নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি আর লিখিব আমি ........শুণ্যর্ও মাঝার

বাউন্ডেলে

বাউন্ডেলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাথায় গিট্টুঃ

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৫২


বিজ্ঞানীরা বলছেন, মহাবিশ্বের বয়স ১৩৮০ কোটি বছর। বিগ ব্যাংয়ের মধ্য দিয়ে সে সময়েই হয়েছিল মহাবিশ্বের সূচনা। আমরা জানি, আলোর বেগই মহাবিশ্বে সর্বোচ্চ। তাহলে ৯৩০০ কোটি আলোকবর্ষ বড় মহাবিশ্ব আমরা দেখছি কীভাবে?
প্রশ্নটা বেশ মজার। জ্যোতির্বিজ্ঞান, কসমোলজি বা সৃষ্টিতত্ত্ব ও জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানে আগ্রহীমাত্রই জানেন, বিগ ব্যাং ঘটেছিল আজ থেকে ১৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে। অর্থাৎ ১৩৮০ কোটি বছর আগে (১ বিলিয়ন মানে ১০০ কোটি বছর)। এর প্রথম ৩০০ মিলিয়ন বছরের মতো মহাবিশ্ব ছিল অন্ধকার। পদার্থ-প্রতিপদার্থের সংঘর্ষ ও মৌলিক কণাদের স্যুপ বা ঝোলে বারবার বাধা পেয়েছে ফোটন। প্রায় ৩৮০ মিলিয়ন বছর পরে সৃষ্টি হয় মহাবিশ্বের প্রথম পরমাণু। ইলেকট্রনের মতো অস্থির কণা বাঁধা পড়ে প্রোটনের চারপাশে। তখন আলোয় ভেসে যায় মহাবিশ্ব। তার মানে, আমাদের প্রায় ১৩০০ কোটি বা ১৩ বিলিয়ন আলোকবর্ষের বেশি মহাবিশ্ব দেখতে পাওয়ার কথা নয়।
গুগল মামা সব জানে। কাজেই, গুগলে চট করে সার্চ করলেই দেখবেন, দৃশ্যমান মহাবিশ্বের ব্যাস ৯৩ বিলিয়ন আলোকবর্ষ। ব্যাসার্ধ ৪৬.৫ বিলিয়ন আলোকবর্ষ। খুব স্বাভাবিকভাবেই মাথায় ধাক্কা মারার কথা প্রশ্নটার—কীভাবে?
ঝামেলাটা আলোর বেগে। মহাবিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন আপেক্ষিকতা তত্ত্বের মূল বিষয় হিসাবে ধরে নিয়েছেন, আলোর বেগই মহাবিশ্বের সর্বোচ্চ বেগ। এর চেয়ে জোরে ছুটতে পারে না কিছুই। তাহলে, ৪৬.৫ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূর থেকে আলো আমাদের কাছে এসে পৌঁছাচ্ছে কীভাবে?
মাথায় গিট্টু লেগে গেলে একটু থামুন। আসলে কোনো ঝামেলা নেই এতে। খুলে বলি।
আমরা যখন দূরত্বের কথা ভাবি, যতই বিষয়টা জানা থাকুক, দূরত্ব বললেই আমাদের মাথায় সরলরেখা ভেসে ওঠে। কিন্তু মহাবিশ্বটা, আপেক্ষিকতা তত্ত্বের হাত ধরে আমরা জানি, এরকম সরলভাবে কাজ করে না। স্থান-কাল সরল নয়, বক্র। ভরের জন্য স্থান-কাল বেঁকে যায়। এর উদাহরণ হিসাবে বিখ্যাত ‘স্থান-কালের চাদর’-এর কথা হয়তো শুনেছেন। এ উদাহরণে বলা হয়, স্থান-কাল একটা চাদরের মতো। এতে ভর, যেমন একটা বল রাখলে, বলটা তার চারপাশের চাদর বাঁকিয়ে ফেলে। ফলে পৃথিবী যে সূর্যকে ঘিরে ঘোরে, সে আসলে সূর্যের ভরের কারণে বেঁকে যাওয়া চাদরের বাঁকা তল ধরে ঘুরে চলেছে।

