নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সরল ভাষায় বিজ্ঞান চাই

বাসার

ব্যাপক অলস তবে আড্ডা দিতে আর ঘুরাঘুরি করতে পছন্দ করি। ডাটা মাইনিং নিয়ে কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে পিএইচডি করছি। থাকি অস্ট্রেলিয়ার ব্রিজবেনে। মাঝে মাঝে লেখালেখি করতে ইচ্ছে করে কিন্তু অলসতার জন্য হয়ে উঠে না। [sb]এই ব্লগে আমার নিজের লেখা যেসব পোস্ট করেছি, তার সর্ব সত্ত্ব সংরক্ষিত। আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া কোনো মাধ্যমে পুনঃপ্রকাশ করা যাবে না। [/sb]

বাসার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবুই পাখি

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৮



শুক্রবার, করিম সাহেবের জন্য আরামের দিন। পুরো সপ্তাহ অফিসের কাজে ব্যাস্ত থাকার পর এই দিন তিনি একটু অলস সময় কাটাবার সুযোগ পান। সকালের অলস ঘুমের পর প্রায় দশটাবাজে তিনি উঠলেন। নাস্তা করে বারান্দায় এসে খবরের কাগজ নিয়ে বসলেন। নকশি, তাঁর মেয়ে, এই বছর নার্সারীতে ভর্তি হয়েছে। সপ্তাহের অন্যন্য দিন সকাল ভোরেই তাকে স্কুলে চলে যেতে হয়। আজ শুক্রবার তাই স্কুলে যাওয়ার তাড়া নেই। বারান্দার ঠিক উলটো দিকে বড় তাল গাছটার মাথায় বাবুই পাখিরা বাসা বুনছে। সকাল হলেই এই দিকটা কিচিরমিচিরে ভরে উঠে। নকশির পাখি খুব পছন্দ। সকালে নাস্তা করে সে বারান্দার এই পাশটায় বসে আছে। পাখিদের দেখছে। কাগজে আঁকাআঁকি করছে। বাবা বারান্দায় এসে বসায় সে বাবার পাশে এসে বসল-

-আব্বুগো।

-হুঁ।

-এগুলা কি পাখি?

-বাবুই পাখি।

-ওরা কি করে?

-বাসা বানায়।

-কেন বাসা বানায়?

-থাকার জন্য!

-ওদের বাসা নাই?

-না, সেজন্য বানাচ্ছে।

-ওরা কি স্কুলে যায়?

-না।

-ওরা কি ছোট?

-না।

-স্কুলে যায় না কেন?

-ওরাতো পাখি, সে জন্য।

-পাখি হলে অনেক মজা। স্কুলে যেতে হয় না।

-হুঁ। আবার আকাশেও উড়তে পারে।

-পাখি সুন্দর।

-হুঁ, আমাদের নকশি মত।

-না, আমি বেশি সুন্দর।

-আচ্ছা ঠিক আছে। তুমি বেশি সুন্দর।

নকশি মতযোগ দিয়ে আবার পাখি দেখতে থাকে। একটু পর-

-আব্বু।

-হুঁ।

-পাখিরা কি কাজ করে?

-করেতো। বাসা বানায়, খাবার সংগ্রহ করে, বাচ্চাদের দেখাশুনা করে।

-ছোট পাখিরা কি কাজ করে?

-না মনে হয়।

-পাখি হলে অনেক মজা। ছোট পাখিদের কাজ করতে হয় না।

-তোমারওতো কাজ করতে হয় না।

-কিন্তু, আফিয়াতো কাজ করে।

করিম সাহেব খবর কাগজ থেকে মুখ তুলে তাকায়-

-আফিয়া তোমাকে কিছু বলেছে?

-না।

-তাহলে একথা বলছ কেন?

-ওতো আমার সাথে খেলতে আসে না। বলে খালাম্মা বকা দিবে।

করিম সাহেবের মতটা খারাপ হয়ে গেল। আফিয়া আর নকশি একই বয়সি। আফিয়ার বাবা আরেক বিয়ে করে সে বৌয়ের সাথে থাকে। আফিয়াদের খোজ-খবর নেয় না। করিম সাহেব এবং তাঁর স্ত্রী শীলা দু’জনই চাকরি করেন। বাসার কাজে সাহায্য করার জন্য কাউকে একজনকে খুঁজছিলেন। আফিয়ার মা শোনার পর আফিয়াকে দিয়ে গেলেন। বাচ্চাটার এই বয়সে খেলাদুলা করার কথা, কন্তু তাঁকে অন্যের সংসারের ঘানী টানতে হচ্ছে। তিনি মনে মনে ভাবলেন শীলাকে বলতে হবে, যেন আফিয়াকে মাঝে মাঝে খেলাদুলা করতে দেয়। এতে নকশিও একজন খেলার সঙ্গী পাবে।

[চলবে...]

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮

প্রামানিক বলেছেন: খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫৪

বাসার বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল লাগল শুনে খুশি হলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.