নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিকৃতবুদ্ধির অধিকারী

বর্ষন মোহাম্মদ

অস্থিতিশীলতা, নষ্টামি, আর যাবতীয় প্রতারণা-প্রবণতার বিরুদ্ধে খেলা চলবে

বর্ষন মোহাম্মদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঐতিহাসিক ভাষণ: বঙ্গবন্ধুর পেছনে থাকা মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের স্মৃতিচারণ

০৯ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩০


১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে জনসভা মঞ্চে আসার পর লাখ লাখ জনতার সঙ্গে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান। এরপর তার ঐতিহাসিক ভাষণ শুরু করলেন। ভাষণ দেওয়ার পুরো মুর্হুতটার সময় তার সঙ্গে থেকেও দেখিনি, তার হাতে কোন লেখা কাগজ ছিল। ঐতিহাসিক ভাষণ দেওয়ার সময় লক্ষ্য করার চেষ্টা করেও তার হাতে কিছুই দেখতে পাইনি। অনেক বক্তা, ভাষণ দেওয়ার আগে ছোট চিরকুটে গুরুত্বপূর্ন পয়েন্ট লিখে রাখলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে কিছুই দেখিনি। তিনি ধাপে ধাপে সুন্দর সাবলীল ভাবে বঙ্গবন্ধু ভাষণ দিয়ে যাচ্ছিলেন, যা ঐশ্বরিক ব্যাপার। গতকাল এ প্রতিবেদনের সঙ্গে স্মৃতিচারণকালে এসব কথা বলেন তিনি।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুব কাছে থাকা নেতৃবৃন্দের মধ্যে অনেকেই এখন জীবিত নেই। যে ক’জন ব্যক্তি জীবিত রয়েছে, তার মধ্যে মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহিউদ্দিন অন্যতম। মোহাম্মদ মহিউদ্দিন চীফ সিকিউরিটি অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন। এমনকি এখনও ৭ মার্চের ভাষণ প্রচারিত হলে বঙ্গবন্ধুর পেছনে দাড়িয়ে থেকে মোহাম্মদ মহিউদ্দিনকে হাততালি দিতে দেখা যায়।
ঐতিহাসিক ভাষণের স্মৃতিচারণকালে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে ভাষণ দেওয়ার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন মঞ্চে ওঠবেন এবং ঐতিহাসিক এ ভাষনে কি বলবেন, তা কেউ জানতো না। বঙ্গবন্ধু তার ভাষনে যখন বলছিলেন, “এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”। ঠিক সেই সময়ে আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলাম, আমার কাছে তখন মনে হয়েছিল যে, স্বর্গীয় কোন মহাপুরুষ বা মহামানব এ কথাগুলো বলছিলেন। এতো সুন্দর ও সাবলীল ভাবে গুছিয়ে হৃদয় মাখানো কথাগুলো কোন মানুষ বলতে পারে, তা তখন আমার মনে হয়নি। শুধু মনে হয়েছে, কোন “মহাপুরুষ বা মহামানব” এ কথা গুলো বলছে।
বঙ্গবন্ধুর চীফ সিকিউরিটি অফিসার এবং মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক এ ভাষণকে ইউনেস্কো ‘ওয়াল্ডর্স ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’ এ অর্ন্তভূক্ত করার খবরটি শুনে খুশিতে কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি। ৭ মার্চের ভাষন প্রসঙ্গে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ৬ মার্চ রাত থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মানুষের ঢল নামে রেসকোর্স ময়দানে। এ যেন এক আলোড়ন সৃষ্টিকারী পরিবেশ বিরাজ করছিল আগের দিন রাত থেকেই। পরদিন ৭ মার্চ লাখ লাখ বাঙ্গালীর উদ্দেশ্যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিবেন, তাতে বঙ্গবন্ধুর মাঝে কোন উৎকণ্ঠা দেখা যায়নি। কোন পূর্ব প্রস্তুুতিও ছিল না, তিনি ছিলেন একেবারেই স্বাভাবিক। সবার সঙ্গে কথা বলছেন, ছাত্রনেতাদের বুদ্ধি পরামর্শ দিচ্ছেন। কিছুক্ষন পরেই যে তিনি লাখ লাখ মানুষের সামনে ভাষণ দিবেন এবং ওই ভাষনে কি বলবেন তার কোন চিন্তা ভাবনা ছিল না। মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন, এ সময় তার পেছনে দাড়ানো থাকাবস্থায় তার ভাষণ শুনে প্রায়ই শরীর শিউরে উঠছিল। ঐতিহাসিক ভাষণ শুনে আমি মুর্হুতেই নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলাম। ফলে মনের অজান্তেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পেছনে দাড়িয়ে হাততালি দিয়েছিলাম। যা নিজেই জানিনি। পরে ভাষণের ভিডিও দেখে বুঝেছি যে, লাখ লাখ জনতার সঙ্গে আমিও হাততালি দিয়েছিলাম।
মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আরও বলেন, সেই সময়ে পাকিস্তানের কোন অবস্থায়ই ছিল না। বঙ্গবন্ধু যা বলতেন, সেভাবেই সবকিছু চলতো। ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকেই চলতো দেশ পরিচালনা। সেই সময়ে যে চেতনা কাজ করছিল মানুষের মনে, তখন পাকিস্তানের কোন শব্দই ছিল না। এ দেশকে তখন থেকেই বাংলাদেশ বলে মনে লালন করছিল সবাই। পূর্ব পাকিস্তানও মনে করতো না কেউ।
মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, অনেক মানুষই বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। আর তিনি আমাকে পছন্দ করতেন বলেই তার পায়ের নীচে থাকার সুভাগ্য হয়েছিল আমার।
মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর যে মন মানসিকতা এবং জাতির জন্য তার যে চিন্তাভাবনা ছিল, তার কন্যা দেশের বর্তমান সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও মন মানসিকতা একই রকমের লক্ষ্য করছি। বঙ্গবন্ধুর মনের অবস্থান আর নেত্রীর মনের অবস্থান শতভাগ মিল খুজেঁ পাচ্ছি।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৯ অক্টোবর ইউনেস্কোর সদর দফতর ফ্রান্সের প্যারিসে জাতিসংঘের মহাপরিচালক ইরিনা বোকাভো জানান, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণকে ইউনেস্কো ‘ওয়াল্ডর্স ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’ এ অর্ন্তভূক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ইউনেস্কোর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি (আইএসি) গত ২৪ থেকে ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বৈঠকে ৭ মার্চের ভাষণকে স্বীকৃতি দিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইএসি কমিটি। ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তীতে এ তথ্য জানানো হয়।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেষ থেকে ২য় প্যারা:

