নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি আর লিখিব আমি ........শুণ্যর্ও মাঝার

বাউন্ডেলে

বাউন্ডেলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

নৈতিক শিক্ষায় পারিবারিক,পারিপার্শ্বিক,ধর্মীয়,রাষ্ট্রিয় ও পৃথিবীর পাঠশালা।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪৪


সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি,
সারা দিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি।
আদেশ করেন যাহা মোর গুরুজনে,
আমি যেন সেই কাজ করি ভালো মনে।
ভাইবোন সকলেরে যেন ভালোবাসি,
এক সাথে থাকি যেন সবে মিলেমিশি।
ভালো ছেলেদের সাথে মিশে করি খেলা,
পাঠের সময় যেন নাহি করি হেলা।
সুখী যেন নাহি হই আর কারো দুখে,
মিছে কথা কভু যেন নাহি আসে মুখে।
সাবধানে যেন লোভ সামলিয়ে থাকি,
কিছুতে কাহারে যেন নাহি দেই ফাঁকি।
ঝগড়া না করি যেন কভু কারো সনে,
সকালে উঠিয়া এই বলি মনে মনে।

লেখক মদনমোহন তর্কালঙ্কার: ১৮১৭ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতার নদিয়া জেলার বিল্বগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার সংস্কৃত কলেজে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সহপাঠী ছিলেন তিনি। ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে ১৪টি সংস্কৃত বইয়ের সম্পাদনা করেন তিনি। শিশুদের শিক্ষার জন্য নানা রকম লেখনী সৃষ্টি করেছিলেন এই গুনী মানুষটি। ১৮৫৮ সালের ৯ মার্চ কলেরায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান মদন মোহন তর্কালঙ্কার।
এই কয়েকটি লাইন ও শব্দের মাধ্যমে লেখক একটি মানুষের জীবন পথের অতি পাকা একটি পথ তৈরি করে দিয়েছেন। যেটা আমরা কেউই অনুসরন করি না। কারন এসব না মানলেও শাস্তির ভয় নাই বরং অনেক বেশী সুবিধা পাওয়া যায় বর্তমানে এসব বাক্যবলীর উল্টা দিকে চললে। কবিতায় প্রথমেই অধিক গুরত্ব দেয়া হয়েছে মানব দেহের ড্রাইভার মনকে। মন যে পথ পছন্দ করে, সে পথেই ধাবিত হয় দেহ। এ ক্ষেত্রে মন তার মস্তিস্কে অবস্থিত তথ্যসমুহকে বিশ্লেষন করে সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। এ্টাই মানব জীবন। যার মগজ যত বেশী নৈতিক জ্ঞান সমৃদ্ধ তার সিদ্ধান্ত হয় ততোবেশী মানবিক ও উন্নত তথা সর্বজনগ্রাহ্য।
কারো দ্বারা দেহ কেটে গেলে ব্যাথা লাগে-কেউ গালি দিলেও ব্যথা লাগে। আবার নিজের ভুলে কেটে গেলে -ব্যাথা কম লাগে। কেউ যৌক্তিক কারনে গালি দিলেও - ব্যাথা অপেক্ষাকৃত কম মনে হয়। এ সবই মানব মস্তিস্কের নিউরনের মিথস্ক্রিয়ার লীলা-খেলা।
পাঠশালায় যাওয়ার পুর্বেই পরিবার থেকেই আমরা অনেক নৈতিক শিক্ষা পেয়ে থাকি। তবে অপ্রিয় হলেও সত্য এগুলোর বেশ কিছু আমাদের নৈতিক শক্তি দুর্বল করে ফেলে। যেমনঃ সাবধানে রাস্তা পারাপারের কৌশল শিক্ষার মতোই প্রতিবেশী ও অন্য ধর্ম সম্পর্কে বিরুপ মনোভাব পোষন এর ভিত্তি হিসাবে অনেক পরিবারেই শৈশবেই কানমন্ত্র দেয়া হয়। এর ফলে শিশুর অগোচরেই শিশুমনে বাসা বাধে হিংসা,অহংকার,ভীতি, সন্দেহ, অবিশ্বাষ, উচ্‌চাকাংখা ইত্যাদি। এসব কারনে মিথ্যা বলার ও প্রতারনা করার যৌক্তিক বৈধতা প্রমানে মেধা ব্যায় করতেও দ্বিধা করেনা শিশুমন। কারন পারিবারিক সমর্থন।
পৃথীবি যতই আধুনিক হোক না কেন ? আমাদের নৈতিকতা আধুনিক হচ্ছে না।
কি ! ভয়ংকর ব্যাপার!!!!!! । এটাই সত্য ।এভাবেই চলছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত- কোন প্রজন্মের কাছেই আমরা উন্নত বিবেক সম্পন্ন নৈতিক চরিত্র আশা করতে পারছি না।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: খুব ভালো পোস্ট।

আজকাল ডিজিটাল ছেলে মেয়েদেরো এই কবিতা পড়ানো উচিত।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯

বাউন্ডেলে বলেছেন: খুবই সাধারন বুলি-ছড়ার ভাষাগুলি। কিন্ত্তু কার্যক্ষেত্রে অসাধারন। পরমত সহিষ্ঞুতা সহ অন্যান্য বিষয়াবলীর ক্ষেত্রেও এর কার্যকারিতা অসাধারন। আমার মতে প্রতিটি স্তরে এই কবিতাটি পড়ানো উচিৎ।