এই উদাহরণ থেকে স্থান-কালের বক্রতার বিষয়টি বোঝা যায় বটে, তবে মহাবিশ্বের বিস্তৃতির বিষয়টি ঠিক বোঝা যায় না। এটা বোঝার জন্য একটা বেলুনের কথা ভাবতে হবে। একটা বেলুনের ওপরে বেশ কিছু বিন্দু নিন। তারপর বেলুনটা ফোলাতে থাকুন। দেখা যাবে, এর ওপরের বিন্দুগুলো সব পরস্পর থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। মহাবিশ্বটাও এভাবে বিস্তৃত হচ্ছে। প্রতিটি গ্যালাক্সি সরে যাচ্ছে পরস্পর থেকে দূরে।

এই বিষয়টি প্রথম পর্যবেক্ষণ করেন এডুইন হাবল। তাঁর হাত ধরে আমরা জানতে পারি, গ্যালাক্সিগুলো পরস্পর থেকে দূরে সরে যাচ্ছে তো বটেই; যে গ্যালাক্সি যত দূরে, সেটি তত দ্রুত সরে যাচ্ছে দূরে। ডপলার এফেক্ট বা প্রভাবের মাধ্যমে এটা সহজেই বোঝা যায়। হাজারবার এই প্রভাবের কথা শুনেছেন বা পড়েছেন হয়তো। তাই বিস্তারিত না বলে সংক্ষেপে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। একটা ট্রেন বা অ্যাম্বুলেন্স আমাদের দিকে এগিয়ে আসার সময় এর হুইসেল বা সাইরেনের শব্দের তীব্রতা বাড়ে। তরঙ্গদৈর্ঘ্য কমে যায়। আবার ট্রেন বা অ্যাম্বুলেন্স দূরে সরে গেলে শব্দের তীব্রতা কমে, তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেড়ে যায়। আলোর ক্ষেত্রেও এটা খাটে। আলোর তরঙ্গ (পড়ুন, তরঙ্গের উৎস) আমাদের দিকে এগিয়ে এলে তরঙ্গদৈর্ঘ্য কমে যায়, তখন সেটাকে নীলচে দেখায়। এর নাম নীল সরণ বা ব্লু শিফট। আর আলোর তরঙ্গ দূরে সরে গেলে তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেড়ে যায়। তখন সেটাকে লালচে দেখায়। এর নাম লোহিত বা লাল সরণ। কারণটা আর কিছু নয়, লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি, আর নীল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম। কথাটা এভাবেও বলা যায়, বেশি তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোকে লালচে দেখায়, আর কম তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোকে নীলচে দেখায়।

হাবল এই বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করেন। দেখেন, গ্যালাক্সিগুলো থেকে আসা আলোর লাল সরণ হচ্ছে। অর্থাৎ গ্যালাক্সিগুলো দূরে সরে যাচ্ছে। তিনি আরও দেখলেন, যে গ্যালাক্সি যত দূরে, তা তত দ্রুত দূরে সরে যাচ্ছে।
এই সরণের হাত মাপার জন্য হাবলের ধ্রুবক ব্যবহার করা হয়। ধ্রুবকটি প্রথম মাপেন হাবল নিজে। তাঁর নাম থেকেই ধ্রুবকের এই নাম। ১৯২৯ সালে মেপে তিনি এর মান পান প্রতি মেগাপারসেকে প্রতি সেকেন্ডে ৫০০ কিলোমিটার বা ৩১০ মাইল। এর অর্থ, প্রতি ১ মেগাপারসেক দূরের ছায়াপথ আমাদের থেকে সেকেন্ডে ৫০০ কিলোমিটার বেশি বেগে দূরে সরে যাচ্ছে। ১ পারসেক হলো আলোর বেগের ৩.২৬ আলোকবর্ষের সমান। আর মেগা হলো তার ১০ লাখ গুণ। ১ মেগাপারসেককে কিলোমিটারে বুঝতে হলে ৩০৯ লিখে তার ডানে ১৭টি শূন্য বসাতে হবে।

