![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জিপিএ ৫ নিয়ে সম্প্রতি মাছরাঙা টেলিভিশনে সম্প্রচার করা একটি প্রতিবেদন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোয় হৈ চৈ চলছে। বিষয়টিকে কৌতুক হিসেবে নিয়েছেন অনেকেই। পোস্টের ধরণই তা বলে দিচ্ছে স্পষ্টভাবে।
কিন্তু আমি একটি বিষয় নিয়ে কানামাছি খেলতে শুরু করেছি। চোখে যে গামছা বেঁধেছি, তা খোলার সুযোগই পাচ্ছি না। সুযোগ করতেও পারছি না।
যে সাংবাদিক এ রিপোর্টের মাধ্যমে কিছু শিক্ষার্থীদের চেহারা, আকৃতিসহ চিহ্নিত করে দিয়েছেন দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে, ভুল, মহাভুলকারী হিসেবে, সে রিপোর্টার কতটুকু সাংবাদিক সুলভ আচরণ চর্চা করছেন এবং যে টিভিতে এটি সম্প্রচার করা হয়েছে, সে টিভি সাংবাদিকতাকে কোন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ধারণ করছেন, সেটা কঠোরভাবে দেখা উচিৎ বলে মনে করছি।
টিভিতে সম্প্রচারিত প্রতিবেদন দেখে মনে হচ্ছে- রিপোর্টার একটি সিদ্ধান্ত দিয়ে ফেলেছেন। যা হচ্ছে- যারা ভুল উত্তর দিয়েছেন, তারা জিপিএ ৫ অর্জনের অযোগ্য ছিলেন। আমার প্রশ্ন- কোনো বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে সিদ্ধান্ত প্রদান, বিচার করা, শাস্তি দেয়া কী গণমাধ্যমের কাজ? মনে আরও প্রশ্ন জাগে- এই যে শিক্ষার্থীদের মুখ এভাবে টিভিতে দেখানো হলো, এতে কী ওই কোমলমতি শিক্ষার্থীরা মানসিক ও সামাজিকভাবে কিছুটা হলেও বিব্রতকর অবস্থায় পড়বেন না? পড়বেন। জোর করে, চাপিয়ে দিয়ে বলছি না। আমিও একজন মানুষ, সেই বোধ থেকে বলছি। এ অবস্থায় সেসব শিক্ষার্থীদের কেউ যদি আত্মহননের মতো পথ, নাহ্, এতো বড় কথা বলব না। যদি এক মূহুর্তের জন্য বিপথগামী হয়, তবে ওই সাংবাদিক কী দায় এড়াতে পারবেন? আচ্ছা, তিনি কী তার দায়-দায়িত্ব হিসেবে সঠিকভাবে ওয়াকিবহাল?
তিনি তো সাংবাদিক। অন্য দশটা মানুষের চেয়ে সাংবাদিকদের জ্ঞান একটু বেশিই থাকে, অল্প অল্প করে হলেও। আচ্ছা, তাকে প্রশ্ন করা হোক্, বঙ্গভবন কত সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। উনি যে টিভিতে চাকরি করছেন, সে টিভি কত সালের কত তারিখে সম্প্রচারের অনুমতি পায়। উনি যে সময়ে ক্লাস সিক্স এ পড়েছেন, সে সময়ের বাংলা বইয়ে কতটি গদ্য ও কতটি পদ্য ছিল। এসবের একটিও পারবেন না, তাৎক্ষণিকভাবে, চ্যালেঞ্জ।
শুধু সাংবাদিকতাই নয়, যে কোনো পেশা-চাকরি-দায়িত্ব-চরিত্রের একটি শ্বাশত রূপ থাকে। আমার মতে- প্রতিবেদনটি এভাবে উপস্থাপন করে সাংবাদিক হিসেবে নিজের শ্বাশত রূপকে হনন করেছেন সেই প্রতিবেদক। এ অবস্থায় তাকে সাংবাদিক বলা যৌক্তিক কি-না? এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য কী ছিল বা কী থাকতে পারে।
আমার বিশ্লেষণ বলছে- ১. তিনি কট্টরভাবে সরকার বিরোধী ২. তার মধ্যে ক্রোধ মাত্রাতিরিক্ত ৩. তিনি সাংবাদিকতায় এসেছেন, সাংবাদিকতার উদ্দেশ্য নিয়ে নয় ৪. তিনি আত্ম-অহংকারে ভুগছেন ৫. সাংবাদিকতায় তার অভিজ্ঞতার ঘাটতি প্রচ- বেশি।
আচ্ছা, জিপি৫ নিয়ে প্রতিবেদনটি এভাবে না করে অন্যভাবে কী করা যেত না? নিশ্চই যেত। ইচ্ছে থাকতে হবে। সাংবাদিকতা কে ধারণ করতে হবে। তবেই কী সম্ভব হতো না।
মাছরাঙা টেলিভিশনের কর্তা ব্যক্তিরা নিশ্চই অবোধ নন। তারা কী বুঝে প্রতিবেদনটি নগ্নভাবে সম্প্রচারের অনুমতি দিলেন?
©somewhere in net ltd.