নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি আর লিখিব আমি ........শুণ্যর্ও মাঝার

বাউন্ডেলে

বাউন্ডেলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

হামাস কি বেসামরিকদের হত্যা করেছে ?

২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৫

পশ্চিমারা উদ্বাস্তু ইহুদিদের আশ্রয় নিজের দেশে না দিয়ে ফিলিস্তিনকে বেছে নেয়ার কারনেই ঘটনার সুত্রপাত। পশ্চিমারা এবং তাদের মিডিয়া ব্যাপকভাবে নিরিহ ফিলিস্তিনদের উচ্ছেদ করে দখলদারদের আশ্রয় ও যাবতীয় সাহাজ্য দিয়ে আসছে। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠিসহ পাশ্চাত্যর ক্রমবর্ধমান আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে যারাই প্রতিবাদ করেছে তাদেরকেই কতিপয় বর্বর দেশ ও তাদের মিডিয়া সন্ত্রাসী-জঙ্গী আখ্যায়িত করেছে। সংগত কারনেই পশ্চিমা বর্বরদের চোখে হামাসও সন্ত্রাসী।
৭ অক্টোবর ২০২৩ শনিবার ভোর থেকে ইসরাইলে অতর্কিত আক্রমণ করে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস। ইহুদিবাদী রাষ্ট্রটির দুর্ভেদ্য প্রতিরোধ ভেদ করে এই প্রথম কোনো ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী এত বড় পরিসরে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। ইসরাইলও প্রতিশোধ হিসেবে গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ করছে। চলমান প্রচণ্ড লড়াইয়ে এ পর্যন্ত উভয়পক্ষে নিহতের সংখ্যা প্রায় কয়েক হাজার।
দশকের পর দশক ধরে ইসরাইলের চালানো বর্বরতা ও নৃশংসতার জবাব দিতে হামাস এ লড়াই শুরু করার কথা জানিয়েছে। হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি আল-জাজিরাকে বলেছেন, কয়েক দশক ধরে ফিলিস্তিনিরা যে নৃশংসতার মুখোমুখি হয়েছে তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে চালানো হয়েছে এ আক্রমণ। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে, গাজায়, আমাদের পবিত্র স্থান আল-আকসায় নৃশংসতা বন্ধ করুক।
এই প্রেক্ষাপটে হামাসের ইতিহাস, সাংগঠনিক দর্শন, আদর্শ এবং তাদের সংগ্রাম সম্পর্কে কিছুটা জেনে নেওয়া যাক…
যেভাবে হামাসের যাত্রা শুরু
মিশরের ইসলামী রাজনৈতিক দল মুসলিম ব্রাদারহুড। দখলদার ইসরাইলিদের কাছে বাস্তুচ্যুত অনেক ফিলিস্তিনি মিশরে শরণার্থী হিসেবে বসবাস করেছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই ব্রাদারহুডের আদর্শে দীক্ষা নেন। ১৯৮৭ সালে এমনই দুজন আহমেদ ইয়াসিন ও আব্দেল আজিজ আল-রানতিসি প্রতিষ্ঠা করেন হামাস। হামাস হচ্ছে, হারকাত আল-মুকাওয়ামা আল-ইসলামিয়া- এর সংক্ষেপ, যার অর্থ ইসলামী নবজাগরণের আন্দোলন।
হামাস শব্দের অর্থ– উদ্দীপনা, গভীর দেশপ্রেম। সাংগঠনিক সনদ অনুযায়ী, দখলদার ইসরাইলি রাষ্ট্রকে উৎখাত করে একটি ইসলামী রাষ্ট্র গঠন করাই হামাসের লক্ষ্য। পরবর্তীতে অবশ্য সংগঠনটি বলেছে, ইসরাইল ১৯৬৭ সালের যুদ্ধপূর্ব সীমানায় ফিরে গেলে, অর্থাৎ ওই যুদ্ধের সময়ে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিলে এবং ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সেখানে ফিরতে দিলে তারা ব্রাদারহুডের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবে। কিন্তু, ইসরাইল এ প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দেয়। দখলদার শক্তিটি ফিলিস্তিনের এক ইঞ্চি ভূমিও ছাড়তে রাজি নয়।
হামাসের সাংগঠনিক কাঠামো, সমর্থন দেয় কারা
হামাসের প্রধান শাখা দুটি। এর একটি সাংস্কৃতিক, যার নাম দাওয়াহ। সামরিক শাখার নাম ইজ্জ আদদ্বীন আল-কাসসাম ব্রিগেডস।
হামাসকে সমর্থন দিচ্ছে ইরান, এবং ইরান সমর্থিত সিরিয়ার সরকার ও লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী। এই জোটের সদস্যরা মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন নীতির ঘোর-বিরোধী।
গাজা ছাড়াও পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের মধ্যে হামাসের সমর্থকরা রয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পশ্চিমাদের সমর্থক সরকার থাকলেও, সাধারণ জনগণের কাছে হামাসের গ্রহণযোগ্যতা আছে। ইতোমধ্যেই সিরিয়া, ইরান ও ইয়েমেন হামাসের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে এই আক্রমণকে 'বীরোচিত' ও 'গর্বের' বিষয় বলে অভিহিত করেছে। আরব লীগ ও জর্ডান বর্তমান সংঘাত শুরুর পেছনে দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইলের চালানো নিষ্ঠুরতাকে দায়ী করেছে। সৌদি আরব, মরক্কো এবং ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ দোসর মিশরের প্রেসিডেন্ট আল-সিসির সরকার অস্ত্র সম্বরণের আহ্বান জানিয়েছে।
পশ্চিমা দেশগুলো হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এরমধ্যে আছে– যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, মিশর ও জাপান।
হামাস কি বেসামরিকদের হত্যা করছে?
হামাসের মুখপাত্র ওসামা হামদান আল-জাজিরাকে বলেছেন, হামাস বেসামরিকদের ওপর হামলা করছে না। যদিও এর আগে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলি অভিযোগ করে, হামাসের হাতে ইসরাইলি বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে।
অ্যামনেস্টিকে উদ্দেশ্য করে ওসামা হামদান বলেন, বসতি স্থাপনকারী এবং বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে পার্থক্য জানতে হবে। বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনিদের আক্রমণ করেছে।