গত প্রায় ১০০ বছরে হাবলের পরিমাপকে অনেকবার সংশোধন করা হয়েছে। সর্বশেষ পরিমাপ বলছে, এ ধ্রুবকের মান ৭৪.০৩ ±১.৪২। বর্তমানে ধ্রুবকটির মান ৬৭ থেকে ৭৪ ধরা হয়। আমরা হিসাবের সুবিধার্থে ৭০ ধরে নিই। এ কথার অর্থ দাঁড়ায়, প্রতি ১ মেগাপারসেক দূরের ছায়াপথ আমাদের কাছ থেকে সেকেন্ডে ৭০ কিলোমিটার বেশি বেগে দূরে সরে যাচ্ছে। তার মানে, ১০০ মেগাপারসেক দূরের কোনো গ্যালাক্সি আমাদের থেকে সেকেন্ডে ৭০০০ কিলোমিটার বেগে দূরে সরে যাচ্ছে। আবার ৪,৩০০ মেগাপারসেক দূরের গ্যালাক্সিগুলো সরে যাচ্ছে সেকেন্ডে ৩ লাখ কিলোমিটার বেগে।


ঠিক আপনার ‘ফুঁ’-র মতো, মহাবিশ্বটাকে যেন ফুলিয়ে চলেছে অদৃশ্য এক শক্তি। এই শক্তি যেন মহাকর্ষকে পাত্তাই দিচ্ছে না। (কারণ, আমরা জানি, মহাকর্ষ সব কিছুকে কাছে টেনে আনতে চায়।) অদৃশ্য এই শক্তি কী, বিজ্ঞানীরা জানেন না। তাঁরা এর নাম দিয়েছেন অজানা শক্তি বা গুপ্ত শক্তি, ইংরেজিতে ডার্ক এনার্জি।
এই ডার্ক এনার্জিতে ভর করেই বেলুনের মতো মহাবিশ্বের আরও দূরের গ্যালাক্সিগুলো আরও বেশি বেগে ছুটছে দূরে। তাহলে, এ ক্ষেত্রে কি আপেক্ষিকতা তত্ত্বের লঙ্ঘন হচ্ছে না? না, হচ্ছে না। কারণ, গ্যালাক্সিগুলো নিজেরা আসলে দূরে ছুটে যাচ্ছে না। বরং মহাবিশ্ব, স্বয়ং স্থান-কাল প্রসারিত হচ্ছে। ঠিক বেলুনের ওপর আপনার বিন্দুটি যেমন নিজের জায়গায় বসেছিল আর প্রসারিত হচ্ছিল বেলুনটা, সেরকম!

আমরা জানি, দৃশ্যমান মহাবিশ্বের ব্যাসার্ধ ৪৬.৫ বিলিয়ন আলোকবর্ষ; ব্যাস, অর্থাৎ চারদিকে এটি ৯৩ বিলিয়ন বা ৯৩০০ কোটি আলোকবর্ষ বিস্তৃত। এটুকু আসলে গোটা মহাবিশ্ব নয়, তার ক্ষুদ্র একটা অংশ—এটুকু আমরা দেখতে পাই। (বলে রাখি, এমনিতে মহাবিশ্বের কোনো কেন্দ্র নেই। তবে দৃশ্যমান মহাবিশ্বের কেন্দ্রে পৃথিবীকে ধরেই হিসেব কষা হয়, কারণ আমরা দেখছি, নিজেদের চারপাশে।) মহাবিশ্ব আসলে আরও অনেক অনেক বড়। কত বড়, সে ব্যাপারে আমাদের কোনো ধারণাই নেই। এর অনেকখানি অংশ থেকে কোনো আলো আমাদের কাছে এসে পৌঁছাইনি। অর্থাৎ মহাবিশ্বের সেই বিপুল অংশটির অনেকখানি হয়তো আমরা কোনোদিনই দেখতে পাব না।

