নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি আর লিখিব আমি ........শুণ্যর্ও মাঝার

বাউন্ডেলে

বাউন্ডেলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ সময়ে আমাকে বিরক্ত কোরো না।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪০

সিসিলির সিরাকিউজ শহরে জন্মেছিলেন তৎকালীন পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি আর্কিমিডিস। গল্পে আছে, অদ্ভুত অদ্ভুত আবিষ্কার দিয়ে আর্কিমিডিস বার বার রোমান বাহিনীর হাত থেকে তাঁর শহরকে রক্ষা করেছিলেন। আতস কাচের সাহায্যে তিনি রোমানদের জাহাজে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন। অভিনব কৌশল ব্যবহার করে তিনি রোমানদের জাহাজ শূণ্যে তুলে মোক্ষম আছাড় দিতে পারতেন। আর্কিমিডিস পড়াশুনা করেছিলেন টলেমিদের আলেকজান্দ্রিয়ার শিক্ষাকেন্দ্রে। ইউক্লিডের কাজের ওপর ভিত্তি করে আর্কিমিডিস জ্যামিতির বহু সমস্যার সমাধান দিতে পেরেছিলেন। পৃথিবী থেকে বিভিন্ন গ্রহের দুরত্ব নির্ণয়ের পদ্ধতি তাঁর আবিষ্কার। তাঁর আবিষ্কৃত পদার্থবিদ্যার একটি মৌলিক সূত্রের নাম হয়েছে আর্কিমিডিসের সূত্র। পানি তোলার প্যাঁচালো স্ক্রু, পাখি মারার গুলতি, কপিকল প্রভৃতি তাঁর আবিষ্কার। আর্কিমিডিস মারা যান রোমান সৈন্যদের হাতে । ঘটনা টা এমন,আর্কিমিডিসের খ্যাতি তখন দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। সেনাপতি মার্সেলাস তার সৈন্যদের নির্দেশ দিলেন কেউ যেন আর্কিমিডিসের ক্ষতি না করে। কিন্তু বিজয়ের গর্বে উন্মত্ত সৈন্যরা আর্কিমিডিসের কদর বুঝল না।
গল্প আছে, সৈন্যরা যখন আর্কিমিডিসের কাছে এসে হাজির হল তখন তিনি তন্ময় হয়ে বালিতে জ্যামিতির আঁক কাটছেন। একটি সৈন্য কর্কশ গলায় তাকে বলল—আত্মসমর্পণ করো। কিন্তু জ্যামিতির সমস্যার সমাধান নিয়ে তিনি মগ্ন মারমুখো সৈন্যের হুকুম তার কানে পৌছল না। তিনি অন্যমনস্কভাবে বললেন—এ সময়ে আমাকে বিরক্ত কোরো না।
সৈন্যটি আর্কিমিডিসকে চিনতে পারল না। ভাবল, লোকটির স্পর্ধা তো কম নয়! আর্কিমিডিস তার হাতে নিহত হলেন। সে খ্রিস্টপূর্ব ২১২ সালের কথা।
আর্কিমিডিস নিহত হয়েছেন শুনে রোমান সেনাপতি মার্সেলাস অত্যন্ত অনুতপ্ত হলেন। তার জন্যে একটি সমাধিসৌধ তৈরি করলেন তিনি। আর তার গায়ে এঁকে দেওয়া হল আর্কিমিডিসের সবচেয়ে প্রিয় জ্যামিতিক আঁকটি।

Stay curious sis থেকে নেওয়া।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।
ভালো লাগলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.