নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ব্লগে ছাগু ঢোকা নিষেধ

একলা বাঁশিওয়ালা

একলা বাঁশিওয়ালা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের কিছু ভাস্কর্য, এগুলো আসলে কি?

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:২৭





প্রথমে একটা ডিসক্লেইমার দিয়ে রাখি, আমি ভাস্কর্য ভালো বুঝিনা।আধুনিক ভাস্কর্য,চিত্রকলা এদের ব্যাপারে আমারে মুর্খ বলতে পারেন।কোনটা কিউবিজম কোনটা এক্সপ্রেসনিজম এইটা আমি বুঝিনা,কিছু কিছু অ্যবস্ট্রাকট আর্ট দেখলে আমার গা গুলায়।আমার কাছে ভালো সেইটা, যেইটা আমার চোখের জন্য ভালো।যেইটা আমি দেইখা বুঝতে পারি ওইখানে কি আঁকা।অবশ্য আমার ভালো লাগা না লাগায় কিছু যায় আসেনা।

এইবার আসল কথায় আসি,বাঙলাদেশ সরকার মেহেরপুর মুজিব নগর কমপ্লেক্সের ভাস্কর্য গুলো ভেঙ্গে নতুন করে তৈরী করতে নির্দেশ দিয়েছে।কি কারন? কারন সেগুলো যাদের প্রতিকৃতি সেগুলো দেখতে তাদের মত নয়।এই সব ভাস্কর্য শিল্পি কারা?

ওই দিন সার্ক ফোয়ারার সামনে দিয়ে আসছি, দেখি একটা ভাস্কর্য,বাঘের।আমি আপনাদের কে নিশ্চয়তা দিচ্ছি আমি নিজে এর চেয়ে ভালো বাঘ বানাতে পারবো,আপনি নিজেও পারবেন।মনে হচ্ছিল চার পায়া একটা সিমেন্টের বেন্চ,তাতে ডোরাকাটা হলুদ কালো রঙ মেখে দাড় করানো হয়েছে।এটা কাদের কান্ড জানিনা তবে ওই জায়গাটা নষ্ট করার অধিকার তাদের কে দিল!আসলে বাঙলাদেশের চারুকলা থেকে আসলে ভাস্কর্যের নামে কি শেখানো হচ্ছে।



বাঙলাদেশের অধিকাংশ ভাস্কর্য এমন,বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে,দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জঘন্য শিল্পকর্ম গুলো বছরের পর বছর ধরে দাড়িয়ে আছে।

আমার দাবি মুজিব নগর কমপ্লেক্সের মত এগুলাও পুন:নির্মান হউক ।চারুকলার কাউকে দিয়ে নির্মানের পরিবর্তে যারা পুজা মন্ডপে মুর্তি নির্মান করে তাদের দিয়ে প্রতিকৃতি ভাস্কর্যগুলা তৈরী হউক।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৫২

ডেভিড বলেছেন: আপনার উল্লেখিত ভাষ্কর্যগুলো যে চারুকলার গ্রাজুয়েটদেরই তৈরি তার কোন সূত্র উল্লেখ না করেই চারুকলাকে ধুয়ে দিলেন। আমি চারুকলার ছাত্র নই কিন্তু ভাষ্কর্যসহ অন্যান্য ডিসিপ্লিনে অন্তত ঢাবি চারুদের কাজ খুব কাছ থেকে অনেক দেখেছি এবং এদের কাজের মান শুধু বাংলাদেশ নয় উপমহাদেশ তথা বিশ্বে অনেক প্রশংসা পেয়েছে।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:১৪

একলা বাঁশিওয়ালা বলেছেন: দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত বিশেষ করে মানুষের প্রতিকৃতি যেখানে আছে, মোটামুটি সবগুলোই দেখতে খারাপ।চোখ মুখের, নাকের আদল,হাত পায়ের গঠন?মনে হয় খুব তাড়া হুড়া করে অযত্মে তৈরী করা, এই তাড়া হুড়া গুলা কিসের?

এক কথায় বিশ্রি ফিনিশিং।এগুলা কারা তৈরী করছে বলে মনে করেন?চারুকলার ছেলেদের মেধা নিয়ে আমার সংশয় নাই, কিন্তু বাংলাদেশে ভাস্কর্যগুলার এত দুর্দশা কেন?

ভাই,আমি তাহলে দুষবো কারে?