সূত্র: নাসা, ব্রিটানিকা, উইকিপিডিয়া
উচ্ছ্বাস তৌসিফ
সহসম্পাদক, বিজ্ঞানচিন্তা
মহাবিশ্ব কত জোরে প্রসারিত হচ্ছে?/ আব্দুল্যাহ আদিল মাহমুদ/ বিজ্ঞানচিন্তা
মহাবিশ্বের প্রথম আলো/ আবুল বাসার
ফর দ্য লাভ অব ফিজিকস/ ওয়াল্টার লিউয়েন

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি পড়ে, বুঝে লিখেছেন; নাকি কারো লেখা সরাসরি তুলে দিয়েছেন?

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫২

বাউন্ডেলে বলেছেন: সুত্র উল্লেখ আছে। আপনার মাথার গিট্টুটা খুবই টাইট। গিট্টু বিশারদের শরনাপন্ন হন।
আমার গিট্টটু খোলাই আছে । গারবেজ লিখে মার্কিনীদের অনুগ্রহ পাওয়ার চেষ্টা করিনা। ঐ বালদের (মার্কিনীদের) স্বীকৃতি মানুষ মরার পরে পায়। ফিলিস্তিনিরা উহাতে মোতে ।

২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০১

সোনাগাজী বলেছেন:


১ম শ্রেণীর প্রথম সাময়িক পরীক্ষার সময়, শিক্ষক প্রশ্ন দিয়ে বুঝিয়ে দেন, কিভাবে প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়; সেটাকে স্মরণ করেন।
আমার প্রশ্ন নীচে আবার দিচ্ছি, উহার উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছেন:

"আপনি পড়ে, বুঝে লিখেছেন; নাকি কারো লেখা সরাসরি তুলে দিয়েছেন? "

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৬

বাউন্ডেলে বলেছেন: আপনার চিন্তা-ভাবনা নিতান্তই নিম্ন মানের। নিজের মতো সবাইকে ৩০৩ পাস মনে করেন।
আমি পড়িয়া, বুঝিয়া প্রয়োজনীয় তথ্য কপি করিয়া লেখি। কারন এসব তথ্য তৈরী হয় গবেষনাগারে। আমি গবেষক নেই, চিন্তক ।

৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আলোর গতিকে হার না মানাতে পারলে এই মহাবিশ্বের খুব বেশিকিছু জানা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৮

বাউন্ডেলে বলেছেন: আলোর চেয়ে দ্রুতগতি সম্পন্ন হলো মানব মস্তিস্কের চিন্তা বা মন বা আত্মা। যার জন্ম মস্তিস্কের নিউরন সমুহে সন্চিত তথ্য সমুহের বিশ্লেষন এর মধ্য দিয়ে। ধ্যান বা মোরাকাবা ইহার প্রাচীন পদ্ধতি। মহাজাগতিক যোগাযোগ সিস্টেমের জন্ম ধ্যান থেকেই। বেশ কিছু বরেন্য ব্যক্তিত্ব এটা আয়ত্ব করেছিলো- ধারনা করা যায়।

৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২২

সোনাগাজী বলেছেন:


বুঝেছি, আপনি পড়ে ও বুঝে লিখেন।

এই লেখাটি আপনার, নাকি অন্য কারো লেখা তুলে দিয়েছেন?