এ সময় দক্ষিণ ইসরাইলের বেসামরিক নাগরিকরাও বসতি স্থাপনকারী কিনা জানতে চাইলে হামদান বলেন, সবাই জানে সেখানে বসতি রয়েছে। আমরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে বেসামরিক কাউকে লক্ষ্যবস্তু করছি না। আমরা ঘোষণা করেছি বসতি স্থাপনকারীরা দখলদারত্বের অংশ এবং সশস্ত্র ইসরাইলি বাহিনীর অংশ। তারা বেসামরিক নয়।

হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর একমাত্র নারী সদস্য নিহত

ফিলিস্তিন

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:০৬

নতুন বলেছেন: এই হামলা করে হামাস ১০০০ হাজার নাপাক ঈহুদী হত্যা করে তাদের নরকে পাঠিয়েছে। তার বিপরীতে ফিলিস্তিনি ১০ হাজার মারা যাবে।

তবুও এই হামলার জন্য হামাসের প্রসংসা করছে অনেকে। :|

এমন হামলা করে কোন দিনই হামাস বা অন্য কেউ ফিলিস্তিনি সমস্যার সমাধান করতে পারবেনা।

মাথামোটা আরবদের একত্র করতে হবে। নিজেরা আগে ঠিক হলে এবং আমেরিকাতে ঠিকমতন ঝাড়ি দেতে পারলে সমস্যার সমাধান হবে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:২৩

বাউন্ডেলে বলেছেন: সেটেলারদের মাধ্যমে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য শুধু আশ্রয়হীন ইহুদিদের আশ্রয় দেয়া নয় বরং এর পিছনে তাত্বিক কারনও বিদ্যমান। এটার পিছনে রয়েছে বিশাল এক উদ্দেশ্য। এটা সহসা থামবে না।

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:১৪

আমি নই বলেছেন: ইসরাইলের ১৪০০ মানুষ মারা গেছে এটাই একটা বড় প্রপাগান্ডা। আর শয়তানের ছলের অভাব হয়না।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৩৫

বাউন্ডেলে বলেছেন: ১৪০০ মানুষ মারা যাওয়া প্রপাগান্ডা নয় । ৪/৫ শত সামরিক সদস্যও এর মধ্যৈ আছে। নারী-শিশু হাতে গোনা কয়েকজন।

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৪১

কামাল১৮ বলেছেন: অনেক মুমিন বলে, হামাস সিআইয়ের হাতে গড়া।হামাস পরিকল্পনা করে গাজা বাসিকে ধ্বংসের জন্য এ কাজ করেছে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৩৭

বাউন্ডেলে বলেছেন: শুধু মুমিন না পশিচমা নাক উঁচু বুদ্ধিজীবিরাও এসব আজাইরা গুজব ছড়াচ্ছে।

৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:২৭

শাহ আজিজ বলেছেন: হামাস বিবিধ দেশি ক্রিমিনালদের নিয়ে ভাড়াটে সৈনিক দের একটি সশস্ত্র গুন্ডা বাহিনী ।


মনে হচ্ছে এবার আমেরিকা ফিলিস্তিনে নামলে হামাসের দাফন হয়ে যাবে ।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৪০

বাউন্ডেলে বলেছেন: আপনার ধারনা ভুল। পশ্চিমারা এবার ভুল যায়গায় এসেছে। আরবরা রেড ইন্ডিয়ান বা অষ্ট্রেলিয় আদিবাসী নয়।

৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমেরিকার উচিত হামাস কে চিরতরে অফ করে দেওয়া। যেভাবে লাদেন বা সাদ্দামকে অফ করে দিয়েছে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৩১

বাউন্ডেলে বলেছেন: অফ কোনটাই হয় না । রং চেন্জ হয়। আরো শক্তিশালী হয়ে আসে । হামাসতো হবেই না্ । ভিন্ন নামেও হামাসের ব্যাকআপ আছে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.