২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:০০

রাইতের কইতর বলেছেন: আমি ও একমত.......................।@ডেভিড

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৪১

একলা বাঁশিওয়ালা বলেছেন: হ আমারি ভুল হইছে, এই ভাস্কর্য গুলা আব্দুলের বাপ আর জরিনার মা আইসা বানাইছে।

৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৫

মুক্ত সাইমন বলেছেন: শাহজালাল ভার্সিটির চেতনা ৭১ ভাস্কর্যে মেয়েটাকে দানবী এর মত দেখা যায়। একটা মেয়ের উচ্চতার সংগে তার বাকি সব অঙ্গের অনুপাত, ছেলে মেয়ের পার্থক্য, এইসব ব্যপারেও তাদের ধারনা কম।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৮

একলা বাঁশিওয়ালা বলেছেন: জাহাঙ্গীরনগরের অমর একুশে দেখছেন? ফিনিশিং এর কি করুন অবস্থা।দু:খ জনক, এগুলা অনেক দিন আরো দেখতে হবে।

৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৭

ডেভিড বলেছেন: আপনার পোষ্টে যে বিষয় তুলে ধরেছেন তার সাথে আমার পূর্ণ সহমত কিন্তু আপত্তি এই জায়গায় আসলে বাঙলাদেশের চারুকলা থেকে আসলে ভাস্কর্যের নামে কি শেখানো হচ্ছে। - আমি ২০০০ সালের পর কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের ভাষ্কর্য দেখা হয়নি তবে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে যেসব ভাষ্কর্য স্থাপন করা হয়েছে তা দেখতে খুবই হাস্যকর










২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:২৭

একলা বাঁশিওয়ালা বলেছেন: ব্রো, বাংলাদেশে যারা ভাস্কর্য বানায় তারা আসমান থেকে নামেনি।এই সব জায়গা থেকে পাশ করা লোকজন এগুলা বানাইছে।আমি একজন একজন করে তাদের নাম বলতে পারি। এগুলার নান্দনিকতা আমাদের চোখে লাগেনা কারন এখানে আবেগটাই মুখ্য।ভালবাসা আর আবেগ নান্দনিকতার শূন্যস্থান অনেক দিন ধইরা পুরন করতেছে।

আমার স্কুলের শহীদ মিনার রে আমার যে কারনে পৃথিবী বিখ্যাত শিল্পকর্ম মনে হয়।কিংবা অপরাজেয় বাংলার কথা ও বলতে পারেন।শিল্প কর্ম হিসেবে এইটা খুব নিখুত কিছু মনে হয়না।কিন্তু ভালোবাসা ,শ্রদ্ধা ,ঐতিহাসিক গুরুত্ত্বের দিক দিয়া এইটার গুরুত্ব আলাদা, এই খানে চেহারাটা ইম্পরট্যান্ট আর থাকে নাই।

যে কারনে আমার বাপের মায়ের চেহারা ভালো না খারাপ কইতে পারিনা।

এইগুলার দায় দায়ীত্ব বাংলাদেশের চারুকলার ঘাড়েই বর্তায় বইলা মনে হয়।ভবিষ্যতে আমি না চাইলেও চারুকলা থেকেই ভাস্কর্য গুলা তৈরী হবে এ আমি জানি।আমি এটা চাই ও,এই দায়ীত্ব তাদের ই নিতে হবে।

আমি যেইটা বলছি ওইটা আমার রাগ, মনের খেদ থিকা বলা।

৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:৩৮

ফেরারী... বলেছেন: এত পকপক না কইরা একটা-দুইটা সেম্পল দেন । দেখি আপনি কি বানাইতে পারেন X(

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:৪৯

একলা বাঁশিওয়ালা বলেছেন: ট্রাক ড্রাইভারের কি মিগ ২৯ চালানোর কতা? আফসুস।

আপনার জন্য মহাদেব সাহার নীচের লাইন গুলা..

"মানুষ কোথায় নত হয়? নত হয় সুন্দরের কাছে
যেখানে একটু দু:খ, একটুখানি অশ্রু জল আছে,
মানুষের চোখে এই লেগে আছে পৃথিবীর আলো
তাই সে ব্যথিত হয়, তাই সে এখনো বাসে ভালো"

৬| ১০ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪

এ.কে. শারমিন বলেছেন: বাংলাদেশের ভাস্কর্য সম্পর্কে সার্চ দিতে গিয়ে আপনার লেখাটা পেলাম। অবাক হয়ে গেলাম ভাস্কর্য সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারনা ছাড়াই আপনি কিভাবে একটা পোস্ট লিখে ফেললেন!!! এমনকি চারুকলার শিক্ষা সম্পর্কেও আপনার কোন ধারনা নাই, কিন্তু তাদের ঘাড়ে কিছু দোষ ও চাপিয়ে দিলেন।অদ্ভুত!!!

আমি আপনাকে অনুরোধ করব আপনি ভাস্কর্য সম্পর্কে কিছু পড়াশোনা করুন। আশা করি নতুন চোখে ভাস্কর্যকে দেখতে পারবেন।

আর হ্যা, ভাস্কর্য মানেই নিখুঁত ফিনিশিং না। তাছাড়া ফিনিশিং কেমন হবে তার আনেকটা নির্ভর করে ভাস্কর্যের উপাদানের উপর। বেলে পাথরে নির্মিত ভাস্কর্যের ফিনিশিং আপনি সিমেন্টে আশা করতে পাড়েন না। দুটোর টেক্সার ভিন্ন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.