নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খোলা জানালা

কাশবনে একদিন

কাশবনে একদিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

"বাক্যালাপে প্রমিত বাংলা ভাষা"

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩০

ভাষা হল পারস্পরিক যোগাযোগের একটা অন্যতম মাধ্যম। একজন অন্যজনের কাছে প্রয়োজন, আকুতি, আদেশ, নির্দেশ, সহানুভুতি, সুভাকাঙ্খা ইত্যাদি ইত্যাদি প্রকাশ করে মানুষ ভাষার মাধ্যমে। প্রাণীজগতেরও নিজস্য ভাষা বা যোগাযোগের নির্দিষ্ট মাধ্যম রয়েছে।



বর্তমানে মানুষের মাঝে অন্য ভাষার প্রতি একটি দুর্বার টান বা আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শিক্ষিত অশিক্ষিত সবাই তার কথাবার্তায় দু'একটি ইংরেজী শব্দ ব্যবহার করবেই। নাহলে যেন যা বলতে চাচ্ছে তা স্পষ্ট হচ্ছে না। এটাকে আমি বলব নিজের ভাষার প্রতি অমনোযোগীতার ফলাফল এবং এক ধরনের অজ্ঞতা।



স্কুল-কলেজের অনেক ছেলে-মেয়ে এমন রয়েছে যারা হয়ত ইংরেজীতে বাক্যালাপে পারদর্শী আর তাই তারা অনেক সময় মনে করে বা বলে থাকে, আমি বাংলা ভাষায় মনের ভাব ফুটিয়ে তুলতে পারিনা! অথচ এটা তার মাতৃভাষা! নিদারুন এক ভাষার দৈন্যতা প্রকাশ পায় তাদের কথা শুনলে। তাদেরকে বাংলা-ইংলিশ মিশিয়ে কথা বলেন, তাদেরকে যদি বলা হয়, যা বলেছেন, তা প্রমিত বাংলায় বলুন, তখন তারা আমতা আমতা করেন। আমার খুব দু:খ লাগে তখন!



মাতৃভাষা বা স্বজাতির ভাষা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পবিত্র কুরআনুল কারীমেও আল্লাহ সুবহানা ওয়া তায়ালা নিজ ভাষার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন। যত নাবী ও রাসুল প্রেরণ করেছেন, তাদেরকে আপন আপন গোত্র বা ভাষার লোকদের উপর নাবী ও রাসুল করেছেন। এটা এ জন্য যে, তাতে আল্লাহর আদেশ নিষেধ পরিপূর্ণ ও সুনিপূণভাবে মানুষের কাছে পৌছে দিতে পারেন। উদাহারণ হিসেবে সুরা ইউসুফ এর ২ নম্বর আয়াতটি আমাদের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষনীয়।



আল্লাহ সুবহানা ওয়া তায়ালা বলেন, "'আলিফ-লাম-মীম'। এগুলো সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াত। নিশ্চয় আমি একে আরবী কুরআন রুপে নাযিল করেছি যাতে তোমরা বুঝতে পার।" সুরা ইউসুফ ১,২।



সুবহান আল্লাহ, আল্লাহ যদি রাসুল সা: এর প্রতি কুরআনকে তার মাতৃভাষায় নাযিল না করে বাংলা ভাষায় নাযিল করতেন, তাহলে তার খুব কষ্ট হতো মানুষকে দাওয়াত দিতে।

আসুন, আমরা সকলে মাতৃভাষাটিকে ভালভাবে বলতে শিখি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.