![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি উন্মাদ, আমি উন্মাদ!! আমি সহসা আমারে চিনেছি, আজিকে আমার খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ!!
রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম থাকা না থাকা নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র মাথা ব্যাথা নাই।
প্রথামত রাষ্ট্রের কোনো ধর্ম থাকে না। ধর্ম থাকে রাষ্ট্রের জনগনের। দ্বিতীয়ত আমার বিশ্বাস অর্থাৎ আমার ধর্ম আমার কাছ থেকে কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। ধর্ম কোনো কেড়ে নেয়ার জিনিস না। আর আমার ধর্ম এতো ঠুনকো না যে তা কেবল দুই মলাটের সংবিধানে না থাকলে নিঃশেষ হয়ে যাবে। আমার সৃষ্টিকর্তাও এতো ক্ষুদ্র না যে তাকে সংবিধানে না রাখলে তার অস্তিত্ব নিয়ে টানাটানি পড়ে যাবে।
ধর্ম নিয়ে কামড়াকামড়ি না করে আসেন একটা সুন্দর বাংলাদেশ গড়ি।
এমন এক বাংলাদেশ যেখানে সব ধর্মের মানুষ মনের আনন্দে নিজ নিজ ধর্ম চর্চা করবে। এমন এক দেশ গড়ি যেখানে 'সংখ্যা লঘু' বলে কোন সম্প্রদায় থাকবে না। অন্য ধর্মের মানুষকে কেউ 'মালু' বলে অবজ্ঞা করবে না। এমন এক দেশ চাই যেখানে অন্যের উপাসনালয় ভেঙ্গে কেউ নিজেকে ধার্মিক হিসেবে জাহির করবে না। দেশ টা যেন এমন না হয়ে যায় যেখানে ধর্মের দোহায় দিয়ে গরু খাওয়া নিষেধ করে দেয়া হয়। যে যে যার যার ধর্মের লেবাস পরে নির্দ্বিধায় ঘুরে বেড়াতে পারবে। দাড়ি টুপি থাকলে কেউ যেন কাউকে 'জঙ্গি' আক্ষা না দেয়। শুধু ধর্ম পালনকারীই না, এদেশে যেন যারা ধর্ম মানে না তারাও সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার সুযোগ পায়। একটা সুন্দর সহনশীল পরিবেশ চাই যেখানে কেউ ধর্মকে নিয়ে অর্থাৎ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে এমন কিছু করবে না। নাস্তিক হলেই যেন কারো মাথার মুল্য নির্ধারণ করে না দেয়া হয়। একটা সুখি সম্প্রীতির বাংলাদেশ চাই। যেই বাংলাদেশে সন্ধ্যা বেলায় মসজিদে আজান দিবে আর হিন্দু বাড়িতে সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বলবে আর শাঁখ বাজবে।
এই দেশ অর্জনের পেছনে যেমন মুসলমানের ত্যাগ আছে তেমনই হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধদেরও অবদান আছে।
এই বাংলার মাটি সব ধর্মের মানুষের রক্তে রঞ্জিত। ধর্মের নামে আর এক ফোটা রক্ত পড়ে এই মাটিকে অপবিত্র করতে দিব না।
ধর্মপ্রাণ মানেই ছাগু না।
আবার অসাম্প্রদায়িকতা মানেই ধর্মহীনতা না।
২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫১
মাহবুব উল হক নয়ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আমার মনের কথা গুলোই বলেছেন ভাই ধন্যবাদ
২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫১
মাহবুব উল হক নয়ন বলেছেন:
৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৮
রিপি বলেছেন:
ধর্মপ্রাণ মানেই ছাগু না।
আবার অসাম্প্রদায়িকতা মানেই ধর্মহীনতা না।
একদম মনের কথা বলেছেন।
২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫২
মাহবুব উল হক নয়ন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১০
ফেরদাউসুর রহমান বলেছেন: ছাগু টা কি?
২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৩
মাহবুব উল হক নয়ন বলেছেন: গোড়া আর অন্ধ ভাবে ধর্ম পালনকারীদের 'ছাগু' বলে।
৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১১
রোষানল বলেছেন: ওলামালীগ এর কথার সাথা আপনার কথার অনেক মিল দেখা যাচ্ছে
৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৫
বিজন রয় বলেছেন: এদেশে আর তা সম্ভব না।
২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৪
মাহবুব উল হক নয়ন বলেছেন: কেন না? নিজ নিজ জায়গা থেকে ঠিক হয়ে গেলেই হল।
থিংক পজিটিভ
৭| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮
Safin বলেছেন: রোষানল . . .উনি কি ভুল কিছু বলেছেন ওখানে?