মহিউদ্দিন সাহেব শেখ সাহেব ও শেখ হাসিনার মাঝে মিল দেখছেন, কারণ মহিউদ্দিন রাজনীতি বুঝেন না, তিনি বেকুব অনুসারী মাত্র; শেখ সাহেব ও শেখ হাসিনার মাঝে রাজনীতি ও কৌশলগত কোন মিল নেই, উনাদের একমাত্র মিল হলো, শেখ সাহেব হলেন শেখ হাসিনার বাবা

২| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



শেষ থেকে ২য় প্যারা: শেখ হাসিনা ও উনার বাবার মাঝে মিল:

শেখ হাসিনাকে কোন সাংবাদিক যদি সামনাসামনি ৬ ডফা বলতে বলেন, শেখ হাসিনা বলতে পারবেন না; আর যদি বাকশাল কি প্রশ্ন করেন, শেখ হাসিনা প্রশ্নফাঁস করেও উত্তর দিতে পারবেন না; বাবা ও মেয়ের মাঝে মিল এটুকু!

৩| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ৭ এবং ৯ ই মার্চ উভয় জনসভার ভাষণ রমনা পার্কের পাশের রাস্তায় চার পাঁচ বন্ধু দাড়িয়ে দাড়িয়ে শুনেছি।মহিউদ্দিন সাহেবকে প্রতিপক্ষ হিসাবে অনেক কাছ থেকে দেখেছি অনেক দিন।সেই সময় মুন্সিগঞ্জ শহরে হার অনেক প্রতাপ ছিল।মানুষ যতটা না তাকে শ্রদ্ধা করতো ভয় করতো অনেক বেশি।

৪| ১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম অজানা ইতিহাস।

৫| ১০ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:১৬

রবিন.হুড বলেছেন: মোহাম্মদ মহিউদ্দীন এর অন্য নাম হচ্ছে পিস্তল মহিউদ্দীন বা পাগলা মহিউদ্দীন। মিঃ মহিউদ্দীন কি এখনো সুস্থ্য বা জীবিত আছেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.