বা সন্তান, পিতা-মাতা বা ভাই-বোন কারো মৃত্যু সংবাদ। বাড়ীতে থাকলে হয়ত মায়ের মৃত্যুর দুঃখ ৩ দিনে ভুলে যেত, কিন্তু সেই একই ব্যাক্তি যখন প্রবাসে থেকে একই সংবাদ পায়, তাহলে তার দুঃখটা থেকে যায় অনেক দিন। দীর্ঘদিন পরও কাছের কারো সাথে দেখা হলে প্রথমে এই কথাটা বলবে, ভাই আমার মা মারা গেলেন, শেষ দেখাটা দেখতে পারলাম নাহ। মাটি দিতে পারলাম নাহ। আর দুচোখ বেয়ে অঝর ধারায় অস্রু নামবে।
আবার আমাদের অসহায়ত্ব তখন বোঝা যায়, যখন আমরা অসুস্থ হই। ক্লান্তিতে শরীর ভেঙ্গে আসে, ব্যাথায় মাথাটাকে মনে হয় আট মণ ওজন। কিন্তু একটি উষ্ণ হাতের মায়া-মমতা ভরা স্পর্শ পাওয়া যায়না সেই চুর্ণ হওয়া শরীরে, সেই আট মণ ওজনের মাথায়। তবুও কাজ চালিয়ে যেতে হয়, প্রজেক্ট ডেডলাইন মেইন্টেইন করতে হয়। তারপর আসে ঘরে ফেরার পালা, সে ঘরে নেই সন্তানের আধোআধো বোলের বাবা ডাক, কেউ জানতে চাইবেনা ‘আজ কাজের চাপ কি খুব বেশি ছিল?’
সে ঘরে কেউ নেই, কিছু নেই, কিচ্ছু নেই; আছে শুধু অন্ধকার আর ঘুমাবার এক চিলতে খাট।
২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১০
কাশবনে একদিন বলেছেন: ক্যপ্রিসিয়াস, ভাল বলেছেন। দংশিতই জানে কীযে জ্বালা সাপের বিষে
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৭
ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: সত্যি কথা বলেছেন। রুটিন মাফিক কাজ, তার পর আবার নিজের রান্না বান্না ও ঘরের কাজতো আছেই। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে চলা দিনের শেষে একটু বিশ্রাম এর জন্য ফেরা সে ঘরে কেউ নেই, কিছু নেই, কিচ্ছু নেই; আছে শুধু অন্ধকার আর ঘুমাবার এক চিলতে খাট। কেউ জানতে ও চায় না কেমন আছি। কি খেয়েচি.. রাতের শেষে আবারো সেই ছুটে চলা। এরই নাম জিবন.,,হয়ত এরই নাম প্রবাসে ভাল থাকা ।