![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অফিসে আজ একটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। যেখানে স্কাইপের মাধ্যমে জার্মানি থেকে সরাসরি অংশ নেন অনন্য আজাদ, শাম্মী আখতার।
আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল, বিশ্ব ভালবাসা দিবসে প্রকাশ্যে চুমোচুমি নিয়ে।
আলোচনার একটি পর্যায়ে আমাদের অফিসে বসা একজন নারী শাম্মী আখতারকে উদ্দেশ্য করে বললেন, বাংলাদেশে এটা সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না। আমাদের কালচার এটাকে সমর্থন করে না। আমরা মুসলিম। আমাদের মা বোন, বাবা-স্বামী-ভাই আছেন। তাদের নিয়েই চলতে হয়। এসব চুমোচুমি-কিস্ চালু হলে মানুষ সেক্সের দিকে ঝুঁকে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হবে। যেটা বাংলাদেশের জন্য খুবই অগ্রহণযোগ্য বিষয়। কারও যদি চুমোচুমি করার ইচ্ছা থাকেই, সেটা বেড রুমে বা এর মতো কোনো স্থানে করলে কী হয়, প্রকাশ্যেই কেন করতে হবে? এটাই কী ভালবাসা প্রকাশের একমাত্র মাধ্যম?
উত্তরে শাম্মী আখতার বলে দিলেন, চুমোচুমি ও কিস্ এক বিষয় নয়। আমরা সেটাই বোঝাতে চাই। চুমোচুমির সঙ্গে সঙ্গে সেক্সের সম্পর্কও নেই।
আরো অনেক কথাই শাম্মী বলেছেন, তবে এ কথাটি বেশ দৃপ্ততার সঙেই ঝরল তার মুখ থেকে।
আমার কাছে মনে হয়েছে- চুমোচুমির সঙ্গে সেক্সের নিবিড় সম্পর্ক না থাক্ কিন্তু একটা সম্পর্ক আছে। এখানে একটা স্পর্শ জড়িত। একটা অনুভূতি জড়িত। সেক্স তো একটা অনুভূতিই, তাই নয় কী? আরেকটি বিষয়- ভালবাসা দিবসে কে কাকে চুমোচুমি করবেন প্রকাশ্যে, সে বিষয়ে শ্রেণীবিন্যাস করেননি কেন তারা?
যদি বলা হতো মা তার ছেলেকে কিংবা মেয়েকে নয়তো বাবা তার ছেলেকে বা মেয়েকে চুমু দেবে, এতিম ছাড়া যা সবাই পায়। এখানে সেক্স বহুদূরে, নিশ্চিহ্নই।
প্রেমিক-প্রেমিকার জুটির চুমোচুমি নিশ্চই অন্য স্পর্শকাতর অনূভুতিতে আবিষ্ট। এখানের অনূভুতি নিশ্চই মা ছেলে-মেয়ে কিংবা বাবা ছেলে-মেয়ের অনুভূতি থাকবে না। চুমোচুমি থেকে উৎসারিত প্রেমিক প্রেমিকার অনুভূতি যে সেক্সের দিকে যাবে না, এর গ্যারান্টি কী। বরং যাবে- সেটা গ্যারান্টি দেয়া সম্ভব। অনূভুতি ছাড়া নিশ্চই কেউ চুমু দেবেন না, সেটা নিশ্চিতভাবেই বলা সম্ভব। কে চায় না, প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে সেক্স না করতে, অন্ততঃ একটা কিস।
তারা কী মনে মনে 'চুমোচুমি'কে স্লো পয়জন বানিয়ে এর উপর ভর করে সেক্স প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন? আর যদি তারা ভালবাসাকে এতই গুরুত্ব দেন ,তবে কেন বলেননি, প্রত্যেক মানুষ একজন আরেকজনকে চুমু দেবেন?
