নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সোজা কথা

আমির হোসেন রিকু

আমির হোসেন রিকু › বিস্তারিত পোস্টঃ

''ধর্ম, রাজনীতি নিয়ে কখনই তর্ক-বিতর্ক করবে না তোমরা''

০১ লা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:২৬

''ধর্ম, রাজনীতি নিয়ে কখনই তর্ক-বিতর্ক করবে না তোমরা''



আমার একজন শিক্ষক অধ্যাপক জামিল ফোরকান। বাংলার অধ্যাপক ছিলেন তিনি। শিক্ষকতা করেন সাবেক কঠিন প্রত্যন্ত অঞ্চল ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগর মহাবিদ্যালয়ে। আমি উচ্চ মাধ্যমিক সেখানেই পড়ি। কোটেশন দেয়া উক্তিটি স্যারই করেছিলেন।



শুধুমাত্র অভিজিৎ রায়ই নন। মাওলানা নূরুল ইসলাম ফারুকী, গোপীবাগে সাত খুন। প্রতিটি ঘটনার সঙ্গেই জড়িত ধর্ম। কী হয় ধর্ম নিয়ে তর্ক না করলে, প্যাঁচগোচ অর্থাৎ আরেক ধর্মে আঘাত হানে এমন কথা না বললে কী হয়। আমি বুঝি না কেন ধর্ম নিয়ে এতো তর্ক-বিতর্ক। জোরজবস্তি, চাপিয়ে দেয়ার প্রাণন্তকর চেষ্টা। প্রায়শই দেখি এবং শুনি যারা ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেন, তারাই ধর্মকে কটাক্ষ করে কথাও বলেন। তারা কেমন ধর্মনিরপেক্ষ।



ধর্মীয় বিবাদ যতদিন না কমবে ততদিন আরও অভিজিৎ, ফারুকী লাশ হবেই। কেউ বিশ্বাস করেন আর না-ই করেন।



ধর্ম নিয়ে তর্ক বিতর্ক কখনই পছন্দ করতাম না স্যারের কথা শোনার পর থেকে। কেবল খেয়াল রাখতাম, বোঝার চেষ্টা করতাম, কেন স্যার এমন উক্তি করলেন।



উপলব্ধি বলল- ধর্ম নিয়ে তর্ক-বিতর্ক বিবাদই ডেকে আনে।

আমি ধর্ম নিয়ে তর্ক-বিতর্কের বিরুদ্ধে। X((X((X((X((

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার স্যারের প্রতি শ্রদ্ধা জানবেন। তিনি যা বলেছেন, সেটা স্বাভাবিকভাবেই আপনার বা আপনাদের মঙ্গলের জন্যেই বলেছেন। আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি আর বিশ্বাসও করি, তিনি আপনাদের ভালো হোক, কোন অযাচিত সমস্যার মুখোমুখি যেন না হন সে জন্যেই বলেছেন।

আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, ধর্ম বা রাজনীতি কোনদিন তর্ক-বিতর্কের বাইরের বিষয় ছিলোনা আর কখনো সেটা বন্ধ করাও সম্ভব নয়। কারণটাও খুব সরল, যেখানেই মতামত সেখানেই মাতামাতি হবে। প্রশ্ন হলো, মাতামাতিকে কিভাবে হাতাহাতি পর্যায়ের আগেই বন্ধ করা যায়? উত্তরটাও স্বাভাবিক আর সহজবোধ্য। জ্ঞান, সহনশীলতা আর বাক প্রকাশের অধিকার।

অনেকের সাথেই আপনার মতের অমিল হতেই পারে, যেমন আমার হচ্ছে বির্তকের ইস্যুতে। কিন্তু সেটাকে আপনি আপনার যুক্তি দিয়ে খুব সহজেই খন্ডন করতে পারেন। যদি খন্ডন না করতে পারেন, তার মানে এই নয় যে আপনি আমাকে বা অন্য কাউকে আঘাত করতে যাবেন। প্রত্যেকটা মানুষের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে, সেটা পৃথিবীর কেউ কেড়ে নিতে পারেনা আর সেটা উচিতও নয়।

অভিজিৎ যা লিখেছেন, তার বেশ কিছু লিখা আমি অনেক আগেই পড়েছি। অনেক কিছু আমারও ভালো লাগেনি আর তাই আমি তার লিখা পড়া বন্ধ করে দিয়েছি। ব্যাস ল্যাটা চুকে গেলো। তারপরেও আমি বলবো, তার অধিকার ছিলো তার স্বাধীন মত প্রকাশের এবং স্বাধীন দেশে স্বাভাবিকভাবে বেচে থাকার। এটা কেড়ে নেয়ার অধিকার কারোর নেই। আমি এখনো বিশ্বাস করি, পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষেরই সেই অধিকার রয়েছে। যেমন রয়েছে, আপনার আমার আমাদের সবার।

