নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাশিয়ায় অধ্যয়নরত এক ছাত্র লিখেছেঃ
রাশিয়ায় পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর দেয়া হয় ৫ আর কেউ কোন উত্তর না লিখে সাদা খাতা জমা দিলে তাকে দেয়া হয় ২।
মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনটিতে আমি পরীক্ষার এই নম্বর পদ্ধতি সম্পর্কে জানতাম না। জেনে অবাক হয়ে ড থিওদর মেদ্রায়েভকে জিজ্ঞেস করি,একজন ছাত্র কিছুই না লিখে ২ পাবে এটা কী যৌক্তিক! তার তো শূন্য পাওয়াটাই সঠিক।
ড মেদ্রায়েভ উত্তর দেন, একজন মানুষ এতো শীতের মধ্যে সকাল সাতটার ক্লাসগুলো ধরতে আরো আগে ঘুম থেকে উঠেছে, গণপরিবহনে চড়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্লাসরুমে পৌছেছে; প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে চেষ্টা করেছে, তাকে কী করে শূন্য দিই!
যে তার রাতগুলোতে পড়ালেখা করেছে, কলম-নোটবুক-কম্পিউটার কিনেছে পড়ালেখার জন্য; জীবন-ধারায় এতো ত্যাগ সাধন করেছে পড়ালেখার জন্য তাকে কী করে শূন্য দিই!
একজন ছাত্র উত্তর লিখতে পারেনি জন্যই তাকে আমরা শূন্য দিতে পারিনা বাবা। আমরা মানুষ হিসেবে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে চাই; তার মেধা আছে, সে কমপক্ষে চেষ্টা করেছে। যে ফলাফল আমরা দিই এটা শুধু উত্তরপত্রে লেখা উত্তরের ওপর ভিত্তি করে হতে পারেনা। এই ফলাফল দেয়া হয় তার প্রশংসা করতে আর সে যেহেতু মানুষ সে ন্যুনতম একটা নম্বর পাবার যোগ্য।
এটা শুনে আমি কেঁদেছি; বুঝতে পারিনি কী বলবো। কিন্তু ঐদিন আমি মানুষের গুরুত্ব বুঝতে পারি।
শূন্য নম্বর ছাত্রদের মোটিভেশন কমায়, তাদেরকে শেষ করে দেয়, তারা আর লেখাপড়াকে পছন্দ করতে পারে না।
গ্রেড বুকে শূন্য নম্বর লেখা হলে, ছাত্ররা ঐ বিষয়ের প্রতি আর আগ্রহ বোধ করে না। এই গল্পটা শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলা; তারা যেন নিজ নিজ দেশের শূন্য দেবার বাতিল-জবুথবু শিক্ষা-ব্যবস্থাটাকে বদলাতে চেষ্টা করে।
আমরা আদু ভাই যুগের অনেক পরের শিক্ষার্থী। তারপরও ১৯৭০-১৯৮০-১৯৯০ দশকে অনেক আদুভাইকে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছিলো। শিক্ষাজগতে অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় টানাপোড়ন বিশাল ভুমিকা রাখে। আমাদের ভারত বর্ষের শিক্ষাজগতে মনস্তাত্বিক বিশ্লেষন ও প্রয়োগের সুযোগ অনেকাংশেই বাধাগ্রস্ত করেছে অর্থনীতি ও সাম্প্রদায়িকতা।
শিক্ষায় মান উন্নয়নে মনোযোগী না হয়ে সাফল্য প্রমানে বেশী ব্যাস্ত হয়ে যায় আমাদের শিক্ষা মন্ত্রীরা। এর ফলে আমরা ক্রমাগত পাচ্ছি দুর্নীতিবাজ আমলা,শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবি। ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধানই বানে। তার বড় প্রমান নোবেল বিজয়ী ডঃ ইউনুস। উচ্চ শিক্ষা ও গবেষনা বিদেশে করলেও - প্রাথমিক,উচ্চ মাধ্যমিক,স্নাতক শিক্ষা বাংলাদেশে হওয়ার কারনে লেজে-গোবরে অবস্থা “মস্তিস্কের উন্নয়ন হয় নাই- মান এখনো “টং গবেষক” পর্যায়ের।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৫
বাউন্ডেলে বলেছেন: শুধু ছেলে-মেয়েকে ভয়ঙ্করভাবে বকাঝকা করা হয়- তা না । তার পিছনে সুপার গ্লু দিয়ে মা বা দাদি-নানীকে লাগিয়ে দিয়ে বিদ্যার বারোটা বাজানো হয়। পায় এ গোল্ডেন এ প্লাস-হয় “মাস কাবারী” চাকর।
২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫
বাকপ্রবাস বলেছেন: বিষয়টা সুন্দর, শূন্য মুক্ত মানবিক হোক উত্তরপত্র
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৬
বাউন্ডেলে বলেছেন: আমাদের বোধদয় কবে হবে - আল্লায়ই ভালো বলতে পারেন।
৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি তো বুড়া মানুষ।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৯
বাউন্ডেলে বলেছেন: আমি কি বলেছি কখোনো- আমি চ্যাংড়া মানুষ ? বয়স ৫৪ পেরিয়ে ৫৫ এ সাঁতার কাটছি।
কোন সমস্যা ?
৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৮
সোনাগাজী বলেছেন:
ড: ইউনুস সামুতে ব্লগিং করলে, মানসিক রোগীর "বাউন্ডুলে" নিক নিতো না।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৩
বাউন্ডেলে বলেছেন: আমি একবার হেমায়েতপুর মানষিক হসপিটাল গিয়েছিলাম রুগী দেখতে। যাকে দেখতে গিয়েছিলাম, সেতো বটেই আরো কিছু রোগী আমাকে মানষিক রোগী ভেবে “থাকার দাওয়াত” দিয়েছে। ফিরে আসার পর যাকেই বলেছি- সেই বলেছে- তা, এখন সুস্খ তো ? হাঃ হাঃ...........
৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩১
সোনাগাজী বলেছেন:
২ পেলে ফেল! আপনি কখনো পাশ করার মতো নম্বর পেয়েছিেলেন?
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৩
বাউন্ডেলে বলেছেন: আমি “ থ্রি নট থ্রি” পাশ না হলেও -ফেল নই। একাত্তুরে আমি হামাগুড়ি দিতাম - আমার নানা আদর করে ডাকতেন “মুক্তিযোদ্ধা” বলে। বানিয়ে দিয়েছিলেন কাঠের খেলনা স্টেনগান।
৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪
নাহল তরকারি বলেছেন: সুন্দর।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪
বাউন্ডেলে বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১১
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি লিখেছেন। "একাত্তুরে আমি হামাগুড়ি দিতাম - আমার নানা আদর করে ডাকতেন “মুক্তিযোদ্ধা” বলে। বানিয়ে দিয়েছিলেন কাঠের খেলনা স্টেনগান। "
-এখন ভাতা পাচ্ছেন তো?
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬
বাউন্ডেলে বলেছেন: জ্বি। পাচ্ছি ।
৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৩
সোনাগাজী বলেছেন:
রাশিয়ায় তো পড়ালেখা করেননি; চোরাগুপ্তা ব্যবসা করেছেন?
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮
বাউন্ডেলে বলেছেন: অন্যর পোষ্টগুলো কমপক্ষে ১০ বার পড়ার পর আপনার কমেন্ট করা উচিৎ। মাথা আউলাদের জন্য এটাই ট্রিটমেন্ট।
৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৭
সোনাগাজী বলেছেন:
কোন সাবজেক্টে পড়ালেখা করেছিলেন, সাবজেক্টের নাম মনে আছে?
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫০
বাউন্ডেলে বলেছেন: আপনার সাবজেক্ট ছিলো - “থ্রি নট থ্রি”। আমার ছিলো “কাঠের ষ্টেন” মনে পড়েছে ভায়া
১০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫৪
কামাল১৮ বলেছেন: একটা শূন্য দেয় না দেয় দুইটা শূন্য।এক একটা মাজেজা আছে।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫১
বাউন্ডেলে বলেছেন: হুম ।
১১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩২
শেরজা তপন বলেছেন: ব্লগার বাউণ্ডুলে লিখেছেন;
রাশিয়ায় অধ্যয়নরত এক ছাত্র লিখেছেঃ রাশিয়ায় পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর দেয়া হয় ৫ আর কেউ কোন উত্তর না লিখে সাদা খাতা জমা দিলে তাকে দেয়া হয় ২।
তিনি অন্যের বয়ানে উদ্ধৃতি দিয়েছেন; আর কি সব প্রশ্ন করছেন আমাদের মহান ব্লগারেরা!!! কোন বেতাল ব্লগারদের মাঝে এসে পড়লাম আমরা!!!!