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:২০

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: নৈতিক শিক্ষা হল একজন ব্যক্তির ভালো এবং মন্দের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে এবং সঠিক কাজ করার ক্ষমতা গড়ে তোলার প্রক্রিয়া। এই শিক্ষা পরিবার, পরিবেশ, ধর্ম, রাষ্ট্র এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্তরে ঘটে।

১. পরিবার হল নৈতিক শিক্ষার প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তর। পরিবারের সদস্যরা একজন ব্যক্তির নৈতিক মূল্যবোধ এবং বিশ্বাস গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা একজন ব্যক্তিকে ভালো এবং মন্দের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে এবং সঠিক কাজ করার জন্য অনুপ্রাণিত করে।

২. পরিবেশও নৈতিক শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ স্তর। একজন ব্যক্তি তার চারপাশের বিশ্ব থেকে নৈতিক শিক্ষা গ্রহণ করে। উদাহরণস্বরূপ, একজন ব্যক্তি তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব, শিক্ষক এবং সম্প্রদায়ের সদস্যদের কাছ থেকে নৈতিক শিক্ষা গ্রহণ করে।

৩. ধর্ম নৈতিক শিক্ষার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর। ধর্ম একজন ব্যক্তিকে ভালো এবং মন্দের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে এবং সঠিক কাজ করার জন্য অনুপ্রাণিত করে। ধর্ম একজন ব্যক্তিকে নৈতিক মূল্যবোধ এবং বিশ্বাসের একটি কাঠামো প্রদান করে।

৪. রাষ্ট্রও নৈতিক শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর। রাষ্ট্রের আইন এবং নীতিগুলি একজন ব্যক্তির নৈতিক আচরণকে প্রভাবিত করে। উদাহরণস্বরূপ, রাষ্ট্রের আইন একজন ব্যক্তিকে অন্যদের সাথে সম্মানের সাথে আচরণ করতে এবং তাদের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে বাধ্য করে।

৫. বিশ্বও নৈতিক শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর। একজন ব্যক্তি বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নৈতিক শিক্ষা গ্রহণ করে। উদাহরণস্বরূপ, একজন ব্যক্তি বিভিন্ন সংস্কৃতির নৈতিক মূল্যবোধ এবং বিশ্বাস সম্পর্কে জানতে পারে এবং এই জ্ঞানকে তার নিজের নৈতিক বিকাশে ব্যবহার করতে পারে।

এভাবে, পরিবার, পরিবেশ, ধর্ম, রাষ্ট্র এবং বিশ্ব একটি শ্রেণীকক্ষ, যেখানে একজন ব্যক্তি নৈতিক শিক্ষা লাভ করে। এই বিভিন্ন স্তরগুলি একজন ব্যক্তির নৈতিক বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তারা একজন ব্যক্তিকে ভালো এবং মন্দের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে এবং সঠিক কাজ করার জন্য অনুপ্রাণিত করে।

এখানে কিছু নির্দিষ্ট উদাহরণ রয়েছে কিভাবে এই বিভিন্ন স্তরগুলি নৈতিক শিক্ষার প্রদান করতে পারে:

(ক) পরিবার: একজন মা তার সন্তানকে "সত্য কথা বলো" বলে শিখিয়ে নৈতিক শিক্ষা প্রদান করতে পারে।

(খ) পরিবেশ: একজন বন্ধু তার বন্ধুকে অন্যদের সাথে সহানুভূতিশীল আচরণ করার জন্য অনুপ্রাণিত করে নৈতিক শিক্ষা প্রদান করতে পারে।

(গ) ধর্ম: একজন ধর্মীয় নেতা তার অনুসারীদের অন্যদের সাথে ভাল আচরণ করার জন্য অনুপ্রাণিত করে নৈতিক শিক্ষা প্রদান করতে পারে।

(ঘ) রাষ্ট্র: একটি আইন একজন ব্যক্তিকে অন্যদের সম্পত্তির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে বাধ্য করে নৈতিক শিক্ষা প্রদান করতে পারে।

(ঙ) বিশ্ব: একজন ব্যক্তি বিভিন্ন সংস্কৃতির নৈতিক মূল্যবোধ সম্পর্কে জানতে পারে এবং এই জ্ঞানকে তার নিজের নৈতিক বিকাশে ব্যবহার করতে পারে।

এই উদাহরণগুলি দেখায় যে নৈতিক শিক্ষা একটি জটিল প্রক্রিয়া যা বিভিন্ন স্তরে ঘটে। এই বিভিন্ন স্তরগুলি একজন ব্যক্তিকে ভালো এবং মন্দের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে এবং সঠিক কাজ করার জন্য অনুপ্রাণিত করে।

৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৪৭

বিজন রয় বলেছেন: আহা! অনেক দিন পর এই কবিতাটি পড়লাম।

কবিতাটি আসলেই জবিনের পথ নির্দেশ করে।

আপনাকে ধন্যবাদ শেয়ার করে কিছু মূল্যবান কথা বলার জন্য।

৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: সঠিক পারিবারিক শিক্ষা পেলে একটা শিশু কখনও অমানূষ হবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.