আপনার অভিমান বা মতামতকে শ্রদ্ধা জানাই। আপনার স্যারকেও আমার সালাম জানাবেন। ভালো থাকুন আর হ্যাঁ, হাত খুলে লিখে যান :)


২| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৫২

অবনি মণি বলেছেন: আমি ধর্ম নিয়ে তর্ক-বিতর্কের বিরুদ্ধে

৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: স্বাধিনতার মানে যমেন যা খূশি তাই করা নয়-
মুক্তমনার মানেও তেমনি যা খুশি তাই বলা নয়।

অথচ তারা তেমনটিই চাইছে। অন্য কোন ক্ষেত্রে যেমন তেমন- ইসলাম আর তার নবী সা: কে নিয়ে তাদের খুঁচাখুচি করার ক্ষেতেই যেন তা বিশেষ ভাবে প্রযোজ্য!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!


যারা মুক্তচিন্তার নামে মহানবী সা: এর ব্যাঙ্গ, তার নামে ব্যাক্তিক মিথ্যা বুঝ, অনুভবকে নিয়মিত করতে চান- উপরেরর কয়েকজনকেই বলি- আপনাদের মুক্ত চিন্তার মূখোশ একটু পরই খূলে যাবে!

মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকেও বেমালুম ভুলে কত কি যে করবেন তার ইয়াত্তা নেই!

আজ কেউ যদি গবেষনার্থেও একটা পোষ্ট দেয় সামুতেই- বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা চাননি! তিনি চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে!

তাকে কি আস্ত রাখবেন?

ট্যাগিং, আক্রমন, পারলে আইপিসসহ ব্যান করার দাবী করবেন।

কিরে ভাই ? কেন? কেন?

তিনি আমাদের বঙ্গবন্ধু। জাতির স্থপতি। তাইতো!

আহা এই আপনিই কিনা মুসলমানদের প্রাণ ইসলামের কর্ণধার, আল্লাহর প্রিয়, মুমিনের জান, কোটি কোটি বিশ্বাসীর আরাধ্য প্রেমাষ্পদ রাসূল সা: কে নিয়ে যা খুশি তাই বলাকেই মুক্ত মনা হিসাবে অভিহিত করেন!!!!!!!!

ব্যাপারটা কেমন হয়ে গেল না????

আবার যদি ব্যক্তিগত কোন কারণেই এরকম কেউ মারা যায়- তারেও সাথে সাথে মূল ঘটনার খবর নাই শুরু হয়ে যায় মিডিয়া ট্রিটমেন্ট!!!!!

কেন? বরং আইনের তার নিজস্ব গতিতে চলতে দিন।

যেই অপরাধী হোক, তাকে প্রচলিত ধারায় গ্রেফতার করুন। শাস্তি দিন। কিন্তু এই এন্টিইসলামোফোবিয়ার ধারায় কান নিয়েছে চিল! - এটাও নিশ্চয়ই ইসলামিষ্টদের কাজ বলার যে টেন্ডেন্সি তা আখেরে কিন্তু গ্রহযোগ্যতা হারাবে!!!!!

তাই ধর্ম নিয়ে তর্কাতর্কির সাধারন বাক্যে কিন্তু তাদের ইসলাম বিরোধীতা, নবী বিরোধীতাকে ফেলা যাবে না। তারা একটা টার্গেট ওরিয়েন্টেড জব হিসাবেই তা করছে বলেই প্রতীয়মান হয়।

৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:২৩

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উপরেরর কয়েকজনকেই বলি- আপনাদের মুক্ত চিন্তার মূখোশ একটু পরই খূলে যাবে!

মুখোশের কথা কেন আসলো ঠিক বোধগম্য হলোনা। আমার কথাগুলো বেশ সোজা-সাপটা ছিলো।

আজ কেউ যদি গবেষনার্থেও একটা পোষ্ট দেয় সামুতেই- বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা চাননি! তিনি চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে!

আমি ব্যক্তিগতভাবে কথাটাকে সত্য মনে করি। আর যদি মনে নাও করি, তারপরেও বাক স্বাধীনতার সাথে শেখ মুজিব বা অন্যকোন ব্যাপার তুলনার কিছু দেখছিনা। ব্যাপারটা সার্বজনীন এবং সর্বক্ষেত্রে প্রজোয্য হওয়া উচিত। কেউই বা কোন ইস্যু-ই সমালোচনার উর্ধ্বে নয়।

ব্যাপারটা খুব সাধারণ, দ্বিমত থাকতেই পারে। আপনি যেমন আপনার কথাগুলো লিখেছেন, আরেকজনকেও তার বলার অধিকার দিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.