নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সোজা কথা

আমির হোসেন রিকু

আমির হোসেন রিকু › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘ওরা বুঝাইছে, যারা হুদাই হর্ন বাজায়, তারা ভোদাই’

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০



আমাদের সময়.কম : ০৭/০৪/২০১৬

‘কিরে কিছু তো বুঝলাম না’। ’বুঝলি না! ওরা বুঝাইছে, যারা হুদাই (খামখা) হর্ন বাজায়, তারা ভোদাই’।

বৃহস্পতিবার ভর দুপুরে বনানীর কাকলী মোড়ে সামাজিক সংগঠন ব্লুপাউস কর্মীদের হাতে থাকা ব্যানারে ’হর্ন হুদাই, বাজায় ভোদাই’ লেখা ব্যানার দেখে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী রোহেদ ও সজীব পরস্পরের সঙ্গে হেসে কুটিকুটি হয়ে এ কথা বলেন।

এরপর সজীব বলেন, দারুণ, দারুণ আইডিয়া।

সরেজমিনে দেখা গেছে- কাকলী মোড়ের তিনস্থানে, ব্লুপাউস সংগঠনের সদস্য ফাহিম ও অনিক, ইকবাল ও নিলয়, ইমরান ও শামীমা, মেঘ ও তানজিলা যানবাহন চালকদের উদ্দেশ্যে প্রদর্শন করছিল চারটি ব্যানার।

এর মধ্যে তিনটিতেই সাদা কাপড়ের উপর কালো কালিতে বড় বড় করে লিখা, ‘হর্ন হুদাই, বাজায় ভোদাই’।

আরেকটি ডিজিটাল ব্যানারে লিখা, ‘আপনি স্মার্ট, তাই অযথা হর্ন বাজান না’।

ৎরশঁআমাদের সময় ডটকমের প্রশ্নে ফাহিম ফয়সাল বলেন, দেখা যায়, অনেক চালকই আছেন, কারণে-অকারণে তারা হর্ন বাজান। তাদের হাত সবসময় হর্নের উপরই থাকে। হর্ন বাজানো থেকে একদম বিরত করা নয়, অযথা যেন না বাজায়, সে বিষয়টিই আমাদের লক্ষ্য এবং আমরা বুঝতে পেরেছি, এই ক্যাম্পেইন চালিয়ে গেলে, শব্দ দূষণের মাত্রা কিছুটা হলেও কমবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা কাউকে কিছু বলব না। শুধু ব্যানার নিয়ে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকব।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিট থেকে প্রায় ১টা পর্যন্ত তাদের কাকলী মোড়ে অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে।

জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে এপ্রিল মাসে এই ক্যাম্পেইনটি সংগঠনের দ্বিতীয় ক্যাম্পেইন। বৃহস্পতিবার যখন আমাদের সময় ডটকমের সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ হয় কাকলী মোড়ে, এর আগে তারা মহাখালী মোড়ে কাজ করে আসেন। কাকলী মোড়ে কাজ শেষে তারা রওয়ানা দেন ধানমন্ডির উদ্দেশে। সেখান থেকে তারা যাবেন নীলক্ষেত।

প্রথমবার করেছিলেন, সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়, ঝিগাতলা ও ধানমন্ডি ২৭ নং- এ।

প্রতি মাসে এভাবে একটি ক্যাম্পেইন করার পরিকল্পনা আছে বলে আমাদের সময় ডটকমকে জানান সংগঠনটির সদস্য আরিফ নূর।

তিনি আরও বলেন, হর্ন না বাজাতে রাস্তাঘাটে নানা ধরণের ছোট ছোট সাইনবোর্ড লাগানো থাকে। কিন্তু সেসব উল্লেখযোগ্যভাবে মানুষের চোখে পড়ে না। হর্ন বাজানো হচ্ছেই।