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩২

বাউন্ডেলে বলেছেন: এই লেখাটি কিছু আমার, এবং অধিকাংশ যাদের নাম সুত্রে লেখা আছে ।

৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৫

কামাল১৮ বলেছেন: আপনার অনেক জ্ঞান।গুগুল করেই জানুন এবং বুঝতে চেষ্টা করুন।জ্ঞানের সংজ্ঞা কি।তবেই গাজী সাহেবের প্রশ্নের উত্তর বুঝতে পারবেন।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭

বাউন্ডেলে বলেছেন: তেনার উত্তর আমি দিয়েছি। এই লেখাগুলো সারা বিশ্বে একই ধরনের। এসব লেখা কপি নির্ভর।

৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: কিছু লেখার আগে সোনাগাজী/চাদজাগীর কথা আগে স্মরণ করে নেবেন।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩

বাউন্ডেলে বলেছেন: বলেন- তার বোঝার অতীত কিছু ব্লগে প্রকাশ করার পুর্বে।

৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সোনাগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন: এই লেখাটি কিছু আমার, এবং অধিকাংশ যাদের নাম সুত্রে লেখা আছে ।

-এই কথাটি বের করতে ৩ বার একই প্রশ্ন করতে হয়েছে। যাক, ধন্যবাদ। লেখায় ভুল কম থাকাতে প্রশ্নটি করতে হয়েছিলো।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫

বাউন্ডেলে বলেছেন: আবার খুটিতে পাক খাইলেন। সাহিত্য লেখি না আমি। তাই বানানের ব্যাপারে গুরুত্ব দেই না। ভাষা বোঝার মতো হলেই হলো।

৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ধ্যান বা মোরাকাবা ইহার প্রাচীন পদ্ধতি। মহাজাগতিক যোগাযোগ সিস্টেমের জন্ম ধ্যান থেকেই। বেশ কিছু বরেন্য ব্যক্তিত্ব এটা আয়ত্ব করেছিলো - ভেরী ইন্টারেস্টিং বিষয় মনে হচ্ছে!! আমি কি ধ্যানের মাধ্যমে চাঁদ, মঙ্গল ইত্যাদি সব গ্রহ উপগ্রহ নিমিষেই ভ্রমন করিতে পারিবো? এই জ্ঞান কিভাবে আয়াত্ব করা যেতে পারে?

ধন্যবাদ।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪৩

বাউন্ডেলে বলেছেন: রাসুল (সাঃ) মেরাজ । মহাজগৎ ভ্রমন, স্রষ্টার! দিদার । সেই সাথে আরো কিছু মনোজাগতিক ভ্রমন বর্ণনা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে পাওয়া যায় । এসব বিশ্লেষন নিয়ে আগামীকাল আপনার প্রশ্নের জবাব দেবো।

৯| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩৮

কামাল১৮ বলেছেন: আপনি যদি জ্ঞানের সংজ্ঞাটি বুঝে থাকেন তবে গিট্টু লাগার কথা না।আবার দেখুন এবং বুঝতে চেষ্টা করুন।এতে আপনারই উপকার হবে।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১১