আমার কাছে, তাদের চুমোচুমিটাকে সিগারেটের মতো মনে হয়েছে। আর সেক্সকে মনে হয়েছে মদ, হেরোইন, কোকেনসহ অন্য নেশাজাত দ্রব্যের মতো।যারা মাদকবিরোধী, তামাক বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত, তারা একটি কথা বেশ জোর দিয়ে বলে থাকেন। এটি হলো- ধূমপান মাদকের জননী। ধূমপায়ী মাদকে আসক্ত হবার সম্ভবনা অনেক বেশি। কাজেই ধূমপান ছাড়তে হবে। কথাটা নিশ্চই হাওয়া থেকে আমদানি হয়নি। তবে এটাও সঠিক, বাস্তবেও দেখেছি, কেউ কেউ সিগারেটের নাম শুনলেই ভ্রু কুঁচকে ফেলেন, গন্ধ শোঁকার বা পরোক্ষভাবে ধোঁয়া ভেতরে নেয়া অনেক অনেক দূরে। কিন্তু তারা ঠিকই অ্যালকোহলে বা অন্য নেশাদ্রব্যে বুঁদ হতে ভুল করেন না, মাতাল অবস্থায় একটি-দুটি সিগারেট ফুঁকে নেন, অনভ্যাসের জন্য কাশিও দেন বটে। তাই বলে যদি কেউ বলেন, নেশাখোর হতে সিগারেট দায়ী নয়, প্রতিষ্ঠিত হবে? নিশ্চই বেশিরভাগ এ যুক্তির বিরোধীতাই করবেন।
চুমোচুমিকে সিগারেটের সঙ্গে এজন্য তুলনা করছি, অনন্য আজাদ-শাম্মী তারা যে চুমোচুমির দিকে আঙুল দিচ্ছেন, সেটা প্রেমিক-প্রেমিকার। যেটার মধ্যে শুধুই আবেগ-অনুভূতিরই খেলা । একদম মাতাল বা অন্য নেশাদ্রব্যে গ্রস্থের মতো অবস্থা। এই চুমোচুমি থেকে যে সেক্স মানে মাতালামি হবে না, এটা কীভাবে গ্যারান্টি দেবেন তারা? আর যদি অবাধ সেক্স নামক নেশায় মাতাল হয়েই যায়, অন্য নেশাদ্রব্যগ্রহীতাদের মতো যেখানে সেখানে শুরু করে দেবেন সেক্স। পেছনে কে দেখল, তাতে কিছুই আসবে যাবে না। যতই বলুক কিস্ আর চুমোচুমি এক নয়।
আজাদ-শাম্মীর মিশন বাংলাদেশিদের নিয়ে। যে দেশের অধিকাংশ প্রেমিক-প্রেমিকা প্রকাশ্যে চুমোচুমিতে অভ্যস্ত নন। অবশ্য চান্স খোঁজেন রিকশার হুড তুলে, গাছের আড়ালে, রাতে কোনো চিপাচাপায়, এমন একটা সংখ্যা আছে, ওই অধূমপায়ী নেশাদ্রব্য গ্রহীতার মতো।
আজাদ-শাম্মী প্রবাসে গিয়েছেন, নতুন কালচার দেখেছেন, মিশেছেন, নিজেরাও পালন করছেন, ঠিক একজন মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীর মতন। মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রী যদি পাবলিক বা প্রাইভেট ভার্সিটিতে ভর্তি হন, কী হতে পারে? চাইবে মুক্ত হয়ে সব করতে, সব ধরতে, এতো দিনের অনুশাসন যা তাকে এসব থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। আজাদ-শাম্মীও তাই করছেন প্রবাসে। চেষ্টা করছেন সবাইকে ভার্সিটিতে ভর্তি করতে। অনুরোধ একটাই, দেখান চুমোচুমি করে আপনারা কোন ডক্টরেট অর্জন করেছেন বা করার পথে। ফল কবে পাবেন, জানাবেন তো? অপেক্ষায় থাকলাম.............
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪৩
আমির হোসেন রিকু বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৮
প্লাবন২০০৩ বলেছেন: মানুষ তার নিজের গোপন জিনিসটাকে তখনই প্রকাশ্যে নিয়ে আসতে পারে যখন সেটার আর কোন মূল্য থাকে না। মূল্য থাকে না যেমন পতিতার সতিত্বের।
কিছু বুদ্ধিমান মানুষ তার গোপন বিষয়গুলো প্রকাশ্যে নিয়ে আসার আগে তার উপযুক্ত পরিবেশ বা নিয়ামক তৈরী করার চেস্টা করে। সম্পূর্ণ বিষয়টিই ঘটানো হয় অতি সুচতুর ভাবে।
আজাদ-শাম্মির এটা বুঝা উচিত যে গোপন বিষয়গুলো প্রকাশ্যে নিয়ে আনার মানেই হচ্ছে অশ্লীলতা। আর অশ্লীলতাকে সংস্কৃতির সাথে যুক্ত করতে চাওয়ার পেছনের কারণ কোন ভাবেই শুভ হতে পারে না।
আমরা মানুষ, আমরা কুকুর না। কুকুর হতে আমরা উৎসাহিত বোধও করি না, হোক না সে যতই প্রভূভক্ত। আমরা তার প্রভু, আমরা তার প্রভূ হয়েই থাকতে চাই। তার যায়গায় নিজেকে নিয়ে যেতে চাই না।
৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৮
মহা সমন্বয় বলেছেন: আমরা চুমোচুমি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম।
জ্ঞান বৃদ্ধি পেল।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:২৮
বিজন রয় বলেছেন: বাহ!
৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭
আমিজমিদার বলেছেন: এইগ্লা হুদাই। যারা আসলেই রিলেশনে আছে, ভালবাসে--তারা এইগুলা মাথায় আনব না। কিছু খাচড়া পোলাপান যাইব, এরা সবখানেই কমবেশি থাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৭
অগ্নি কল্লোল বলেছেন: দারুন।।