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৪
বাউন্ডেলে বলেছেন: খি করবেন ভাই! ওনার লেখা দেখে হাসতে হাসতে ঠোট টাই ফেটে গেল
উত্তরে যে ঠান্ডা ।
১২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৮
জনারণ্যে একজন বলেছেন: কি হে @ গোল্ডগাজী, চাপাবাজির ব্যবসাতে ইদানিং ভাটা পড়েছে মনে হচ্ছে? মন খারাপ এজন্য?
আত্মসম্মানবোধ তো দেখি গোপাল ভাঁড়ের পর্যায়ের। দিনকয়েক আগেই মঠু সাবের চোখ রাঙানি খেয়ে সরি-টরি বলে এখন আবার কামরা-কামড়ি শুরু করেছেন।সাথে আছে আবার লেখাচোর শাগরেদ।
সাচ এ গ্রেট কম্বিনেশন!! ঠিক যেন মানিক জোড়।
১৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৫২
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার লেখাটার বিষয়বস্তু খুব চমৎকার। অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে লেখাটা পড়া শুরু করেছিলাম।
কিন্তু শেষে এসে ডঃ ইউনূস কে আপনি যে ভাবে বিকৃতবুদ্ধি দিয়ে উপস্থাপন করেছেন তাতে হতভম্ব হলাম।
রবীন্দ্রনাথের জীবদ্দশাতেও আপনার মত নিম্নবুদ্ধির, অন্ধকারাচ্ছন্ন, পদলেহনকারী মানুষেরা ছিলো, তাই খুব বেশি হতাশ হওয়ার কারণ নেই অবশ্য।*
(* ডঃ ইউনূস এবং রবীন্দ্রনাথ তুলনীয় নয়। তবে আপনার মত পদলেহনকারীর দ্বারা এই অসম্মান আমাকে মনে করিয়ে দিল যে রবীন্দ্রনাথকেও নিম্ন বুদ্ধির, নীচু মানসিকতার বাঙালীরা যথেষ্ট অসম্মান করেছে।)
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২২
বাউন্ডেলে বলেছেন: না , প্রতারনা বা চৌর্য বৃত্তির দায়ে আমি বা আপনি অভিযুক্ত হই নাই। এক্ষেত্রে আমরা নিঃসন্দেহে ইউনুস অপেক্ষা উত্তম। দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য"।
১৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বাংলাদেশে মনে হয় না ওসব দেশের পদ্ধতি খুব একটা কাজে দেবে। তবে শুরু করে দেখা যায়।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২৪
বাউন্ডেলে বলেছেন: ব্রিটিশ শিক্ষা পদ্ধতি কিছুটা হলেও বাঙ্গালী কাজে লাগিয়েছে। আশা করি এটাও কাজে লাগবে।
১৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২
হাসান রাজু বলেছেন: গাজী সাহেবের সব (ম্যাও, প্যাঁও মার্কা) মন্তব্যের খুব ভাল প্রতিউত্তর করেছেন। উনি খুব বেশি সুবিধা করতে পারবেন না, আপনার সাথে।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২৬
বাউন্ডেলে বলেছেন: গাজী সাহেব এখন মোটামুটি “সাইজ” ।
১৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:১০
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি কি বলেছি কখোনো- আমি চ্যাংড়া মানুষ ? বয়স ৫৪ পেরিয়ে ৫৫ এ সাঁতার কাটছি।
কোন সমস্যা ?
না কোনো সমস্যা না।
১৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:১১
বিজন রয় বলেছেন: শিক্ষায় মনস্তাত্বিক বিশ্লেষণ প্রয়োজন আছে বলে মনে করি।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: কিন্তু আমাদের দেশে পান থেকে চুন খসলে ছেলে-মেয়েের ভয়ঙ্করভাবে বকাঝকা করা হয়। উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েদের মনস্তত্ব বুঝার চেষ্টা করেন না সো-কলড গুরুজনেরা।
ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধানই বানে - বাঙালী যেখানে যে অবস্থায়ই থাকুক না কেন, তার মধ্যে বাঙালীত্ব প্রকাশ পাবেই।