বাউন্ডেলে বলেছেন: আপনি অভিজ্ঞ মানুষ। জ্ঞান সম্পর্কে আপনার সম্যক ধারনা ও চর্চা আছে। গাজী ভাই এসবের সাথে পরিচিত হতে চান না। অবশ্য অনেকেই তথ্যর জটিলতায় জড়িয়ে নিউরনে ট্রাফিক জ্যাম লাগাতে অনিহা লালন করে। এ ধরনের প্রবনতা সীমিত চিন্তার মস্তিস্ক গুলিতে দেখা যায়। আমার মাথায় গিট্টু নেই বলেই অন্যর মাথার গিট্টু খুলতে চেষ্টা করি। তথ্যর সার্বজনীনতা সমাজকে সুশীল হতে সাহাজ্য করে। সাহিত্য ও বিজ্ঞান এক বিষয় নয় । দুটির উপস্থাপন পদ্ধতির ভিন্নতা আছে। বিজ্ঞান পৃথিবীর সকল প্রান্তেই এক রকম, না হলে বিজ্ঞান হবে না, পক্ষান্তরে সাহিত্য হাজারো রকম ভিন্নতা বিদ্যমান এবং এবং ভিন্নতাই ইহার উৎকর্ষ গুন নির্ধারন করে।
উইকি বলছে-ঃ
জ্ঞান এক কথায় হল পরিচিতি থাকা, কোন কিছু সম্পর্কে বা কারো বিষয়ে জেনে থাকা বা বুঝে থাকা, হতে পারে কোন কিছুর প্রকৃত অবস্থা, তথ্য, বিবরণ, বা গুনাবলী সম্পর্কে ধারণা থাকা, যেটি অর্জিত হয়েছে উপলব্ধির মাধ্যমে, অনুসন্ধানের মাধ্যমে বা শিক্ষা গ্রহণের ফলে অভিজ্ঞ হওয়ায় বা পড়াশুনা করে।
আথিনার প্যাঁচা, পশ্চিমা বিশ্বে জ্ঞানের প্রতীক।
জ্ঞান বলতে কোন বিষয় সম্পর্কে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক শিক্ষা থাকাকে বুঝায়। এটা বহিঃপ্রকাশ ধরনের হতে পারে (যেমন ব্যবহারিক গুনাবালী সম্পন্ন বা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন) অথবা বহিঃপ্রকাশ ধরনের নাও হতে পারে (যেমন কোনো বিষয়ে শুধু তাত্ত্বিক দিকটি বোঝা); এটা কম বা বেশি ফর্মাল বা নিয়মার্বতিতা সম্পন্ন হতে পারে।দর্শনশাস্ত্রের, জ্ঞান নিয়ে যে অংশটি আলোচনা করে তাকে জ্ঞানতত্ত্ব বলে; দার্শনিক প্লেটো জ্ঞানকে প্রতিষ্ঠানিক ভাবে সংজ্ঞায়িত করেন "প্রমাণিত সত্য বিশ্বাস" বলে, যদিওবা এই সংজ্ঞা নিয়ে অনেক বিশ্লেষক দার্শনিক একমত হন যে সংজ্ঞাটির মধ্যে কিছু সমস্যা রয়েছে, এর কারণ হল গেটিয়ের সমস্যা। যদিওবা প্রচুর সংজ্ঞা রয়েছে জ্ঞানের উপর এবং প্রচুর তত্ত্ব রয়েছে এটির অস্তিত্ব নিয়ে।
জ্ঞান অর্জনের সাথে জটিল মনস্তাত্ত্বিক প্রক্রিয়া জড়িত: উপলব্ধি, সংযোগ এবং যুক্তি;যেখানে জ্ঞানকে মানব মস্তিষ্কের কোনো কিছু বুঝতে পারার ক্ষমতার সাথেও তুলনা করা হয়।
বলা বাহুল্য- গাজীভাই,এই বিষয়টা এড়িয়ে যাবেন।

১০| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এসব বিশ্লেষন নিয়ে আগামীকাল আপনার প্রশ্নের জবাব দেবো। - আগামীকাল আমি ব্লগে থাকতে পারবো কি না জানিনা, তবে আমি আপনার কাছ থেকে এই জ্ঞান শিখতে আগ্রহী, আমি সেই ছোট সময় থেকে চাঁদে যাওয়ার স্বপ্নে দেখতেছি আশা করি এবার আমার স্বপ্ন পুরণ হবে, আপনার মাধ্যমে। B-)

১১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫৩

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: বাহ, বাহ, অনেক কিছু জানলাম। জানার কোনো শেষ নেই। নতুন বিষয়গুলো বা দ্বিধায় থাকা বিষয়গুলো জানতে বেশ লাগে। আলোকবর্ষের মারপ্যাচ বরাবর যদিও খুব জটিল লাগে, তবু আপনার লেখায় বেশ সহজ সরল করে বিষয়গুলো বুঝিয়েছেন। ধন্যবাদ।