’সে থেকেই আমরা এই পরিকল্পনা করি, যাতে অযথা হর্ন বাজানো বিরোধী কথাবার্তা মানুষের গায়ে লাগে’- বলেন ইস্ট অফ লন্ডনে আইন বিষয়ে অধ্যয়নরত ফাহিম ফয়সাল।

প্রথম ক্যাম্পেইন থেকে কী অভিজ্ঞতা অর্জন করলেন- জানতে চাইলে ফাহিম ফয়সাল বলেন, দেখা গেছে, এভাবে বার্তা পৌঁছানোর মাধ্যমে প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, মোটর সাইকেলের অযথা হর্ন বাজানো নিয়ন্ত্রণ করা গেছে। কিন্তু লোকাল বাস চালকদের কাছ থেকে তেমন সাড়া মেলেনি। এখানে শিক্ষাদীক্ষার একটি বিষয় আছে। আগামীতে এমন পরিকল্পনা করা হবে, যাতে আমরা সফলভাবে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হই। পথচারিদের সচেতন করতেও আমাদের পরিকল্পনা আছে।

প্রথম ক্যাম্পেইন সম্পর্কে ফাহিম আরও বলেন, সাধারণ মানুষ থেকে আমরা যে পরিমাণ সাড়া পেয়েছি, তা ভাবতেও পারিনি। এটা আমাদের দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। এ থেকে বোঝাই যায়, সাধারণ মানুষ হর্ন বাজানো বিপক্ষে।

কাকলী মোড়ে তাদের কার্যক্রম চলাকালেও দেখা গেছে, সাধারণ মানুষ তাদের হাত নেড়ে, সরাসরি কথা বলাসহ নানাভাবে সমর্থন জানাচ্ছে। কেউ নিজের গাড়ি থেকে নেমেও তাদের কাজ দেখেছেন।

এমনই একজন ব্যাংক কর্মকর্তা ইমদাদ চৌধুরী, যিনি যাচ্ছিলেন উত্তরা৬ নং সেক্টরে।

আমাদের সময় ডটকমকে তিনি বলেন, এই ছেলেরা কাজটি যেহেতু শুরু করেছে, সফলতা আসতে বাধ্য। কেন সফলতা আসবে না। এটা তো খুবই ভাল কাজ।

তিনি নিজে গাড়ি চালান, অযথা হর্ন তিনি নিজেও বাজান না বলে দাবি করেন।

সংগঠনটি সম্পর্কে জানা যায়, এর সদস্যরা বিভিন্ন পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এর শিক্ষার্থী, ছোটখাটো চাকুরিজীবিও আছেন। তারা নিজেদের খরচের পয়সার একটি অংশ এসব কাজে ব্যয় করেন। এ সংগঠনের কারও কোনো পদ নেই। সবাই সদস্য। যে কেউ চাইলেই তাদের সদস্য হতে পারেন। শব্দ দূষণ প্রতিরোধে কাজের পাশাপাশি তারা মানুষ, পশু ও সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকা- করে থাকে।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে তাদের একটি ফ্যান পেইজও আছে। সেটি হচ্ছে- /bdbluepaws

‘ওরা বুঝাইছে, যারা হুদাই হর্ন বাজায়, তারা ভোদাই’

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৮

রোষানল বলেছেন: ;) ;)

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৯

শায়মা বলেছেন: হা্হা হা হা হা হা হা হা

সবাই তো হাসতে হাসতেই মরবে ভাইয়া!!!!!!!!!

যাই বলো আর তাই বলো!!!!!!! এটা দারুণ ক্রিয়েটিভিটি!!!!!!!!!!!

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০৯

প্রামানিক বলেছেন: হা হা হা -- -- যাই বলেন আর তাই বলেন ভোদাই শব্দ অনেক এলাকার জন্য নোংরা গালি, কারণ তারা মনে করে একটি বিশেষ শব্দ থেকে এই শব্দটি এসেছে। আবার অনেক এলাকায় এটা হাবাগোবা অর্থে ব্যবহৃত হয়।

৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: যাদের উদ্দেশ্যে লিখা ওরা সচেতন হলেই হয়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.