নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি আর লিখিব আমি ........শুণ্যর্ও মাঝার

বাউন্ডেলে

বাউন্ডেলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাকিদের পরাজয়ের শেষ মুহুর্তে ইন্ডিয়ানরা 96 হাজার পাক আর্মি ও দেড় লাখ রাজাকারের জীবন রক্ষার জন্য বাংলাদেশে যুদ্ধের নাটক করেছিলো।

১৪ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:১৭


চির দিনের জন্য বাংলাদেশকে রাজনৈতিকভাবে বেকায়দায় রাখার জন্য “র” এর ফরমুলায় আই এস আই সন্তষ্ট চিত্তে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছিলো। শয়তান যেমন আদমকে বংশ পরস্পরায় অশান্তিতে রাখার জন্য আল্লাহর কাছে সক্ষমতা আদায় করে নিয়েছিলো। তেমনি পাকিরা রাজাকারদের বাচতে দেওয়ার স্বার্থে ভারতীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করেছিলো।
অপ্রীতিকর হলেও সত্য মুক্ত বাংলার বাতাশ এখন পাকিস্থানী ভাবধারার দুর্গন্ধযুক্ত।
কি রকম সাহস হলে- মুক্তিযোদ্ধার বংশ,জাতীর পিতা, শহীদের সংখ্যা, জাতীয় সংগীত, ধর্মনিরপেক্ষতা সম্বন্ধে প্রশ্ন তোলা যায় ?

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫

রিফাত হোসেন বলেছেন: প্রতিবন্ধীদের বাদ দিয়ে সকল কোটা মোটা বিলুপ্ত করা উচিত। আর কত পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠী বা সুবিধাপ্রাপ্ত মানুষ হবে? এতদিনে তো নিজেরাই নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে যাবার কথা ও পরিবারকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবার কথা।

রাজাকারদের বাচানোর স্বার্থে নয়। বাংলাদেশি অনেকেই পাকিস্তানে বন্দী ছিল। বন্দী বিনিময় হয়েছিল। যদিও আমি সব পাকিদের নগদ মৃত্য দন্ড সমর্থন করি তবে ক্ষমাও উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মুক্তিযুদ্ধ করলেই সবাই সাধু হবে তা সঠিক নয়। মুক্তিযুদ্ধের পর অনেক ব্যাংক ডাকাতিতে মুক্তিযোদ্ধার হাত ছিল। এগুলো কালের গর্ভে হারিয়ে গিয়েছে। এগুলো কালো অধ্যায়। এজন্য সব মুক্তিযোদ্ধাদের এক কাতারে ফেলার সুযোগ নাই। তখনকার সবাই মুক্তিযোদ্ধা ছিল, যারা সহযোগিতা করেছে স্বাধীনতায়। হোক সে সরাসরি বা মৌন সম্মতি।

প্রচুর রাজাকারকে মারা হয়েছে। একজনকে জীবন্ত কবর দিয়েছে আমার বড় মামা। আর আপনি ইতিহাস বইয়ে পড়ে এসেছেন মনে হচ্ছে! আমার চাচা মুক্তিযোদ্ধা, উনার নামে রাস্তা হয়েছে। উনি এখনো বেচে আছে। এগুলো বলার কথা বললাম।
যারা মন প্রাণ দিয়ে স্বাধীন করেছে তারা এত ঢাকঢোল পিটাবে না,লাভের আশায়!

দাড়ি টুপি, জামাত ভক্ত ছাড়াও রাজাকার ছিল যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে অনেক। এমনকি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এর ভিতরেও শান্তি কমিটির সদস্য ছিল। তারা তথ্য পাচার করত মুক্তিযোদ্ধার কাছে। এইভাবে ইতিহাসে উল্লেখ নাই। মুক্তিযোদ্ধারা অনেক এম্বুশ করেছে পাকিদের টহলে, অস্ত্র লুট করে আবার তা মুক্তিযোদ্ধারা ব্যবহার করেছে। রাজাকারদের একাংশ যেমন মুক্তিযোদ্ধাদের ধরিয়ে দিয়েছে ঠিক এর বিপরীতও হয়েছে। পাকিদের সাথে যোগাযোগ বা আনাগোনা না থাকলে আপনি এদের গতিবিধি জানতে পারবেন না। এখন জীবনের ঝুকি নিয়ে সহায়তাকারী শান্তি কমিটির সদস্য বা স্বাধীন বাংলাদেশপন্থী রাজাকারকে আপনি কিভাবে গ্রহণ করবেন আপনার ও আপনাদের মত মানুষের ব্যাপার।
যাই হোক, যে বোঝার সে অল্পতেই বুঝবে।

