![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আল্লাহ তা'য়ালা আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন সুনির্দিষ্ট 'to do' লিস্ট দিয়ে। আর তা'হল একমাত্র তাঁরই ইবাদাত করা। কিন্তু দুর্বল মানুষ সে কথা প্রতিনিয়ত ভুলে যাই। তাই ইবাদাত বন্দেগীতে যেমন ত্রুটি বিচ্চুতি হয়, তেমনি আমাদের ব্যক্তি জীবনেও নানারকম ত্রুটি বিচ্চুতি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এখন কথা হল, আমরা কি ভুলত্রুটি নিয়েই জীবন যাপন করব? নাকি এই ভুলগুলো থেকে পাক-পবিত্র হতে চেষ্টা করব? আর তাহলে পাক-পবিত্রত অর্জনের উপায়ই বা কী? আসুন দেখি আল্লাহ, অতঃপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম আমাদের কী শিক্ষা দিয়েছেন।
আল্লাহ বলেন, 'হে মুমিনগণ! তোমরা সকলেই আল্লাহর কাছে তাওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার'। (সুরা নূর - ৩১)
এখানে লক্ষণীয় যে, আল্লাহ পাক নর-নারীকে ৩০/৩১ পরপর দু'টি আয়াতের মাধ্যমে নিজেদেরকে পর্দা করার ও শালীনতার আদেশ দেবার পর বলছেন, তোমরা তাওবা কর। এর অর্থ এটা হতে পারে, আমরা আল্লাহর সব আদেশ পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পালন করতে পারব না, ভুলত্রুটি হবেই। তাই তাওবার উপদেশ দয়াময় আল্লাহ আমাদেরকে দিয়েছেন যাতে করে আমরা নিজেদেরকে পাপমুক্ত কারতে পারি।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'হে লোক সকল! তোমরা আল্লাহর নিকট তাওবা কর, নিশ্চয়ই আমি দিনে আল্লাহর নিকট একশতবার করে তাওবা করে থাকি। (সহিহ মুসলিমঃ ২৭০২)। অন্য হাদিসে ৭০ এর অধিকবারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক ফরজ সালাতের (নামাজের) পর তিনবার করে 'আসতাগফিরুল্লাহ' বলতেন। যা আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত আমল। আমরা যদি নিয়মিত এটা করি, তাহলে নামাজের মাধ্যমেই ১৫বার হয়ে যাচ্ছে। আর চলতে ফিরতে আমরা যেকোন সময় 'আসতাগফিরুল্লাহ' বলতে পারি। এতে আমাদের তাওবা করার মধ্যেই দিন অতিবাহিত হবে 'ইন শা আল্লাহ'।
সর্বোপরি, রাসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম যদি দিনে একশতবার তাওবা করতে পারেন, তাহলে আমাদের কতবার করে করা উচিত!?
পাঠকমহলের অনুধাবন করার জন্য অনুরোধ রইল।
আল্লাহ এই পোস্ট থেকে আমাকে ও আমার সকল দ্বীনি দ্বীনি ভাই-বোনদেরকে উপকৃত করুন। আমিন।
©somewhere in net ltd.