১২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৫৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


মাথায় গিট্টু লেগে গেলে মহাকাশচর্চা হয় না।

১৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১৭

আরইউ বলেছেন:



আপনার পোস্ট পোস্টে ব্যবহৃত ছবিগুলো সবই প্রথম আলোর দৃশ্যমান মহাবিশ্ব ৯৩০০ কোটি আলোকবর্ষ কেন লেখাটা থেকে নেয়া। এটা রাজীব নুর মার্কা একটা কপি-পেস্ট পোস্ট হয়েছে।

কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১১

বাউন্ডেলে বলেছেন: আমার মোবাইল দিয়ে সব ছবি তোলা নয় । প্রথম আলোর মোবাইল দিয়ে তোলা। ছবি , লেখা সবই বিশ্বগুরু গাজী ভাইয়ের ছাত্রদের দ্বারা লেখা ইচ্ছা করলেই কপি রাইট আইনে মামলা করতে পারেন। বহুদিন জেলের ভাত খাই না।

১৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৪৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: @আরইউ- আপনি দয়া করে কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ করে এই পোস্ট সরিয়ে দিবেন না, আমি এই পোস্ট থেকে চাঁদে যাওয়ার ফর্মুলাটা একটু শিখতে চাই, এটা আমার দীর্ঘদিনের একটা স্বপ্ন।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২৬

বাউন্ডেলে বলেছেন: আপনি ইচ্ছা করলেই রকেটে চড়ে চাঁদে যেতে পারবেন । নিজস্ব কোন বিদ্যার প্রয়োজন । মহাজগতে সর্বাধিক গতিময় হলো আলো।
মানুষ আলোর গতিপ্রাপ্ত হলেও মহাবিশ্বের অনেক অংশতেও যেতে পারবেনা।সে সব অংশে যেতে হলে আপনাকে আলোর চেয়েও কোটিগুন বেশী গতি অর্জন করতে হবে। এটা কিভাবে সম্ভব ? রাসুল (সাঃ) মেরাজের ঘটনা শিক্ষা দেয়, সেটাও সম্ভব।

১৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২২

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা দেখতে।

১৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৫৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: রাসুল (সাঃ) মেরাজের ঘটনা শিক্ষা দেয়, সেটাও সম্ভব। - আপনাকে একজন বুদ্ধিমান ব্লগার বলেই মনে হয়েছে কিন্তু এই ২০২৪ সালে এসেও আপনি এসব ছাইপাশ সত্যিই বিশ্বাস করেন কি না তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৭

বাউন্ডেলে বলেছেন: কুল ব্রাদার ! প্রযুক্তি মানুষ জন্মগত ভাবে পায়নি। ক্রমান্বয়ে উন্নতি হতে হতে এই পর্যায়ে এসেছে। প্রযুক্তির জন্ম যেমন মস্তিস্ক থেকে. তেমনি আধ্যাত্মিক চিন্তার জন্মও মস্তিস্ক থেকে। প্রযুক্তির বিবর্তন যেভাবে হয়েছে আত্মার বিবর্তনও তেমনিভাবে উন্নততরও হয়েছে। অধ্যাত্ববাদীরা যেমন প্রযুক্তি বোঝেনা তদ্রুপ বস্তুবাদী প্রযুক্তিবিদরাও আধ্যাত্নিক জগতে প্রবেশ করতে পারে না। আপনি জানেন না, বা অনুধাবন করতে পারেন না- এ কারনে কোন কিছুর সক্রিয়তাকে অস্বীকার করা বুদ্ধিমানের পরিচায়ক নয়। এমন হতে পারে যে, আমি হয়তো এখন আপনাকে বোঝাতে পারছি না । কিছুদিন পরে পারবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.