১৪ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৪৬

বাউন্ডেলে বলেছেন: পাকি পন্থীরা কত পার্সেন্ট ছিলো- ৭০ এর নির্বাচন এ ভোটের পরিমান দেখলে অনুমান করা যায়। ১৬৯ আসনের মধ্যে ১৬৭ আসনে আসনে জয়লাভ করলেও মুসলিম লীগ প্রায় সব আসনে ২য় স্থানে । ভোটের পরিমানও যথেষ্ট তাদের ।
***১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলিগ জাতীয় পরিষদে ১৬২টি আসনের মধ্যে ১৬০টি আসন লাভ করে। সংরক্ষিত মহিলা আসনসহ আওয়ামী লীগ মোট ১৬৭টি আসন লাভ করে জাতীয় পরিষদে একক সংখ্যাগরীষ্ঠতা অর্জন করে। আবার পূর্ব পাকিস্তানে প্রাদেশিক পরীষদের সংরক্ষিত মহিলা আসনসহ ৩১০টি আসনের মধ্যে আওয়ামীলীগ মোট ২৯৮টি আসন পেয়ে নিরঙ্কূশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। ভোটের ফলাফল মূল্যায়নে দেখা যায়, মোট প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামিলীগ পূর্ব পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে ৭৫.১০শতাংশ এবং প্রাদেশিক পরিষদে ৭০.৪৮শতাংশ ভোট পায়। নির্বাচনের এমন ফলাফল পুর্ব পাকিস্তানকে একটি পৃথক অঞ্চল এবং বাঙালি জাতিকে একটি স্বতন্ত্র জাতি হিসেবে চিণ্হিত করে।
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে ৫ কোটি ৬৪ লক্ষ ভোটারের মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানের ছিল ৩ কোটি ২২ লক্ষ।১৯৭০ সালের ৭ই ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানের জন্য নির্ধারিত ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭ টি আসন লাভ করে।১৭ই ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে ৩০০ টি আসনের মধ্য আওয়ামী লীগ ২৮৮টি আসন লাভ করে।নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এককভাবে সরকার গঠনের রায় লাভ করে।
তথ্যসূত্র:নবম-দশম শ্রেণীর ২০১৮ সালের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পাঠ্য বইয়ের ১ম অধ্যায়।*****

প্রাদেশিক পরিষদে আওয়ামীলীগ ৭০% শতাংশ সমর্থন পেলেও প্রায় ২৫% বাঙ্গালী স্বাধীনতাকে ইগনোর করে, মুসলিম লীগ ও জামাতকে ভোট দেয়।
তখনকার ২৫% শতাংশ পাকিস্থান পন্থী বর্তমানে ধরে নেয়া যায় ছানা-পোনা সহ টিকে থাকা প্রায় ২০% ।
যে কোন বিশৃংখলা, চুলকানি তৈরীতে এই এই ২০% এর ৫% যথেষ্ট নয়কি ?

২| ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২১

কামাল১৮ বলেছেন: ইন্ডিয়ান আর্মি রাজাকারদের ধরে ভারতে নিয়ে যায় নি।বহু রাজাকার জেলে বন্দিছিলো।তাদের মুক্ত করে দেয় জিয়াউর রহমান।পাকিস্তান থেকে রাজাকার শিরমনিকে বাংলাদেশে নিয়ে আসে।

৩| ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:২৭

এম ডি মুসা বলেছেন: আমার, বাবার ফুফাতো ভাই সত্তার সাহেব। আমাদের চর এলাকায় চরম কলমি ইউনিয়ন মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার। আমার ফুফাতো ভাই মজিবল সাহেব মুক্তিযুদ্ধা। আমার বাবার খালাতো ভাই জয়নাল আবেদীন কাকা মুক্তিযুদ্ধা।
আমার মামাকে পাকিস্তানের জানোয়ারেরা হত্যা চেষ্টা করে, তারপর আমার নানা চরফ্যাশন এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের কাশেম সাথে পাক দমন বন্ধুত্ব সম্পর্ক করে।
আমার বাবা ছিলেন বড় তিনি ছিলেন উপার্জন করার ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধের যোগ দিতে পারেন নাই। তিনি যুদ্ধ গেলে দাদার পরিবারের না খেয়ে মারা যেতে হতো। কারণ ১৯৭০ সালে জলোচ্ছ্বাস আমাদের সব নিয়ে গেছে।
কারণ ১৯৭০ সালে আমাদের সব ভেসে গেছে। আমাদের দেশের মুক্তিযুদ্ধের ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতা দেশ স্বাধীন হয়েছে।

আমাদের ভোলা ১০ নাম্বার নৌ সেক্টর কমান্ডার অধীনে ছিল। এখানে নিয়মিত কমান্ডার ছিলেন না।
প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তারা যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ভূষিত করা। ভাতা সহ নানা সুবিধা তারাই পাওয়া উচিত যারা শহীদ হয়েছেন। যারা বঙ্গবন্ধুর মত নেতাকে হত্যা করার লোভী মন মানসিকতা লালন করে তাদের কিছু পাওয়ার অধিকার নেই ্ কারণ তারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কিনা যাচাই করা।

৪| ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:৪১

এম ডি মুসা বলেছেন: ১৯৬২ শিক্ষা আন্দোলন কিন্তু অধিকার আর বৈষম্য থেকে হয়েছে। সকল ছাত্র ছাত্রী তখন ক্ষুব্ধ হয়েছেন। অধিকার আদায়ের জন্য স্বাধীন হয়েছে। খন্দকার মোস্তাক । মুজিব নগর সরকারের আইন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন, সে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং মন্ত্রী ছিলেন মানুষ কেন তাকে ভিন্ন চোখে দেখে। মোস্তফা এর ছেলে কি কোটা পাবে তার বংশধর। মেজর জিয়ার নাতিনাতনি কোটা পাবে? হায়রে বাঙালি আর কত নিজের সুবিধার জন্য যা ইচ্ছা বলবে।

৫| ১৫ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৯

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: খুবি সত্যি কথা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.