যাই হোক পোস্টটা পড়ে মন ভালো হয়ে গেল। আজকাল সবাই অন্য ধর্মালম্বির ওপর প্রভাব বিস্তার করে নিজেকে ধার্মিক হিসেবে জাহির করতে চায়। অথচ তারাই বোঝে না, তাদের কর্মকান্ডের সাথে তাদের ধর্মের কানাকঁড়ির সম্পর্ক নেই
৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৫
মোহামমদ ইকবাল হোসেন বলেছেন: ধর্মপ্রাণ মানেই ছাগু না।
আবার অসাম্প্রদায়িকতা মানেই ধর্মহীনতা না
ভাল লেগেছে। আমাদের দেশটা মায়া-মমতার দেশ। এখানে সব ধর্মের মানুষই সমান।
২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৬
মাহবুব উল হক নয়ন বলেছেন: সবাই যদি এরকম ভাবতো!
ধন্যবাদ আপনাকে।
৯| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:০৯
আমিই মিসির আলী বলেছেন: ভাইরে,
রাষ্ট্রের ধর্ম থাকবে না ক্যান??
রাষ্ট্রের যদি ধর্ম না থাকে তাহলে তো রাষ্ট্রের ভাষাও থাকতে পারে না।
একটি রাষ্ট্রের অবশ্যই ধর্ম থাকবে। আর সেটা নির্ভর করবে গণতন্ত্রের উপর।
একটা দেশের সরকার কোন ধর্মের অনুসারী থেকে ভোট বেশি পায় সেটা বিবেচনা করেই রাষ্ট্র ধর্ম নির্ধারন করা হয়।
এসব কইয়া এখন তো কিছু করার নাই।
ইসলাম বহাল আছে। শান্তির ধর্ম, সর্বশ্রেষ্ট ধর্ম এটাই ভালো।
২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৬
মাহবুব উল হক নয়ন বলেছেন: রাষ্ট্র ভাষা সব রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যাবহার করা হয়।
কিন্তু রাষ্ট্রের ধর্মের কাজটা কি?
১০| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩৬
Safin বলেছেন: বাট ইসলাম তো ধর্ম না, এটা একটা পুর্নাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। . . . . .আমিই মিসির আলী
১১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: মাহবুব উল হক নয়ন ,
সুন্দর লিখেছেন । তবে আপনার মতো এমন করে ভাবার মানসিকতা যদি সবার থাকতো !!!!!!!!!!!
৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫৯
মাহবুব উল হক নয়ন বলেছেন: আপাতত সবার থাকার দরকার নাই। কিছু লোক ভাবুক। দেখবেন একসময় সবাই এমন ভাবা শুরু করেছে।
আপনাকে ধন্যবাদ
১২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০৯
আকদেনিজ বলেছেন: (১২ নং মন্তব্যটা ভুলে চলে গেছে কেটে দিলে ভাল হয়)
আপনি বলেছেন, প্রথামত রাষ্ট্রের কোনো ধর্ম থাকে না। ধর্ম থাকে রাষ্ট্রের জনগনের।
ধর্মনিরপেক্ষতা একটি বিশ্বাস, যেমন করে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানও একটি বিশ্বাস। ২০০১ এর আদমশুমারি অনুসারে বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ৮৯.৭ শতাংশ মুসলিম এবং ৯.২ শতাংশ হিন্দু ধর্মাবলম্বী। বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মালম্বীরা মোট জনসংখ্যার ১.২ শতাংশ। বাংলাদেশে ধর্মহীন বা ধর্মের ব্যাপারে নিরপেক্ষতা অবলম্বনকারী(যারা বলে আমি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান কোনটাই না) বা এথিস্টদের সংখ্যা দশমিক কত পার্সেন্ট আমার জানা নেই।
গণতান্ত্রিক দেশে জনগণই নির্ধারণ করবে দেশ কোন বিশ্বাস বা নীতির উপর ভিত্তি করে চলবে। সুতরাং বাংলাদেশ সংবিধানে ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদ এবং গণতন্ত্র এক সাথে থাকতে পারে না, কেননা এদেশের জনগণ ধর্মে বিশ্বাসী এবং ধর্মের পক্ষে।
আসুন আমরা গণতন্ত্রের পথে আসি।
৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:১১
মাহবুব উল হক নয়ন বলেছেন: আমি ধর্মে বিশ্বাসী। এবং হ্যাঁ, ইসলাম ধর্মে।
সংবিধান আর গনতন্ত্রের এতো কঠিন মার প্যাঁচে যাব না। রাষ্ট্রধর্ম যাই হোক, সাধারণ ননাগরিক হিসেবে চাওয়া একটাই দেশে যেন সব ধর্মের লোক শান্তিতে বাস করতে পারে।
১৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:০৫
সাগর মাঝি বলেছেন: লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ লেখক ভাই।
পৃথিবীর অন্য কোথাও বললে মেনে নিতাম ঠিকই কিন্তু বাংলাদেশ বলায় আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না। দুঃখিত!!
বাংলাদেশের ছাগুরা যেখানে বসবাস করবে সেখানে আর যাই বলেন "সম্প্রীতি" কথাটা বেমানান।
৩১ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:১৮
মাহবুব উল হক নয়ন বলেছেন: সবাইকে তো আর ঠিক করতে পারব না। তবে নিজে ঠিক থাকলেই হলো।
ধন্যবাদ আপনাকে
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: দারুন প্রয়োজনীয় পোষ্ট, ভাল লাগল। ভাই আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত।