নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সোজা কথা

আমির হোসেন রিকু

আমির হোসেন রিকু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজেদের দোষ আড়াল হচ্ছে না তো?

১৪ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭

ড. জাকির নায়েককে ঘিরে কতই না কিছু হয়ে যাচ্ছে। তার পিস টিভি নিয়েও। একদল তার পিস টিভিকে, তাকে ভদ্র, মার্জিত, বিনয়ী সুরে ভাষায় গালাগাল-বিদ্রুপ কট্টরভাবে করছেন, আরেকদল তার পক্ষ টানছেন কট্টরভাবে। সারকথা- ড. জাকির নায়েক তার পিসটিভির মাধ্যমে ইসলামের নাম দিয়ে জঙ্গিবাদকে উস্কে দিচ্ছেন। এরই মধ্যে পিসটিভি বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে, পিস স্কুল কিংবা এ সংক্রান্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও বন্ধ করার কোথা শোনা যাচ্ছে।

ড. জাকির নায়েকের বক্তব্য শুনতো এবং তার বক্তব্য অনুসরণ করতো গুলশানের হামলায় জড়িত দুই হামলাকারী- এমন কথা বলা হচ্ছে। তাদের মাধ্যমে সন্দেহ করা হচ্ছে- যেহেতু তারা জাকির নায়েকের বক্তব্য শুনে, তাকে অনুসরণ করে বিপথে গিয়েছেন, সেহেতু সেই তাদের মতন আরও অনেকে বিপথে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। দুজনকে দিয়ে সবার বিষয় মাপ করা কতটুকু যৌক্তিক- তা আমার বোধগম্য নয়।

আরেকটি বিষয়- ড. জাকির নায়েক যে মানের ব্যক্তি, যে মানের কথা বলেন, তা হজম করার মতো কতজন আছেন, এটা জরিপ করা উচিৎ। কতজন বুঝেন জাকির নায়েকের ভাষা, কতজন বুঝেন জাকির নায়েকের যুক্তি- দেখা কী প্রয়োজন নয়?

জাকির নায়েক একজন মুসলিম, কিন্তু যুক্তিবাদী মুসলিম। অনেক মুসলিমকে দেখেছি- যারা যুক্তিটুক্তির ধার ধারেন না, এক শব্দে যাকে বলা হয়- গোঁড়াপন্থী, ধর্মান্ধ। এর আওতায় রয়েছে, আমরা যাদের জঙ্গি বলে আখ্যায়িত করছি। শুধু যে জঙ্গি, তা কিন্তু নয়, জঙ্গি ছাড়াও বহু মুসলমান আছেন, যারা ধর্মান্ধ। তারাও জাকির নায়েকের বক্তব্য শুনেন এবং হয়তো তাকে মানেন বা অনুসরণ করেন। কিন্তু তারা ধর্মান্ধতা থেকে বের হতে পারছে কী? তাদের জন্যই কী জাকির নায়েকের যুক্তি? ধর্মান্ধদের কাছে আবার যুক্তি কীসের?

কেন চা পান করতে হয়, কখন চা পান করতে হয়, অতিরিক্ত চা পানে কী হয়- কয়জন এসব ভেবে চা পান করেন? চায়ের সঙ্গে তো একসময় বাঙালিরা পরিচিত ছিল না। শুধু কী চা? পোশাক আশাকের কথা বললে বলতে হয়- কিরণমালার কথা। আধুনিক যুগে অন্যতম উদাহরণ স্মার্টফোন। কয়জন ব্যবহারকারী বুঝে স্মার্টফোনের প্রকৃত ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারেন। কিন্তু কিনছেন, অঢেল টাকার গরমে, স্বজন বিদেশে থাকার গরমে, সৎ পরিশ্রমে উপার্জিত অর্থের গরমে। ব্রাউজ করছেন ইন্টারনেটে। আর কিছু করতে পারুক আর না পারুক পর্নো সাইট বের করতে একদম ওস্তাদ।

আমি জাকির নায়েককে অনুসরণকারী নই, তার বক্তব্য আটদশবার শুনেছি। আমি বলতে চাচ্ছি- জাকির নায়েক যে মানের বক্তব্য দেন, যে যুক্তি দেখান, সেসব কয়জন বুঝে তা চর্চা করেন। শুধু বড় বড় লেকচার দিয়ে বেড়ায় পথেঘাটে, অফিসে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে, বয়সে বড়ছোটদের সঙ্গে কিংবা অন্য ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে। নিজের ধর্মকে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রমাণের জন্য সে এক যুদ্ধই। আগেই বলেছি, ধর্মান্ধরাও তার বক্তব্য শোনেন। কিন্তু ধর্মান্ধদের কাছে যুক্তির দাম নেই। বলতে হয়- সেসব মানুষের কাছ থেকে এসব যুক্তির প্রপারলি আউটপুট আসবে কীভাবে, কোন পথ ধরে? তাদের কাছ থেকে কী ভাল কিছু আসবে, প্রত্যাশা করা যায়? এটা কী জাকির নায়েকের দোষ? জাকির নায়েকের দোষ খুঁজতে গিয়ে নিজেদের বড় ধরণের দোষ বা দুর্বলতা আড়াল হচ্ছে না-তো?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.